চাঁদা না দেওয়ায় গণধর্ষণের শিকার কিশোরী শ্রমিক
গাজীপুরে চাঁদা না দেওয়ায় এবার পোশাক
কারখানার এক কিশোরী শ্রমিক গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত ২৭ জানুয়ারি গাজীপুর
শহরের তেলিপাড়া এলাকায় একটি মেসে ওই ঘটনার পর ধর্ষকরা তাকে আটকে রাখে। পরে
এক আত্মীয় চাঁদা দেওয়ার শর্তে তাকে ছাড়িয়ে আনে।
তবে ঘটনা প্রকাশ করলে মেয়েটিকে হত্যার হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা।
মেয়েটি এখন গাজীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভয়ে বারবার আঁতকে উঠছে এবং যাকেই কাছে পাচ্ছে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদছে সে। চিকিৎসকরা বলেছেন, মেয়েটি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
পুলিশ জানায়, এ ব্যাপারে গত শনিবার রাতে জয়দেবপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে আমিন, শাহীন, জসিম ও ইকবালকে মূল আসামি করা হয়েছে।
মেয়েটির বাবা সাংবাদিকদের জানান, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তিনি তেলিপাড়ার হুমায়ুন আহমেদের বাসায় ভাড়া থাকেন। পেশায় নির্মাণশ্রমিক তাঁর চার ছেলে, দুই মেয়ের সবাই পোশাক কারাখানায় চাকরি করে। ছয় মাস আগে তার শ্যালক পোশাক কারখানার শ্রমিক বাবুলের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা চায় আসামিরা। টাকা না দেওয়ায় তারা ঘরে ঢুকে তাঁকে পিটিয়ে জখম করে। পরে ১৯ হাজার টাকা দিয়ে রক্ষা পায় সে। এদের নেতৃত্ব দেয় এলাকার রহিম নামের এক যুবক। ২০-২২ দিন আগে রহিম তাঁর কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা চায়।
মেয়েটির বাবা জানান, কয়েক দিন আগে ছোট মেয়েকে পাশেই বসবাসরত শ্বাশুড়ির কাছে রেখে পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি শেরপুরে যান তিনি। তাঁদের অনুপস্থিতিতে ওই চাঁদাবাজরা আবারও চাঁদার জন্য বাসায় আসে। চাঁদা না দেওয়ায় গত ২৭ জানুয়ারি দুপুরে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে তাঁর ছোট মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় আসামিরা। তাকে তেলিপাড়ার আবদুল মান্নান ওরফে মান্নার মেস বাড়িতে নিয়ে নির্যাতন করে এবং আটকে রাখে। জানতে পেরে সন্ধ্যার দিকে তাঁর শ্বাশুড়িসহ এলাকার লোকজন সেখানে যায়। তিনি জানান, হত্যার হুমকি দেওয়ায় তাঁরা ভয়ে কাউকে কিছু জানাননি। গত শনিবার দুপুরে বাসায় ফিরে তিনি দেখেন মেয়ের শরীরে প্রচণ্ড জ্বর। ভয়ে সে ক্ষণে ক্ষণে আঁতকে উঠছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঘটনাটি থানায় জানানো হয়। বিকেল ৩টার দিকে পুলিশ এসে মেয়েকে গাজীপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়।
মেয়েটির বাবা জানান রহিম, ইমন, শাহীন, ইকবাল, আমিন ও জসিমসহ আরো কয়েকজন দল বেঁধে এলাকায় ছিনতাই, মাদক কারবার, ধর্ষণসহ নানা অপকর্ম করে বেড়ায়। তারা পোশাক কারখানার শ্রমিকদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে। প্রতি রাতেই কোনো না কোনো নারী শ্রমিককে তুলে নিয়ে যায় তারা। ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলে না।
গতকাল সকালে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, কিশোরীটি শয্যার একপাশে কুঁকড়ে শুয়ে আছে। চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। তার বড় বোন জানান, কিছুক্ষণ পর পর সে ভয়ে আঁতকে ওঠে যাকে কাছে পাচ্ছে, তাকেই জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদছে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তপন কান্তি সরকার জানান, গাইনি বিভাগের ডা. মঞ্জুরী খানমের অধীনে মেয়েটির চিকিৎসা চলছে। গতকাল অনেকটা সুস্থ দেখালেও সে এখনো বিপদমুক্ত কি না তা এক্ষুণি বলা যাচ্ছে না। প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হতে পারে।
ডা. তপন বলেন, 'শারীরিক অবস্থার চেয়ে মেয়েটির মানসিক অবস্থা বেশি খারাপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে আমরা তাকে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। তার ডাক্তারি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যাবে।'
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম কালে কণ্ঠকে জানান, জড়িতরা সবাই পেশাদার অপরাধী। মামলার খবর পেয়ে সবাই পালিয়ে গেছে। শনিবার রাতে মান্নানের মেসের ম্যানেজারের স্ত্রী মাহফুজা বেগমকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদের গ্রেপ্তার করতে রবিবার একাধিক স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে।
