বইয়ের মেলা প্রাণের মেলা- ছিমছাম, স্বস্তির আবহ by আশীষ-উর-রহমান
প্রত্যাশা যেমন ছিল, অমর একুশের
গ্রন্থমেলার পরিবেশ প্রথম তিন দিন তেমনই ছিল। হুজ্জত-হাঙ্গামা নেই। ছিমছাম
আবহ। নামমাত্র প্রকাশনা নিয়ে মেলার মাঠে স্টল দিয়ে বসা সংস্থাগুলোকে স্থান
দেওয়া হয়নি বলে ভেতরে চলাচলের পরিসরও খানিকটা বেড়েছে।
বাইরের পথটি বারোয়ারি পণ্যের পসরামুক্ত করায় মেলায় যাতায়াত করা
প্রকৃতপক্ষেই স্বস্তিকর হয়েছে এবার। সামনে এখনো সারা মাস পড়ে আছে। পথটিকে
হকারমুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত শেষাবধি কার্যকর রাখা যাবে কি না, সে বিষয়ে
একেবারে নিঃসন্দেহ হওয়া যাচ্ছে না। কারণ, সন্ধ্যার আবছায়া নেমে আসতেই
টিএসসির আশপাশ দিয়ে ইতিমধ্যে একটি-দুটি করে দোকান বিছিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে।
নিরাপত্তারক্ষীরা ঢিলেঢালা ভাব দেখালে এই পসরা যে সম্প্রসারিত হবে, তা
বলাই বাহুল্য।
এখানে আসি ঋণ শোধ করতে: সন্ধ্যায় মেলায় এসেছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কবি অমৃত মাইতি। জাতীয় কবিতা পরিষদের কবিতা উৎসবে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ২০০৫ সাল থেকে নিয়মিতই আসছেন এই প্রবীণ কবি। কবিতা উৎসব শেষ হলেও এখানে আরও কয়েকটি দিন থেকে যাবেন। তিনি বললেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আন্দামানের কারাগার ও বাংলাদেশকে তীর্থস্থান বলে মনে করি। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন করে আন্দামানের কারাগারে ভয়ানক নির্যাতিত হয়েছিলেন স্বাধীনতাসংগ্রামীরা। আর এই বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশকে স্বাধীন করেছে। তাদের একটি নিজস্ব দেশ আছে, ভাষা আছে, স্বাধীনতা আছে। বাংলা ভাষার প্রতি আমাদের আবেগ, ভালোবাসা যতই থাক, এটা তো সত্যি যে আমরা এর জন্য রক্ত দিইনি, কোনো ত্যাগ স্বীকার করিনি, যা এ দেশের মানুষ করেছে। তাই প্রতিবছর এ দেশে আসি ঋণ শোধ করতে। আসি তীর্থ ভ্রমণের মতো, নতমস্তকে।’ নির্বাচিত অমৃত মাইতি নামে তাঁর একটি বড় আকারের বই এবার প্রকাশিত হয়েছে কলকাতা বইমেলায়। ঢাকার বইমেলা সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়ন, এই মেলায় লোক দেখানো বিষয়টি নেই। লোকে এখানে আসে প্রাণের টানে। ভাষার প্রতি ভালোবাসা থেকে। এই অনুভূতিই ঢাকার মেলাকে অনন্যতা দিয়েছে।
মেলামঞ্চে: ‘বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতি রূপান্তরের ধারা’ শীর্ষক সেমিনার ছিল গতকাল। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মেঘনা গুহঠাকুরতা। সভাপতিত্ব করেন ইতিহাসবিদ সিরাজুল ইসলাম। আলোচনা করেন রবিউল ইসলাম ও মুজতবা আহমেদ মুরশেদ। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশকে বুঝতে হলে আত্মস্থ করতে হবে এর আবহমান ভাষাগত, ধর্মীয় ও আঞ্চলিক বৈচিত্র্যকে। সমাজ-সংস্কৃতির রূপান্তর কোনো একমাত্রিক আলোচনার বিষয় নয়। এর সঙ্গে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক পরিসর অনিবার্যভাবে সংশ্লিষ্ট। স্বাধীনতার ৪০ বছরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র তার ধর্মনিরপেক্ষ উদার-সহিষ্ণু-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বোধের জন্য যেমন গর্ব করতে পারে, তেমনি পশ্চাৎগামী মূল্যবোধের ক্রমবিকাশ একটি বিরাট শঙ্কারও কারণ।
