স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ- তারা ক’জন কোর্টে এসে বসুক আর ক’জন জল্লাদখানায় যাকঃ ট্রাইব্যুনাল
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য করার অভিযোগে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীরের প্রতি আদালত অবমাননার রুল জারি
করেছেন ট্রাইব্যুনাল-২।
১০ দিনের মধ্যে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে এবং আগামী ১৪
ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল ট্রাইব্যুনাল-২
বিচারাধীন বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তারা
আসুক কিছুসংখ্যক এখানে বসুক, কিছুসংখ্যক জল্লাদ খানায় যাক, আমরা চলে যাই।
৩১ জানুয়ারি মিসরের কায়রোতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক বক্তৃতায় বলেছেন, চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর রায় চূড়ান্ত। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে একটি মামলায় ট্রাইব্যুনালের দ্বিতীয় রায় হবে এবং ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর মামলার রায় হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তৃতার রিপোর্ট গত ২ ফেব্রুয়ারি শনিবার প্রকাশিত নয়া দিগন্ত ও সংগ্রাম এবং পরদিন রোববার আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
বিবাদি পক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম গতকাল সকালে ট্রাইব্যুনাল-২-এ পত্রিকা তিনটি উপস্থাপন করলে ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনি এ বিষয়ে একটি আবেদন জমা দেন; আমরা দেখব। জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, অপনারা এ বিষয়ে একটি সুয়োমোটো আদেশ দিয়েছেন তাই আমি আবেদন করতে চাই না। এরপর ট্রাইব্যুনাল পত্রিকাগুলো গ্রহণ করে বেলা ২টায় আদেশের জন্য ধার্য করেন।
দুপুরে ট্রাইব্যুনাল তার আদেশে বলেন, যদি তিনি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীর) মিসরের রাজাধানী কায়রোতে রাষ্ট্রীয় মিশনে গিয়ে গত ৩১ জানুয়ারি এই মন্তব্য করে থাকেন তবে তাকে তার বক্তৃতার ব্যাখা দিতে হবে। এ রকম মন্তব্য ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কাজে হস্তক্ষেপের সমান। আদালত আরো বলেন, ট্রাইব্যুনাল বিষয়ে রাজনীতিবিদেরা বিভিন্ন মন্তব্য করতে পারেন তবে ট্রাইব্যুনালের মান ক্ষুণœœ হয় এমন মন্তব্য থেকে সবাই বিরত থাকবেন।
মিসরে গিয়ে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীর ট্রাইব্যুনালের বিচারিক বিষয়ে মন্তব্য করেন। ওই বিষয়টি অ্যাডভোকটে তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালের নজরে আনেন।
অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়বেন এম কে আনোয়ারঃ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার নিয়ে মন্তব্য করায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের ব্যাখ্যা চেয়ে ট্রাইব্যুনালের জারি করা নোটিশের বিরুদ্ধে এই সংসদ সদস্য আইনি লড়াই চালাবেন বলে জানান তার আইনজীবী। গতকাল আদালতে এম কে আনোয়ারের অবমাননার এই মামলায় লড়ার জন্য তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মুন্সী আহসান কবীর ওকালতনামা জমা দেন এবং তিনি তার পক্ষে আইনি লড়াই চালাবেন বলে আবেদন জমা দেন।
গতকাল ব্যারিস্টার মুন্সী আহসান কবীর এ বিষয়ে শুনানির প্রস্তুতির জন্য আট সপ্তাহ সময় প্রার্থনা ট্রাইব্যুনাল ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেন।
গত ২৪ জানুয়ারি এম আনোয়ারকে ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কে দেয়া বক্তব্যের জবাব দিতে বলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। গত ২০ জানুয়ারি মাওলানা আবুল কালাম আযাদের মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হয়। ওই দিন ঢাকায় এক আলোচনা সভায় এম কে আনোয়ার বলেন, সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে প্রহসনের বিচার করছে। তার এই বক্তব্য ২১ জানুয়ারি প্রথম আলো, নয়া দিগন্ত, দৈনিক সমকাল, দৈনিক সংগ্রাম ও বিডি নিউজ ২৪ ডট কমে প্রচার করা হয়। এম কে আনোয়ারের ওই বক্তব্যে ট্রাইব্যুনালকে হেয় করা হয়েছে উল্লেখ করে গত বুধবার প্রসিকিউটার রানা দাসগুপ্ত একটি আবেদন দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিষয়ে আদেশ দিয়ে সাত দিনের মধ্যে আইনজীবীর মাধ্যমে এম কে আনোয়ারের বক্তব্যের জবাব দিতে বলেন।
