চরাচর-বিশ্ব ক্যান্সার দিবস by তামান্না ইসলাম অলি
ক্যান্সার। যতটা না মারাত্মক, তার থেকে
বেশি আতঙ্কের। শব্দটি শুনলে মনে হতো নিশ্চিত মৃত্যু। অবশ্য এখন আর তা নয়।
ক্যান্সারের চিকিৎসা অনেক এগিয়েছে। সম্ভব হচ্ছে এর প্রতিরোধ। আছে
প্রতিকারও। আজ ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যান্সার দিবস।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য ২০০৬ সাল থেকে প্রতিবছর এই দিনটি পালন করা হয়।
ক্যান্সারের আভিধানিক অর্থ কর্কট। সারা বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ হিসেবে ক্যান্সারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। শরীরের যেকোনো অংশেই হতে পারে ক্যান্সার। প্রতিবছর বিশ্বে ১২ কোটি মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ক্যান্সার রোধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিতে পারলে ২০১৫ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে মারা যাবে আট কোটি মানুষ।
বর্তমানে বাংলাদেশে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ২১ লাখ। প্রতিবছর এখানে নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে আড়াই লাখের মতো মানুষ। বছরে প্রতি লাখে মারা যাচ্ছে ২৬০ জন।
চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী মানবদেহ গঠিত বিভিন্ন কোষের সমন্বয়ে। প্রতিনিয়ত এই কোষগুলো ভাঙে-গড়ে। এই ভাঙা-গড়ার প্রক্রিয়ার কোনো একটি বন্ধ হয়ে যাওয়াটাই ক্যান্সার। শরীরের যেকোনো অংশেই এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ফুসফুস। এর পরই আছে মেয়েদের জরায়ু ও স্তন। প্রতিবছর বিশ্বে ১০ লাখ নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন।
ক্যান্সারের যত কারণ আছে, তার মধ্যে ধূমপান অন্যতম। অন্যান্য কারণের মধ্যে আছে নানাভাবে তামাক সেবন, অতিরিক্ত ওজন এবং আঁশযুক্ত খাবার না খাওয়া। এ ছাড়া রাসায়নিক পদার্থ, ক্ষতিকর আলো, কিছু ভাইরাস এবং অন্যান্য জীবাণুর সংক্রমণে ক্যান্সার হতে পারে। জন্মগত কারণেও কখনো কখনো ক্যান্সার হয়।
তবে ৪০ শতাংশ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। যেসব কারণে ক্যান্সার হয়, তা থেকে দূরে থাকলে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমে যাবে। আর প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে তিন ভাগের এক ভাগ রোগী সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে।
প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, বদহজম, পেটব্যথা ও আলসার হতে পারে। প্রস্রাবের সঙ্গে অথবা অন্য যেকোনো সময় কারণ ছাড়া রক্তপাত, হঠাৎ গলার স্বরের পরিবর্তন, কফের সঙ্গে রক্ত, খাবার গলাধঃকরণেও সমস্যা হতে পারে। কখনো কখনো শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা ও চাকা চাকা হতে পারে। তবে একে প্রতিরোধের জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ডায়েটেটিক অ্যাসোসিয়েশন। তাদের মতে, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য বর্জন, অতিরিক্ত ওজন হ্রাস ও নিয়মিত ব্যায়াম ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। আঁশ ও শস্যদানা জাতীয় খাবার গ্রহণ আর চর্বি, মিষ্টি, রাসায়নিক খাদ্য উপাদান, রেড মিট ও রেড ড্রিংকস বর্জন করেও ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়। হেপাটাইটিস বি ও সি-এর টিকা নেওয়ার মাধ্যমেও ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়।
তামান্না ইসলাম অলি
ক্যান্সারের আভিধানিক অর্থ কর্কট। সারা বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ হিসেবে ক্যান্সারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। শরীরের যেকোনো অংশেই হতে পারে ক্যান্সার। প্রতিবছর বিশ্বে ১২ কোটি মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ক্যান্সার রোধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিতে পারলে ২০১৫ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে মারা যাবে আট কোটি মানুষ।
বর্তমানে বাংলাদেশে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ২১ লাখ। প্রতিবছর এখানে নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে আড়াই লাখের মতো মানুষ। বছরে প্রতি লাখে মারা যাচ্ছে ২৬০ জন।
চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী মানবদেহ গঠিত বিভিন্ন কোষের সমন্বয়ে। প্রতিনিয়ত এই কোষগুলো ভাঙে-গড়ে। এই ভাঙা-গড়ার প্রক্রিয়ার কোনো একটি বন্ধ হয়ে যাওয়াটাই ক্যান্সার। শরীরের যেকোনো অংশেই এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ফুসফুস। এর পরই আছে মেয়েদের জরায়ু ও স্তন। প্রতিবছর বিশ্বে ১০ লাখ নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন।
ক্যান্সারের যত কারণ আছে, তার মধ্যে ধূমপান অন্যতম। অন্যান্য কারণের মধ্যে আছে নানাভাবে তামাক সেবন, অতিরিক্ত ওজন এবং আঁশযুক্ত খাবার না খাওয়া। এ ছাড়া রাসায়নিক পদার্থ, ক্ষতিকর আলো, কিছু ভাইরাস এবং অন্যান্য জীবাণুর সংক্রমণে ক্যান্সার হতে পারে। জন্মগত কারণেও কখনো কখনো ক্যান্সার হয়।
তবে ৪০ শতাংশ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। যেসব কারণে ক্যান্সার হয়, তা থেকে দূরে থাকলে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমে যাবে। আর প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে তিন ভাগের এক ভাগ রোগী সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে।
প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে দীর্ঘস্থায়ী জ্বর, বদহজম, পেটব্যথা ও আলসার হতে পারে। প্রস্রাবের সঙ্গে অথবা অন্য যেকোনো সময় কারণ ছাড়া রক্তপাত, হঠাৎ গলার স্বরের পরিবর্তন, কফের সঙ্গে রক্ত, খাবার গলাধঃকরণেও সমস্যা হতে পারে। কখনো কখনো শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা ও চাকা চাকা হতে পারে। তবে একে প্রতিরোধের জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ডায়েটেটিক অ্যাসোসিয়েশন। তাদের মতে, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য বর্জন, অতিরিক্ত ওজন হ্রাস ও নিয়মিত ব্যায়াম ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। আঁশ ও শস্যদানা জাতীয় খাবার গ্রহণ আর চর্বি, মিষ্টি, রাসায়নিক খাদ্য উপাদান, রেড মিট ও রেড ড্রিংকস বর্জন করেও ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়। হেপাটাইটিস বি ও সি-এর টিকা নেওয়ার মাধ্যমেও ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়।
তামান্না ইসলাম অলি
No comments