পদ্মা সেতু প্রকল্পঃ নিজস্ব অর্থায়ন নিয়ে বিপাকে- নতুন কনসোর্টিয়ামের কথা ভাবছে সরকার by হামিদ সরকার
বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য দাতাসংস্থাগুলো যাওয়ায় পদ্মা বহুমুখী সেতুর
অর্থায়ন নিয়ে বিপাকে সরকার। নিজস্ব অর্থায়নে কাজ শুরু করার কথা বললেও
এখন আবার দাতাসংস্থাগুলোর স্থানীয় প্রতিনিধিদের সাথে বসতে চাইছে সরকার।
এখন
বিকল্প পথও খুঁজছে তারা। অর্থ সংগ্রহে নতুন কনসোর্টিয়াম গঠনের কথাও ভাবছে
সরকার। গতকাল স্থানীয় দাতাদের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি)
পূর্বনির্ধারিত বৈঠক ছিল। তবে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের
(আইএমইডি) তদন্তে বেরিয়ে এসেছে যে, বিভিন্ন জটিলতার কারণেই দাতারা
অর্থায়ন করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। আইএমইডি সচিব বলেন, সরকার বলছে
নিজস্ব অর্থায়নে হবে। কিন্তু কিভাবে হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। কিছু
ক্রয় দরকার ছাড়াই করা হয়েছিল। যা ওই সময় না করলেও হতো। ইআরডি সচিব
জানান, নতুন কনসোর্টিয়ামের ব্যাপারে আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে
জানাবো। অর্থমন্ত্রী স্থানীয় কনসালটেন্টদের সাথেও বসতে পারেন।
জানা যায়, দাতাদের কাছ থেকে অর্থ পাওয়ার আশায় প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। কিন্তু এখন নিজস্ব অর্থায়নে করতে গেলে অনেক ব্যয় কমিয়ে আনতে হবে। রেলের অংশ বাদ দিতে হবে। তাহলে ৫০ শতাংশের মতো ব্যয় কমে যাবে। গত তিন বছরে সরকার এই প্রকল্পের মূল কাজই শুরু করতে পারেনি। বিশ্বব্যাংক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। এখন এডিবি, জাইকা ও আইডিবিও না করে দিয়েছে। সরকারের এক নম্বর এজেন্ডা ছিল এই পদ্মা সেতু। বিশ্বব্যাংক যখন অর্থায়নে নেতিবাচক মনোভাব জানায় তখন নিজস্ব অর্থায়নে চলতি অর্থবছরের জন্য বরাদ্দ রাখা হয় তিন হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে এক হাজার ২৫৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে এক হাজার ১৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা হলো সরকারি। আর আইডিবি অর্থায়ন করবে বিধায় আরপিএ খাতে ব্যয় করা হয় ২৪২ কোটি টাকা। পুরো প্রকল্প ব্যয়ে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন ধরা হয় চার হাজার ২৫৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
নিজস্ব অর্থায়নের ক্ষেত্রে আইএমইডি গত জুলাই মাসে প্রস্তাবনা দিয়েছিল কিভাবে অর্থ পাওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিবি) মোট বরাদ্দের ৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয় না। সেই টাকার পরিমাণ হবে ৯১৮ কোটি টাকা। আর সেতু বিভাগের জন্য বরাদ্দ আছে ৫৭২ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে হয় এক হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। এখন পুরো অর্থায়ন নিজস্ব খাত থেকে করার চিন্তা করা হলেও নতুন করে আবার নকশা করতে হবে। ব্যয় নির্ধারণ করতে হবে। তাতে নির্মাণসামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যেতে পারে বলে আইএমইডি সচিব জানান।
পদ্মা সেতু নিয়ে ইআরডি সচিব বলেন, বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন স্থগিত করলে অন্যরাও তাই করবে। কারণ বিশ্বব্যাংক হলো লিড পার্টনার। নতুন কনসোর্টিয়ামের ব্যাপারে আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাবো।
স্থানীয় দাতা প্রতিনিধিদের (এলসিজি) সাথে বৈঠক শেষে ইআরডি সচিব আবুল কালাম আযাদ সাংবাদিকদের বলেন, এখানে পদ্মা সেতু নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কোনো নির্ধারিত ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয় না। পলিসি নিয়ে আলোচনা হয়। মন্ত্রণালয়গুলোয় কোনো কৌশলগত পরিবর্তন হয়েছে কি না তা তুলে ধরা হয়। অর্থমন্ত্রী তাদের সাথে বসবেন। উনি একটা বিবৃতি দেবেন।