৩১ জানুয়ারি মিসরের কায়রোতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক বক্তৃতায় বলেছেন, চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর রায় চূড়ান্ত। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে একটি মামলায় ট্রাইব্যুনালের দ্বিতীয় রায় হবে এবং ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর মামলার রায় হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তৃতার রিপোর্ট গত ২ ফেব্রুয়ারি শনিবার প্রকাশিত নয়া দিগন্ত ও সংগ্রাম এবং পরদিন রোববার আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
বিবাদি পক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম গতকাল সকালে ট্রাইব্যুনাল-২-এ পত্রিকা তিনটি উপস্থাপন করলে ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনি এ বিষয়ে একটি আবেদন জমা দেন; আমরা দেখব। জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, অপনারা এ বিষয়ে একটি সুয়োমোটো আদেশ দিয়েছেন তাই আমি আবেদন করতে চাই না। এরপর ট্রাইব্যুনাল পত্রিকাগুলো গ্রহণ করে বেলা ২টায় আদেশের জন্য ধার্য করেন।
দুপুরে ট্রাইব্যুনাল তার আদেশে বলেন, যদি তিনি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীর) মিসরের রাজাধানী কায়রোতে রাষ্ট্রীয় মিশনে গিয়ে গত ৩১ জানুয়ারি এই মন্তব্য করে থাকেন তবে তাকে তার বক্তৃতার ব্যাখা দিতে হবে। এ রকম মন্তব্য ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কাজে হস্তক্ষেপের সমান। আদালত আরো বলেন, ট্রাইব্যুনাল বিষয়ে রাজনীতিবিদেরা বিভিন্ন মন্তব্য করতে পারেন তবে ট্রাইব্যুনালের মান ক্ষুণœœ হয় এমন মন্তব্য থেকে সবাই বিরত থাকবেন।
মিসরে গিয়ে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীর ট্রাইব্যুনালের বিচারিক বিষয়ে মন্তব্য করেন। ওই বিষয়টি অ্যাডভোকটে তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালের নজরে আনেন।
অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়বেন এম কে আনোয়ারঃ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার নিয়ে মন্তব্য করায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের ব্যাখ্যা চেয়ে ট্রাইব্যুনালের জারি করা নোটিশের বিরুদ্ধে এই সংসদ সদস্য আইনি লড়াই চালাবেন বলে জানান তার আইনজীবী। গতকাল আদালতে এম কে আনোয়ারের অবমাননার এই মামলায় লড়ার জন্য তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মুন্সী আহসান কবীর ওকালতনামা জমা দেন এবং তিনি তার পক্ষে আইনি লড়াই চালাবেন বলে আবেদন জমা দেন।
গতকাল ব্যারিস্টার মুন্সী আহসান কবীর এ বিষয়ে শুনানির প্রস্তুতির জন্য আট সপ্তাহ সময় প্রার্থনা ট্রাইব্যুনাল ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেন।
গত ২৪ জানুয়ারি এম আনোয়ারকে ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কে দেয়া বক্তব্যের জবাব দিতে বলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। গত ২০ জানুয়ারি মাওলানা আবুল কালাম আযাদের মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হয়। ওই দিন ঢাকায় এক আলোচনা সভায় এম কে আনোয়ার বলেন, সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে প্রহসনের বিচার করছে। তার এই বক্তব্য ২১ জানুয়ারি প্রথম আলো, নয়া দিগন্ত, দৈনিক সমকাল, দৈনিক সংগ্রাম ও বিডি নিউজ ২৪ ডট কমে প্রচার করা হয়। এম কে আনোয়ারের ওই বক্তব্যে ট্রাইব্যুনালকে হেয় করা হয়েছে উল্লেখ করে গত বুধবার প্রসিকিউটার রানা দাসগুপ্ত একটি আবেদন দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল-২ এ বিষয়ে আদেশ দিয়ে সাত দিনের মধ্যে আইনজীবীর মাধ্যমে এম কে আনোয়ারের বক্তব্যের জবাব দিতে বলেন।
No comments