গোলটেবিল বৈঠক- গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবায় প্যারামেডিকরা বড় ভূমিকা রাখতে পারবেন
ন্যূনতম খরচে মানসম্পন্ন স্থাস্থ্যসেবা
প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য দরকার দক্ষ জনশক্তি। এ
ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের পাশাপাশি প্যারামেডিকরাও বড় ভূমিকা রাখতে পারেন।
গতকাল
রোববার প্রথম আলোর উদ্যোগে প্রথম আলো কার্যালয়ে আয়োজিত ‘স্বাস্থ্য খাতে
দক্ষ সেবাদাতার প্রয়োজনীয়তা ও কমিউনিটি প্যারামেডিকের সম্ভাবনা’ শীর্ষক
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। গোলটেবিল বৈঠক আয়োজনে সহায়তা
করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সুইসকনটাক্টের টারসান প্রকল্প।
বৈঠকে বলা হয়, প্যারামেডিকরা সাধারণত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকেন। এঁরা চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে সেবা দেন। প্রয়োজনে জটিল পরিস্থিতিতে রোগীকে চিকিৎসকের কাছে পাঠান। বাংলাদেশে গ্রাম পর্যায়ে মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার ‘কমিউনিটি প্যারামেডিক’ নামের কর্মী বাহিনী গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য দুই বছর মেয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সও ইতিমধ্যে চালু হয়েছে।
বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. হুমায়ুন কবির বলেন, সরকারের একার পক্ষে দেশের সব মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের মধ্যে ১৩ হাজার প্রশিক্ষিত প্যারামেডিক তৈরি করা সম্ভব হবে। তখন গ্রামের স্বাস্থ্য-পরিস্থিতিরও আরও উন্নতি হবে।
জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান গুণগত মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যমান স্বাস্থ্যব্যবস্থায় কমিউনিটি প্যারামেডিকের প্রয়োজন আছে। তবে যাঁরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তাঁদের দক্ষতাও বিবেচনায় নিতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না, ‘গুরুর গুণে শিষ্য বাড়ে, পানির গুণে মাছ’।
কোর্সের উদ্দেশ্য: জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের (নিপোর্ট) পরিচালক (প্রশিক্ষণ) এম এম আনিসুল আউয়াল বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলাই প্যারামেডিক কোর্স চালুর মূল উদ্দেশ্য। এ জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় দুবছর মেয়াদি কমিউনিটি প্যারামেডিক কোর্স চালুর লক্ষ্যে ২০০৯ সালে একটি নীতিমালা তৈরি ও অনুমোদন করে। তিনি বলেন, কমিউনিটি প্যারামেডিকরা গ্রামাঞ্চলে ফিরে গেলে মাতৃস্বাস্থ্যসেবার পরিধি বাড়বে, মাতৃমৃত্যুর হার কমে আসবে। এতে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৫ অর্জন সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার সুরাইয়া বেগম বলেন, এ বছর ২১৮ জন কমিউনিটি প্যারামেডিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। নিশ্চিত করতে হবে, পাস করার পর তাঁরা যেন গ্রামাঞ্চলে যান। গ্রামে যাওয়ার পর তাঁদেরকে সরকারি পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।
প্যারামেডিকের জন্য টারসান: ‘স্বাস্থ্য খাতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার কাজে সরকারকে সহযোগিতা করছে টারসান প্রকল্প’ গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের টারসান সম্পর্কে ধারণা দিতে প্রকল্প ব্যবস্থাপক জাফর আহমেদ হাকিম এ কথা বলেন। টারসান প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সুইজারল্যান্ডের সুইসকনট্যাক্ট নামের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে আরটিএম ইন্টারন্যাশনাল নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান। আর এতে অর্থায়ন করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।
প্রকল্পের উপব্যবস্থাপক আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, কোনো শিক্ষার্থী প্যারামেডিক কোর্সে ভর্তি হলে তাঁর পড়াশোনার ৫৭ শতাংশ খরচ দেওয়া হয় প্রকল্প থেকে। আপাতত তিন বছরের জন্য নীলফামারী, সুনামগঞ্জ ও পটুয়াখালীতে দিশারী প্রকল্প (পাইলট প্রজেক্ট) গ্রহণ করা হয়েছে।
আরটিএম ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক (ব্যবসায় উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা) ফারদিবা রাহাত খান বলেন, তৃণমূলে কাজ করে, এমন সংগঠনকে সহযোগিতা করে আরটিএম। তারা টারসান প্রকল্পেও সহায়তা দিচ্ছে।
