জাতিসংঘের প্রতিবেদন-ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার আহবান
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের এক প্রতিবেদনে অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলি নীতি ও তৎপরতার জন্য ইহুদি রাষ্ট্রটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানো হয়েছে। ইসরায়েলের হারেৎজ পত্রিকায় গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে।
১৯৬৭ সালের পর সবচেয়ে কঠোর ভাষায় ইসরায়েলের সমালোচনা করা হয়েছে এ তদন্ত প্রতিবেদনে। আগামী ১৮ মার্চ ৪৭ সদস্যের মানবাধিকার কমিশনের (ইউএনএইচআরসি) বৈঠকে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হবে। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ এ প্রতিবেদনকে স্বাগত জানালেও ইসরায়েল তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
প্রতিবেদনে অধিকৃত ভূখণ্ডে অব্যাহতভাবে বসতি নির্মাণের জন্য ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করতে বিভিন্ন দেশের সরকার ও বেসকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
ইউএনএইচআরসি গত বছর মার্চে তিন সদস্যের সত্যানুসন্ধানী ওই কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রধান ফ্রান্সের বিচারক ক্রিস্তিন শ্যানেত গত বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিবেদন প্রসঙ্গে বলেন, 'এই কমিটি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আন্তর্জাতিক আইনের ব্যাপারে তাদের দায়বদ্ধতা পালনের আহ্বান জানাচ্ছে। সদস্য দেশগুলোর উচিত, আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গকারী রাষ্ট্রের (ইসরায়েল) সঙ্গে তাদের সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করা। বিশেষ করে ইসরায়েলের আইন লঙ্ঘনের কারণে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা মেনে নেওয়া ঠিক হবে না।' শ্যানেত আরো বলেন, 'অধিকৃত অঞ্চলে তাদের তৎপরতার কারণে মানবাধিকারের ওপর যে প্রভাব পড়ছে তার মূল্যায়ন করতে হবে বেসরকারি কম্পানিগুলোকে। ব্যবসায়ীদের উচিত অধিকৃত এলাকায় ইহুদি বসতি থেকে তাঁদের ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়া; যাতে আন্তর্জাতিক আইনানুসারে ফিলিস্তিনি জনগণের মানবাধিকার নিশ্চিত করা যায়।'
অধিকৃত ভূখণ্ডে ইসরায়েলের প্রায় আড়াই শ বসতিতে পাঁচ লাখ ২০ হাজার ইহুদি বসবাস করে। প্রতিবেদনে পূর্বশর্ত ছাড়াই অধিকৃত ভূখণ্ড থেকে সব বসতি সরিয়ে নিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এতে অভিযোগ করা হয়, ইহুদি বসতিগুলো প্রতিদিন ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। অধিকৃত ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) আইনানুসারে যুদ্ধাপরাধ। ফিলিস্তিন মুক্তি সংগঠন পিএলওর নির্বাহী কমিটির সদস্য হানান আশরাবি এ প্রতিবেদন প্রসঙ্গে বলেন, ইসরায়েল যে ফিলিস্তিনিদের গোষ্ঠীগতভাবে নির্মূল করতে চাইছে এ প্রতিবেদনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান তারই প্রমাণ। ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়েগাল পালমোর এক বিবৃতিতে বলেন, 'ইসরায়েল প্রসঙ্গে মানবাধিকার পরিষদের অবস্থান পক্ষপাতদুষ্ট।'
প্রতিবেদনে অধিকৃত ভূখণ্ডে অব্যাহতভাবে বসতি নির্মাণের জন্য ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনা করতে বিভিন্ন দেশের সরকার ও বেসকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
ইউএনএইচআরসি গত বছর মার্চে তিন সদস্যের সত্যানুসন্ধানী ওই কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রধান ফ্রান্সের বিচারক ক্রিস্তিন শ্যানেত গত বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিবেদন প্রসঙ্গে বলেন, 'এই কমিটি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আন্তর্জাতিক আইনের ব্যাপারে তাদের দায়বদ্ধতা পালনের আহ্বান জানাচ্ছে। সদস্য দেশগুলোর উচিত, আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গকারী রাষ্ট্রের (ইসরায়েল) সঙ্গে তাদের সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করা। বিশেষ করে ইসরায়েলের আইন লঙ্ঘনের কারণে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা মেনে নেওয়া ঠিক হবে না।' শ্যানেত আরো বলেন, 'অধিকৃত অঞ্চলে তাদের তৎপরতার কারণে মানবাধিকারের ওপর যে প্রভাব পড়ছে তার মূল্যায়ন করতে হবে বেসরকারি কম্পানিগুলোকে। ব্যবসায়ীদের উচিত অধিকৃত এলাকায় ইহুদি বসতি থেকে তাঁদের ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়া; যাতে আন্তর্জাতিক আইনানুসারে ফিলিস্তিনি জনগণের মানবাধিকার নিশ্চিত করা যায়।'
অধিকৃত ভূখণ্ডে ইসরায়েলের প্রায় আড়াই শ বসতিতে পাঁচ লাখ ২০ হাজার ইহুদি বসবাস করে। প্রতিবেদনে পূর্বশর্ত ছাড়াই অধিকৃত ভূখণ্ড থেকে সব বসতি সরিয়ে নিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এতে অভিযোগ করা হয়, ইহুদি বসতিগুলো প্রতিদিন ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। অধিকৃত ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) আইনানুসারে যুদ্ধাপরাধ। ফিলিস্তিন মুক্তি সংগঠন পিএলওর নির্বাহী কমিটির সদস্য হানান আশরাবি এ প্রতিবেদন প্রসঙ্গে বলেন, ইসরায়েল যে ফিলিস্তিনিদের গোষ্ঠীগতভাবে নির্মূল করতে চাইছে এ প্রতিবেদনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান তারই প্রমাণ। ইসরায়েল তাৎক্ষণিকভাবে এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইয়েগাল পালমোর এক বিবৃতিতে বলেন, 'ইসরায়েল প্রসঙ্গে মানবাধিকার পরিষদের অবস্থান পক্ষপাতদুষ্ট।'
No comments