জামায়াতের নৈরাজ্য-অক্ষম পুলিশের নিরাপত্তা দেবে কে
নারায়ণগঞ্জে শনিবার পুলিশের ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। রাস্তার ওপর ফেলে পুলিশকে বেধড়ক পিটিয়েছে। এতে এক এএসআইসহ ১২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বগুড়ায় পুলিশের গাড়িতে বোমা নিক্ষেপ ও ১৫টি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে।
টিভি চ্যানেলগুলোতে শিবিরের হামলার সামনে পুলিশকে যেভাবে নাজেহাল অবস্থায় ও দৌড়াতে দেখা গেছে, তাতে পুলিশের সক্ষমতা নিয়েই প্রশ্ন জাগছে। অন্যদিকে মুন্সীগঞ্জে দুষ্কৃতকারীদের হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। তাহলে এ ধরনের অক্ষম পুলিশের নিরাপত্তা দেবে কে? তাদের রক্ষায় কি আরেকটি বাহিনী গঠন করতে হবে? এ অবস্থায় রাস্তায় বেরোনো মানুষ, তাদের যানবাহন বা জানমালের নিরাপত্তা কে দেবে?
পুলিশ তো রাষ্ট্রব্যবস্থার অপরিহার্য অঙ্গ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার অতি জরুরি প্রয়োজনে পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই পুলিশ বাহিনী রাখা হয়। বাংলাদেশেও তাই রাখা হয়েছে। প্রতিবছর রাষ্ট্রীয় কোষাগার তথা জনগণের সম্পদ থেকে তাদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাবদ প্রচুর অর্থ খরচ করা হয়। কিন্তু সেই পুলিশের এ কী হাল! নিরীহ ও দুর্বলের ওপর অত্যাচার করা ছাড়া আমাদের পুলিশ যেন আর কোনো কাজেরই উপযুক্ত নয়। বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে দরিদ্র স্কুলশিক্ষকদের আন্দোলনের ওপর তাদের যে রকম আচরণ করতে দেখা যায়, সমাজবিরোধীদের ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না। তাদের পক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা তো দূরের কথা, তারা নিজেরা নিজেদেরও রক্ষা করতে পারছে না। কেন এমন হয়েছে এবং কিভাবে তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার উপযুক্ত করে গড়ে তোলা যায়- সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া এখন সবচেয়ে জরুরি হয়ে পড়েছে। দুর্নীতি ও রাজনৈতিক ব্যবহারসহ যেসব কারণে পুলিশ ক্রমশ অক্ষম বাহিনীতে পরিণত হচ্ছে, সেই কারণগুলো বন্ধ করতে হবে। তা না হলে অচিরেই দেশ সমাজবিরোধী ও দুষ্কৃতকারীদের লীলাভূমিতে পরিণত হবে। সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছাবে। এমনটা কারো কাম্য হতে পারে না।
স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান, রাষ্ট্রীয় নীতি, আইনকানুন, এমনকি সার্বভৌমত্বসহ সবই যেন আজ হুমকির মুখে এসে পড়েছে। ক্ষমতাসীনদের অযোগ্যতা, অদক্ষতা ও বাচালতা আমাদের সব অর্জন ক্রমশ ম্লান করে দিচ্ছে। স্বাধীনতাযুদ্ধে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, তাদের বিচারের কাজ এগিয়ে চলেছে, অথচ স্বাধীনতাযুদ্ধের পরাজিত শক্তির দোসররা আজ সেই বিচারকাজ বন্ধ করার দাবিতে সারা দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে। গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, ভাঙচুর করছে, পিটিয়ে-পুড়িয়ে মানুষ মারছে। এরা আবার গণতান্ত্রিক অধিকার উপভোগের দাবি জানায় এবং সরকারও তাদের সেই দাবি পূরণ করে যায়। অদ্ভুত দেশ বটে! দেশের সংবিধানের বিরুদ্ধে, আদালতের বিরুদ্ধে, আইন-কানুনের বিরুদ্ধে দাবি জানানো কিংবা ধ্বংসাত্মক কাজকর্ম চালানো কারো গণতান্ত্রিক অধিকার হতে পারে কি? সরকারের এই দ্বিচারিতা ও দ্বিমুখী নীতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
