এক বছরেও ফিরে আসেননি ইবির অপহৃত দুই শিবির নেতা- কান্না থামেনি পরিবারে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই মেধাবী ছাত্রশিবির নেতা ওয়ালীউল্লাহ ও আল মুকাদ্দেস অপহরণের এক বছর অতিবাহিত হচ্ছে আজ।
গত
বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি সাভার নবীনগরে হানিফ পরিবহন থেকে র্যাব-৪ ইউনিটের
পোশাক পরিহিত ও ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাদের নামিয়ে নেয়া হয়। এর পর থেকে
তাদের আর সন্ধান মেলেনি। এক বছর অতিবাহিত হলেও কান্না থামেনি দুই পরিবারের
সদস্যদের। তাদের স্মরণে আজ ইবিতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে
দুই বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
দুই ছাত্রের পরিবার ও ছাত্রশিবির সূত্রে জানা যায়, ইবি ছাত্রশিবিরের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আল মুকাদ্দাস গত বছর ২ ফেব্রুয়ারি ও অর্থ সম্পাদক ওয়ালীউল্লাহ ৩ ফেব্রুয়ারি ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় যান। উভয়ে ঢাকায় কাজ শেষে ৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টায় হানিফ এন্টারপ্রাইজের কল্যাণপুর কাউন্টার থেকে ক্যাম্পাসে আসার উদ্দেশে ঝিনাইদহ-৩৭৫০ নম্বর গাড়ির টিকিট কাটেন। তারা গাড়ির সি-১ ও সি-২ সিটে বসে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন। গাড়িটি রাত সাড়ে ১২টা থেকে ১টার মাঝামাঝি সময়ে নবীনগর পৌঁছলে র্যাব-৪-এর পরিচয় দিয়ে গাড়িটি থামানো হয়। এ সময় র্যাবের পোশাক ও সাদা পোশাকধারী ৮-১০ জন গাড়িতে উঠে আল মোকাদ্দাস ও ওয়ালীউল্লাহকে নামিয়ে নিয়ে যায় বলে গাড়ির সুপারভাইজার নিশ্চিত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই মেধাবী ছাত্র অপহৃত হওয়ার সংবাদ ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে তাদের মুক্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও মানববন্ধন, মৌন মিছিল ও প্রশাসন ভবনে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেন। আল মুকাদ্দাস ও ওয়ালীউল্লাহর বৃদ্ধ বাবা-মা সন্তানের খোঁজে দুই মাস ধরে ঢাকায় র্যাবের প্রধান কার্যালয়সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অফিসে ধরনা দেন। প্রথমে তাদের আশ্বস্ত করা হলেও পরে সবাই বিষয়টি এড়িয়ে যায়। এ নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক লেখালেখি ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। তাদের সন্ধান চেয়ে হাইকোর্ট থেকেও রুল জারি করা হয়। দেশী-বিদেশী বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাও এ ঘটনায় র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জড়িত বলে অভিযোগ করে তাদের মুক্তির দাবি করে। কিন্তু বারবারই র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের অপহরণের বিষয়টি অস্বীকার করে।
অপহরণের পর এক বছর অতিবাহিত হলেও কান্না থামেনি দুইপারবারের সদস্যদের। আল মুকাদ্দাস ও ওয়ালীউল্লাহর বৃদ্ধ বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজনেরা আজো জানেন না তারা বেঁচে আছে না মারা গেছে। জানে না কোন অপরাধে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে অধ্যয়ন করা অবস্থায় তাদের গুম করা হলো। কোনো অপরাধ করলে দেশের প্রচলিত আইনে তাদের বিচার করা যেত।
ওয়ালীউল্লার বন্ধু মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, ওয়ালীউল্লাহ বিভাগে ফার্স্টকাস ফার্স্ট ছিল। সে কোনো অপরাধ করতে পারে এটি আমরা সহপাঠীরা কেউ বিশ্বাস করি না। ইসলামী আন্দোলনে সক্রিয় হওয়ায় তাকে গুম করা হয়েছে।
আল মুকদ্দাসের বন্ধু মোঃ জামিরুল ইসলাম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আলোচিত মুখ আল মুকাদ্দাস আনন্দ বিনোদন দিয়ে সবাইকে মাতিয়ে রাখতো। সে অনেক ইসলামী গান ও রম্য নাটক রচনা করেছে। আজ আমরা সবাই আছি, আল মুকাদ্দাস নেইÑ এ কষ্ট ভাষায় প্রকাশ করার নয়।
এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই মেধাবী ছাত্রের স্মরণে আজ ইবিতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে আল ফিকাহ এবং দাওয়া অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
দুই ছাত্রের পরিবার ও ছাত্রশিবির সূত্রে জানা যায়, ইবি ছাত্রশিবিরের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আল মুকাদ্দাস গত বছর ২ ফেব্রুয়ারি ও অর্থ সম্পাদক ওয়ালীউল্লাহ ৩ ফেব্রুয়ারি ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় যান। উভয়ে ঢাকায় কাজ শেষে ৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টায় হানিফ এন্টারপ্রাইজের কল্যাণপুর কাউন্টার থেকে ক্যাম্পাসে আসার উদ্দেশে ঝিনাইদহ-৩৭৫০ নম্বর গাড়ির টিকিট কাটেন। তারা গাড়ির সি-১ ও সি-২ সিটে বসে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন। গাড়িটি রাত সাড়ে ১২টা থেকে ১টার মাঝামাঝি সময়ে নবীনগর পৌঁছলে র্যাব-৪-এর পরিচয় দিয়ে গাড়িটি থামানো হয়। এ সময় র্যাবের পোশাক ও সাদা পোশাকধারী ৮-১০ জন গাড়িতে উঠে আল মোকাদ্দাস ও ওয়ালীউল্লাহকে নামিয়ে নিয়ে যায় বলে গাড়ির সুপারভাইজার নিশ্চিত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই মেধাবী ছাত্র অপহৃত হওয়ার সংবাদ ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে তাদের মুক্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও মানববন্ধন, মৌন মিছিল ও প্রশাসন ভবনে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেন। আল মুকাদ্দাস ও ওয়ালীউল্লাহর বৃদ্ধ বাবা-মা সন্তানের খোঁজে দুই মাস ধরে ঢাকায় র্যাবের প্রধান কার্যালয়সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অফিসে ধরনা দেন। প্রথমে তাদের আশ্বস্ত করা হলেও পরে সবাই বিষয়টি এড়িয়ে যায়। এ নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক লেখালেখি ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। তাদের সন্ধান চেয়ে হাইকোর্ট থেকেও রুল জারি করা হয়। দেশী-বিদেশী বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাও এ ঘটনায় র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জড়িত বলে অভিযোগ করে তাদের মুক্তির দাবি করে। কিন্তু বারবারই র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের অপহরণের বিষয়টি অস্বীকার করে।
অপহরণের পর এক বছর অতিবাহিত হলেও কান্না থামেনি দুইপারবারের সদস্যদের। আল মুকাদ্দাস ও ওয়ালীউল্লাহর বৃদ্ধ বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজনেরা আজো জানেন না তারা বেঁচে আছে না মারা গেছে। জানে না কোন অপরাধে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে অধ্যয়ন করা অবস্থায় তাদের গুম করা হলো। কোনো অপরাধ করলে দেশের প্রচলিত আইনে তাদের বিচার করা যেত।
ওয়ালীউল্লার বন্ধু মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, ওয়ালীউল্লাহ বিভাগে ফার্স্টকাস ফার্স্ট ছিল। সে কোনো অপরাধ করতে পারে এটি আমরা সহপাঠীরা কেউ বিশ্বাস করি না। ইসলামী আন্দোলনে সক্রিয় হওয়ায় তাকে গুম করা হয়েছে।
আল মুকদ্দাসের বন্ধু মোঃ জামিরুল ইসলাম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আলোচিত মুখ আল মুকাদ্দাস আনন্দ বিনোদন দিয়ে সবাইকে মাতিয়ে রাখতো। সে অনেক ইসলামী গান ও রম্য নাটক রচনা করেছে। আজ আমরা সবাই আছি, আল মুকাদ্দাস নেইÑ এ কষ্ট ভাষায় প্রকাশ করার নয়।
এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই মেধাবী ছাত্রের স্মরণে আজ ইবিতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে আল ফিকাহ এবং দাওয়া অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
No comments