দরকার মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ: গোলটেবিল বৈঠকের সঞ্চালক ও প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপাত্ত উদ্ধৃত করে বলেন, সাধারণত জ্বর, ব্যথা-বেদনা, ডায়রিয়া, আমাশয় ইত্যাদি অসুখ-বিসুখে ভোগে বাংলাদেশের মানুষ। এ ধরনের সাধারণ অসুখ-বিসুখের জন্য প্যারামেডিক চিকিৎসকই যথেষ্ট, যদি তাঁদের ভালো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
জাতীয় অধ্যাপক এম আর খানও মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন। স্বাস্থ্যসচিবও জানান, মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, ভালো প্রশিক্ষণের প্রধান শর্তই হচ্ছে সঠিক জায়গা থেকে সনদ পাওয়া নিশ্চিত করা।
রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের সচিব মো. জাহিদুর রহমান বলেন, শুধু সনদ দিলেই হবে না। নতুন এ জনবলকে দক্ষ করার জন্য নানা প্রশিক্ষণ কর্মসূচিও চালু রাখতে হবে।
দুবছর মেয়াদি কমিউনিটি প্যারামেডিক কোর্স ভালো প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন মিরপুর শিশুস্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন হাসপাতালের উপপরিচালক এ কে এম সামসুজ্জামান। তিনি বলেন, দুই বছরের কোর্স শেষে আরও এক বছরের ইন্টার্নশিপ চালু করা দরকার। তা না হলে তাঁরা আস্থার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন না। গ্রামের মানুষ তাঁদের কাছে না এসে হাতুড়ে ডাক্তারদের কাছে যাবে।
গাজীপুরের প্রকাশ কমিউনিটি প্যারামেডিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক রবিউল ইসলাম বলেন, দুই বছরের কোর্সেও প্রশিক্ষণার্থীদের একধরনের ইন্টার্নশিপ আছে।
তবে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (এমসিএইচ সেবা) মোহাম্মদ শরীফ প্রকল্প এলাকা বাড়ানোর পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবার জন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে জনশক্তি গড়ে তোলার নানা প্রচেষ্টা চলছে। তার পরও বিশাল জনগোষ্ঠী স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তাই প্রকল্পের এলাকা বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি কক্সবাজার ও নোয়াখালী এলাকাকে এ প্রকল্পের আওতায় আনার সুপারিশ করেন।
বেসরকারি মেডি এইড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জলিল বলেন, প্রকল্পের এলাকা বাড়ানোর পাশাপাশি প্যারামেডিকদের মধ্যে নারীদের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। কারণ, নারীরা নারীর কাছে সেবা নিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন।
বৈঠকে বলা হয়, প্যারামেডিকরা সাধারণত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকেন। এঁরা চিকিৎসকের অনুপস্থিতিতে সেবা দেন। প্রয়োজনে জটিল পরিস্থিতিতে রোগীকে চিকিৎসকের কাছে পাঠান। বাংলাদেশে গ্রাম পর্যায়ে মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার ‘কমিউনিটি প্যারামেডিক’ নামের কর্মী বাহিনী গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য দুই বছর মেয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সও ইতিমধ্যে চালু হয়েছে।
বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. হুমায়ুন কবির বলেন, সরকারের একার পক্ষে দেশের সব মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের মধ্যে ১৩ হাজার প্রশিক্ষিত প্যারামেডিক তৈরি করা সম্ভব হবে। তখন গ্রামের স্বাস্থ্য-পরিস্থিতিরও আরও উন্নতি হবে।
জাতীয় অধ্যাপক এম আর খান গুণগত মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বলেন, বাংলাদেশে বিদ্যমান স্বাস্থ্যব্যবস্থায় কমিউনিটি প্যারামেডিকের প্রয়োজন আছে। তবে যাঁরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তাঁদের দক্ষতাও বিবেচনায় নিতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না, ‘গুরুর গুণে শিষ্য বাড়ে, পানির গুণে মাছ’।
কোর্সের উদ্দেশ্য: জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের (নিপোর্ট) পরিচালক (প্রশিক্ষণ) এম এম আনিসুল আউয়াল বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলাই প্যারামেডিক কোর্স চালুর মূল উদ্দেশ্য। এ জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় দুবছর মেয়াদি কমিউনিটি প্যারামেডিক কোর্স চালুর লক্ষ্যে ২০০৯ সালে একটি নীতিমালা তৈরি ও অনুমোদন করে। তিনি বলেন, কমিউনিটি প্যারামেডিকরা গ্রামাঞ্চলে ফিরে গেলে মাতৃস্বাস্থ্যসেবার পরিধি বাড়বে, মাতৃমৃত্যুর হার কমে আসবে। এতে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৫ অর্জন সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার সুরাইয়া বেগম বলেন, এ বছর ২১৮ জন কমিউনিটি প্যারামেডিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। নিশ্চিত করতে হবে, পাস করার পর তাঁরা যেন গ্রামাঞ্চলে যান। গ্রামে যাওয়ার পর তাঁদেরকে সরকারি পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।
