‘রাজনৈতিক বার্তা’ প্রচারে অস্বীকৃতি মোবাইল অপারেটরদের by কাজী সোহাগ
সরকারের
বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়গুলো সরকারি তথ্য হিসেবে প্রচার করতে
অস্বীকৃতি জানিয়েছে বেসরকারি মোবাইল অপারেটররা। এসএমএস-এর মাধ্যমে ওইসব
তথ্য প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছিল ডাক , টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি
মন্ত্রণালয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন
(বিটিআরসি)-এর মাধ্যমে ২৯শে সেপ্টেম্বর ই-মেইলের মাধ্যমে টেলিটকসহ চার
অপারেটরকে ওই অনুরোধ জানানো হয়। পরে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক
সম্মিলিতভাবে চিঠি দিয়ে ওই ধরনের সরকারি তথ্য প্রচার করতে অস্বীকৃতি জানায়।
চিঠিতে তারা যুক্তি তুলে ধরে বলে, যে এসএমএসগুলোকে পরিবেশন করতে বলা হয়েছে
তা জাতীয় জরুরি বিষয় কিংবা জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত কোনো বিষয় নয়। যেসব
বিষয় প্রকৃতিগতভাবে রাজনৈতিক এবং যে বিষয়বস্তু সংবলিত এসএমএস ভিন্ন
মতাবলম্বী সম্প্রদায়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে আমরা সে ধরনের বার্তা
প্রচারে বিরত থাকি। মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্সও গ্রাহকদের
মধ্যে এধরনের বৈষম্যমূলক বার্তা প্রচারে বাধা দেয়।
অপারেটরদের এ ধরনের অস্বীকৃতির পর বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ তাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য কমিশনের লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং (এলএল) বিভাগে পাঠানোর সুপারিশ করে।
বেসরকারি তিন অপারেটর সরকারি তথ্য প্রচারে অস্বীকৃতি জানালেও রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটক সেসব তথ্য নির্দেশনা অনুযায়ী প্রচার করে। অপারেটরদের ই-মেইলে ৯টি এসএমএস পাঠিয়ে বলা হয় এগুলো ২৯শে সেপ্টেম্বর থেকে ৭ই অক্টোবর পর্যন্ত প্রচার করতে।
এসব এসএমএস প্রচারে অস্বীকৃতি জানিয়ে দেয়া চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন-বাংলালিংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও এরিস অস, গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি এবং রবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। অপারেটররা তাদের দেয়া চিঠিতে জানান, মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো জরুরি জাতীয় বিষয় অথবা জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়ে সরকারকে সহযোগিতা করে আসছে। কিন্তু সম্মানের সঙ্গে জানাতে চাই, ই-মেইলের মাধ্যমে যে এসএমএসগুলোকে পরিবেশন করতে বলা হয়েছে তা জাতীয় জরুরি বিষয় কিংবা জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত কোনো বিষয় না। এমতাবস্থায়, এসএমএসগুলোর বিষয়বস্তু কি গ্রহণযোগ্য? আমাদের এটাকে বাণিজ্যিক চুক্তির মাধ্যমে পরিবেশন করতে হবে। চিঠিতে আরও বলা হয়, আমরা এ বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই যে, যে এসএমএসগুলোকে পরিবেশন করতে বলা হয়েছে তা প্রকৃতিগতভাবে রাজনৈতিক। যেসব বিষয়বস্তু নিয়ে এসএমএস পাঠানো হয়েছে তা ভিন্ন মতাবলম্বী সম্প্রদায়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে। আমরা সাধারণত এ ধরনের বার্তা প্রচারে বিরত থাকি।
মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্সও গ্রাহকদের মধ্যে এধরনের বৈষম্যমূলক বার্তা প্রচারে বাধা দেয়। চিঠিতে বলা হয়, আমাদের কার্যক্রমের নীতিমালা অনুযায়ী, আমাদের প্রস্তাব হলো- এধরনের এসএমএস প্রচারের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত শর্তানুযায়ী কর্মকাঠামো অনুসরণ করতে হবে। প্রথমত, বর্তমানে যে এসএমএসগুলো পরিবেশনের অনুরোধ করা হচ্ছে ভবিষ্যতে এধরনের বিষয়বস্তু সংবলিত এসএমএস পরিবেশনের ক্ষেত্রে মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এসএমএস প্রচারের শর্তানুযায়ী শুধু বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিবেশন করা হবে। দ্বিতীয়ত, ভবিষ্যতে এ ধরনের বিষয় সংবলিত এসএমএস নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে প্রচার করা হবে। চিঠির শেষে বলা হয়, রাজনৈতিক এসএমএস পরিবেশনে একটি কার্যকর কাঠামো নিশ্চিত করতে আমরা যেকোনো ধরনের সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করছি। অপারেটরদের এ চিঠি পাওয়ার পর বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ ২রা অক্টোবর অপারেটরদের বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কমিশনের লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং (এলএল) বিভাগে পাঠানোর সুপারিশ করে।
