কুষ্টিয়ায় জামায়াত কর্মীদের জাসদে যোগদানের খবরে তোলপাড় by দেলোয়ার মানিক
কুষ্টিয়ার মিরপুরে জামায়াতের অর্ধশত নেতাকর্মী জাসদে যোগ দিয়েছেন। যোগদানের খবর ও ছবি প্রকাশের পর তোলপাড় চলছে এলাকায়। জামায়াত নেতাকর্মীরা জাসদে যোগদান করে পুনর্বাসিত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন- এমনটাই বলছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে জাসদ নেতারা বলছেন, প্রতিপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। গ্রাম্য সালিশের ঘটনার ছবি জামায়াত কর্মীদের জাসদে যোগদান ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করছে তারা।
যদিও নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা ও উপজেলা জাসদের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, স্থানীয় জাসদের এক নেতা উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াত নেতাকর্মীদের দলে ভিড়িয়ে নিজে লাভবান হতে চাইছেন।
গত শনিবার বিকালে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মাজিহাট এলাকার প্রায় ৫০ জন জামায়াত নেতাকর্মী আনুষ্ঠানিকভাবে জাসদে যোগ দেন। জামায়াত নেতা নুর ইসলামের নেতৃত্বে শের আলী, আবুছদ্দীন, রেজন আলী, রাশিদুল ইসলাম, মোহর আলী, সামছুল আলম, সোলাইমানসহ প্রায় ৫০ জন জামায়াতের কর্মী কুর্শা ইউনিয়ন জাসদের সভাপতি জামিরুল ইসলাম ও ওয়ার্ড জাসদের সভাপতি আরব আলীর হাতে হাত রেখে আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাসদ নেতা ইকতার আলী, সাবেক ইউপি সদস্য জাহার আলী, সামছুম আলী, তাইজাল আলী শেখ, ইদবার আলী, ওয়ারেশ মল্লিক, যুব জোটের নেতা হুমায়ুন কবির। জামায়াত থেকে সদ্য যোগদানকৃতরা জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। এর প্রেক্ষিতে আমরা বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার ও মামলা আতঙ্কে ভুগেছি। আমরা আর নাশকতার মামলায় জড়াতে চাই না। আর জাসদের কর্মকাণ্ডের কারণে আমরা জাসদে যোগদান করেছি। যাতে ভবিষ্যতে আর মামলা না হয়।
স্থানীয় জাসদের ওয়ার্ড সভাপতি ও ইউপি সদস্য আরব আলী জানান, তারা আগে জামায়াত করতেন। এখন তারা জাসদে যোগদান করেছেন। কুর্শা ইউনিয়ন জাসদের সভাপতি জামিরুল ইসলাম জানান, জাসদের সভাপতি সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু’র উন্নয়ন, সন্ত্রাস দমন, মাদকমুক্ত সমাজ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কাদামুক্ত পাকা রাস্তাসহ মিরপুর উপজেলা অভূতপূর্বক উন্নয়ন দেখে জামায়াতের ৫০ জন নেতাকর্মী স্ব-উদ্যোগে জাসদে যোগদান করেছেন।
কুর্শা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান জানান, স্থানীয় জাসদের নেতাকর্মীরা তাদের সমর্থন দিন দিন হারিয়ে ফেলে এখন জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে তারা জামায়াতের নেতাকর্মীকে দলে নিচ্ছে। আর যাদের নিয়েছে তারা সকলেই একাধিক নাশকতার মামলার আসামি। এলাকায় সরকারবিরোধী কথাবার্তা ও কর্মকাণ্ড করে বেড়ায়। তারা এখন জাসদের আশ্রয়ে মাথা উঁচু করতে চাইছে। আর জাসদের নেতাকর্মীরা তাদের পুনর্বাসন করছে।
এদিকে জামায়াত নেতাকর্মীদের জাসদে যোগদানের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন মিরপুর উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ জাসদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। গ্রাম্য সালিশের ঘটনার ছবি জামায়াত কর্মীদের জাসদে যোগদান ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করছে তারা।
জেলা জাসদের সভাপতি আলহাজ গোলাম মহসীন জানান, জাসদ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। জামায়াত, যুদ্ধাপরাধীদের দলে নেবে না। যদি আত্মীয়তার খাতিরে জামায়াতদের দলে নিয়ে থাকে তাহলে আমরা তার অনুমোদন দেবো না। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনা জাসদের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীদের অপপ্রচার মাত্র।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আবুল হাসেমের মোবাইলে একাধিক বার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। পরে ক্ষুদে বার্তা দিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম জানান, স্বাধীনতা বিরোধী, যুদ্ধাপরাধী জামায়াত। এরা চায় বিভিন্ন সময়ে তাদের মুখোশ পাল্টিয়ে জনসাধারণের ক্ষতি করতে। এরা এখন জাসদের সঙ্গে যোগ দিয়ে মাথা তুলতে চায়। জাসদ কেনো তাদের নিচ্ছে- সেটা তারাই বলতে পারে।