মেসের বাসিন্দারা জানায়, পুলিশ আসল অপরাধীদের না ধরে হয়রানির করতে মাহফুজাকে আটক করেছে। তাঁর স্বামী মেসের ম্যানেজার থাকলেও ছয় মাস আগে চাকরি ছেড়ে স্ত্রী-সন্তান ফেলে চলে গেছেন। ১১ বছরের একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তিনি একটি কক্ষে ভাড়া থাকেন এবং পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
মেয়েটি এখন গাজীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভয়ে বারবার আঁতকে উঠছে এবং যাকেই কাছে পাচ্ছে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদছে সে। চিকিৎসকরা বলেছেন, মেয়েটি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।
পুলিশ জানায়, এ ব্যাপারে গত শনিবার রাতে জয়দেবপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে আমিন, শাহীন, জসিম ও ইকবালকে মূল আসামি করা হয়েছে।
মেয়েটির বাবা সাংবাদিকদের জানান, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তিনি তেলিপাড়ার হুমায়ুন আহমেদের বাসায় ভাড়া থাকেন। পেশায় নির্মাণশ্রমিক তাঁর চার ছেলে, দুই মেয়ের সবাই পোশাক কারাখানায় চাকরি করে। ছয় মাস আগে তার শ্যালক পোশাক কারখানার শ্রমিক বাবুলের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা চায় আসামিরা। টাকা না দেওয়ায় তারা ঘরে ঢুকে তাঁকে পিটিয়ে জখম করে। পরে ১৯ হাজার টাকা দিয়ে রক্ষা পায় সে। এদের নেতৃত্ব দেয় এলাকার রহিম নামের এক যুবক। ২০-২২ দিন আগে রহিম তাঁর কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা চায়।
মেয়েটির বাবা জানান, কয়েক দিন আগে ছোট মেয়েকে পাশেই বসবাসরত শ্বাশুড়ির কাছে রেখে পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি শেরপুরে যান তিনি। তাঁদের অনুপস্থিতিতে ওই চাঁদাবাজরা আবারও চাঁদার জন্য বাসায় আসে। চাঁদা না দেওয়ায় গত ২৭ জানুয়ারি দুপুরে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে তাঁর ছোট মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় আসামিরা। তাকে তেলিপাড়ার আবদুল মান্নান ওরফে মান্নার মেস বাড়িতে নিয়ে নির্যাতন করে এবং আটকে রাখে। জানতে পেরে সন্ধ্যার দিকে তাঁর শ্বাশুড়িসহ এলাকার লোকজন সেখানে যায়। তিনি জানান, হত্যার হুমকি দেওয়ায় তাঁরা ভয়ে কাউকে কিছু জানাননি। গত শনিবার দুপুরে বাসায় ফিরে তিনি দেখেন মেয়ের শরীরে প্রচণ্ড জ্বর। ভয়ে সে ক্ষণে ক্ষণে আঁতকে উঠছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঘটনাটি থানায় জানানো হয়। বিকেল ৩টার দিকে পুলিশ এসে মেয়েকে গাজীপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়।
মেয়েটির বাবা জানান রহিম, ইমন, শাহীন, ইকবাল, আমিন ও জসিমসহ আরো কয়েকজন দল বেঁধে এলাকায় ছিনতাই, মাদক কারবার, ধর্ষণসহ নানা অপকর্ম করে বেড়ায়। তারা পোশাক কারখানার শ্রমিকদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে। প্রতি রাতেই কোনো না কোনো নারী শ্রমিককে তুলে নিয়ে যায় তারা। ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলে না।
গতকাল সকালে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, কিশোরীটি শয্যার একপাশে কুঁকড়ে শুয়ে আছে। চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। তার বড় বোন জানান, কিছুক্ষণ পর পর সে ভয়ে আঁতকে ওঠে যাকে কাছে পাচ্ছে, তাকেই জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদছে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তপন কান্তি সরকার জানান, গাইনি বিভাগের ডা. মঞ্জুরী খানমের অধীনে মেয়েটির চিকিৎসা চলছে। গতকাল অনেকটা সুস্থ দেখালেও সে এখনো বিপদমুক্ত কি না তা এক্ষুণি বলা যাচ্ছে না। প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হতে পারে।
ডা. তপন বলেন, 'শারীরিক অবস্থার চেয়ে মেয়েটির মানসিক অবস্থা বেশি খারাপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে আমরা তাকে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। তার ডাক্তারি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যাবে।'
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম কালে কণ্ঠকে জানান, জড়িতরা সবাই পেশাদার অপরাধী। মামলার খবর পেয়ে সবাই পালিয়ে গেছে। শনিবার রাতে মান্নানের মেসের ম্যানেজারের স্ত্রী মাহফুজা বেগমকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অন্যদের গ্রেপ্তার করতে রবিবার একাধিক স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে।
মেসের বাসিন্দারা জানায়, পুলিশ আসল অপরাধীদের না ধরে হয়রানির করতে মাহফুজাকে আটক করেছে। তাঁর স্বামী মেসের ম্যানেজার থাকলেও ছয় মাস আগে চাকরি ছেড়ে স্ত্রী-সন্তান ফেলে চলে গেছেন। ১১ বছরের একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তিনি একটি কক্ষে ভাড়া থাকেন এবং পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
No comments