বিটিআরসির ওই চিঠিতে বলা হয়, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়সমূহ এসএমএস-এর মাধ্যমে ‘গভট ইনফো’ হিসেবে প্রচারের লক্ষ্যে এসএমএস সমৃদ্ধ একটি কপি সম্প্রতি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয় হতে কমিশনের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। ওই এসএমএস কনটেন্টগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের অনুমোদনসাপেক্ষে গত ২৭/০৯/২০১৮ এবং ২৯/০৯/২০১৮ইং তারিখে সম্মিলিতভাবে সর্বমোট ১০টি এসএমএস কনটেন্ট প্রেরণের জন্য সব মোবাইল অপারেটরকে ই-মেইলের মাধ্যমে নির্দেশনা দেয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে শুধু টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড হতে এসএমএসগুলো প্রেরণ করা হচ্ছে বলে জানা যায়। এছাড়া গ্রামীণফোন লিমিটেড, রবি আজিয়াটা লিমিটেড এবং বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেড সম্মিলিতভাবে ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বক্তব্য পত্র মারফত কমিশনকে অবহিত করে।
অপারেটরদের এ ধরনের অস্বীকৃতির পর বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ তাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য কমিশনের লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং (এলএল) বিভাগে পাঠানোর সুপারিশ করে।
বেসরকারি তিন অপারেটর সরকারি তথ্য প্রচারে অস্বীকৃতি জানালেও রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটক সেসব তথ্য নির্দেশনা অনুযায়ী প্রচার করে। অপারেটরদের ই-মেইলে ৯টি এসএমএস পাঠিয়ে বলা হয় এগুলো ২৯শে সেপ্টেম্বর থেকে ৭ই অক্টোবর পর্যন্ত প্রচার করতে।
এসব এসএমএস প্রচারে অস্বীকৃতি জানিয়ে দেয়া চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন-বাংলালিংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও এরিস অস, গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি এবং রবি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। অপারেটররা তাদের দেয়া চিঠিতে জানান, মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো জরুরি জাতীয় বিষয় অথবা জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়ে সরকারকে সহযোগিতা করে আসছে। কিন্তু সম্মানের সঙ্গে জানাতে চাই, ই-মেইলের মাধ্যমে যে এসএমএসগুলোকে পরিবেশন করতে বলা হয়েছে তা জাতীয় জরুরি বিষয় কিংবা জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত কোনো বিষয় না। এমতাবস্থায়, এসএমএসগুলোর বিষয়বস্তু কি গ্রহণযোগ্য? আমাদের এটাকে বাণিজ্যিক চুক্তির মাধ্যমে পরিবেশন করতে হবে। চিঠিতে আরও বলা হয়, আমরা এ বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই যে, যে এসএমএসগুলোকে পরিবেশন করতে বলা হয়েছে তা প্রকৃতিগতভাবে রাজনৈতিক। যেসব বিষয়বস্তু নিয়ে এসএমএস পাঠানো হয়েছে তা ভিন্ন মতাবলম্বী সম্প্রদায়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে। আমরা সাধারণত এ ধরনের বার্তা প্রচারে বিরত থাকি।
মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্সও গ্রাহকদের মধ্যে এধরনের বৈষম্যমূলক বার্তা প্রচারে বাধা দেয়। চিঠিতে বলা হয়, আমাদের কার্যক্রমের নীতিমালা অনুযায়ী, আমাদের প্রস্তাব হলো- এধরনের এসএমএস প্রচারের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত শর্তানুযায়ী কর্মকাঠামো অনুসরণ করতে হবে। প্রথমত, বর্তমানে যে এসএমএসগুলো পরিবেশনের অনুরোধ করা হচ্ছে ভবিষ্যতে এধরনের বিষয়বস্তু সংবলিত এসএমএস পরিবেশনের ক্ষেত্রে মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এসএমএস প্রচারের শর্তানুযায়ী শুধু বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিবেশন করা হবে। দ্বিতীয়ত, ভবিষ্যতে এ ধরনের বিষয় সংবলিত এসএমএস নিরপেক্ষতার ভিত্তিতে প্রচার করা হবে। চিঠির শেষে বলা হয়, রাজনৈতিক এসএমএস পরিবেশনে একটি কার্যকর কাঠামো নিশ্চিত করতে আমরা যেকোনো ধরনের সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করছি। অপারেটরদের এ চিঠি পাওয়ার পর বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগ ২রা অক্টোবর অপারেটরদের বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কমিশনের লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং (এলএল) বিভাগে পাঠানোর সুপারিশ করে।
বিটিআরসির ওই চিঠিতে বলা হয়, সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়সমূহ এসএমএস-এর মাধ্যমে ‘গভট ইনফো’ হিসেবে প্রচারের লক্ষ্যে এসএমএস সমৃদ্ধ একটি কপি সম্প্রতি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয় হতে কমিশনের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। ওই এসএমএস কনটেন্টগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের অনুমোদনসাপেক্ষে গত ২৭/০৯/২০১৮ এবং ২৯/০৯/২০১৮ইং তারিখে সম্মিলিতভাবে সর্বমোট ১০টি এসএমএস কনটেন্ট প্রেরণের জন্য সব মোবাইল অপারেটরকে ই-মেইলের মাধ্যমে নির্দেশনা দেয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে শুধু টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড হতে এসএমএসগুলো প্রেরণ করা হচ্ছে বলে জানা যায়। এছাড়া গ্রামীণফোন লিমিটেড, রবি আজিয়াটা লিমিটেড এবং বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেড সম্মিলিতভাবে ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বক্তব্য পত্র মারফত কমিশনকে অবহিত করে।
No comments