কৃষকের মেয়ে আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ
ভারতের
কৃষক পিতা ও গৃহিণী মায়ের মেয়ে গীতা গোপীনাথ হচ্ছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা
তহবিল আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ (চিফ ইকোনমিস্ট)। তাকে এ পদে নিয়োগ
দিয়েছে আইএমএফ। তবে তিনি এখনই এ পদে দায়িত্ব পালন করছেন না। তাকে দায়িত্ব
পেতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। বর্তমানে ওই পদে আছেন মরিস ওবস্টফেল্ড।
তার মেয়াদ শেষ হবে এ বছরের শেষে। তখনই ওই পদে বসবেন গীতা। সোমবার এক
বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে আইএমএফ।
গীতাকে এ পদে নিয়োগের ঘোষণা দেন আইএমএফের বর্তমান চেয়ারওমেন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লগার্ড। এ সময় তিনি গীতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। ক্রিস্টিন লগার্ড বলেন, বিশ্বের অসাধারণ একজন অর্থনীতিবিদ হলেন গীতা গোপীনাথ। তার রয়েছে অসাধারণ শিক্ষাগত যোগ্যতা। এ ছাড়া তার আছে চৌকস নেতৃত্বের রেকর্ড। আছে বিশাল আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা। আর এসব মিলিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন ব্যতিক্রম। তার এই সবকিছুর সমন্বয়ে আমাদের রিসার্স ডিপার্টমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ করতে পারবে। তার মতো একজন মেধাবীর নাম আমাদের প্রধান অর্থনীতিবিদ হিসেবে ঘোষণা করতে পেরে আমি উদ্বেলিত।
এ নিয়োগের মধ্য দিয়ে প্রথম কোনো নারী হিসেবে এবং দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে এ পদে অভিষিক্ত হচ্ছেন গীতা। এর আগে এ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন ভারতের রাষ্ট্রীয় ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সাবেক গভর্নর রঘুরাম রাজন। গীতা হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ অ্যান্ড ইকোনমিক্সের জন জানস্ত্রার প্রফেসর। এ ছাড়া তার আরো একটি পরিচয় আছে। তা হলো তিনি পড়াশোনা করেছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়েও। তিনি ২০০১ সালে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি অর্জন করেন। এ সময় তার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন কেনেথ রগঅফ, বেন বার্নানকে ও পিয়েরে অলিভার গুরিনচাস। ২০০১ সালেই তিনি যোগ দিয়েছিলেন ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোতে। তবে এরপর সেখান থেকে ২০০৫ সালে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে যোগ দেন হার্ভার্ডে। সেখানে তিনি ২০১০ সালে স্থায়ীভাবে প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পান। এর মধ্য দিয়ে তিনি হার্ভার্ডের অর্থনীতি বিভাগের ইতিহাসে এমন দায়িত্ব পালনকারী তৃতীয় নারীতে পরিণত হন। এর আগে এ পদে ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর অমর্ত্য সেন। তার পরে গীতাই কোনো প্রথম ভারতীয়, যিনি এ পদের অধিকারী হন।
আইএমএফের বিবৃতি অনুযায়ী, গীতা গোপীনাথ হলেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং একজন ভারতের প্রবাসী নাগরিক। তিনি আমেরিকান ইকোনমিক রিভিউয়ের সহ-সম্পাদক। ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্সের দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স অ্যান্ড ম্যাক্রোইকোনমিক্স প্রোগ্রামের সহ-পরিচালক। বর্তমানে ‘হ্যান্ডবুক অব ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক্স’-এর সহ সম্পাদক তিনি। আইএমএফের সাবেক ইকোনমিক কাউন্সেলর কেনেথ রগঅফের সঙ্গে তিনি লিখেছেন এটি। এ ছাড়া গীতা গোপীনাথ প্রায় ৪০টির মতো গবেষণা বিষয়ক প্রবন্ধ লিখেছেন। এর বিষয় মুদ্রা বিনিময়, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক অর্থ সংকট, নজরদারি বিষয়ক নীতি, ঋণ ও উদীয়মান বাজারের সংকট।
গীতা গোপীনাথের জন্ম ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে মালয়ী পিতা-মাতার ঘরে। তিনি পড়াশোনা করেছেন কলকাতায়। গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন দিল্লিতে অবস্থিত লেডি শ্রীরাম কলেজ অব কমার্স থেকে। দিল্লি স্কুল অব ইকোনমিক্স এবং ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন থেকে সম্পন্ন করেছেন মাস্টার্স।