আইএমইডি সচিব এম মোজাম্মেল হক খান জানান, গত আগস্ট মাসে তার বিভাগের পক্ষ থেকে পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে যাওয়া হয়। তাতে দেখা যায়, প্রকল্পের জন্য যেসব গাড়ি কেনা হয় তা ওই সময় কেনার কোনো প্রয়োজন ছিল না। পরে কিনলেও হতো। পরিদর্শনে দেখা গেছে, ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে লোকজনের কিছু অভিযোগ আছে। তারা টাকা পায়নি বলে অভিযোগ করেছিল। এ ছাড়া ঠিকাদারদের মধ্যে কারো কারো চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। এই সব ত্রুটি পাওয়া যায়। আর্থিক কোনো অনিয়ম আমরা পাইনি। এখন কাজ করতে গেলে উন্মুক্ত ও আন্তর্জাতিক টেন্ডার করতে হবে। সেখানে বিদেশীরা আসলে আসবে। তিনি জানান, এ পর্যন্ত কেবল জমি অধিগ্রহণ ও কিছু কেনাকাটা করা হয়েছে। তবে এখনো অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের কাছে কোনো অর্থায়ন পরিকল্পনা চাওয়া হয়নি। নিজস্ব অর্থায়নে করতে হলে অনেক ব্যয় বাদ দিতে হবে। পরামর্শক খাতে যে ব্যয় ধরা হয়েছিল তাও সংশোধন করতে হবে।
জানা যায়, দাতাদের কাছ থেকে অর্থ পাওয়ার আশায় প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। কিন্তু এখন নিজস্ব অর্থায়নে করতে গেলে অনেক ব্যয় কমিয়ে আনতে হবে। রেলের অংশ বাদ দিতে হবে। তাহলে ৫০ শতাংশের মতো ব্যয় কমে যাবে। গত তিন বছরে সরকার এই প্রকল্পের মূল কাজই শুরু করতে পারেনি। বিশ্বব্যাংক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। এখন এডিবি, জাইকা ও আইডিবিও না করে দিয়েছে। সরকারের এক নম্বর এজেন্ডা ছিল এই পদ্মা সেতু। বিশ্বব্যাংক যখন অর্থায়নে নেতিবাচক মনোভাব জানায় তখন নিজস্ব অর্থায়নে চলতি অর্থবছরের জন্য বরাদ্দ রাখা হয় তিন হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে এক হাজার ২৫৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে এক হাজার ১৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা হলো সরকারি। আর আইডিবি অর্থায়ন করবে বিধায় আরপিএ খাতে ব্যয় করা হয় ২৪২ কোটি টাকা। পুরো প্রকল্প ব্যয়ে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন ধরা হয় চার হাজার ২৫৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।
নিজস্ব অর্থায়নের ক্ষেত্রে আইএমইডি গত জুলাই মাসে প্রস্তাবনা দিয়েছিল কিভাবে অর্থ পাওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিবি) মোট বরাদ্দের ৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয় না। সেই টাকার পরিমাণ হবে ৯১৮ কোটি টাকা। আর সেতু বিভাগের জন্য বরাদ্দ আছে ৫৭২ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে হয় এক হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। এখন পুরো অর্থায়ন নিজস্ব খাত থেকে করার চিন্তা করা হলেও নতুন করে আবার নকশা করতে হবে। ব্যয় নির্ধারণ করতে হবে। তাতে নির্মাণসামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যেতে পারে বলে আইএমইডি সচিব জানান।
পদ্মা সেতু নিয়ে ইআরডি সচিব বলেন, বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন স্থগিত করলে অন্যরাও তাই করবে। কারণ বিশ্বব্যাংক হলো লিড পার্টনার। নতুন কনসোর্টিয়ামের ব্যাপারে আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাবো।
স্থানীয় দাতা প্রতিনিধিদের (এলসিজি) সাথে বৈঠক শেষে ইআরডি সচিব আবুল কালাম আযাদ সাংবাদিকদের বলেন, এখানে পদ্মা সেতু নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কোনো নির্ধারিত ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয় না। পলিসি নিয়ে আলোচনা হয়। মন্ত্রণালয়গুলোয় কোনো কৌশলগত পরিবর্তন হয়েছে কি না তা তুলে ধরা হয়। অর্থমন্ত্রী তাদের সাথে বসবেন। উনি একটা বিবৃতি দেবেন।
আইএমইডি সচিব এম মোজাম্মেল হক খান জানান, গত আগস্ট মাসে তার বিভাগের পক্ষ থেকে পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে যাওয়া হয়। তাতে দেখা যায়, প্রকল্পের জন্য যেসব গাড়ি কেনা হয় তা ওই সময় কেনার কোনো প্রয়োজন ছিল না। পরে কিনলেও হতো। পরিদর্শনে দেখা গেছে, ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে লোকজনের কিছু অভিযোগ আছে। তারা টাকা পায়নি বলে অভিযোগ করেছিল। এ ছাড়া ঠিকাদারদের মধ্যে কারো কারো চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। এই সব ত্রুটি পাওয়া যায়। আর্থিক কোনো অনিয়ম আমরা পাইনি। এখন কাজ করতে গেলে উন্মুক্ত ও আন্তর্জাতিক টেন্ডার করতে হবে। সেখানে বিদেশীরা আসলে আসবে। তিনি জানান, এ পর্যন্ত কেবল জমি অধিগ্রহণ ও কিছু কেনাকাটা করা হয়েছে। তবে এখনো অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের কাছে কোনো অর্থায়ন পরিকল্পনা চাওয়া হয়নি। নিজস্ব অর্থায়নে করতে হলে অনেক ব্যয় বাদ দিতে হবে। পরামর্শক খাতে যে ব্যয় ধরা হয়েছিল তাও সংশোধন করতে হবে।
No comments