সন্ধ্যায় ছিল রবীন্দ্রসংগীতের অনুষ্ঠান। শ্রোতাদের গান শোনান শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, মিতা হক, তপন মাহমুদ, ফাহিম হোসেন চৌধুরী ও মহিউজ্জামান চৌধুরী। আবৃত্তি করেন লায়লা আফরোজ ও মাহিদুল ইসলাম।
আজব ও জবর-আজব: আজব, আজগুবি এসব জিনিসের প্রতি হয়তো একটু বেশিই কৌতূহল থাকে মানুষের। দেশের অর্থনীতি নিয়ে যেসব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে, সরস ভঙ্গিতে তার উপস্থাপন করেছেন আকবর আলি খান। আজব ও জবর-আজব অর্থনীতি নামের তাঁর এই বই নজর কেড়েছে পাঠকের। প্রথমার স্টলে গতকাল ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে ছিল বইটি। এ ছাড়া গতকাল প্রথমায় নতুন এসেছে সৈয়দ আবুল মকসুদের রবীন্দ্রনাথের ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন। স্টলের বিক্রয় প্রতিনিধিরা জানালেন, এ ছাড়া প্রথমার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বইগুলোও বিক্রি হয়েছে।
মোড়ক উন্মোচন ও নতুন বই: নজরুল মঞ্চে গতকাল বেশ কয়েকটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। এর মধ্যে দ্য রয়েল পাবলিশার্স থেকে নিউইয়র্ক-প্রবাসী সাংবাদিক দর্পণ কবীরের উপন্যাস ফেরারী বসন্ত-এর মোড়ক উন্মোচন করেন ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন, অঙ্কুর থেকে প্রকাশিত রাশেদ রাফির ব্রিটেনে প্রবাসীদের জীবনযাত্রা ও সেখানকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গ্রন্থ শিশুফুল-এর মোড়ক উন্মোচন করেন জনস্বাস্থ্য গবেষক শাহেরুল হুদা। ভাষাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত দিলদার হোসেনের প্রবন্ধগ্রন্থ সঙ্গীতের প্রিয় মানুষেরার মোড়ক উন্মোচন করেন সাইমন জাকারিয়া।
তথ্যকেন্দ্রের তালিকা অনুসারে গতকাল মেলায় নতুন বই এসেছে ৯৫টি। উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে ছিল: যুক্ত প্রকাশনী থেকে হাসান আজিজুল হকের লন্ডন ডায়রি; আগামী থেকে হাসনাত আবদুল হাইয়ের উপন্যাস নটে গাছ, আনিসুল হকের রম্য এই যন্ত্র লইয়া আমরা কি করিব; অনুপম থেকে যতীন সরকারের প্রবন্ধ যুগান্তরের ঘূর্ণিপাক ও বাংলাদেশের উপন্যাস; নান্দনিক থেকে আহমাদ মোস্তফা কামালের গল্প একলা থাকার গল্প; অক্ষর থেকে মহাদেব সাহার নির্বাচিত ৩০০ কবিতা; অ্যাডর্ন থেকে আবুল হাশিমের আমার জীবন ও বিভাগপূর্ব বাংলাদেশের রাজনীতি; ঐতিহ্য থেকে খুদে লেখকদের গল্প নিয়ে ঐতিহ্য-গোল্লাছুট প্রথম আলো গল্পলেখা প্রতিযোগিতার সেরা গল্প; কামাল পাশার গৃহনির্মাণ ও আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে নির্মাণ করি সুন্দর বাড়ি; বুকস ফেয়ার থেকে তারেক শামসুর রেহমানের প্রবন্ধ বাংলাদেশের রাজনীতির ৪০ বছর; অবসর থেকে চার্বাক ও হিউমের দর্শনবিষয়ক প্রবন্ধ ভারতীয় ও পাশ্চাত্য