উন্নয়নে বাংলাদেশ অসাধ্য সাধন করেছে -প্রধানমন্ত্রী
উন্নয়নের
ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অসাধ্য সাধন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি জানি না পৃথিবীতে কোনো দেশ এত অল্প সময়ে এত
উন্নতি লাভ করেছে কি না। কিন্তু আমরা সেটা করেছি। গতকাল গণভবন থেকে
এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০টি জেলার ৩৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের একযোগে
উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৫টি জেলার
জনগণের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের এ ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে এবং গ্রামীণ জনপদের ভাগ্যবঞ্চিত জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। বলেন, দারিদ্র্যসীমাকে ২১ ভাগে নামিয়ে এনে আমরা দারিদ্র্য হ্রাসে সাফল্য অর্জন করেছি। বাংলাদেশের মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, আমরা সবার বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছি, সব দিক থেকে মানুষ যেন ভালোভাবে বাঁচতে পারে তার ব্যবস্থা করেছি।
তিনি বলেন, দিন বদলের যাত্রা শুরু হয়েছে এবং তা এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মহান বিজয়কে মেনে নিতে পারেনি, তাদের চক্রান্তে জাতির পিতাকে ’৭৫-এর ১৫ই আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হয় এবং বাঙালি জাতি তাদের জীবনমান উন্নত করার সকল সম্ভবনাকে হারিয়ে ফেলে। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সবসময় চেষ্টা করেছে জাতির পিতা যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন- সেই স্বপ্ন পূরণ করতে।
প্রধানমন্ত্রী গৃহীত ৩৩ উন্নয়ন প্রকল্প তুলে ধরেন। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- ৭টি সেতু ও কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট ঘাটে ৫৫০ মিটার দীর্ঘ জেটি, নারী ও শিশুদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ৬ তলা বিশিষ্ট ৬টি নগর মাতৃসদন ভবন এবং ৩ তলা বিশিষ্ট ১০টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ৯টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট ঘাটে ৫৫০ মিটার দীর্ঘ জেটি নির্মাণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে জেটি নির্মাণ হওয়ায় মানুষকে আর কাদাপানি মাড়িয়ে যেতে হবে না। সুন্দরভাবে জেটিতে নামতে পারবেন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা বা পর্যটকরাও যাতায়াত করতে পারবেন। দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের প্রতি তার সরকারের দৃষ্টি রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানেই তিনি প্রথমবারের মতো তার আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ৭০টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করেছিলেন।
সম্প্রসারিত ৯টি উপজেলা কমপ্লেক্স হলো- নীলফামারী জেলার ডোমার, নওগাঁ জেলার আত্রাই ও রাণীনগর, নাটোর জেলার শিংড়া, সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ, যশোর জেলার শার্শা, মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া, নোয়াখালী সদর উপজেলা এবং কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার নারী ও শিশুদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ৬ তলা বিশিষ্ট ৬টি নগর মাতৃসদন ভবন এবং ৩ তলা বিশিষ্ট ১০ নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তুলেছে। এগুলো হচ্ছে- গাজীপুর জেলা সদর একটি মাতৃসদন ও তিনতলা বিশিষ্ট নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কুষ্টিয়া জেলার পৌরসভা সদরে একটি ৬ তলা বিশিষ্ট মাতৃসদন ও তিনতলা বিশিষ্ট ২টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রংপুর সিটি করপোরেশন একটি ৬ তলাবিশিষ্ট নগর মাতৃসদন ও ৩ তলা বিশিষ্ট ২টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩টি তিন তলা বিশিষ্ট নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
সেতুগুলোর বিবরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার মুকুন্দপুর থেকে কান্তজির বাজার পর্যন্ত ডেপা নদীর ওপর ২২৮ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে, জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপর ৫৬০ মিটার দীর্ঘ শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে চারটি উপজেলার সঙ্গে শেরপুরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে, জামালপুর জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীরউত্তম সেতু নির্মাণ হয়েছে, ফলে জেলার ইসলামপুর দেওয়ানগঞ্জ মহাসড়কের সঙ্গে বকশীগঞ্জ-কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী-রাজিপুর মহাসড়কের পাশাপাশি বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর স্থলবন্দরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
