ঐক্যের আহ্বান কাদেরের, সিপিবি বাসদের ‘না’
মুক্তিযুদ্ধের
চেতনায় বিশ্বাসী বামপন্থি দলগুলোর সঙ্গে ঐক্য গড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সাম্যবাদী দলের
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গতকাল তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। বলেন, যে
বামপন্থিরা ইতিমধ্যে উচ্চারণ করেছেন, সামপ্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আমরা নাই।
আসুন, আমরা মিনিমাম পয়েন্টে ম্যাক্সিমাম ইউনিটি গড়ে তুলি। তার এ আহ্বানের
প্রেক্ষিতে সিপিবি ও বাসদের নেতারা বলেছেন, ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে জোট বা ঐক্য
করার কোন পরিকল্পনা নেই। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে
বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম-এল) এর ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে প্রধান
অতিথি ছিলেন ওবায়দুল কাদের। ‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ বামপন্থিরা কেন এই এক
স্লোগানে ঐক্যবদ্ধ হতে পারেন না? প্রশ্ন উত্থাপন করে ওবায়দুল কাদের বলেন,
এটা আপনাদের দুর্বল করে দিচ্ছে। আমাকে ভুল বুঝবেন না।
অহেতুক অকারণেও ভাঙন অনেক সময় লক্ষ্য করি।
নেতৃত্বের জন্য ভাঙন। এটা লক্ষ্য করি। এটা তো বামপন্থিদের ত্যাগের যে ইতিহাস, সে ইতিহাসের সঙ্গে কোনো মিল নেই। ভুল করতে করতে খুব ক্ষতি হয়ে গেছে। তাই ভবিষ্যতে ভুলের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে ১৪ দলের নেতাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে চেষ্টা করার আহ্বান জানান তিনি। এবিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, কমিউনিস্ট পার্টির অফিসে গিয়েছিলাম। সেখানেও এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। কমরেড খালেকুজ্জামানের সঙ্গে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে একসঙ্গে পাশাপাশি সিটে থাকতাম। তার সঙ্গেও এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমার একটি বিষয়ে ভালো লাগে, একটা জায়গায় এক সুরে কথা বলছেন বামপন্থিরা। সেটা হচ্ছে সামপ্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আমরা নাই। এই উচ্চারণ এর মধ্যে অনেকেই করেছে। ‘তাই এই উচ্চারণ যারা করেছে, আসুন না আমরা মিনিমাম পয়েন্টে ম্যাক্সিমাম ইউনিটি গড়ে তুলি। অসুবিধাটা কোথায়- উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বাধীন ৮দলীয় জোটের অনেকে আমরা একসঙ্গে ছাত্ররাজনীতি করেছি। আসুন আমরা, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু এই প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ হই।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই দুদিন আগে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, শেখ হাসিনা বিশ্বের বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধানদের রোল মডেল হতে পারেন। শেখ হাসিনার এই উচ্চতা, বাংলাদেশের উচ্চতা। এই উচ্চতা আমাদের সকলের জন্য গর্বের বিষয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে দুই একটা দল আছে, তারা যতটা না আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী তারচেয়ে বেশি শেখ হাসিনা বিদ্বেষী। তারা আওয়ামী লীগকে নয়, শেখ হাসিনাকে হঠাতে চায়। এখন পর্দার অন্তরালে দেশে-বিদেশে যেসব চক্রান্ত চলছে। এই চক্রান্তের মূল টার্গেট হচ্ছে শেখ হাসিনা। তাকে হত্যা করারও পাঁয়তারা আছে। ২০ বার তো অ্যাটেম্প নিয়েছিল। ব্যর্থ হয়েছে। এখন আবারো তাকে ঘিরে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে এবং বাংলাদেশের অস্তিত্বের লড়াইয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অপরিহার্য দাবি করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাঙালির আস্থার নির্ভরযোগ্য ঠিকানা। তাই যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেন।
বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন তারা যেন সামান্য রাজনৈতিক ভুল বোঝাবুঝি অথবা অভিমানের বশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে দুর্বল না করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরাও জাতীয় ঐক্য চাই। আমরা জাতীয় ঐক্য চাই সামপ্রদায়িক অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে, স্বাধীনতার শত্রুদের বিরুদ্ধে। নষ্ট রাজনীতির বিরুদ্ধে। দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। এদেশের জন্মের যে চেতনা, এই চেতনা নিয়ে আমরা জাতীয় ঐক্য চাই। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের পর বিএনপি’র নেতাকর্মীদের নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মামলা করার দিকটি তুলে ধরে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্যায়ভাবে মামলা হোক, এটা আমরা চাই না।
এখন যে মামলা হয়েছে, পুলিশ বলছে তারা নাশকতার ছক আঁকছে আন্দোলনের নামে। পুলিশ বলছে, তারা ২০১৪ সালের মতো সন্ত্রাসী তৎপরতা তৈরি করতে গোপনে গোপনে বৈঠক করছে। এই তথ্য তো আমি জানি না, জানবে পুলিশ, জানবে গোয়েন্দা সংস্থা। এ ধরনের অভিযোগে যদি কারও বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করে- এটা কি হয়রানিমূলক মামলা হবে? নিরপরাধ হলে আদালতে যান, আদালতে গিয়ে ফয়সালা করুন। বিচার চান। স্বাধীনতা আছে। জামিনও হয়। বেগম জিয়ার ৩০ মামলার জামিন কি হয়নি! আমরা বারবার একই কথা বলছি, আমরা একটা অর্থবহ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই। ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার কোনো চিন্তা আমাদের নেই। ভাবসাব দেখছেন খারাপ, আপনি আসবেন না? জনসভা ডাকছেন, মারামারি-হাতাহাতি। বেগম জিয়ার খালি চেয়ার। আর ফখরুল সাহেব যখন বক্তব্য দিচ্ছেন তখন সেলফি? বিএনপি’র সর্বাত্মক আন্দোলনের ডাক দেয়ার হুমকিকে পরোয়া না করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ বছর পারেননি আর এক মাস আছে। এক মাসে আপনারা কি আন্দোলন করবেন- সবাই জানে? সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক অসিত বরণ রায়, গণআজাদী লীগের এস কে শিকদার, বাসদের রেজাউর রশিদ খান, ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সহ সাম্যবাদী দলের নেতারা।
সিপিবি-বাসদের ‘না’
ওদিকে বিডি নিউজ জানায়, বিএনপি নেতাদের নিয়ে সমাবেশ করা জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়াকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর বামদের নিজেদের জোটে পাওয়ার যে আহ্বান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রেখেছেন, তা প্রত্যাখ্যান করলেন সিপিবি-বাসদের নেতারা। সিপিবি’র কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, ‘আগে বিএনপিও দুঃশাসন করেছে, এখন আওয়ামী লীগের দুঃশাসন। এই দুই দলের সঙ্গে আমাদের ঐক্য হবে না।’ বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে জোট করার ইচ্ছা, পরিকল্পনা বা কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের নাই।’ একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে গতকাল আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের আহ্বানের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে দুই বাম নেতা একথা বলেন। সিপিবি নেতা প্রিন্স বলেন, ‘উনি ঐক্যের আহ্বানে যেসব বিষয় উল্লেখ করেছেন, তার সঙ্গে বর্তমান আওয়ামী লীগ নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে আওয়ামী লীগ পুরোপুরি সাংঘর্ষিক অবস্থায় রয়েছে।
তিনি বলছেন, ঐক্য চাই সামপ্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে। কিন্তু আওয়ামী লীগ নিজেই এখন সামপ্রদায়িক শক্তিকে লালন করছে। স্বাধীনতার শত্রুদের বিরুদ্ধে ঐক্যের কথা বলেছেন। রাজাকারদের বিচার হয়েছে ঠিক, কিন্তু এখনো তাদেরকে নিষিদ্ধ করেনি। তিনি বলেছেন, নষ্ট রাজনীতির বিরুদ্ধে ঐক্য চান। আমরা তো দেখি নষ্ট রাজনীতি কিংবা দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির অন্যতম স্তম্ভে পরিণত হয়েছে এখনকার আওয়ামী লীগ।
