ফের মুরসির বিপক্ষে অবস্থান এনএসএফের
মিসরে গত শুক্রবারের ব্যাপক সংঘাতের
পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী জোট ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্ট (এনএসএফ) আবারও
ক্ষমতাসীন ইসলামপন্থীদের উৎখাতের ডাক দিয়েছে।
গত শনিবার
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, 'সম্পূর্ণভাবে জনগণের পক্ষে আছে তারা।' একই সঙ্গে
বিক্ষোভকারীদের 'হত্যা ও নির্যাতনের' অপরাধে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে
বিচারের কাঠগড়ায় তোলার দাবিও জানিয়েছে জোটটি।
এর দুই দিন আগে বৃহস্পতিবার আলোচনার টেবিলে সংকট সমাধানের লক্ষ্যে ক্ষমতাসীন মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছে ছিল এনএসএফ। ফলে পূর্বঘোষিত শুক্রবারের বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে নিজেদের দূরে রাখে তারা। তবে শুক্রবারের মুরসিবিরোধী বিক্ষোভে হতাহতের ঘটনা ঘটার পরিপ্রেক্ষিতে আগের অবস্থানে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জোটের নেতৃত্ব। 'রক্তক্ষয় বন্ধ না হওয়া' পর্যন্ত আলোচনায় বসার বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হবে না বলেও তাঁরা জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার মিসরে একজন নিহত ও ৯১ জন আহত হয়েছে। এ নিয়ে গত কয়েক দিনে দেশটিতে ৬০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
এদিকে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে বিক্ষোভ চলার সময় এক ব্যক্তিকে পেটাতে পেটাতে পুলিশের গাড়িতে তোলার ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। টেলিভিশনসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রচারিত এ-সংক্রান্ত ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, পুলিশ সদস্যরা যখন ওই ব্যক্তিকে পেটাচ্ছিলেন, তখন তিনি বিবস্ত্র ছিলেন। এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইব্রাহিমের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। এনএসএফও এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্তের পর এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মুরসি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহিম বলেন, 'জনগণ চাইলে তিনি পদত্যাগ করবেন।'
প্রসঙ্গত গত ২৫ জানুয়ারি ছিল পতিত স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকবিরোধী বিপ্লবের দুই বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে আগের দিন থেকেই রাস্তায় নামে মুরসিবিরোধীরা। এর পর থেকে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, মুবারকবিরোধী বিপ্লবের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন মুরসি। তাই মুরসির পদত্যাগ চায় তারা।
রুল জারির সময় ফের পেছাল: খসড়া সংবিধান প্রণয়নের জন্য গঠিত সাংবিধানিক পরিষদের বৈধতার প্রশ্নে রুল জারি স্থগিত করেছেন সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত। গতকাল রবিবার রুল জারির কথা ছিল। আাগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত তা স্থগিত করা হয়েছে।
ইসলামপন্থীদের আধিপত্যপুষ্ট পরিষদটি গত ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে খসড়া সংবিধান প্রণয়ন করে। ওই খসড়ার ওপর দুই দফা গণভোট নেওয়ার পর তা গৃহীতও হয়েছে।
পরিষদের বৈধতার প্রশ্নে গত ২ ডিসেম্বর রুল জারির কথা ছিল আদালতের। কিন্তু মুরসির ইসলামপন্থী সমর্থকদের বাধার মুখে ওই দিন বিচারকরা আদালতেই ঢুকতে পারেননি । এ অবস্থায় গত ১৫ জানুয়ারি রুল জারির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু সেদিনও আদালত চত্বর ঘিরে ফেলে মুরসিপন্থীরা। দাঙ্গা পুলিশ তাদের আদালত চত্বরে প্রবেশে বাধা দিলেও সেদিন আদালতের অধিবেশন বসেনি। সূত্র : এএফপি।
এর দুই দিন আগে বৃহস্পতিবার আলোচনার টেবিলে সংকট সমাধানের লক্ষ্যে ক্ষমতাসীন মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছে ছিল এনএসএফ। ফলে পূর্বঘোষিত শুক্রবারের বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে নিজেদের দূরে রাখে তারা। তবে শুক্রবারের মুরসিবিরোধী বিক্ষোভে হতাহতের ঘটনা ঘটার পরিপ্রেক্ষিতে আগের অবস্থানে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জোটের নেতৃত্ব। 'রক্তক্ষয় বন্ধ না হওয়া' পর্যন্ত আলোচনায় বসার বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হবে না বলেও তাঁরা জানিয়েছেন।
গত শুক্রবার মিসরে একজন নিহত ও ৯১ জন আহত হয়েছে। এ নিয়ে গত কয়েক দিনে দেশটিতে ৬০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
এদিকে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে বিক্ষোভ চলার সময় এক ব্যক্তিকে পেটাতে পেটাতে পুলিশের গাড়িতে তোলার ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। টেলিভিশনসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রচারিত এ-সংক্রান্ত ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, পুলিশ সদস্যরা যখন ওই ব্যক্তিকে পেটাচ্ছিলেন, তখন তিনি বিবস্ত্র ছিলেন। এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইব্রাহিমের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। এনএসএফও এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্তের পর এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মুরসি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহিম বলেন, 'জনগণ চাইলে তিনি পদত্যাগ করবেন।'
প্রসঙ্গত গত ২৫ জানুয়ারি ছিল পতিত স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকবিরোধী বিপ্লবের দুই বছর পূর্তি। এ উপলক্ষে আগের দিন থেকেই রাস্তায় নামে মুরসিবিরোধীরা। এর পর থেকে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, মুবারকবিরোধী বিপ্লবের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন মুরসি। তাই মুরসির পদত্যাগ চায় তারা।
রুল জারির সময় ফের পেছাল: খসড়া সংবিধান প্রণয়নের জন্য গঠিত সাংবিধানিক পরিষদের বৈধতার প্রশ্নে রুল জারি স্থগিত করেছেন সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আদালত। গতকাল রবিবার রুল জারির কথা ছিল। আাগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত তা স্থগিত করা হয়েছে।
ইসলামপন্থীদের আধিপত্যপুষ্ট পরিষদটি গত ডিসেম্বরের গোড়ার দিকে খসড়া সংবিধান প্রণয়ন করে। ওই খসড়ার ওপর দুই দফা গণভোট নেওয়ার পর তা গৃহীতও হয়েছে।
পরিষদের বৈধতার প্রশ্নে গত ২ ডিসেম্বর রুল জারির কথা ছিল আদালতের। কিন্তু মুরসির ইসলামপন্থী সমর্থকদের বাধার মুখে ওই দিন বিচারকরা আদালতেই ঢুকতে পারেননি । এ অবস্থায় গত ১৫ জানুয়ারি রুল জারির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু সেদিনও আদালত চত্বর ঘিরে ফেলে মুরসিপন্থীরা। দাঙ্গা পুলিশ তাদের আদালত চত্বরে প্রবেশে বাধা দিলেও সেদিন আদালতের অধিবেশন বসেনি। সূত্র : এএফপি।
No comments