এসএসসি দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা শুরু
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে গতকাল থেকে সারা দেশে এসএসসি, দাখিল ও কারিগরি
বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গতকাল বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
হয়েছে।
পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষার্থীদের জন্য ক্ষতিকর কোনো ধরনের কর্মসূচি
না দেয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল
ইসলাম নাহিদ। এ দিকে পরীক্ষায় নকলের প্রবণতা হ্রাস পাওয়ার কথা জোরগলায়
বলা হলেও রাজধানী ও বড় জেলা শহরগুলো ছাড়া দেশের প্রায় সর্বত্রই নতুন
ধারায় নকলের চর্চা বেড়ে গেছে। এখন নকল করতে বইয়ের পাতা কাটতে হয় না বা
কাগজের চিরকুটেরও প্রয়োজন হয় না। শিক্ষকরাই এখন নকলের মূল সরবরাহকারী।
এ ছাড়া গত তিন বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, নকলের প্রবণতা আবার বাড়তে শুরু করেছে। অনুপস্থিতির সংখ্যাও গত বছরের চেয়ে বেড়েছে। এ বছর পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিতির সংখ্যা হচ্ছে সাত হাজার ৭২৩। আর নকল ও অসদাচরণ এবং অন্যকে নকলে সহায়তার অভিযোগে বহিষ্কৃত হয়েছে শিক্ষকসহ ৩৭ জন। ১০ বোর্ড মিলে গত শিক্ষাবর্ষে (২০১২) অনুপস্থিতির সংখ্যা ছিল সাত হাজার ৩৪৫। ২০১১ শিক্ষাবর্ষে সংখ্যা ছিল ছয় হাজার ৫৮৩। তার আগের শিক্ষাবর্ষে (২০১০) এ সংখ্যা ছিল চার হাজার ১৮০। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও বোর্ডগুলো থেকে এরূপ পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে।
গতকাল নরসিংদীতে বাংলা প্রশ্নপত্র সরবরাহকারী চক্রটি আজ পরীক্ষা শেষে টাকা ফেরত দিয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল নরসিংদী সদর থানা ও এর আশপাশের স্কুলগুলোতে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে এক হাজার করে টাকা নিয়েছিল চক্রটি। তারা দাবি করেছিল প্রতিদিনই রাতে প্রশ্ন সরবরাহ এবং ৩২ হাজার টাকা দেয়া হলে সব প্রশ্নই সরবরাহ করা হবে। পরীক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, আজ বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নের সাথে রাতে সরবরাহকৃত প্রশ্নের কোনো মিল না পাওয়ার পর সরবরাহকারীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা তাৎক্ষণিক টাকা ফেরত দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, নকলপ্রবণতা হ্রাস বা নকল এখন অতীতের বিষয় বলে বাহবা নেয়া হলেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নকলের নতুন নতুন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার্থীদের নকলের সুযোগ দেয়ার জন্য দ্বিপক্ষীয়-ত্রিপক্ষীয় সমন্বয় ও সুবিধা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের অভিযোগ খোদ রাজধানী এবং এর আশপাশের পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো সম্পর্কে পাওয়া গেছে। শহরতলির স্কুল এবং পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে এ ধরনের সমঝোতা ও সমন্বয়ের অভিযোগ রয়েছে। উত্তরা, ডেমরা ও সারুলিয়া এবং কেরানীগঞ্জ এলাকার স্কুল ও পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে নীরব সমঝোতার ভিত্তিতে নকল চলছে বলে জানা গেছে। তবে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিবরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কন্ট্রোলার প্রফেসর ড. ওয়াহিদুজ্জামানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি গতকাল বিকেলে নয়া দিগন্তকে বলেন, এ ধরনের কোনো তথ্য বা অভিযোগ এখনো বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আসেনি। পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিন রাজধানীর মূল কেন্দ্রগুলোতে ভিজিল্যান্স টিম কাজ করেছে। তিনি বলেন, অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক অ্যাকশন নেয়া হবে।
এবার থেকে সব বিষয়ে (বাংলা ও ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র এবং গণিত ছাড়া) সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে পরীক্ষা) নেয়া হচ্ছে। সাধারণ আটটি বোর্ডে অনুপস্থিতির সংখ্যা তিন হাজার ২৬২। গত শিক্ষাবর্ষে ছিল তিন হাজার ৩২৭ জন। মাদরাসা বোর্ডে তিন হাজার ৮০১ জন। আগের শিক্ষাবর্ষে (২০১২) ছিল তিন হাজার ৩৯০ জন। কারিগরি বোর্ডে ৬৬০ জন, গত শিক্ষাবর্ষে এ সংখ্যা ছিল ৬২৮। বোর্ডগুলো সূত্রে বলা হয়েছে এ সব শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন ও চূড়ান্ত পরীক্ষার ফরম পূরণের পরও চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পরীক্ষার প্রথম দিনে ঢাকা মহানগরীর আজিমপুর সরকারি গার্লস হাইস্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা: মোস্তফা জালাল মহীউদ্দিন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম গোলাম ফারুক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবুল কাসেম, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুন নূর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম দিনে পরীক্ষায় সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অনুপস্থিতির সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ২৬২। এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ১২১৪ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ৩৮৩, যশোহর বোর্ডে ২৯৯, রাজশাহী বোর্ডে ৪৯৮, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৩৪২, সিলেট বোর্ডে ১২৪, বরিশাল বোর্ডে ১৭৪ এবং দিনাজপুর বোর্ডে ২২৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি বা অনুপস্থিত ছিল। মাদরাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় অনুপস্থিতি ছিল তিন হাজার ৮০১ জন। কারিগরি বোর্ডের অধীনে অনুপস্থিতি ছিল ৬৬০ জন।