তিনি বলেন, টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর-মির্জাপুর-মোকরা সড়কে ধলেশ্বরী নদীর ওপর ৫২০ দশমিক ৬০ মিটার দীর্ঘ জননেত্রী শেখ হাসিনা সেতু নির্মিত হওয়ায় নাগরপুর ও সিরাজগঞ্জের চৌহালির সঙ্গে ঢাকার নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে, গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর ৩১৫ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের ফলে পুরো কাপাসিয়া উপজেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হলো, নড়াইল জেলার চিত্রা নদীর ওপর শেখ রাসেল সেতু নির্মিত হওয়ায় এটি গোপালগঞ্জ এবং যশোরের মধ্যে নড়াইল হয়ে যোগাযোগ স্থাপন করবে, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর ৬৮৬ দশমিক ৭৫ মিটার দীর্ঘ শেখ লুৎফর রহমান সেতু নির্মাণের ফলে উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার হ্রাস পাবে পাশাপাশি বরিশাল ও শরীয়তপুর জেলার সঙ্গেও যোগাযোগটা দ্রুততর হবে।
প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে নওগাঁর রাণীনগরের এক মসজিদের ইমামের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তার সরকারের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির পুনরোল্লেখ করে শান্তির ধর্ম ইসলামকে কেউ যেন আর বদনাম দিতে না পারে সেজন্য সচেষ্ট থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় ভিডিও কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন এলজিআরডি এবং সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট তহবিলে আরো ২০ কোটি টাকা অনুদান: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট তহবিলে আরো ২০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। সাংবাদিকদের প্রয়োজনে তাদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য বর্তমান সরকার সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট তহবিল গঠন করে। গতকাল গণভবনে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালালের হাতে চেক হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য সচিব আবদুল মালেক, পিআইবি’র মহাপরিচালক শাহ আলমগীর, বাসস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক এবং বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (পিআইও) কামরুন নাহার, বিএফইউজে’র মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ কোটি টাকা সিডমানি দিয়ে ২০১৪ সালে ট্রাস্ট তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেন। পরে বিগত চার বছরে বিভিন্ন বেসরকারি মিডিয়া থেকে দেয়া আরো টাকায় তহবিল ১৫ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। গত ১৯শে সেপ্টেম্বর এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরো ২০ কোটি টাকা দেয়ার আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের এ ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে এবং গ্রামীণ জনপদের ভাগ্যবঞ্চিত জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। বলেন, দারিদ্র্যসীমাকে ২১ ভাগে নামিয়ে এনে আমরা দারিদ্র্য হ্রাসে সাফল্য অর্জন করেছি। বাংলাদেশের মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, আমরা সবার বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছি, সব দিক থেকে মানুষ যেন ভালোভাবে বাঁচতে পারে তার ব্যবস্থা করেছি।
তিনি বলেন, দিন বদলের যাত্রা শুরু হয়েছে এবং তা এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মহান বিজয়কে মেনে নিতে পারেনি, তাদের চক্রান্তে জাতির পিতাকে ’৭৫-এর ১৫ই আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হয় এবং বাঙালি জাতি তাদের জীবনমান উন্নত করার সকল সম্ভবনাকে হারিয়ে ফেলে। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সবসময় চেষ্টা করেছে জাতির পিতা যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন- সেই স্বপ্ন পূরণ করতে।
প্রধানমন্ত্রী গৃহীত ৩৩ উন্নয়ন প্রকল্প তুলে ধরেন। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- ৭টি সেতু ও কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট ঘাটে ৫৫০ মিটার দীর্ঘ জেটি, নারী ও শিশুদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ৬ তলা বিশিষ্ট ৬টি নগর মাতৃসদন ভবন এবং ৩ তলা বিশিষ্ট ১০টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ৯টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন। কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট ঘাটে ৫৫০ মিটার দীর্ঘ জেটি নির্মাণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে জেটি নির্মাণ হওয়ায় মানুষকে আর কাদাপানি মাড়িয়ে যেতে হবে না। সুন্দরভাবে জেটিতে নামতে পারবেন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা বা পর্যটকরাও যাতায়াত করতে পারবেন। দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের প্রতি তার সরকারের দৃষ্টি রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানেই তিনি প্রথমবারের মতো তার আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ৭০টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করেছিলেন।
