ধর্ম ব্যবসায়ী কারা by রিদওয়ান
দৈনিক জনকণ্ঠের চতুরঙ্গে বাংলাদেশের একজন শিাবিদ ও গবেষক ধর্মীয় সব
রাজনৈতিক দলকে তার লেখা ‘বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটক কি ধর্ম ব্যবসায়ীদের
লিজ দেয়া হয়েছে?’
নামক
কলামে ‘ধর্ম ব্যবসায়ী’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। একজন শিক হিসেবে তাকে
যথার্থ সম্মান করি। তাকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক হিসেবে ভেবে পুলকিত হই। তবে ‘ধর্ম
ব্যবসায়ী’ কারা, এ বিষয়ে আমি একজন ধর্মতত্ত্বের ছাত্র হিসেবে তার সাথে
একমত হতে পারছি না।
ধর্ম ব্যবসায় বলতে যদি আমরা সূরা আসসাফ : ১০ ও ১১ আয়াতের এই ব্যবসায় ধরি, তবে এতেই নিহিত রয়েছে চিরকল্যাণ, কোনো মহাজ্ঞানী তা উপলব্ধি করুন আর না-ই করুন। অর্থাৎ আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি ঈমান আনা এবং আল্লাহর পথে ধনসম্পদ ও জীবন পণ করে জেহাদ করাই সর্বোত্তম ব্যবসায়।
আর যদি এটা ব্যঙ্গাত্মক অর্থে ধরি, তাহলে বলবÑ যারা ধর্মের কথা মুখে বলে সাধু সাজেন কিন্তু কাজে বিধর্মী তারা ধর্ম ব্যবসায়ী, নাকি যারা ধর্মের কথা মুখে বলে ও তা কাজে বাস্তবায়নের আপ্রাণ চেষ্টা চালায় তারা ধর্ম ব্যবসায়ী? উত্তর সোজা, নিশ্চয়ই তারাই ধর্ম ব্যবসায়ী যারা ধর্মের কথা মুখে বলে কিন্তু কাজে বিধর্মী। যেমনÑ একজন দাড়িবিহীন ব্যক্তি দাড়িওয়ালা ব্যক্তিকে বলল ‘ধর্ম ব্যবসায়ী’, তবে কে হবে ‘ধর্ম ব্যবসায়ী’? বিধর্মী কার্যক্রম দেখলে বিবেক নাড়া দেয় না বরং ইসলামি দলগুলোর কোনো কাজ দেখলে কিংবা সামান্য কোনো ভুল চোখে ধরা পড়লে লেখনীর মাধ্যমে তিলকে তাল করে প্রভুদের উদ্দেশ্য হাছিলে উঠেপড়ে লাগে, তবে কি সে ‘ধর্ম ব্যবসায়ী’ নয়? এ েেত্র কিছু লেবাসধারী আলেমও কম যান না, তারা অন্যের গোলামি করে স্বার্থোদ্ধার করতে ইসলামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিধানের অপব্যাখ্যা করতে একটুও দ্বিধা করেন না। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে দেশের হাক্কানি আলেমদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
আবার কোনো দল যদি নিজেদের একমাত্র সঠিক ও ধর্মভীরু দাবি করে কিন্তু কাজে দেখা যায় ভিন্ন চরিত্রে, যেমনÑ পবিত্র কুরআন-হাদিস ভস্মীভূত করে, পবিত্র কুরআনের হাফেজকে হত্যা কিংবা নির্বিচারে মানুষ হত্যা, গুম, খুন করে, কুকুরের মাথায় টুপি পরায়, দল কিংবা দেশের সংবিধান থেকে ইসলামকে নির্বাসন দেয়, হিন্দুদের পূজা অনুষ্ঠানে ইসলামি আকিদা পরিপন্থী বক্তব্য দেয়, রামুর ঘটনা ঘটার আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে পবিত্র কুরআন ও রাসূল সা:কে নিয়ে বিভিন্ন শিাপ্রতিষ্ঠানে কিছু কুলাঙ্গার শিকের কুরুচিপূর্ণ মত প্রকাশের পরও কোনো দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা না নেয়, বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্যক্রম থেকে ইসলাম শিা বাদ দেয়, দেশের আলেম সমাজের ওপর অকথ্য নির্যাতন করে, বিভিন্ন শিাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের বোরকা পরতে বাধা দিলে সরকারের মুখে আঙুল দিয়ে মুচকি হাসে, বিনা কারণে দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পর্দানশিন ছাত্রীদের কারাগারে পাঠায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় ক্যাডারদের ধর্ষণের শতক পালনে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে, নিজেদের পরিবারে আন্তঃধর্ম বিবাহ চর্চা করে, দেশের সম্পদ লুণ্ঠনকারীদের যথার্থ বিচারের মুখোমুখি না করে, জনমানুষের সুবিচার নিশ্চিত না করে, সাংবাদিক হত্যার সুষ্ঠু বিচার না করে, নিজেদের অসাম্প্রদায়িক দাবি করা সত্ত্বেও অন্য ধর্মাবলম্বী ও অন্য মতাবলম্বীকে অন্যায়ভাবে দলীয় লোক দিয়ে হত্যা করে, এক কথায় মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত না করে, তবে কি সে ‘ধর্ম ব্যবসায়ী’ নয়?
