‘জামায়াত-পুলিশ ভাই ভাই, ছাত্রলীগের রক্ষা নাই’ by এম. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের ক্ষমতার ৪ বছরে ময়মনসিংহে প্রথমবারের মতো বড় ধরনের শোডাউন করলো জামায়াত-শিবির।
নির্বিঘ্নে প্রায় আধা ঘণ্টা সমাবেশের পাশাপাশি নিজেদের স্লোগানেও পরিবর্তন এনেছে তারা।
পুলিশের
বদলে এবার তাদের স্লোগানে টার্গেট করা হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন
ছাত্রলীগকে। সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহ শহরের ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায়
সমাবেশ শেষে বের হওয়া মিছিলে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা স্লোগান দেয়
‘জামায়াত-পুলিশ ভাই ভাই, ছাত্রলীগের রক্ষা নাই’।
মিছিল শুরুর আগে ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জামায়াতের সমাবেশ থেকে দু’বস্তা লাঠি উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে, পুলিশের সামনে মহান স্বাধীনতার স্থপতি, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে জামায়াতের এমন উত্তেজক স্লোগান দেওয়ায় চরম নাখোশ হয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুল করিমের কাছে কৈফিয়তও চান।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ায় জামায়াত-শিবিরের ৩ নেতা-কর্মী নিহত ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদ, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল, জনদুর্ভোগ লাঘব ও আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ময়মনসিংহ শহরের ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সমাবেশ করে ময়মনসিংহ শহর জামায়াত।
এ সময় সমাবেশস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কিন্তু বক্তারা পুলিশের উপস্থিতিতেই সরকারকে তুলোধুনো করেন।
শহর জামায়াতের আমির মওলানা মোজাম্মেল হক আকন্দের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল করিম। এ সময় শহর ছাত্র শিবিরের সভাপতি হোসাইন মুহাম্মদ সজিবুর রহমানসহ অন্যান্য নেতা-কর্মী বক্তব্য রাখেন।
প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এ সমাবেশে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল করিম বলেন, “আমরা সব সময়ই শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। প্রহসনের ট্রাইব্যুনাল বন্ধ করে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মুক্তি দিতে হবে। গণতান্ত্রিক অধিকারে বাধা দিলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।”
এ সমাবেশ শেষ হতেই বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে মিছিল শুরু করে জামায়াত। পরে শহরের ধোপাখোলা মোড় পর্যন্ত জামায়াত-শিবিরের মিছিল পৌঁছুতেই পুলিশ বাধা দেয়। মিছিলে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা স্লোগান ধরেন ‘জামায়াত-পুলিশ ভাই ভাই, ছাত্রলীগের রক্ষা নাই’’।
সূত্র জানায়, জামায়াতের এ মিছিল শেষ হতেই ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ডের সন্নিকটে বদরের মোড় এলাকায় থাকা কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুল করিমের কাছে আসেন জেলা ছাত্রলীগের কয়েক নেতা।
ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে স্লোগান হলেও পুলিশ অ্যাকশনে না যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতারা কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল করিমের কাছে এর জবাব চান।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী এক সাংবাদিক নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এ সময় ওসি ছাত্রলীগ নেতাদের বলেন- আপনাদের পরে এ বিষয়টি বলবো।
এ কথা বলেই ওসি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
পুলিশকে পক্ষে আনতে জামায়াতের এ নতুন স্লোগান সম্পর্কে ময়মনসিংহ শহর জামায়াতের আমির মওলানা মোজাম্মেল হক আকন্দ বলেন, “ছাত্র শিবিরের ছেলেরা এ স্লোগান দিয়েছে।”
সেøাগান ও জামায়াতের মিছিল-সমাবেশ সম্পর্কে কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলুল করিম বলেন, “ওরা এ ধরণের স্লোগান দিয়েছে। আমরা ওদের কাছ থেকে দু’বস্তা লাঠি উদ্ধার করেছি।”
তবে ছাত্রলীগের কৈফিয়তের বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তাজ উদ্দিন আহমেদ রানার সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মুঠোফোন ধরেন নি।
মিছিল শুরুর আগে ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জামায়াতের সমাবেশ থেকে দু’বস্তা লাঠি উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে, পুলিশের সামনে মহান স্বাধীনতার স্থপতি, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে জামায়াতের এমন উত্তেজক স্লোগান দেওয়ায় চরম নাখোশ হয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুল করিমের কাছে কৈফিয়তও চান।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ায় জামায়াত-শিবিরের ৩ নেতা-কর্মী নিহত ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদ, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল, জনদুর্ভোগ লাঘব ও আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ময়মনসিংহ শহরের ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সমাবেশ করে ময়মনসিংহ শহর জামায়াত।
এ সময় সমাবেশস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কিন্তু বক্তারা পুলিশের উপস্থিতিতেই সরকারকে তুলোধুনো করেন।
শহর জামায়াতের আমির মওলানা মোজাম্মেল হক আকন্দের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল করিম। এ সময় শহর ছাত্র শিবিরের সভাপতি হোসাইন মুহাম্মদ সজিবুর রহমানসহ অন্যান্য নেতা-কর্মী বক্তব্য রাখেন।
প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এ সমাবেশে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল করিম বলেন, “আমরা সব সময়ই শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। প্রহসনের ট্রাইব্যুনাল বন্ধ করে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মুক্তি দিতে হবে। গণতান্ত্রিক অধিকারে বাধা দিলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।”
এ সমাবেশ শেষ হতেই বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে মিছিল শুরু করে জামায়াত। পরে শহরের ধোপাখোলা মোড় পর্যন্ত জামায়াত-শিবিরের মিছিল পৌঁছুতেই পুলিশ বাধা দেয়। মিছিলে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা স্লোগান ধরেন ‘জামায়াত-পুলিশ ভাই ভাই, ছাত্রলীগের রক্ষা নাই’’।
সূত্র জানায়, জামায়াতের এ মিছিল শেষ হতেই ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ডের সন্নিকটে বদরের মোড় এলাকায় থাকা কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুল করিমের কাছে আসেন জেলা ছাত্রলীগের কয়েক নেতা।
ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে স্লোগান হলেও পুলিশ অ্যাকশনে না যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতারা কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল করিমের কাছে এর জবাব চান।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী এক সাংবাদিক নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এ সময় ওসি ছাত্রলীগ নেতাদের বলেন- আপনাদের পরে এ বিষয়টি বলবো।
এ কথা বলেই ওসি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
পুলিশকে পক্ষে আনতে জামায়াতের এ নতুন স্লোগান সম্পর্কে ময়মনসিংহ শহর জামায়াতের আমির মওলানা মোজাম্মেল হক আকন্দ বলেন, “ছাত্র শিবিরের ছেলেরা এ স্লোগান দিয়েছে।”
সেøাগান ও জামায়াতের মিছিল-সমাবেশ সম্পর্কে কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফজলুল করিম বলেন, “ওরা এ ধরণের স্লোগান দিয়েছে। আমরা ওদের কাছ থেকে দু’বস্তা লাঠি উদ্ধার করেছি।”
তবে ছাত্রলীগের কৈফিয়তের বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তাজ উদ্দিন আহমেদ রানার সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মুঠোফোন ধরেন নি।
No comments