কলেজছাত্রীকে নির্যাতনের পর চুল কর্তন ফেসবুকে নগ্ন ছবি
কুষ্টিয়ায়
দরিদ্র সংখ্যালঘু পরিবারের এক কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করার পর মাথার চুল কেটে
দেয়া হয়েছে। এরপর ওই ছাত্রীর আত্মীয়-স্বজনের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে নগ্ন ছবি
পাঠিয়ে হুমকি দিচ্ছে প্রতারক স্বামী। একের পর এক হুমকির কারণে অতি দরিদ্র
পরিবারের ওই কলেজছাত্রীর পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গেছে। মেয়ের পরিবারটিও এলাকায়
একঘরে হয়ে পড়েছে। কেউ তাদের সঙ্গে মিশছে না, কথাও বলছে না। এ ঘটনায় রোববার
সন্ধ্যায় প্রতারণার শিকার ওই কলেজছাত্রী নিজে বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায়
একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরে সোমবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া শহরের
শাপলা চত্বর থেকে অভিযুক্ত নাজমুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্র্রতারণার
শিকার ছাত্রী বর্তমানে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের বি.বি.এ ১ম বর্ষে অধ্যায়নরত।
ওই ছাত্রীর দেয়া অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, প্রায় চার বছর আগে কলেজে যাওয়া-আসার পথে জুগিয়া হাট পাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেন তাকে উত্ত্যক্ত করত। নাজমুল সে সময় ওই ছাত্রীর কাছে সংখ্যালঘু হিসেবে নিজের পরিচয় দেয়। এক পর্যায়ে নাজমুলের সাথে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে ২০১৫ সালের ২৪শে নভেম্বর নাজমুল ওই কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উপজেলার বটতৈল এলাকার স্থানীয় এক কাজীর কাছে নিয়ে যায়। এ সময় নাজমুল তাকে বলে আমি মুসলমান তোমাকেও মুসলমান হতে হবে। মুসলমান পরিচয় জানতে পেরে ওই কলেজছাত্রী নাজমুলকে বিয়ে করতে এবং ধর্মান্তরিত হতে অস্বীকৃতি জানায়। এসময় নাজমুল এবং তার সাথে থাকা অজ্ঞাত নামা ৩-৪ জন তাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক আগে থেকে সম্পন্ন করে রাখা দুইটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় এবং নোটারি পাবলিক দিয়ে মুসলমান হিসেবে হলফনামা করে এবং তাকে বিয়ে করে। বিয়ের কাবিননামায় ওই ছাত্রীর বাবার প্রকৃত নাম পাল্টে লেখা হয় শেখ ইমতিয়াজ আলী এবং মায়ের নাম লেখা হয় আফরোজা বেগম মালা। যা ওই মেয়ের বাবা ও মা কিছুই জানে না।
এক পর্যায়ে ওই কলেজ ছাত্রী এবং তার দরিদ্র পরিবার বিয়ে মেনে নিতে বাধ্য হয় এবং নাজমুলের সাথেই সংসার করা শুরু করে। বিয়ের এক-দেড় বছর পর কলেজ ছাত্রী জানতে পারে নাজমুল বিবাহিত, তার দুইটি সন্তান রয়েছে এবং সে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। এ সব বিষয়ে নাজমুলকে জিজ্ঞাসা করলে ওই ছাত্রীর উপর চরম শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। শারীরিক নির্যাতনের মাত্রা চরমে পৌছালে সে রাগ করে বাবার বাড়ি চলে আসতে বাধ্য হয়। গত ২৬শে জুন নাজমুল ওই ছাত্রীর বাড়িতে এসে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চায়। ক্ষমা করার পর মন ভালো করার নাম করে নাজমুল বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে করে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া সাতবাড়ীয়া মাঠের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রীকে এলাপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় শুরু করে। এক পর্যায়ে তার মাথার চুল কেটে দেয় নাজমুল। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর শারীরিক সম্পর্কের দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে ফেসবুকে আপলোড করে। আত্মীয়-স্বজনসহ পরিচিতদের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেয়। কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তপূর্বক দোষীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওই ছাত্রীর দেয়া অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, প্রায় চার বছর আগে কলেজে যাওয়া-আসার পথে জুগিয়া হাট পাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেন তাকে উত্ত্যক্ত করত। নাজমুল সে সময় ওই ছাত্রীর কাছে সংখ্যালঘু হিসেবে নিজের পরিচয় দেয়। এক পর্যায়ে নাজমুলের সাথে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে ২০১৫ সালের ২৪শে নভেম্বর নাজমুল ওই কলেজ ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উপজেলার বটতৈল এলাকার স্থানীয় এক কাজীর কাছে নিয়ে যায়। এ সময় নাজমুল তাকে বলে আমি মুসলমান তোমাকেও মুসলমান হতে হবে। মুসলমান পরিচয় জানতে পেরে ওই কলেজছাত্রী নাজমুলকে বিয়ে করতে এবং ধর্মান্তরিত হতে অস্বীকৃতি জানায়। এসময় নাজমুল এবং তার সাথে থাকা অজ্ঞাত নামা ৩-৪ জন তাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক আগে থেকে সম্পন্ন করে রাখা দুইটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় এবং নোটারি পাবলিক দিয়ে মুসলমান হিসেবে হলফনামা করে এবং তাকে বিয়ে করে। বিয়ের কাবিননামায় ওই ছাত্রীর বাবার প্রকৃত নাম পাল্টে লেখা হয় শেখ ইমতিয়াজ আলী এবং মায়ের নাম লেখা হয় আফরোজা বেগম মালা। যা ওই মেয়ের বাবা ও মা কিছুই জানে না।
এক পর্যায়ে ওই কলেজ ছাত্রী এবং তার দরিদ্র পরিবার বিয়ে মেনে নিতে বাধ্য হয় এবং নাজমুলের সাথেই সংসার করা শুরু করে। বিয়ের এক-দেড় বছর পর কলেজ ছাত্রী জানতে পারে নাজমুল বিবাহিত, তার দুইটি সন্তান রয়েছে এবং সে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। এ সব বিষয়ে নাজমুলকে জিজ্ঞাসা করলে ওই ছাত্রীর উপর চরম শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। শারীরিক নির্যাতনের মাত্রা চরমে পৌছালে সে রাগ করে বাবার বাড়ি চলে আসতে বাধ্য হয়। গত ২৬শে জুন নাজমুল ওই ছাত্রীর বাড়িতে এসে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চায়। ক্ষমা করার পর মন ভালো করার নাম করে নাজমুল বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে করে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া সাতবাড়ীয়া মাঠের মধ্যে নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রীকে এলাপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় শুরু করে। এক পর্যায়ে তার মাথার চুল কেটে দেয় নাজমুল। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর শারীরিক সম্পর্কের দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে ফেসবুকে আপলোড করে। আত্মীয়-স্বজনসহ পরিচিতদের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেয়। কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নাসির উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তপূর্বক দোষীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
No comments