লেখক : শিার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
ridwanullah88@gmail.com
ধর্ম ব্যবসায় বলতে যদি আমরা সূরা আসসাফ : ১০ ও ১১ আয়াতের এই ব্যবসায় ধরি, তবে এতেই নিহিত রয়েছে চিরকল্যাণ, কোনো মহাজ্ঞানী তা উপলব্ধি করুন আর না-ই করুন। অর্থাৎ আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি ঈমান আনা এবং আল্লাহর পথে ধনসম্পদ ও জীবন পণ করে জেহাদ করাই সর্বোত্তম ব্যবসায়।
আর যদি এটা ব্যঙ্গাত্মক অর্থে ধরি, তাহলে বলবÑ যারা ধর্মের কথা মুখে বলে সাধু সাজেন কিন্তু কাজে বিধর্মী তারা ধর্ম ব্যবসায়ী, নাকি যারা ধর্মের কথা মুখে বলে ও তা কাজে বাস্তবায়নের আপ্রাণ চেষ্টা চালায় তারা ধর্ম ব্যবসায়ী? উত্তর সোজা, নিশ্চয়ই তারাই ধর্ম ব্যবসায়ী যারা ধর্মের কথা মুখে বলে কিন্তু কাজে বিধর্মী। যেমনÑ একজন দাড়িবিহীন ব্যক্তি দাড়িওয়ালা ব্যক্তিকে বলল ‘ধর্ম ব্যবসায়ী’, তবে কে হবে ‘ধর্ম ব্যবসায়ী’? বিধর্মী কার্যক্রম দেখলে বিবেক নাড়া দেয় না বরং ইসলামি দলগুলোর কোনো কাজ দেখলে কিংবা সামান্য কোনো ভুল চোখে ধরা পড়লে লেখনীর মাধ্যমে তিলকে তাল করে প্রভুদের উদ্দেশ্য হাছিলে উঠেপড়ে লাগে, তবে কি সে ‘ধর্ম ব্যবসায়ী’ নয়? এ েেত্র কিছু লেবাসধারী আলেমও কম যান না, তারা অন্যের গোলামি করে স্বার্থোদ্ধার করতে ইসলামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিধানের অপব্যাখ্যা করতে একটুও দ্বিধা করেন না। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে দেশের হাক্কানি আলেমদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
আবার কোনো দল যদি নিজেদের একমাত্র সঠিক ও ধর্মভীরু দাবি করে কিন্তু কাজে দেখা যায় ভিন্ন চরিত্রে, যেমনÑ পবিত্র কুরআন-হাদিস ভস্মীভূত করে, পবিত্র কুরআনের হাফেজকে হত্যা কিংবা নির্বিচারে মানুষ হত্যা, গুম, খুন করে, কুকুরের মাথায় টুপি পরায়, দল কিংবা দেশের সংবিধান থেকে ইসলামকে নির্বাসন দেয়, হিন্দুদের পূজা অনুষ্ঠানে ইসলামি আকিদা পরিপন্থী বক্তব্য দেয়, রামুর ঘটনা ঘটার আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে পবিত্র কুরআন ও রাসূল সা:কে নিয়ে বিভিন্ন শিাপ্রতিষ্ঠানে কিছু কুলাঙ্গার শিকের কুরুচিপূর্ণ মত প্রকাশের পরও কোনো দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা না নেয়, বিভিন্ন শ্রেণীর পাঠ্যক্রম থেকে ইসলাম শিা বাদ দেয়, দেশের আলেম সমাজের ওপর অকথ্য নির্যাতন করে, বিভিন্ন শিাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের বোরকা পরতে বাধা দিলে সরকারের মুখে আঙুল দিয়ে মুচকি হাসে, বিনা কারণে দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পর্দানশিন ছাত্রীদের কারাগারে পাঠায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় ক্যাডারদের ধর্ষণের শতক পালনে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে, নিজেদের পরিবারে আন্তঃধর্ম বিবাহ চর্চা করে, দেশের সম্পদ লুণ্ঠনকারীদের যথার্থ বিচারের মুখোমুখি না করে, জনমানুষের সুবিচার নিশ্চিত না করে, সাংবাদিক হত্যার সুষ্ঠু বিচার না করে, নিজেদের অসাম্প্রদায়িক দাবি করা সত্ত্বেও অন্য ধর্মাবলম্বী ও অন্য মতাবলম্বীকে অন্যায়ভাবে দলীয় লোক দিয়ে হত্যা করে, এক কথায় মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত না করে, তবে কি সে ‘ধর্ম ব্যবসায়ী’ নয়?
লেখক : শিার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
ridwanullah88@gmail.com
No comments