যদিও নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা ও উপজেলা জাসদের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, স্থানীয় জাসদের এক নেতা উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াত নেতাকর্মীদের দলে ভিড়িয়ে নিজে লাভবান হতে চাইছেন।
গত শনিবার বিকালে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মাজিহাট এলাকার প্রায় ৫০ জন জামায়াত নেতাকর্মী আনুষ্ঠানিকভাবে জাসদে যোগ দেন। জামায়াত নেতা নুর ইসলামের নেতৃত্বে শের আলী, আবুছদ্দীন, রেজন আলী, রাশিদুল ইসলাম, মোহর আলী, সামছুল আলম, সোলাইমানসহ প্রায় ৫০ জন জামায়াতের কর্মী কুর্শা ইউনিয়ন জাসদের সভাপতি জামিরুল ইসলাম ও ওয়ার্ড জাসদের সভাপতি আরব আলীর হাতে হাত রেখে আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাসদ নেতা ইকতার আলী, সাবেক ইউপি সদস্য জাহার আলী, সামছুম আলী, তাইজাল আলী শেখ, ইদবার আলী, ওয়ারেশ মল্লিক, যুব জোটের নেতা হুমায়ুন কবির। জামায়াত থেকে সদ্য যোগদানকৃতরা জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম। এর প্রেক্ষিতে আমরা বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার ও মামলা আতঙ্কে ভুগেছি। আমরা আর নাশকতার মামলায় জড়াতে চাই না। আর জাসদের কর্মকাণ্ডের কারণে আমরা জাসদে যোগদান করেছি। যাতে ভবিষ্যতে আর মামলা না হয়।
স্থানীয় জাসদের ওয়ার্ড সভাপতি ও ইউপি সদস্য আরব আলী জানান, তারা আগে জামায়াত করতেন। এখন তারা জাসদে যোগদান করেছেন। কুর্শা ইউনিয়ন জাসদের সভাপতি জামিরুল ইসলাম জানান, জাসদের সভাপতি সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু’র উন্নয়ন, সন্ত্রাস দমন, মাদকমুক্ত সমাজ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, কাদামুক্ত পাকা রাস্তাসহ মিরপুর উপজেলা অভূতপূর্বক উন্নয়ন দেখে জামায়াতের ৫০ জন নেতাকর্মী স্ব-উদ্যোগে জাসদে যোগদান করেছেন।
কুর্শা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান জানান, স্থানীয় জাসদের নেতাকর্মীরা তাদের সমর্থন দিন দিন হারিয়ে ফেলে এখন জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে তারা জামায়াতের নেতাকর্মীকে দলে নিচ্ছে। আর যাদের নিয়েছে তারা সকলেই একাধিক নাশকতার মামলার আসামি। এলাকায় সরকারবিরোধী কথাবার্তা ও কর্মকাণ্ড করে বেড়ায়। তারা এখন জাসদের আশ্রয়ে মাথা উঁচু করতে চাইছে। আর জাসদের নেতাকর্মীরা তাদের পুনর্বাসন করছে।
এদিকে জামায়াত নেতাকর্মীদের জাসদে যোগদানের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন মিরপুর উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ জাসদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। গ্রাম্য সালিশের ঘটনার ছবি জামায়াত কর্মীদের জাসদে যোগদান ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করছে তারা।
জেলা জাসদের সভাপতি আলহাজ গোলাম মহসীন জানান, জাসদ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। জামায়াত, যুদ্ধাপরাধীদের দলে নেবে না। যদি আত্মীয়তার খাতিরে জামায়াতদের দলে নিয়ে থাকে তাহলে আমরা তার অনুমোদন দেবো না। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনা জাসদের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীদের অপপ্রচার মাত্র।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আবুল হাসেমের মোবাইলে একাধিক বার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। পরে ক্ষুদে বার্তা দিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম জানান, স্বাধীনতা বিরোধী, যুদ্ধাপরাধী জামায়াত। এরা চায় বিভিন্ন সময়ে তাদের মুখোশ পাল্টিয়ে জনসাধারণের ক্ষতি করতে। এরা এখন জাসদের সঙ্গে যোগ দিয়ে মাথা তুলতে চায়। জাসদ কেনো তাদের নিচ্ছে- সেটা তারাই বলতে পারে।
No comments