পুড়ে গেছে তিন শতাধিক ঘর- রাজধানীর আগারগাঁও বস্তিতে ভয়াবহ আগুন
রাজধানীর আগারগাঁও বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিন শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। গতকাল দুপুরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
খবর
পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন
নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও সহায় সম্বল হারিয়ে সহস্রাধিক
মানুষ খোলা জায়গায় অবস্থান করছে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর ১২টায় বস্তির একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ঘরগুলো টিন ও বাঁশের তৈরি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে বস্তির প্রায় সব ঘর পুড়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বস্তিবাসীর অভিযোগ, ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতির কারণে এত তি হয়েছে। আগুন লাগার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলেও অনেক দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এ ছাড়া তারা কার্যক্রম শুরু করতেও দেরি করে।
মঈন নামে বস্তির এক বাসিন্দা জানান, আগুন লাগার সাথে সাথে মোবাইল ও টেলিফোনে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। তারা প্রায় আধা ঘণ্টা দেরি করে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তখন মাত্র ১০টি ঘরে আগুন জ্বলছিল। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তখনো আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেনি। কাজ শুরু করতে প্রায় আরো আধা ঘণ্টা দেরি হওয়ায় দোকান, গ্যারেজসহ বস্তির প্রায় সব ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বস্তির বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, বস্তিতে আগুন লাগেনি। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আগুন দেয়া হয়েছে বলেও কেউ কেউ অভিযোগ করেন।
বস্তির একাধিক বাসিন্দা বলেন, কিন্তু আগুনে চৌকি, টেবিল, ফ্যান, কাপড় চোপড়, জমানোটাকাসহ সব শেষ হয়ে গেছে। এখন এক বেলা খাওয়ার মতো সামর্থ্যও তাদের নেই।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক (অপারেশন) ভরত চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এই বস্তির সব ঘরই বাঁশের বেড়া ও টিনের চালা দিয়ে তৈরি। বস্তিতে সামনে খোলা মাঠ হওয়ায় এবং বাতাস থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ বলা যাচ্ছে না।
শেরেবাংলানগর থানার ওসি আব্দুল মোমিন জানান, হঠাৎ বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সেখানে পুলিশের একাধিক টিম পাঠানো হয়। ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের সহায়তা করার পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ডের সময় কোনো মালামাল যাতে চুরি না হয় সে জন্য পুলিশ কাজ করেছে।
তিনি বলেন, এ অগ্নিকাণ্ডে তি বেশি হবে। কেননা বস্তিবাসী বের হতে পারলেও তাদের মালামাল বের করতে পারেননি। এ দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, বস্তির আগুনের অবস্থা দেখে আমি দিশেহারা। এটা আমার নির্বাচনী এলাকা। বস্তিবাসীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। আগুনে সর্বস্বহারাদের সাহায্যের জন্য বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, এটি উদ্দেশ্যমূলক কি না ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তা তদন্ত করে দেখবেন।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আলী আহমদ খান বলেন, বস্তিবাসীর অসচেতনতার কারণেই আগুনের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকার প্রতিটি বস্তিতে ঘনবসতি হওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। যে কারণে প্রচুর তি হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম থাকায় আসতে দেরি হয়েছিল। তা ছাড়া বস্তির প্রবেশপথ অনেক সরু হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সেখানে গিয়ে আগুন নেভাতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর ১২টায় বস্তির একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ঘরগুলো টিন ও বাঁশের তৈরি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে বস্তির প্রায় সব ঘর পুড়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বস্তিবাসীর অভিযোগ, ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতির কারণে এত তি হয়েছে। আগুন লাগার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলেও অনেক দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এ ছাড়া তারা কার্যক্রম শুরু করতেও দেরি করে।
মঈন নামে বস্তির এক বাসিন্দা জানান, আগুন লাগার সাথে সাথে মোবাইল ও টেলিফোনে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। তারা প্রায় আধা ঘণ্টা দেরি করে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তখন মাত্র ১০টি ঘরে আগুন জ্বলছিল। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তখনো আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেনি। কাজ শুরু করতে প্রায় আরো আধা ঘণ্টা দেরি হওয়ায় দোকান, গ্যারেজসহ বস্তির প্রায় সব ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বস্তির বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, বস্তিতে আগুন লাগেনি। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আগুন দেয়া হয়েছে বলেও কেউ কেউ অভিযোগ করেন।
বস্তির একাধিক বাসিন্দা বলেন, কিন্তু আগুনে চৌকি, টেবিল, ফ্যান, কাপড় চোপড়, জমানোটাকাসহ সব শেষ হয়ে গেছে। এখন এক বেলা খাওয়ার মতো সামর্থ্যও তাদের নেই।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক (অপারেশন) ভরত চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এই বস্তির সব ঘরই বাঁশের বেড়া ও টিনের চালা দিয়ে তৈরি। বস্তিতে সামনে খোলা মাঠ হওয়ায় এবং বাতাস থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ বলা যাচ্ছে না।
শেরেবাংলানগর থানার ওসি আব্দুল মোমিন জানান, হঠাৎ বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সেখানে পুলিশের একাধিক টিম পাঠানো হয়। ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের সহায়তা করার পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ডের সময় কোনো মালামাল যাতে চুরি না হয় সে জন্য পুলিশ কাজ করেছে।
তিনি বলেন, এ অগ্নিকাণ্ডে তি বেশি হবে। কেননা বস্তিবাসী বের হতে পারলেও তাদের মালামাল বের করতে পারেননি। এ দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, বস্তির আগুনের অবস্থা দেখে আমি দিশেহারা। এটা আমার নির্বাচনী এলাকা। বস্তিবাসীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। আগুনে সর্বস্বহারাদের সাহায্যের জন্য বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, এটি উদ্দেশ্যমূলক কি না ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তা তদন্ত করে দেখবেন।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আলী আহমদ খান বলেন, বস্তিবাসীর অসচেতনতার কারণেই আগুনের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকার প্রতিটি বস্তিতে ঘনবসতি হওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। যে কারণে প্রচুর তি হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম থাকায় আসতে দেরি হয়েছিল। তা ছাড়া বস্তির প্রবেশপথ অনেক সরু হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সেখানে গিয়ে আগুন নেভাতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।
No comments