আমরা আশা করি, সরকারের কথায় ও কাজে সংগতি থাকবে। পুলিশ বাহিনীকে তার যথাযথ স্থানে ও যথাযথ কর্মে নিয়োজিত করতে হবে। সরকারের সব কাজ পরিচালিত হবে রাষ্ট্র ও মানুষের কল্যাণে, হীন রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য নয়। আর সে জন্য সমাজবিরোধী ও প্রগতিবিরোধী সব অপশক্তিকে কঠোর হাতে দমন করতে হবে।
পুলিশ তো রাষ্ট্রব্যবস্থার অপরিহার্য অঙ্গ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার অতি জরুরি প্রয়োজনে পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই পুলিশ বাহিনী রাখা হয়। বাংলাদেশেও তাই রাখা হয়েছে। প্রতিবছর রাষ্ট্রীয় কোষাগার তথা জনগণের সম্পদ থেকে তাদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাবদ প্রচুর অর্থ খরচ করা হয়। কিন্তু সেই পুলিশের এ কী হাল! নিরীহ ও দুর্বলের ওপর অত্যাচার করা ছাড়া আমাদের পুলিশ যেন আর কোনো কাজেরই উপযুক্ত নয়। বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে দরিদ্র স্কুলশিক্ষকদের আন্দোলনের ওপর তাদের যে রকম আচরণ করতে দেখা যায়, সমাজবিরোধীদের ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না। তাদের পক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা তো দূরের কথা, তারা নিজেরা নিজেদেরও রক্ষা করতে পারছে না। কেন এমন হয়েছে এবং কিভাবে তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার উপযুক্ত করে গড়ে তোলা যায়- সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া এখন সবচেয়ে জরুরি হয়ে পড়েছে। দুর্নীতি ও রাজনৈতিক ব্যবহারসহ যেসব কারণে পুলিশ ক্রমশ অক্ষম বাহিনীতে পরিণত হচ্ছে, সেই কারণগুলো বন্ধ করতে হবে। তা না হলে অচিরেই দেশ সমাজবিরোধী ও দুষ্কৃতকারীদের লীলাভূমিতে পরিণত হবে। সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছাবে। এমনটা কারো কাম্য হতে পারে না।
স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান, রাষ্ট্রীয় নীতি, আইনকানুন, এমনকি সার্বভৌমত্বসহ সবই যেন আজ হুমকির মুখে এসে পড়েছে। ক্ষমতাসীনদের অযোগ্যতা, অদক্ষতা ও বাচালতা আমাদের সব অর্জন ক্রমশ ম্লান করে দিচ্ছে। স্বাধীনতাযুদ্ধে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, তাদের বিচারের কাজ এগিয়ে চলেছে, অথচ স্বাধীনতাযুদ্ধের পরাজিত শক্তির দোসররা আজ সেই বিচারকাজ বন্ধ করার দাবিতে সারা দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে। গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, ভাঙচুর করছে, পিটিয়ে-পুড়িয়ে মানুষ মারছে। এরা আবার গণতান্ত্রিক অধিকার উপভোগের দাবি জানায় এবং সরকারও তাদের সেই দাবি পূরণ করে যায়। অদ্ভুত দেশ বটে! দেশের সংবিধানের বিরুদ্ধে, আদালতের বিরুদ্ধে, আইন-কানুনের বিরুদ্ধে দাবি জানানো কিংবা ধ্বংসাত্মক কাজকর্ম চালানো কারো গণতান্ত্রিক অধিকার হতে পারে কি? সরকারের এই দ্বিচারিতা ও দ্বিমুখী নীতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
আমরা আশা করি, সরকারের কথায় ও কাজে সংগতি থাকবে। পুলিশ বাহিনীকে তার যথাযথ স্থানে ও যথাযথ কর্মে নিয়োজিত করতে হবে। সরকারের সব কাজ পরিচালিত হবে রাষ্ট্র ও মানুষের কল্যাণে, হীন রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য নয়। আর সে জন্য সমাজবিরোধী ও প্রগতিবিরোধী সব অপশক্তিকে কঠোর হাতে দমন করতে হবে।
No comments