তার পিতা টি ভি গোপীনাথ একজন কৃষক। এবং মা গৃহিণী। দুজনেই কেরালার কান্নুর জেলার অধিবাসী। গীতা বিবাহিতা। তার স্বামীর নাম ইকবাল সিং ঢালিওয়াল। তিনি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনলোজিতে অর্থনীতি বিভাগে আবদুল লতিফ জামিল পোভার্টি অ্যাকশন ল্যাবের নির্বাহী পরিচালক।
গীতাকে এ পদে নিয়োগের ঘোষণা দেন আইএমএফের বর্তমান চেয়ারওমেন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লগার্ড। এ সময় তিনি গীতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। ক্রিস্টিন লগার্ড বলেন, বিশ্বের অসাধারণ একজন অর্থনীতিবিদ হলেন গীতা গোপীনাথ। তার রয়েছে অসাধারণ শিক্ষাগত যোগ্যতা। এ ছাড়া তার আছে চৌকস নেতৃত্বের রেকর্ড। আছে বিশাল আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা। আর এসব মিলিয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন ব্যতিক্রম। তার এই সবকিছুর সমন্বয়ে আমাদের রিসার্স ডিপার্টমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ করতে পারবে। তার মতো একজন মেধাবীর নাম আমাদের প্রধান অর্থনীতিবিদ হিসেবে ঘোষণা করতে পেরে আমি উদ্বেলিত।
এ নিয়োগের মধ্য দিয়ে প্রথম কোনো নারী হিসেবে এবং দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে এ পদে অভিষিক্ত হচ্ছেন গীতা। এর আগে এ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন ভারতের রাষ্ট্রীয় ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার সাবেক গভর্নর রঘুরাম রাজন। গীতা হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ অ্যান্ড ইকোনমিক্সের জন জানস্ত্রার প্রফেসর। এ ছাড়া তার আরো একটি পরিচয় আছে। তা হলো তিনি পড়াশোনা করেছেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়েও। তিনি ২০০১ সালে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি অর্জন করেন। এ সময় তার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন কেনেথ রগঅফ, বেন বার্নানকে ও পিয়েরে অলিভার গুরিনচাস। ২০০১ সালেই তিনি যোগ দিয়েছিলেন ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোতে। তবে এরপর সেখান থেকে ২০০৫ সালে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে যোগ দেন হার্ভার্ডে। সেখানে তিনি ২০১০ সালে স্থায়ীভাবে প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পান। এর মধ্য দিয়ে তিনি হার্ভার্ডের অর্থনীতি বিভাগের ইতিহাসে এমন দায়িত্ব পালনকারী তৃতীয় নারীতে পরিণত হন। এর আগে এ পদে ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর অমর্ত্য সেন। তার পরে গীতাই কোনো প্রথম ভারতীয়, যিনি এ পদের অধিকারী হন।
আইএমএফের বিবৃতি অনুযায়ী, গীতা গোপীনাথ হলেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং একজন ভারতের প্রবাসী নাগরিক। তিনি আমেরিকান ইকোনমিক রিভিউয়ের সহ-সম্পাদক। ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্সের দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স অ্যান্ড ম্যাক্রোইকোনমিক্স প্রোগ্রামের সহ-পরিচালক। বর্তমানে ‘হ্যান্ডবুক অব ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক্স’-এর সহ সম্পাদক তিনি। আইএমএফের সাবেক ইকোনমিক কাউন্সেলর কেনেথ রগঅফের সঙ্গে তিনি লিখেছেন এটি। এ ছাড়া গীতা গোপীনাথ প্রায় ৪০টির মতো গবেষণা বিষয়ক প্রবন্ধ লিখেছেন। এর বিষয় মুদ্রা বিনিময়, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক অর্থ সংকট, নজরদারি বিষয়ক নীতি, ঋণ ও উদীয়মান বাজারের সংকট।
গীতা গোপীনাথের জন্ম ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে মালয়ী পিতা-মাতার ঘরে। তিনি পড়াশোনা করেছেন কলকাতায়। গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন দিল্লিতে অবস্থিত লেডি শ্রীরাম কলেজ অব কমার্স থেকে। দিল্লি স্কুল অব ইকোনমিক্স এবং ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন থেকে সম্পন্ন করেছেন মাস্টার্স।
তার পিতা টি ভি গোপীনাথ একজন কৃষক। এবং মা গৃহিণী। দুজনেই কেরালার কান্নুর জেলার অধিবাসী। গীতা বিবাহিতা। তার স্বামীর নাম ইকবাল সিং ঢালিওয়াল। তিনি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনলোজিতে অর্থনীতি বিভাগে আবদুল লতিফ জামিল পোভার্টি অ্যাকশন ল্যাবের নির্বাহী পরিচালক।
No comments