জ্ঞানবিদ্যা; এ কে আজাদের আইনবিষয়ক বই সবার জন্য আইন; অনিন্দ্য থেকে হামিদ কায়সারের উপন্যাস তুমি আর নেই সে তুমি; এশিয়া পাবলিকেশন থেকে নীলকমল বিশ্বাসের প্রবন্ধ গোলাম আযম ও গণ-আদালত। এ ছাড়া অন্যপ্রকাশ থেকে এসেছে বেশ কয়েকটি নতুন বই। এর মধ্যে রয়েছে মোহাম্মদ হান্নানের হুমায়ূন আহমেদের ধর্মচেতনা ও মৃত্যুচিন্তা। পূরবী বসুর নিউইয়র্কে হুমায়ূন আহমেদের চিকিৎসা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ।
এখানে আসি ঋণ শোধ করতে: সন্ধ্যায় মেলায় এসেছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কবি অমৃত মাইতি। জাতীয় কবিতা পরিষদের কবিতা উৎসবে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ২০০৫ সাল থেকে নিয়মিতই আসছেন এই প্রবীণ কবি। কবিতা উৎসব শেষ হলেও এখানে আরও কয়েকটি দিন থেকে যাবেন। তিনি বললেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আন্দামানের কারাগার ও বাংলাদেশকে তীর্থস্থান বলে মনে করি। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন করে আন্দামানের কারাগারে ভয়ানক নির্যাতিত হয়েছিলেন স্বাধীনতাসংগ্রামীরা। আর এই বাংলাদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশকে স্বাধীন করেছে। তাদের একটি নিজস্ব দেশ আছে, ভাষা আছে, স্বাধীনতা আছে। বাংলা ভাষার প্রতি আমাদের আবেগ, ভালোবাসা যতই থাক, এটা তো সত্যি যে আমরা এর জন্য রক্ত দিইনি, কোনো ত্যাগ স্বীকার করিনি, যা এ দেশের মানুষ করেছে। তাই প্রতিবছর এ দেশে আসি ঋণ শোধ করতে। আসি তীর্থ ভ্রমণের মতো, নতমস্তকে।’ নির্বাচিত অমৃত মাইতি নামে তাঁর একটি বড় আকারের বই এবার প্রকাশিত হয়েছে কলকাতা বইমেলায়। ঢাকার বইমেলা সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়ন, এই মেলায় লোক দেখানো বিষয়টি নেই। লোকে এখানে আসে প্রাণের টানে। ভাষার প্রতি ভালোবাসা থেকে। এই অনুভূতিই ঢাকার মেলাকে অনন্যতা দিয়েছে।
মেলামঞ্চে: ‘বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতি রূপান্তরের ধারা’ শীর্ষক সেমিনার ছিল গতকাল। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মেঘনা গুহঠাকুরতা। সভাপতিত্ব করেন ইতিহাসবিদ সিরাজুল ইসলাম। আলোচনা করেন রবিউল ইসলাম ও মুজতবা আহমেদ মুরশেদ। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশকে বুঝতে হলে আত্মস্থ করতে হবে এর আবহমান ভাষাগত, ধর্মীয় ও আঞ্চলিক বৈচিত্র্যকে। সমাজ-সংস্কৃতির রূপান্তর কোনো একমাত্রিক আলোচনার বিষয় নয়। এর সঙ্গে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক পরিসর অনিবার্যভাবে সংশ্লিষ্ট। স্বাধীনতার ৪০ বছরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র তার ধর্মনিরপেক্ষ উদার-সহিষ্ণু-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বোধের জন্য যেমন গর্ব করতে পারে, তেমনি পশ্চাৎগামী মূল্যবোধের ক্রমবিকাশ একটি বিরাট শঙ্কারও কারণ।
সন্ধ্যায় ছিল রবীন্দ্রসংগীতের অনুষ্ঠান। শ্রোতাদের গান শোনান শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, মিতা হক, তপন মাহমুদ, ফাহিম হোসেন চৌধুরী ও মহিউজ্জামান চৌধুরী। আবৃত্তি করেন লায়লা আফরোজ ও মাহিদুল ইসলাম।
