শর্ত সাপেক্ষে সংলাপে রাজি টিটিপি
পাকিস্তানের নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন
তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি) আবারও সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ
করেছে। তবে এ জন্য কয়েকটি শর্ত বেঁধে দিয়েছে তারা। প্রথমত, নওয়াজ শরিফসহ
কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বৈঠকের জামিনদার হলে তারা আলোচনায় বসবে।
বৈঠকের আগে সরকারের হাতে আটক কয়েকজন টিটিপি নেতাকেও মুক্তি দিতে হবে।
টিটিপির মুখপাত্র এহসানুল্লাহ এহসান গতকাল রবিবার পাকিস্তানের ডন পত্রিকাকে দেওয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, 'সেনাবাহিনীর ওপর আমাদের কোনো আস্থা নেই। এর আগেও তারা চুক্তি করে পরে তা ভঙ্গ করেছে। আস্থা বাড়াতে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আমরা জামিনদার হিসেবে তিনজন নেতাকে চাই। তাঁরা হলেন পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) প্রধান নওয়াজ শরিফ, জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলামের (এফ) প্রধান মাওলানা ফজল-উর-রেহমান কিংবা জামাত-ই-ইসলামীর (জেআই) প্রধান আমির সৈয়দ মনোয়ার হাসান। এ ছাড়া আলোচনায় বসার পূর্বশর্ত হিসেবে টিটিপি সরকারের হাতে আটক তাদের নেতা মৌলভি ওমর, মুসলিম খান, মাওলানা মেহমুদসহ অন্য নেতাদের মুক্তির দাবি করেছে। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, সরকারের সঙ্গে আলোচনায় নেতৃত্ব দেবেন মৌলভি ওমর ও মুসলিম খান। এহসান বলেন, সরকারের দেওয়া আলোচনার প্রস্তাবে তাঁরা দ্রুত সাড়া দিয়েছেন। এখন সরকার এ বিষয়ে গড়িমসি করলে ব্যর্থতার দায়ও তাদের কাঁধেই বর্তাবে।
করাচিতে সম্প্রতি ধর্মীয় নেতা হত্যার পেছনে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের শরিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টকে দায়ী করেছেন এহসানুল্লাহ। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, হত্যার চরম বদলা নেওয়া হবে। গত ডিসেম্বরে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো ভিডিও বার্তায় টিটিপি প্রধান হাকিমুল্লাহ মেহসুদ জানিয়েছিলেন, তাঁর দল সরকারের সঙ্গে আলোচনায় রাজি আছে। তবে আলোচনার আগে কোনোভাবেই তারা অস্ত্র ছাড়বে না। তবে সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার বলা হয়েছে, সহিংসতা ছাড়লে তবেই টিটিপির সঙ্গে আলোচনায় বসবে তারা।
টিটিপির মুখপাত্র এহসানুল্লাহ এহসান গতকাল রবিবার পাকিস্তানের ডন পত্রিকাকে দেওয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, 'সেনাবাহিনীর ওপর আমাদের কোনো আস্থা নেই। এর আগেও তারা চুক্তি করে পরে তা ভঙ্গ করেছে। আস্থা বাড়াতে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আমরা জামিনদার হিসেবে তিনজন নেতাকে চাই। তাঁরা হলেন পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) প্রধান নওয়াজ শরিফ, জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলামের (এফ) প্রধান মাওলানা ফজল-উর-রেহমান কিংবা জামাত-ই-ইসলামীর (জেআই) প্রধান আমির সৈয়দ মনোয়ার হাসান। এ ছাড়া আলোচনায় বসার পূর্বশর্ত হিসেবে টিটিপি সরকারের হাতে আটক তাদের নেতা মৌলভি ওমর, মুসলিম খান, মাওলানা মেহমুদসহ অন্য নেতাদের মুক্তির দাবি করেছে। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, সরকারের সঙ্গে আলোচনায় নেতৃত্ব দেবেন মৌলভি ওমর ও মুসলিম খান। এহসান বলেন, সরকারের দেওয়া আলোচনার প্রস্তাবে তাঁরা দ্রুত সাড়া দিয়েছেন। এখন সরকার এ বিষয়ে গড়িমসি করলে ব্যর্থতার দায়ও তাদের কাঁধেই বর্তাবে।
করাচিতে সম্প্রতি ধর্মীয় নেতা হত্যার পেছনে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের শরিক দল মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টকে দায়ী করেছেন এহসানুল্লাহ। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, হত্যার চরম বদলা নেওয়া হবে। গত ডিসেম্বরে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো ভিডিও বার্তায় টিটিপি প্রধান হাকিমুল্লাহ মেহসুদ জানিয়েছিলেন, তাঁর দল সরকারের সঙ্গে আলোচনায় রাজি আছে। তবে আলোচনার আগে কোনোভাবেই তারা অস্ত্র ছাড়বে না। তবে সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার বলা হয়েছে, সহিংসতা ছাড়লে তবেই টিটিপির সঙ্গে আলোচনায় বসবে তারা।
No comments