রশিদ বিল্ডিং ও ফজলুল হক হলে ভাষা আন্দোলন
তমদ্দুন মজলিস প্রথম দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক একটি প্রতিষ্ঠান
ছিল। প্রফেসর আবুল কাসেমের ১৯ আজিমপুর বাসভবনে এর অফিস স্থাপন করা হয়।
কিন্তু
বাড়িটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটু দূরে হওয়ায় অনেকের যাতায়াতে
সমস্যা হয়। সে জন্য বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগের পূর্ব
দিকে রশিদ বিল্ডিংয়ের দোতলায় একটি রুমে ১৯৪৭ সালের ১ নভেম্বর তমদ্দুন
মজলিসের অফিস স্থানান্তর হয়। এখানেই পরবর্তী ৩০ ডিসেম্বর গঠন করা হয়
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ।
সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, সংস্কৃতিসেবী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে রশিদ বিল্ডিং। ফলে অচিরেই গোয়েন্দাদের নজরে পড়ে এ অফিস। তিন মাসের মাথায় তালা ঝোলানো হয় অফিসে। ফজলুল হক হলের সে সময়ের ভিপি মুহম্মদ তোয়াহা ফজলুল হক হলে অফিস স্থানান্তরের প্রস্তাব দেন। ২৫ জানুয়ারি আবার তমদ্দুন মজলিসের কেন্দ্রীয় অফিস স্থানান্তর হয় ভাষা আন্দোলনের জনক প্রফেসর আবুল কাসেমের ১৯ আজিমপুর বাসভবনে। আর তোয়াহার প্রস্তাব অনুসারে রাষ্ট্রভাষা সাব কমিটি (প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ) স্থানান্তর করা হয় ফজলুল হক হলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হল নামে পরিচিত সে সময়ে ফজলুল হক ছিল নানা কারণে আলোচিত, বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের সাক্ষী এবং চারণক্ষেত্র। কারণ এ হলের আলোকিত ছাত্ররা তখন এসব আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। রাষ্ট্রভাষা সাব কমিটির অফিস এ হলে স্থানান্তর হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সহজে এ আন্দোলনের সাথে একাত্ম হওয়ার সুযোগ পান। দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদও গঠন করা হয় এখানেই। এর আগে তমদ্দুন মজলিসের সাথে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের সাথে ঐক্য হয়। এর ফলে তমদ্দুন মজলিস ও মুসলিম ছাত্রলীগের যুক্ত রাষ্ট্রভাষা সাব কমিটি গঠিত হয়। এটিই ছিল দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। এসব কারণে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে রশিদ বিল্ডিং ও ফজলুল হক উজ্জ্বল স্মৃতি বহন করছে।
সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, সংস্কৃতিসেবী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে রশিদ বিল্ডিং। ফলে অচিরেই গোয়েন্দাদের নজরে পড়ে এ অফিস। তিন মাসের মাথায় তালা ঝোলানো হয় অফিসে। ফজলুল হক হলের সে সময়ের ভিপি মুহম্মদ তোয়াহা ফজলুল হক হলে অফিস স্থানান্তরের প্রস্তাব দেন। ২৫ জানুয়ারি আবার তমদ্দুন মজলিসের কেন্দ্রীয় অফিস স্থানান্তর হয় ভাষা আন্দোলনের জনক প্রফেসর আবুল কাসেমের ১৯ আজিমপুর বাসভবনে। আর তোয়াহার প্রস্তাব অনুসারে রাষ্ট্রভাষা সাব কমিটি (প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ) স্থানান্তর করা হয় ফজলুল হক হলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হল নামে পরিচিত সে সময়ে ফজলুল হক ছিল নানা কারণে আলোচিত, বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের সাক্ষী এবং চারণক্ষেত্র। কারণ এ হলের আলোকিত ছাত্ররা তখন এসব আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। রাষ্ট্রভাষা সাব কমিটির অফিস এ হলে স্থানান্তর হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সহজে এ আন্দোলনের সাথে একাত্ম হওয়ার সুযোগ পান। দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদও গঠন করা হয় এখানেই। এর আগে তমদ্দুন মজলিসের সাথে পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের সাথে ঐক্য হয়। এর ফলে তমদ্দুন মজলিস ও মুসলিম ছাত্রলীগের যুক্ত রাষ্ট্রভাষা সাব কমিটি গঠিত হয়। এটিই ছিল দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। এসব কারণে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে রশিদ বিল্ডিং ও ফজলুল হক উজ্জ্বল স্মৃতি বহন করছে।
No comments