নিজস্ব অর্থায়নে হলেও পদ্মা সেতু চাই-ই-টেলিফোনে নাগরিক মন্তব্য
বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পে
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে অর্থায়নের অনুরোধ ফিরিয়ে নিয়েছে
বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতু নিয়ে ঘটনাবহুল নাটকের যবনিকাপাত ঘটল। এ
বিষয়ে অভিমত জানিয়েছেন পাঠকরা।
গ্রন্থনা : মাহফুজুর রহমান মানিক
সাখাওয়াত হোসেন
ব্যবসায়ী, মতিঝিল
পদ্মা সেতু সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার। জাতি অপেক্ষা করছে সরকার কীভাবে তার নির্বাচনী অঙ্গীকার পালন করবে। এখন দ্রুত তা বাস্তবায়ন করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব তত্ত্বাবধানে তদারকি করে কাজটি করলে দুর্নীতি হবে না, স্বচ্ছ হবে। জনগণকে পাশে পাবে। এর ফল আগামী নির্বাচনেও আমরা দেখতে পাব।
আমির হোসেন
ব্যবসায়ী, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল
পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারের এত নাটকের কোনো প্রয়োজন ছিল না। ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাংকের কাছে কোনো কিছু পাবে না। সরকার ঘরের ভেতর চোর রেখে, একজনকে বাঁচানোর জন্য এটা করেছে। তাকে আগেই দোষী সাব্যস্ত করা উচিত ছিল। তাহলে এ রকম হতো না। এখন আবার নিজস্ব অর্থায়নে রেল ছাড়া সেতু করার কথা বলেছে। এটা করা ঠিক হবে না।
মো. মনিরুজ্জামান দাড়িয়া
ব্যবসায়ী, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ
বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমরা পদ্মা সেতু চাই। এ জন্য যদি সরকারকে কোনো আর্থিক সাহায্য করতে হয় আমরা রাজি আছি।
হায়দার
ব্যবসায়ী, সিরাজগঞ্জ
আমাদের প্রত্যেক নাগরিক থেকে ১০ টাকা করে দিলেও পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ার কথা। বাকি টাকা সরকার জোগান দেবে।
মো. তৌহিদুল আলম
ব্যবসায়ী, চট্টগ্রাম
সরকার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। বিশ্বব্যাংক গড়িমসি করেছে অকারণে। সরকার তাদের না বলতে বাধ্য হয়েছে।
খোকন আহমেদ
ব্যবসায়ী, বেলাব, নরসিংদী
পদ্মা সেতু সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার। এ অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে হবে।
মো. আতাউল গনি
ব্যবসায়ী, সুনামগঞ্জ
সরকার এ আমলে পদ্মা সেতু করতে পারবে না। বিরোধী দল দমনে সরকার যে টাকা খরচ করছে সে টাকা দিয়ে চাইলে আগেই পদ্মা সেতু করতে পারত। এখন নিজস্ব অর্থায়নের কথা বলে তারা আসলে মিথ্যাচার করছে। তারা সেতু করতে পারবে না।
শেখ আবদুল কাদের
সচেতন নাগরিক, ডেমরা, ঢাকা
পদ্মা সেতু সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ছিল। সরকারের উচিত এখনি কাজ শুরু করা। বিশ্বব্যাংক যে টাকা দেবে না সেটা আমরা আগেই বুঝেছি। তারা অযৌক্তিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে টালবাহানা করেছে। সরকার শুরু করুক। আমার মনে হয় কাজ শেষ হতে তিন সরকারের আমল চলে যাবে।
সেলিম রেজা
শিক্ষার্থী, গোপালগঞ্জ
পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করলে দেশের ওপর চাপ পড়বে। তবে সেতুটি হলে আমাদের অনেক উপকার হবে।
গৌতম চাকী
প্রবাসী, ফরিদপুর
আমাদের সেতু আমাদের অর্থেই হবে। আমরা অন্যদের কাছে হাত পাতব না। সবাই মিলেই এই সেতু করব।
মো. বশির আহমেদ
চাকরিজীবী, গুলিস্তান, ঢাকা
