মোদিকে যা বলেছেন সিনহা
সাবেক
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন
প্রতিষ্ঠায় ভারতের সমর্থন চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ
সরকারকে সমর্থন করে বাংলাদেশের জনগণের আকাক্সক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া
ভারতের উচিত নয়। ভারতের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেয়া এক
সাক্ষাৎকারে সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এ কথা বলেছেন। পিটিআই’র রিপোর্টে বলা
হয়েছে, সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (৬৭) বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়
প্রার্থনা করছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম হিন্দু প্রধান বিচারপতি। সম্প্রতি
তিনি দাবি করেছেন, অগণতান্ত্রিক ও স্বেচ্ছাচারী সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর
কারণে তাকে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা
সরকার এস কে সিনহার এ দাবি অস্বীকার করেছে এবং তাকে দুর্নীতির অভিযোগে
অভিযুক্ত করা হয়েছে।
সুরেন্দ্র কুমার সিনহা’র দাবি, হাসিনা সরকারকে সমর্থন দিয়ে ভারতীয় সরকার বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের আকাক্সক্ষাকে উপেক্ষা করেন। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত বলেও মত তার।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এস কে সিনহাকে দুর্নীতির এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য অভিযুক্ত করেছে। মি. সিনহা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। সাক্ষাৎকারে সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, ভারতের একটি স্বেচ্ছাচারী সরকারের পাশে দাঁড়ানো উচিত নয়। কারণ বাংলাদেশের জনগণ এই সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ। তারা হয়তো একবার বা দুই বারের জন্য ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। কিন্তু একদিন সময় আসবে, দেশের মানুষ রুখে দাঁড়াবে। তখন ভারত নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশের উপরে প্রভাব হারাবে। এ সময় তিনি জানান যে, বাংলাদেশে ইসলামপন্থি মৌলবাদী সংগঠন ও তাদের নেতাদের নিয়ে ভারতের উদ্বেগ স¤পর্কে তিনি অবগত রয়েছেন।
রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হওয়ার অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমার কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাক্সক্ষা নেই। আমি শুধু এমন একটা বাংলাদেশ দেখতে চাই যেখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে আইনের শাসন রয়েছে। কী পরিস্থিতিতে তাকে পদত্যাগ এবং দেশত্যাগ করতে হয়েছে নিজের বইতে সে ব্যাপারে বিস্তারিত লিখেছেন সিনহা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে তার উদ্বেগের কথা তিনি মোদি সরকারকে জানিয়েছেন। এস কে সিনহা বলেন, আমি ভারত সফর করেছি এবং নরেন্দ্র মোদিকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে, আমি কি ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। আমি জানি না কে তাকে এ ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশে একটি স্বৈরাচারী সরকারকে সমর্থন দিচ্ছেন। কিন্তু একসময় ভারতকে এ ভুলের মাশুল দিতে হবে। বাংলাদেশে হিন্দুরা কী ধরনের নির্যাতনের মুখোমুখি হচ্ছেন তাও মোদি সরকারকে জানিয়েছেন এস কে সিনহা।
তিনি বলেন, মোদি সরকার মনে করে আমাকে সমর্থন দিলে তারা আওয়ামী লীগ সরকারকে হারাবে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে ভারত সম্ভবত সমগ্র বাংলাদেশই হারাতে চলেছে। সাক্ষাৎকারে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ হেরে যাবে বলেও দাবি করেন তিনি।
সুরেন্দ্র কুমার সিনহা’র দাবি, হাসিনা সরকারকে সমর্থন দিয়ে ভারতীয় সরকার বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের আকাক্সক্ষাকে উপেক্ষা করেন। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত বলেও মত তার।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এস কে সিনহাকে দুর্নীতির এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য অভিযুক্ত করেছে। মি. সিনহা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। সাক্ষাৎকারে সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, ভারতের একটি স্বেচ্ছাচারী সরকারের পাশে দাঁড়ানো উচিত নয়। কারণ বাংলাদেশের জনগণ এই সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ। তারা হয়তো একবার বা দুই বারের জন্য ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। কিন্তু একদিন সময় আসবে, দেশের মানুষ রুখে দাঁড়াবে। তখন ভারত নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশের উপরে প্রভাব হারাবে। এ সময় তিনি জানান যে, বাংলাদেশে ইসলামপন্থি মৌলবাদী সংগঠন ও তাদের নেতাদের নিয়ে ভারতের উদ্বেগ স¤পর্কে তিনি অবগত রয়েছেন।
রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হওয়ার অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমার কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাক্সক্ষা নেই। আমি শুধু এমন একটা বাংলাদেশ দেখতে চাই যেখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে আইনের শাসন রয়েছে। কী পরিস্থিতিতে তাকে পদত্যাগ এবং দেশত্যাগ করতে হয়েছে নিজের বইতে সে ব্যাপারে বিস্তারিত লিখেছেন সিনহা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে তার উদ্বেগের কথা তিনি মোদি সরকারকে জানিয়েছেন। এস কে সিনহা বলেন, আমি ভারত সফর করেছি এবং নরেন্দ্র মোদিকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে, আমি কি ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। আমি জানি না কে তাকে এ ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশে একটি স্বৈরাচারী সরকারকে সমর্থন দিচ্ছেন। কিন্তু একসময় ভারতকে এ ভুলের মাশুল দিতে হবে। বাংলাদেশে হিন্দুরা কী ধরনের নির্যাতনের মুখোমুখি হচ্ছেন তাও মোদি সরকারকে জানিয়েছেন এস কে সিনহা।
তিনি বলেন, মোদি সরকার মনে করে আমাকে সমর্থন দিলে তারা আওয়ামী লীগ সরকারকে হারাবে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে ভারত সম্ভবত সমগ্র বাংলাদেশই হারাতে চলেছে। সাক্ষাৎকারে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ হেরে যাবে বলেও দাবি করেন তিনি।
No comments