তিনি বলতে চেয়েছেন যে ঐক্য চাই, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। কিন্তু এই সরকারের আমলে দুর্নীতি ও সন্ত্রাস আগের যেকোনো সরকারের চেয়ে অনেক বেশি ছড়িয়ে গেছে। আগে ছিল হাওয়া ভবন, এখন ঘরে ঘরে খাওয়া ভবন। তিনি ঐক্যের আহ্বান জানাতেই পারেন। কিন্তু সিপিবি এখন লড়াই করছে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে। প্রিন্স বলেন, ‘দ্বিদলীয় জোটের বাইরে বাম বিকল্প শক্তি গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য। আমরা জনগণের ঐক্যের উপর ভরসা করি। বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, ‘আমরা নিজেরাই একটা জোটে আছি। ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে জোট করার ইচ্ছা, পরিকল্পনা বা কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের নাই। এ বিষয়ে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে কোনো কথা কিংবা যোগাযোগ হয়নি বলেও জানান তিনি।
অহেতুক অকারণেও ভাঙন অনেক সময় লক্ষ্য করি।
নেতৃত্বের জন্য ভাঙন। এটা লক্ষ্য করি। এটা তো বামপন্থিদের ত্যাগের যে ইতিহাস, সে ইতিহাসের সঙ্গে কোনো মিল নেই। ভুল করতে করতে খুব ক্ষতি হয়ে গেছে। তাই ভবিষ্যতে ভুলের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে ১৪ দলের নেতাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে চেষ্টা করার আহ্বান জানান তিনি। এবিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, কমিউনিস্ট পার্টির অফিসে গিয়েছিলাম। সেখানেও এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। কমরেড খালেকুজ্জামানের সঙ্গে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে একসঙ্গে পাশাপাশি সিটে থাকতাম। তার সঙ্গেও এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমার একটি বিষয়ে ভালো লাগে, একটা জায়গায় এক সুরে কথা বলছেন বামপন্থিরা। সেটা হচ্ছে সামপ্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আমরা নাই। এই উচ্চারণ এর মধ্যে অনেকেই করেছে। ‘তাই এই উচ্চারণ যারা করেছে, আসুন না আমরা মিনিমাম পয়েন্টে ম্যাক্সিমাম ইউনিটি গড়ে তুলি। অসুবিধাটা কোথায়- উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বাধীন ৮দলীয় জোটের অনেকে আমরা একসঙ্গে ছাত্ররাজনীতি করেছি। আসুন আমরা, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু এই প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ হই।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই দুদিন আগে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, শেখ হাসিনা বিশ্বের বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধানদের রোল মডেল হতে পারেন। শেখ হাসিনার এই উচ্চতা, বাংলাদেশের উচ্চতা। এই উচ্চতা আমাদের সকলের জন্য গর্বের বিষয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে দুই একটা দল আছে, তারা যতটা না আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী তারচেয়ে বেশি শেখ হাসিনা বিদ্বেষী। তারা আওয়ামী লীগকে নয়, শেখ হাসিনাকে হঠাতে চায়। এখন পর্দার অন্তরালে দেশে-বিদেশে যেসব চক্রান্ত চলছে। এই চক্রান্তের মূল টার্গেট হচ্ছে শেখ হাসিনা। তাকে হত্যা করারও পাঁয়তারা আছে। ২০ বার তো অ্যাটেম্প নিয়েছিল। ব্যর্থ হয়েছে। এখন আবারো তাকে ঘিরে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে এবং বাংলাদেশের অস্তিত্বের লড়াইয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অপরিহার্য দাবি করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাঙালির আস্থার নির্ভরযোগ্য ঠিকানা। তাই যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেন।
বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন তারা যেন সামান্য রাজনৈতিক ভুল বোঝাবুঝি অথবা অভিমানের বশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে দুর্বল না করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরাও জাতীয় ঐক্য চাই। আমরা জাতীয় ঐক্য চাই সামপ্রদায়িক অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে, স্বাধীনতার শত্রুদের বিরুদ্ধে। নষ্ট রাজনীতির বিরুদ্ধে। দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। এদেশের জন্মের যে চেতনা, এই চেতনা নিয়ে আমরা জাতীয় ঐক্য চাই। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের পর বিএনপি’র নেতাকর্মীদের নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মামলা করার দিকটি তুলে ধরে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্যায়ভাবে মামলা হোক, এটা আমরা চাই না।
