ট্রাইব্যুনাল বাতিলে জামায়াতের সঙ্গে একমত নয় বিএনপি: তরিকুল
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বন্ধ করা বা
ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দেওয়ার যে দাবি জামায়াত করছে, এর সঙ্গে বিএনপি একমত
নয় বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সমন্বয়ক তরিকুল
ইসলাম। এ ক্ষেত্রে জামায়াতের সঙ্গে দলটির আদর্শিক মিল নেই।
তবে বিচার আরও স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানের করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
আজ সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তরিকুল ইসলাম ১৮ দলীয় জোটের মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দেওয়ার দাবিতে জামায়াতের ডাকা হরতালে বিএনপির সমর্থন ছিল। আজও তারা সমাবেশ করছে। এতে বিএনপির সমর্থন আছে কি না—জানতে চাইলে তরিকুল বলেন, ‘তাদের (জামায়াত) সমর্থন দিয়েছিলাম, যেহেতু তাদের জনসভা করতে দেয়নি। সেটি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ ছিল। জনসভা করতে দেওয়া সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল বাতিল, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাতিলের সঙ্গে বিএনপির কোনো আদর্শিক মিল নেই।’
ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে জামায়াতের যে দাবি, তার সঙ্গে বিএনপি একমত কি না—জানতে চাইলে তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রশ্নই ওঠে না। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। সে বিচার নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ হতে হবে, আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে। সে বিচার কোনো দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের বিচার হবে না।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, এ বিচার বিতর্কিত হচ্ছে। আমরাও তাই বলছি। বিচার স্বচ্ছ হচ্ছে না।’
জামায়াতকে হঠাত্ সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে ’৮৬ সালের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তৈরি হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে তরিকুল বলেন, ‘সরকার সব সময় দল ভাঙার চেষ্টা করে। ফখরুদ্দীনের সময়ও অনেক নেতাকে নিয়ে দল ভাঙার চেষ্টা হয়েছে। তাদের পরিণতি কী হয়েছে, আপনারা দেখেছেন। আমার বিশ্বাস, দল তৃণমূল থেকে আরও সংগঠিত হয়েছে। ১৯৮৬ সালের মতো ষড়যন্ত্র সরকার ক্ষমতায় থাকার অভিপ্রায়ে করতে পারে। অসম্ভব কিছু নয়। একটা জায়গায় দেশ আজ ভালো নেই। সেখানে জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায়, দল ভাঙার বা জোটের কাউকে কাউকে ভাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা তারা করতে পারে। কিন্তু কতটা সফল হবে, তা সময়ই বলে দেবে। আর অতীতেও সমুদ্রের মধ্য থেকে দুই-চার বালতি পানি পড়লে যেমন কিছু হয় না, তেমনি বিএনপির কিছু নেতা বা জোটের শরিক দুয়েকটি দলকে নিয়ে গেলে বিএনপির কোনো ক্ষতি হবে না। কী হবে, না হবে—তা বলার সময় এখনো আসেনি।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তরিকুল বলেন, আন্দোলনের পাশাপাশি তাঁদের নির্বাচনের প্রস্তুতিও আছে।
আজ সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তরিকুল ইসলাম ১৮ দলীয় জোটের মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দেওয়ার দাবিতে জামায়াতের ডাকা হরতালে বিএনপির সমর্থন ছিল। আজও তারা সমাবেশ করছে। এতে বিএনপির সমর্থন আছে কি না—জানতে চাইলে তরিকুল বলেন, ‘তাদের (জামায়াত) সমর্থন দিয়েছিলাম, যেহেতু তাদের জনসভা করতে দেয়নি। সেটি সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ ছিল। জনসভা করতে দেওয়া সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল বাতিল, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাতিলের সঙ্গে বিএনপির কোনো আদর্শিক মিল নেই।’
ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে জামায়াতের যে দাবি, তার সঙ্গে বিএনপি একমত কি না—জানতে চাইলে তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রশ্নই ওঠে না। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। সে বিচার নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ হতে হবে, আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে। সে বিচার কোনো দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের বিচার হবে না।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, এ বিচার বিতর্কিত হচ্ছে। আমরাও তাই বলছি। বিচার স্বচ্ছ হচ্ছে না।’
জামায়াতকে হঠাত্ সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে ’৮৬ সালের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তৈরি হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে তরিকুল বলেন, ‘সরকার সব সময় দল ভাঙার চেষ্টা করে। ফখরুদ্দীনের সময়ও অনেক নেতাকে নিয়ে দল ভাঙার চেষ্টা হয়েছে। তাদের পরিণতি কী হয়েছে, আপনারা দেখেছেন। আমার বিশ্বাস, দল তৃণমূল থেকে আরও সংগঠিত হয়েছে। ১৯৮৬ সালের মতো ষড়যন্ত্র সরকার ক্ষমতায় থাকার অভিপ্রায়ে করতে পারে। অসম্ভব কিছু নয়। একটা জায়গায় দেশ আজ ভালো নেই। সেখানে জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায়, দল ভাঙার বা জোটের কাউকে কাউকে ভাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা তারা করতে পারে। কিন্তু কতটা সফল হবে, তা সময়ই বলে দেবে। আর অতীতেও সমুদ্রের মধ্য থেকে দুই-চার বালতি পানি পড়লে যেমন কিছু হয় না, তেমনি বিএনপির কিছু নেতা বা জোটের শরিক দুয়েকটি দলকে নিয়ে গেলে বিএনপির কোনো ক্ষতি হবে না। কী হবে, না হবে—তা বলার সময় এখনো আসেনি।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তরিকুল বলেন, আন্দোলনের পাশাপাশি তাঁদের নির্বাচনের প্রস্তুতিও আছে।
No comments