প্যারামেডিকের জন্য টারসান: ‘স্বাস্থ্য খাতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার কাজে সরকারকে সহযোগিতা করছে টারসান প্রকল্প’ গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের টারসান সম্পর্কে ধারণা দিতে প্রকল্প ব্যবস্থাপক জাফর আহমেদ হাকিম এ কথা বলেন। টারসান প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সুইজারল্যান্ডের সুইসকনট্যাক্ট নামের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে আরটিএম ইন্টারন্যাশনাল নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান। আর এতে অর্থায়ন করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।
প্রকল্পের উপব্যবস্থাপক আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, কোনো শিক্ষার্থী প্যারামেডিক কোর্সে ভর্তি হলে তাঁর পড়াশোনার ৫৭ শতাংশ খরচ দেওয়া হয় প্রকল্প থেকে। আপাতত তিন বছরের জন্য নীলফামারী, সুনামগঞ্জ ও পটুয়াখালীতে দিশারী প্রকল্প (পাইলট প্রজেক্ট) গ্রহণ করা হয়েছে।
আরটিএম ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক (ব্যবসায় উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা) ফারদিবা রাহাত খান বলেন, তৃণমূলে কাজ করে, এমন সংগঠনকে সহযোগিতা করে আরটিএম। তারা টারসান প্রকল্পেও সহায়তা দিচ্ছে।
দরকার মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ: গোলটেবিল বৈঠকের সঞ্চালক ও প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপাত্ত উদ্ধৃত করে বলেন, সাধারণত জ্বর, ব্যথা-বেদনা, ডায়রিয়া, আমাশয় ইত্যাদি অসুখ-বিসুখে ভোগে বাংলাদেশের মানুষ। এ ধরনের সাধারণ অসুখ-বিসুখের জন্য প্যারামেডিক চিকিৎসকই যথেষ্ট, যদি তাঁদের ভালো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
জাতীয় অধ্যাপক এম আর খানও মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন। স্বাস্থ্যসচিবও জানান, মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, ভালো প্রশিক্ষণের প্রধান শর্তই হচ্ছে সঠিক জায়গা থেকে সনদ পাওয়া নিশ্চিত করা।
রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের সচিব মো. জাহিদুর রহমান বলেন, শুধু সনদ দিলেই হবে না। নতুন এ জনবলকে দক্ষ করার জন্য নানা প্রশিক্ষণ কর্মসূচিও চালু রাখতে হবে।
দুবছর মেয়াদি কমিউনিটি প্যারামেডিক কোর্স ভালো প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পারবে কি না, এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন মিরপুর শিশুস্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন হাসপাতালের উপপরিচালক এ কে এম সামসুজ্জামান। তিনি বলেন, দুই বছরের কোর্স শেষে আরও এক বছরের ইন্টার্নশিপ চালু করা দরকার। তা না হলে তাঁরা আস্থার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন না। গ্রামের মানুষ তাঁদের কাছে না এসে হাতুড়ে ডাক্তারদের কাছে যাবে।
গাজীপুরের প্রকাশ কমিউনিটি প্যারামেডিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক রবিউল ইসলাম বলেন, দুই বছরের কোর্সেও প্রশিক্ষণার্থীদের একধরনের ইন্টার্নশিপ আছে।
তবে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (এমসিএইচ সেবা) মোহাম্মদ শরীফ প্রকল্প এলাকা বাড়ানোর পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবার জন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে জনশক্তি গড়ে তোলার নানা প্রচেষ্টা চলছে। তার পরও বিশাল জনগোষ্ঠী স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তাই প্রকল্পের এলাকা বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি কক্সবাজার ও নোয়াখালী এলাকাকে এ প্রকল্পের আওতায় আনার সুপারিশ করেন।
বেসরকারি মেডি এইড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জলিল বলেন, প্রকল্পের এলাকা বাড়ানোর পাশাপাশি প্যারামেডিকদের মধ্যে নারীদের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। কারণ, নারীরা নারীর কাছে সেবা নিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন।
No comments