এখন যে মামলা হয়েছে, পুলিশ বলছে তারা নাশকতার ছক আঁকছে আন্দোলনের নামে। পুলিশ বলছে, তারা ২০১৪ সালের মতো সন্ত্রাসী তৎপরতা তৈরি করতে গোপনে গোপনে বৈঠক করছে। এই তথ্য তো আমি জানি না, জানবে পুলিশ, জানবে গোয়েন্দা সংস্থা। এ ধরনের অভিযোগে যদি কারও বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করে- এটা কি হয়রানিমূলক মামলা হবে? নিরপরাধ হলে আদালতে যান, আদালতে গিয়ে ফয়সালা করুন। বিচার চান। স্বাধীনতা আছে। জামিনও হয়। বেগম জিয়ার ৩০ মামলার জামিন কি হয়নি! আমরা বারবার একই কথা বলছি, আমরা একটা অর্থবহ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই। ফাঁকা মাঠে গোল দেয়ার কোনো চিন্তা আমাদের নেই। ভাবসাব দেখছেন খারাপ, আপনি আসবেন না? জনসভা ডাকছেন, মারামারি-হাতাহাতি। বেগম জিয়ার খালি চেয়ার। আর ফখরুল সাহেব যখন বক্তব্য দিচ্ছেন তখন সেলফি? বিএনপি’র সর্বাত্মক আন্দোলনের ডাক দেয়ার হুমকিকে পরোয়া না করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১০ বছর পারেননি আর এক মাস আছে। এক মাসে আপনারা কি আন্দোলন করবেন- সবাই জানে? সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক অসিত বরণ রায়, গণআজাদী লীগের এস কে শিকদার, বাসদের রেজাউর রশিদ খান, ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সহ সাম্যবাদী দলের নেতারা।
সিপিবি-বাসদের ‘না’
ওদিকে বিডি নিউজ জানায়, বিএনপি নেতাদের নিয়ে সমাবেশ করা জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়াকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর বামদের নিজেদের জোটে পাওয়ার যে আহ্বান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রেখেছেন, তা প্রত্যাখ্যান করলেন সিপিবি-বাসদের নেতারা। সিপিবি’র কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, ‘আগে বিএনপিও দুঃশাসন করেছে, এখন আওয়ামী লীগের দুঃশাসন। এই দুই দলের সঙ্গে আমাদের ঐক্য হবে না।’ বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেছেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে জোট করার ইচ্ছা, পরিকল্পনা বা কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের নাই।’ একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে গতকাল আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের আহ্বানের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে দুই বাম নেতা একথা বলেন। সিপিবি নেতা প্রিন্স বলেন, ‘উনি ঐক্যের আহ্বানে যেসব বিষয় উল্লেখ করেছেন, তার সঙ্গে বর্তমান আওয়ামী লীগ নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে আওয়ামী লীগ পুরোপুরি সাংঘর্ষিক অবস্থায় রয়েছে।
তিনি বলছেন, ঐক্য চাই সামপ্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে। কিন্তু আওয়ামী লীগ নিজেই এখন সামপ্রদায়িক শক্তিকে লালন করছে। স্বাধীনতার শত্রুদের বিরুদ্ধে ঐক্যের কথা বলেছেন। রাজাকারদের বিচার হয়েছে ঠিক, কিন্তু এখনো তাদেরকে নিষিদ্ধ করেনি। তিনি বলেছেন, নষ্ট রাজনীতির বিরুদ্ধে ঐক্য চান। আমরা তো দেখি নষ্ট রাজনীতি কিংবা দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির অন্যতম স্তম্ভে পরিণত হয়েছে এখনকার আওয়ামী লীগ।
তিনি বলতে চেয়েছেন যে ঐক্য চাই, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। কিন্তু এই সরকারের আমলে দুর্নীতি ও সন্ত্রাস আগের যেকোনো সরকারের চেয়ে অনেক বেশি ছড়িয়ে গেছে। আগে ছিল হাওয়া ভবন, এখন ঘরে ঘরে খাওয়া ভবন। তিনি ঐক্যের আহ্বান জানাতেই পারেন। কিন্তু সিপিবি এখন লড়াই করছে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে। প্রিন্স বলেন, ‘দ্বিদলীয় জোটের বাইরে বাম বিকল্প শক্তি গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য। আমরা জনগণের ঐক্যের উপর ভরসা করি। বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, ‘আমরা নিজেরাই একটা জোটে আছি। ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে জোট করার ইচ্ছা, পরিকল্পনা বা কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের নাই। এ বিষয়ে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে কোনো কথা কিংবা যোগাযোগ হয়নি বলেও জানান তিনি।
No comments