জনগণের সঙ্গে পুলিশের নিবিড় সম্পর্ক থাকতে হবে
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জনগণের সমস্যাকে দেখতে হবে একান্ত আন্তরিক ও মানবিক
দৃষ্টিকোণ থেকে। জনগণের মনে পুলিশ সম্পর্কে যেন অমূলক ভীতি না থাকে সেজন্য
জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। সমাজের নারী, শিশু ও প্রবীণদের
প্রতি সংবেদনশীল আচরণ করতে হবে।’
গতকাল দুপুরে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৬তম বিসিএসের সহকারী পুলিশ সুপারদের (এএসপি) শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূলে জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে জনবান্ধব পুলিশ গঠনে আপনাদের অগ্রপথিকের ভূমিকা পালন করতে হবে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করার জন্য পুলিশ সদস্য নিয়োগে স্বচ্ছতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবার পুলিশ সদস্য নিয়োগ নিয়ে কোনোভাবেই কোনো লোক দুর্নীতি ও ঘুষ দেয়ার কথা বলতে পারেনি। আগামীতে এ পদক্ষেপে এগিয়ে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন। মনে রাখতে হবে, একজন মানুষ তার সবচেয়ে বিপদের সময় পুলিশের কাছে সাহায্যের জন্য আসে। তাই আপনাদের সেবা ও মানবিক আচরণের মাধ্যমে গণমানুষের আস্থা অর্জনে সচেষ্ট থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে সর্বদা পুলিশকে জনগণের পুলিশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অনুপ্রাণিত করতেন। বঙ্গবন্ধু পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলতেন- আপনারা স্বাধীন দেশের পুলিশ। আপনারা বিদেশি শোষকদের পুলিশ নন, জনগণের পুলিশ। আপনাদের কর্তব্য জনগণের সেবা করা, জনগণকে ভালোবাসা, দুর্দিনে জনগণকে সাহায্য করা।’ আমি আশা করি- আপনারা জাতির পিতার সেই প্রত্যাশা পূরণে আপনাদের উপর অর্পিত পবিত্র দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সময়ে অপরাধের ধরন প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। গতানুগতিক অপরাধের পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম, মানিলন্ডারিং, মানব পাচার ইত্যাদি বৈশ্বিক অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের মতো অশুভ সামাজিক ব্যাধি। সমাজ থেকে এসব অপকর্ম নির্মূলে এবং সমসাময়িক সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে। জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের অব্যাহত সাফল্য শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এদেশের মাটিতে কোনোভাবেই জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও যুদ্ধাপরাধীদের ঠাঁই হবে না।’
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির অপব্যবহার করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন সময় গুজব রটিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। এসব গুজব। রটনাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ একাডেমিতে পৌঁছান। পরে প্যারেড মাঠে গেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী তাকে স্বাগত জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী অভিবাদন মঞ্চে গিয়ে নবীন পুলিশের সশস্ত্র সালাম গ্রহণ করেন। পরে একটি খোলা জিপে চড়ে তিনি নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী সহকারী পুলিশ সুপারদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। প্যারেডে ১৭ জন নারী অফিসারসহ ১১৭ জন শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপার অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৪ আসনের এমপি প্রকৌশলী এনামুল হক, রাজশাহী-৫ আসনের এমপি ডা. মনসুর রহমান, রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আয়েন উদ্দিন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি আবিদা আঞ্জুম মিতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল দুপুরে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৬তম বিসিএসের সহকারী পুলিশ সুপারদের (এএসপি) শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূলে জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে জনবান্ধব পুলিশ গঠনে আপনাদের অগ্রপথিকের ভূমিকা পালন করতে হবে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের আস্থা বিশ্বাস অর্জন করার জন্য পুলিশ সদস্য নিয়োগে স্বচ্ছতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবার পুলিশ সদস্য নিয়োগ নিয়ে কোনোভাবেই কোনো লোক দুর্নীতি ও ঘুষ দেয়ার কথা বলতে পারেনি। আগামীতে এ পদক্ষেপে এগিয়ে যেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন। মনে রাখতে হবে, একজন মানুষ তার সবচেয়ে বিপদের সময় পুলিশের কাছে সাহায্যের জন্য আসে। তাই আপনাদের সেবা ও মানবিক আচরণের মাধ্যমে গণমানুষের আস্থা অর্জনে সচেষ্ট থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে সর্বদা পুলিশকে জনগণের পুলিশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অনুপ্রাণিত করতেন। বঙ্গবন্ধু পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলতেন- আপনারা স্বাধীন দেশের পুলিশ। আপনারা বিদেশি শোষকদের পুলিশ নন, জনগণের পুলিশ। আপনাদের কর্তব্য জনগণের সেবা করা, জনগণকে ভালোবাসা, দুর্দিনে জনগণকে সাহায্য করা।’ আমি আশা করি- আপনারা জাতির পিতার সেই প্রত্যাশা পূরণে আপনাদের উপর অর্পিত পবিত্র দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সময়ে অপরাধের ধরন প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। গতানুগতিক অপরাধের পাশাপাশি সাইবার ক্রাইম, মানিলন্ডারিং, মানব পাচার ইত্যাদি বৈশ্বিক অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের মতো অশুভ সামাজিক ব্যাধি। সমাজ থেকে এসব অপকর্ম নির্মূলে এবং সমসাময়িক সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে সর্বদা সচেষ্ট থাকতে হবে। জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের অব্যাহত সাফল্য শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এদেশের মাটিতে কোনোভাবেই জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও যুদ্ধাপরাধীদের ঠাঁই হবে না।’
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির অপব্যবহার করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন সময় গুজব রটিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। এসব গুজব। রটনাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ একাডেমিতে পৌঁছান। পরে প্যারেড মাঠে গেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী তাকে স্বাগত জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রী অভিবাদন মঞ্চে গিয়ে নবীন পুলিশের সশস্ত্র সালাম গ্রহণ করেন। পরে একটি খোলা জিপে চড়ে তিনি নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী সহকারী পুলিশ সুপারদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। প্যারেডে ১৭ জন নারী অফিসারসহ ১১৭ জন শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপার অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৪ আসনের এমপি প্রকৌশলী এনামুল হক, রাজশাহী-৫ আসনের এমপি ডা. মনসুর রহমান, রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আয়েন উদ্দিন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি আবিদা আঞ্জুম মিতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
No comments