গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে নৃশংসভাবে হত্যা
ডাকাত ধরতে গিয়ে প্রাণ হারালেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এসআই
শরিফুল ইসলাম খান (৩৮)। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ডাকাতের হামলায়
গতকাল ভোরে তিনি নিহত হন।
দুর্বৃত্তরা
চলন্ত ট্রাক থেকে তাকে ফেলে দিয়ে চাকার নিচে পিষ্ট করে হত্যা করে। এ সময়
পুলিশের গুলিতে ডাকাতদলের এক সদস্য আহত হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, একটি সংগঠিত ডাকাতদল ঢাকা থেকে বিপুলসংখ্যক চোরাই বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে ডিবির পশ্চিমের একটি টিম ডেমরার সারুলিয়া এলাকায় অবস্থান নেয়। গভীর রাতে এসআই শরিফুলের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি টিম মাইক্রোবাস নিয়ে ডাকাতদলের পিছু নেয়। এক পর্যায়ে ভোর রাতে মুুন্সীগঞ্জের গজারিয়া মহাসড়কে পুলিশের দু’টি গাড়ি ট্রান্সফর্মার ভর্তি ট্রাকটির সামনে-পেছনে গতিরোধ করে। এ সময় পুলিশের এসআই শরীফুল ইসলাম ট্রান্সফর্মার ভর্তি ধীরগতিতে চলন্ত ট্রাকে উঠে চালকের চাবি কেড়ে ট্রাকটি থামানোর চেষ্টা করেন। চাবি কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করতেই ট্রাকে থাকা অন্য ডাকাত সদস্যরা শরিফুলের মাথায় ইট ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করে রাস্তায় ফেলে দেয়। পরে ডাকাতেরা ট্রাকটি নিয়ে আবার পালানোর চেষ্টা করলে শরিফুল ডাকাতদের ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, শরীফুলকে রাস্তায় ফেলে দিলে পুলিশ তখন ট্রাক লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে এতে শিপন (৩০) আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। তখন বাকিরা ট্রাকটি রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শিপনকে গ্রেফতার ও ট্রান্সফর্মার ভর্তি ট্রাকটি আটক করে।
পুলিশের গুলিতে পলাতক অন্য ডাকাত সদস্যরাও আহত হয়েছে বলে জানান ডিবি ডিসি মোল্লা নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে রক্ত দেখে মনে হয়েছে পুলিশের গুলিতে আরো কেউ আহত হয়ে পালিয়ে গেছে। আহত ডাকাত সদস্য ঢামেক হাসপাতালে পুলিশি প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, এসআই শরিফুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। সকাল ১০টায় ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহম্মেদ নিহত পুলিশ কর্মকর্তাকে দেখতে হাসপাতালে যান।
নিহত এসআই শরিফুলের লাশময়না তদন্তের পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে দুপুরের দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে নেয়া হয়। সেখানে জোহরের নামাজের পর অনুষ্ঠিত হয় তার নামাজে জানাজা। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) শহীদুল হক, ডিএমপি কমিশনার ম বেনজীর আহমেদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। শরিফুলের নামাজে জানাজার পর তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চন্দনগাছি গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিহত গোয়েন্দা কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চন্দনগাতি গ্রামের গাজী আব্দুর রশিদ খানের পুত্র। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর দক্ষিণ গোড়ান এলাকায় বসবাস করতেন। ১৯৯৯ সালের ৫ আগস্ট পুলিশ বাহিনীতে চাকরি নেন শরীফুল। এরপর তিনি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ টিমে কাজ শুরু করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এসআই শরিফুল ডিবির পশ্চিম টিমে কর্মরত ছিলেন।
গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, একটি সংগঠিত ডাকাতদল ঢাকা থেকে বিপুলসংখ্যক চোরাই বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার নিয়ে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে ডিবির পশ্চিমের একটি টিম ডেমরার সারুলিয়া এলাকায় অবস্থান নেয়। গভীর রাতে এসআই শরিফুলের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি টিম মাইক্রোবাস নিয়ে ডাকাতদলের পিছু নেয়। এক পর্যায়ে ভোর রাতে মুুন্সীগঞ্জের গজারিয়া মহাসড়কে পুলিশের দু’টি গাড়ি ট্রান্সফর্মার ভর্তি ট্রাকটির সামনে-পেছনে গতিরোধ করে। এ সময় পুলিশের এসআই শরীফুল ইসলাম ট্রান্সফর্মার ভর্তি ধীরগতিতে চলন্ত ট্রাকে উঠে চালকের চাবি কেড়ে ট্রাকটি থামানোর চেষ্টা করেন। চাবি কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করতেই ট্রাকে থাকা অন্য ডাকাত সদস্যরা শরিফুলের মাথায় ইট ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করে রাস্তায় ফেলে দেয়। পরে ডাকাতেরা ট্রাকটি নিয়ে আবার পালানোর চেষ্টা করলে শরিফুল ডাকাতদের ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, শরীফুলকে রাস্তায় ফেলে দিলে পুলিশ তখন ট্রাক লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে এতে শিপন (৩০) আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। তখন বাকিরা ট্রাকটি রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শিপনকে গ্রেফতার ও ট্রান্সফর্মার ভর্তি ট্রাকটি আটক করে।
পুলিশের গুলিতে পলাতক অন্য ডাকাত সদস্যরাও আহত হয়েছে বলে জানান ডিবি ডিসি মোল্লা নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে রক্ত দেখে মনে হয়েছে পুলিশের গুলিতে আরো কেউ আহত হয়ে পালিয়ে গেছে। আহত ডাকাত সদস্য ঢামেক হাসপাতালে পুলিশি প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, এসআই শরিফুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। সকাল ১০টায় ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহম্মেদ নিহত পুলিশ কর্মকর্তাকে দেখতে হাসপাতালে যান।
নিহত এসআই শরিফুলের লাশময়না তদন্তের পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে দুপুরের দিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে নেয়া হয়। সেখানে জোহরের নামাজের পর অনুষ্ঠিত হয় তার নামাজে জানাজা। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার, অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) শহীদুল হক, ডিএমপি কমিশনার ম বেনজীর আহমেদসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। শরিফুলের নামাজে জানাজার পর তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চন্দনগাছি গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নিহত গোয়েন্দা কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার চন্দনগাতি গ্রামের গাজী আব্দুর রশিদ খানের পুত্র। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর দক্ষিণ গোড়ান এলাকায় বসবাস করতেন। ১৯৯৯ সালের ৫ আগস্ট পুলিশ বাহিনীতে চাকরি নেন শরীফুল। এরপর তিনি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ টিমে কাজ শুরু করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এসআই শরিফুল ডিবির পশ্চিম টিমে কর্মরত ছিলেন।
No comments