এ ছাড়া গত তিন বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, নকলের প্রবণতা আবার বাড়তে শুরু করেছে। অনুপস্থিতির সংখ্যাও গত বছরের চেয়ে বেড়েছে। এ বছর পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুপস্থিতির সংখ্যা হচ্ছে সাত হাজার ৭২৩। আর নকল ও অসদাচরণ এবং অন্যকে নকলে সহায়তার অভিযোগে বহিষ্কৃত হয়েছে শিক্ষকসহ ৩৭ জন। ১০ বোর্ড মিলে গত শিক্ষাবর্ষে (২০১২) অনুপস্থিতির সংখ্যা ছিল সাত হাজার ৩৪৫। ২০১১ শিক্ষাবর্ষে সংখ্যা ছিল ছয় হাজার ৫৮৩। তার আগের শিক্ষাবর্ষে (২০১০) এ সংখ্যা ছিল চার হাজার ১৮০। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও বোর্ডগুলো থেকে এরূপ পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে।
গতকাল নরসিংদীতে বাংলা প্রশ্নপত্র সরবরাহকারী চক্রটি আজ পরীক্ষা শেষে টাকা ফেরত দিয়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল নরসিংদী সদর থানা ও এর আশপাশের স্কুলগুলোতে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে এক হাজার করে টাকা নিয়েছিল চক্রটি। তারা দাবি করেছিল প্রতিদিনই রাতে প্রশ্ন সরবরাহ এবং ৩২ হাজার টাকা দেয়া হলে সব প্রশ্নই সরবরাহ করা হবে। পরীক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, আজ বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নের সাথে রাতে সরবরাহকৃত প্রশ্নের কোনো মিল না পাওয়ার পর সরবরাহকারীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা তাৎক্ষণিক টাকা ফেরত দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, নকলপ্রবণতা হ্রাস বা নকল এখন অতীতের বিষয় বলে বাহবা নেয়া হলেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নকলের নতুন নতুন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার্থীদের নকলের সুযোগ দেয়ার জন্য দ্বিপক্ষীয়-ত্রিপক্ষীয় সমন্বয় ও সুবিধা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ধরনের অভিযোগ খোদ রাজধানী এবং এর আশপাশের পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো সম্পর্কে পাওয়া গেছে। শহরতলির স্কুল এবং পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে এ ধরনের সমঝোতা ও সমন্বয়ের অভিযোগ রয়েছে। উত্তরা, ডেমরা ও সারুলিয়া এবং কেরানীগঞ্জ এলাকার স্কুল ও পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে নীরব সমঝোতার ভিত্তিতে নকল চলছে বলে জানা গেছে। তবে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিবরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কন্ট্রোলার প্রফেসর ড. ওয়াহিদুজ্জামানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি গতকাল বিকেলে নয়া দিগন্তকে বলেন, এ ধরনের কোনো তথ্য বা অভিযোগ এখনো বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আসেনি। পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিন রাজধানীর মূল কেন্দ্রগুলোতে ভিজিল্যান্স টিম কাজ করেছে। তিনি বলেন, অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক অ্যাকশন নেয়া হবে।
এবার থেকে সব বিষয়ে (বাংলা ও ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র এবং গণিত ছাড়া) সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে পরীক্ষা) নেয়া হচ্ছে। সাধারণ আটটি বোর্ডে অনুপস্থিতির সংখ্যা তিন হাজার ২৬২। গত শিক্ষাবর্ষে ছিল তিন হাজার ৩২৭ জন। মাদরাসা বোর্ডে তিন হাজার ৮০১ জন। আগের শিক্ষাবর্ষে (২০১২) ছিল তিন হাজার ৩৯০ জন। কারিগরি বোর্ডে ৬৬০ জন, গত শিক্ষাবর্ষে এ সংখ্যা ছিল ৬২৮। বোর্ডগুলো সূত্রে বলা হয়েছে এ সব শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন ও চূড়ান্ত পরীক্ষার ফরম পূরণের পরও চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পরীক্ষার প্রথম দিনে ঢাকা মহানগরীর আজিমপুর সরকারি গার্লস হাইস্কুলে পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা: মোস্তফা জালাল মহীউদ্দিন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম গোলাম ফারুক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবুল কাসেম, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুন নূর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম দিনে পরীক্ষায় সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অনুপস্থিতির সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ২৬২। এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে ১২১৪ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ৩৮৩, যশোহর বোর্ডে ২৯৯, রাজশাহী বোর্ডে ৪৯৮, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৩৪২, সিলেট বোর্ডে ১২৪, বরিশাল বোর্ডে ১৭৪ এবং দিনাজপুর বোর্ডে ২২৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি বা অনুপস্থিত ছিল। মাদরাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় অনুপস্থিতি ছিল তিন হাজার ৮০১ জন। কারিগরি বোর্ডের অধীনে অনুপস্থিতি ছিল ৬৬০ জন।
No comments