আজব ও জবর-আজব: আজব, আজগুবি এসব জিনিসের প্রতি হয়তো একটু বেশিই কৌতূহল থাকে মানুষের। দেশের অর্থনীতি নিয়ে যেসব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে, সরস ভঙ্গিতে তার উপস্থাপন করেছেন আকবর আলি খান। আজব ও জবর-আজব অর্থনীতি নামের তাঁর এই বই নজর কেড়েছে পাঠকের। প্রথমার স্টলে গতকাল ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে ছিল বইটি। এ ছাড়া গতকাল প্রথমায় নতুন এসেছে সৈয়দ আবুল মকসুদের রবীন্দ্রনাথের ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন। স্টলের বিক্রয় প্রতিনিধিরা জানালেন, এ ছাড়া প্রথমার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বইগুলোও বিক্রি হয়েছে।
মোড়ক উন্মোচন ও নতুন বই: নজরুল মঞ্চে গতকাল বেশ কয়েকটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। এর মধ্যে দ্য রয়েল পাবলিশার্স থেকে নিউইয়র্ক-প্রবাসী সাংবাদিক দর্পণ কবীরের উপন্যাস ফেরারী বসন্ত-এর মোড়ক উন্মোচন করেন ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন, অঙ্কুর থেকে প্রকাশিত রাশেদ রাফির ব্রিটেনে প্রবাসীদের জীবনযাত্রা ও সেখানকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গ্রন্থ শিশুফুল-এর মোড়ক উন্মোচন করেন জনস্বাস্থ্য গবেষক শাহেরুল হুদা। ভাষাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত দিলদার হোসেনের প্রবন্ধগ্রন্থ সঙ্গীতের প্রিয় মানুষেরার মোড়ক উন্মোচন করেন সাইমন জাকারিয়া।
তথ্যকেন্দ্রের তালিকা অনুসারে গতকাল মেলায় নতুন বই এসেছে ৯৫টি। উল্লেখযোগ্য বইগুলোর মধ্যে ছিল: যুক্ত প্রকাশনী থেকে হাসান আজিজুল হকের লন্ডন ডায়রি; আগামী থেকে হাসনাত আবদুল হাইয়ের উপন্যাস নটে গাছ, আনিসুল হকের রম্য এই যন্ত্র লইয়া আমরা কি করিব; অনুপম থেকে যতীন সরকারের প্রবন্ধ যুগান্তরের ঘূর্ণিপাক ও বাংলাদেশের উপন্যাস; নান্দনিক থেকে আহমাদ মোস্তফা কামালের গল্প একলা থাকার গল্প; অক্ষর থেকে মহাদেব সাহার নির্বাচিত ৩০০ কবিতা; অ্যাডর্ন থেকে আবুল হাশিমের আমার জীবন ও বিভাগপূর্ব বাংলাদেশের রাজনীতি; ঐতিহ্য থেকে খুদে লেখকদের গল্প নিয়ে ঐতিহ্য-গোল্লাছুট প্রথম আলো গল্পলেখা প্রতিযোগিতার সেরা গল্প; কামাল পাশার গৃহনির্মাণ ও আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে নির্মাণ করি সুন্দর বাড়ি; বুকস ফেয়ার থেকে তারেক শামসুর রেহমানের প্রবন্ধ বাংলাদেশের রাজনীতির ৪০ বছর; অবসর থেকে চার্বাক ও হিউমের দর্শনবিষয়ক প্রবন্ধ ভারতীয় ও পাশ্চাত্য জ্ঞানবিদ্যা; এ কে আজাদের আইনবিষয়ক বই সবার জন্য আইন; অনিন্দ্য থেকে হামিদ কায়সারের উপন্যাস তুমি আর নেই সে তুমি; এশিয়া পাবলিকেশন থেকে নীলকমল বিশ্বাসের প্রবন্ধ গোলাম আযম ও গণ-আদালত। এ ছাড়া অন্যপ্রকাশ থেকে এসেছে বেশ কয়েকটি নতুন বই। এর মধ্যে রয়েছে মোহাম্মদ হান্নানের হুমায়ূন আহমেদের ধর্মচেতনা ও মৃত্যুচিন্তা। পূরবী বসুর নিউইয়র্কে হুমায়ূন আহমেদের চিকিৎসা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ।
No comments