গার্মেন্টে এখনো অনিয়ম-শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পে সম্প্রতি
বাংলাদেশে যে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, তা শুধু দেশের নাগরিকদেরই
নয়, উদ্বিগ্ন করে তুলেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও। অব্যাহতভাবে ছোট-বড়
বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটেই চলছিল। পোশাক আমদানিকারকরা এবং শ্রমিক সংগঠনগুলো
অব্যবস্থাপনা নিয়ে সোচ্চার ছিল।
কিন্তু গত নভেম্বরে
তাজরীন গার্মেন্টে ১১২ জন পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর পর গার্মেন্ট ব্যবস্থাপনা
নিয়ে দেশের ভেতর ও বহির্বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। হুমকি এসেছে
ক্রেতাদের কাছ থেকে। এর পরও গত ২৬ জানুয়ারি মোহাম্মদপুরের স্মার্ট
গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে আবার সাত শ্রমিক প্রাণ হারান। গার্মেন্টশিল্পে এখন
শ্রমিকরা এতটাই আতঙ্কগ্রস্ত যে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ড বা দুর্ঘটনার গুজবে তাদের
হুড়োহুড়ি-ছোটাছুটি করতে দেখা যাচ্ছে। কেন এমন বারবার দুঃখজনক ঘটনা ঘটছে,
কোন ধরনের অব্যবস্থাপনা রয়েছে, কেনই বা শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীন, তা বের হয়ে
এসেছে কালের কণ্ঠের এক প্রতিবেদনে। গত ডিসেম্বরে শ্রম অধিদপ্তরের ১৫টি
বিশেষ টিম ৮৪টি গার্মেন্টের গেট বন্ধ দেখতে পান। এতে দেখা যায়, খোদ
বিজিএমইএর সদস্য গার্মেন্টগুলোর ১৫ শতাংশই গেট বন্ধ করে রাখে। চুরির ভয়ে
গেট বন্ধ রেখে গার্মেন্টগুলোকে মৃত্যুপুরী বানানো হয়েছে। তাঁরা দেখতে
পেয়েছেন, কোথাও কোথাও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নিয়ম মানা হয়নি।
কোনোটিতে বিল্ডিং কোড ঠিক নেই। ৪২ ইঞ্চি সিঁড়ি এবং তা সর্বোচ্চ ৪৫ ডিগ্রি
কোণে রাখার কথা থাকলেও কোনোটিতে তা মানা হয়নি। এখানেই শেষ নয়,
গার্মেন্টভিত্তিক প্রধান সংগঠন বিজিএমইএর ২৫ শতাংশ কর্মীকে কোনো নিয়োগপত্র
দেওয়া হয় না।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সবচেয়ে বড় এ খাতে এমন অব্যবস্থা কোনোক্রমেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরনের অব্যবস্থার অর্থ যেমন শ্রমিকের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, তেমনি এ অব্যবস্থা বৈদেশিক আয়কেও ভয়ানকভাবে হুমকির সম্মুখীন করে ফেলতে পারে। এ ব্যাপারে আর কেউ নয়, সরকারকেই সুস্পষ্ট ভূমিকা রাখতে হবে। সরকারের যেসব বিষয়ে এক মুহূর্ত দেরি না করে কার্যকর পদক্ষে নেওয়া দরকার- এর মধ্যে প্রথম ও প্রধান হলো শ্রমিকের ন্যায্য বেতন সঠিক সময়ে পাওয়ার ব্যবস্থা করা, প্রতিটি গার্মেন্টে অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা রাখা, গার্মেন্ট শ্রমিকরা কর্মরত থাকা অবস্থায় বাধ্যতামূলক দরজা বন্ধ না রাখা, দ্রুত বহির্গমনের পথ নিরাপদ ও নিশ্চিত রাখা এবং টাস্কফোর্স গঠন করে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা। এ কয়েকটি বিষয় নিশ্চিত করলে বিদেশি ক্রেতারা আর চাপাচাপি করবেন না। সেই সঙ্গে আরো একটি কাজ জরুরি বলে আমরা মনে করি। বেশ কিছুদিন ধরেই একটি প্রস্তাব আছে ঢাকা শহর থেকে দূরে গার্মেন্ট পল্লী স্থাপনের। আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি, ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকা শহরের পেটের ভেতর থেকে গার্মেন্টশিল্পকে সুনির্দিষ্ট স্থানে সরিয়ে নিতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো আপস বা রাজনৈতিক বিবেচনা করা চলবে না।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সবচেয়ে বড় এ খাতে এমন অব্যবস্থা কোনোক্রমেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরনের অব্যবস্থার অর্থ যেমন শ্রমিকের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, তেমনি এ অব্যবস্থা বৈদেশিক আয়কেও ভয়ানকভাবে হুমকির সম্মুখীন করে ফেলতে পারে। এ ব্যাপারে আর কেউ নয়, সরকারকেই সুস্পষ্ট ভূমিকা রাখতে হবে। সরকারের যেসব বিষয়ে এক মুহূর্ত দেরি না করে কার্যকর পদক্ষে নেওয়া দরকার- এর মধ্যে প্রথম ও প্রধান হলো শ্রমিকের ন্যায্য বেতন সঠিক সময়ে পাওয়ার ব্যবস্থা করা, প্রতিটি গার্মেন্টে অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা রাখা, গার্মেন্ট শ্রমিকরা কর্মরত থাকা অবস্থায় বাধ্যতামূলক দরজা বন্ধ না রাখা, দ্রুত বহির্গমনের পথ নিরাপদ ও নিশ্চিত রাখা এবং টাস্কফোর্স গঠন করে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা। এ কয়েকটি বিষয় নিশ্চিত করলে বিদেশি ক্রেতারা আর চাপাচাপি করবেন না। সেই সঙ্গে আরো একটি কাজ জরুরি বলে আমরা মনে করি। বেশ কিছুদিন ধরেই একটি প্রস্তাব আছে ঢাকা শহর থেকে দূরে গার্মেন্ট পল্লী স্থাপনের। আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি, ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকা শহরের পেটের ভেতর থেকে গার্মেন্টশিল্পকে সুনির্দিষ্ট স্থানে সরিয়ে নিতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো আপস বা রাজনৈতিক বিবেচনা করা চলবে না।
No comments