সম্প্রসারিত ৯টি উপজেলা কমপ্লেক্স হলো- নীলফামারী জেলার ডোমার, নওগাঁ জেলার আত্রাই ও রাণীনগর, নাটোর জেলার শিংড়া, সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ, যশোর জেলার শার্শা, মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া, নোয়াখালী সদর উপজেলা এবং কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার নারী ও শিশুদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ৬ তলা বিশিষ্ট ৬টি নগর মাতৃসদন ভবন এবং ৩ তলা বিশিষ্ট ১০ নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তুলেছে। এগুলো হচ্ছে- গাজীপুর জেলা সদর একটি মাতৃসদন ও তিনতলা বিশিষ্ট নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কুষ্টিয়া জেলার পৌরসভা সদরে একটি ৬ তলা বিশিষ্ট মাতৃসদন ও তিনতলা বিশিষ্ট ২টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রংপুর সিটি করপোরেশন একটি ৬ তলাবিশিষ্ট নগর মাতৃসদন ও ৩ তলা বিশিষ্ট ২টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩টি তিন তলা বিশিষ্ট নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
সেতুগুলোর বিবরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার মুকুন্দপুর থেকে কান্তজির বাজার পর্যন্ত ডেপা নদীর ওপর ২২৮ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে, জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপর ৫৬০ মিটার দীর্ঘ শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে চারটি উপজেলার সঙ্গে শেরপুরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে, জামালপুর জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীরউত্তম সেতু নির্মাণ হয়েছে, ফলে জেলার ইসলামপুর দেওয়ানগঞ্জ মহাসড়কের সঙ্গে বকশীগঞ্জ-কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী-রাজিপুর মহাসড়কের পাশাপাশি বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর স্থলবন্দরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
তিনি বলেন, টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর-মির্জাপুর-মোকরা সড়কে ধলেশ্বরী নদীর ওপর ৫২০ দশমিক ৬০ মিটার দীর্ঘ জননেত্রী শেখ হাসিনা সেতু নির্মিত হওয়ায় নাগরপুর ও সিরাজগঞ্জের চৌহালির সঙ্গে ঢাকার নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে, গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর ৩১৫ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের ফলে পুরো কাপাসিয়া উপজেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হলো, নড়াইল জেলার চিত্রা নদীর ওপর শেখ রাসেল সেতু নির্মিত হওয়ায় এটি গোপালগঞ্জ এবং যশোরের মধ্যে নড়াইল হয়ে যোগাযোগ স্থাপন করবে, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর ৬৮৬ দশমিক ৭৫ মিটার দীর্ঘ শেখ লুৎফর রহমান সেতু নির্মাণের ফলে উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার হ্রাস পাবে পাশাপাশি বরিশাল ও শরীয়তপুর জেলার সঙ্গেও যোগাযোগটা দ্রুততর হবে।
প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে নওগাঁর রাণীনগরের এক মসজিদের ইমামের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তার সরকারের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধ ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির পুনরোল্লেখ করে শান্তির ধর্ম ইসলামকে কেউ যেন আর বদনাম দিতে না পারে সেজন্য সচেষ্ট থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় ভিডিও কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন এলজিআরডি এবং সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট তহবিলে আরো ২০ কোটি টাকা অনুদান: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট তহবিলে আরো ২০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। সাংবাদিকদের প্রয়োজনে তাদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য বর্তমান সরকার সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট তহবিল গঠন করে। গতকাল গণভবনে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালালের হাতে চেক হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য সচিব আবদুল মালেক, পিআইবি’র মহাপরিচালক শাহ আলমগীর, বাসস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক এবং বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (পিআইও) কামরুন নাহার, বিএফইউজে’র মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ কোটি টাকা সিডমানি দিয়ে ২০১৪ সালে ট্রাস্ট তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেন। পরে বিগত চার বছরে বিভিন্ন বেসরকারি মিডিয়া থেকে দেয়া আরো টাকায় তহবিল ১৫ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। গত ১৯শে সেপ্টেম্বর এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরো ২০ কোটি টাকা দেয়ার আশ্বাস দেন।
No comments