আমাদের নিজস্ব একটা ফান্ড করেই পদ্মা সেতু করা উচিত। অন্যান্য দেশ থেকে চড়া দামে ঋণ না নিয়ে দেরি করে হলেও নিজস্ব অর্থায়নেই সেতু করা উচিত। আর ভবিষ্যতে যে-ই দুর্নীতি করুক তার ফাঁসি হওয়া উচিত।
নাজিম উদ্দিন শোভা
শিক্ষক, টাঙ্গাইল
পদ্মা সেতু নির্মাণে সরকারি কর্মচারীরা দেবে তিনদিনের বেতন, বেসরকারি চাকরিজীবীরা দু'দিনের বেতন, এমপি-মন্ত্রীদের আয়ের একটা অংশসহ মোবাইলের প্রতি কলে ৫ পয়সা নিলেও নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব।
মো. ইউসুফ
প্রবাসী, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর
আমরা দরিদ্র দেশের মানুষ, নিজেদের অর্থায়নে করলে আমাদের ওপর চাপ পড়বে। অন্যদের থেকে ঋণ নিয়েই করা উচিত।
মো. আবদুল গফুর
ব্যবসায়ী, হবিগঞ্জ
নিজস্ব অর্থায়নে করলে জনগণের ওপর চাপ পড়বে। এখন মানুষের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি।
আবু সাঈদ মণ্ডল
রাজনৈতিক, সিরাজগঞ্জ
পদ্মা সেতু করার জন্য অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করা দরকার। আশা করি, প্রধানমন্ত্রী তা পারবেন।
মো. বাচ্চু মোল্লা
ঠিকাদার, গোপালগঞ্জ
বিশ্বব্যাংক কোনো রাজনৈতিক কারণেই অর্থায়নে ঝামেলা করেছে। এটা বিশাল ব্যয়বহুল বিষয়। তারপর দীর্ঘমেয়াদে হলেও নিজস্ব অর্থায়নে করা উচিত।
মাকসুদ
ব্যবসায়ী, ধানমণ্ডি, ঢাকা
যে সেতুর কোনো কাজই শুরু হয়নি, সেখানে দুর্নীতি হলো কীভাবে। বিশ্বব্যাংক কোথায় দুর্নীতি পেল?
নাজমুল মোর্শেদ শিমুল
শিক্ষার্থী, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল
পদ্মা সেতু বিষয়ে বিশ্বব্যাংকে 'না' বলে দেওয়া যৌক্তিক হয়েছে। তারা অযথা বিলম্ব করছিল। সেতুটি নির্মাণ সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার। আগামী নির্বাচনের আগেই কাজ শুরু করা দরকার। সরকার যদি চায় আমরা এ কাজে সহযোগিতা করব।
কুমারেশ চন্দ্র
বাস শ্রমিক, ঝিনাইদহ
স্বপ্নের পদ্মা সেতু হোক, জনগণ আশা করে। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে, অনেক বেকার সমস্যার সমাধান হবে। বিদেশের সঙ্গে ব্যবসার উন্নয়ন ঘটবে। যেসব দুর্নীতিবাজের জন্য পদ্মা সেতু বিলম্বিত হলো আশা করি, প্রধানমন্ত্রী শক্ত হাতে তাদের বিচার করবেন। শেখ হাসিনা যেখানে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু সেখানে হবেই।
কামরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর
মানবাধিকার কর্মী, রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ
পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক লম্ফঝম্ফ, নাটক ও সার্কাস দেখে অনেক কিছুই আমরা শিখেছি। এ নিয়ে আর কিছু দেখতে চাই না। নিজস্ব অর্থায়ন অর্থাৎ প্রবাসীদের কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স পাঠানোতে মুদ্রা রিজার্ভ প্রায় সাড়ে তেরো মিলিয়ন ডলার অলস পড়ে আছে। এ খাত থেকে অর্থায়ন করে পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে যদি হার মতো লভ্যাংশ প্রবাসীদের হিসাবে জমা করা হয়, তবে আগামীতে আরও দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে প্রবাসী রেমিট্যান্স পাঠিয়ে মাথাপিছু মধ্যম আয়ের নাগরিক হিসেবে সম্মানিত করবেন।
সুব্রত
ব্যবসায়ী, ভোলা
পদ্মা সেতু নিয়ে এত কিছু হলো। অথচ বিশ্বব্যাংক এখনও কোনো টাকাই দেয়নি। বিশ্বব্যাংককে ভুল বুঝানো হয়েছে। তারা দাতা সংস্থা, তারা বিনা সুদে টাকা দেয় না। অথচ তারা বিষয়টি ঝুলিয়ে আমাদের অপমান করেছে। পদ্মা সেতু হলে অনেক মানুষের উপকার হবে। সরকারের উচিত যেভাবেই হোক সেতু করা।
মো. সাইফুল ইসলাম
সাংবাদিক, টাঙ্গাইল
সরকারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল পদ্মা সেতু নির্মাণ করা। এখন সরকার বিশ্বব্যাংককে 'না' করে দেওয়ায় অন্য কোনো দিক থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। এ বিষয়ে সঠিক পরিকল্পনা করে যত দ্রুত সম্ভব পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা উচিত।
মো. রাব্বুল ইসলাম খান
চাকরিজীবী, কুষ্টিয়া
পদ্মা সেতু ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্নের সেতু। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকার ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে রক্ষার কারণে মানুষের সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হলো। ভবিষ্যতে আমাদের অর্থায়ন করতে দাতা দেশ বা সংস্থাগুলো আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
মাসুদ রানা
শিক্ষার্থী, বরিশাল
পদ্মা সেতু আমাদের ১৬ কোটি মানুষের প্রাণের দাবি। আর এ দাবি বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এখন সরকার দলীয় কিছু ব্যক্তির কারণে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন থেকে বঞ্চিত। এতে কেবল সরকার নয় ১৬ কোটি মানুষ বঞ্চিত হয়েছে। তাই আমাদের আশা, সরকার দুর্নীতির প্রশ্রয় না দিয়ে দুর্নীতির সঠিক বিচার করে দেশ ও জাতির কলঙ্কমোচন করবে। আর বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করবে।
মো. হাবিবুর রহমান
চাকরিজীবী, বরিশাল
আমরা ১৫ কোটি বাঙালি, আমাদের সবার দাবি পদ্মা সেতু নির্মাণ হোক। কিন্তু কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষের কারণে আমরা আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারছি না। কারণ, আমাদের কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির কারণে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করছে না। তাই সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। আমাদের সবার দাবি, দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বিচার করে দাতা সংস্থার অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ হোক।
মো. মামুন হাওলাদার
চাকরিজীবী, ঢাকা
সরকার বিশ্বব্যাংককে তোষামোদ না করে নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করুক।
ডা. শোভন
চিকিৎসক, চট্টগ্রাম
নির্বাচনের আগে নেত্রীরা কোটি টাকার বিনিময়ে নমিনেশন দেন। এভাবে চলতে থাকলে দুর্নীতি বন্ধ হবে না। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি তারই অনুষঙ্গ মাত্র। আগে এগুলো বন্ধ করতে হবে।
গোলাম কিবরিয়া
চাকরিজীবী, কুমিল্লা
সরকারের সিদ্ধান্ত সঠিক। তাদের ধন্যবাদ। আগেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল।
মো. ফকরুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, সেনবাগ, নোয়াখালী
ব্যক্তিবিশেষকে বাঁচাতে সরকারের পদক্ষেপ জাতিকে হতবাক করেছে। এত জল ঘোলা না করে আরও আগেই দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজে হাত দিলে জনগণ সাধুবাদ জানাত।
শামীম হাসান
শিক্ষার্থী, ফরিদপুর
সরকার যতই গল্প করুক এই সরকারের আমলে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হবে না। দুর্নীতিবাজরা দুর্নীতির দায়ে চিহ্নিত হয়েছে।
আহমেদ আশিক তালহা
শিক্ষার্থী, সুনামগঞ্জ
বিশ্ববাসীর কাছে এ কথা প্রমাণ করার সুযোগ এসেছে যে, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর বড় কাজ আমরা করতে পারি।
আবদুল্লাহ আল আপন
চাকরিজীবী, রাজবাড়ী
পদ্মা সেতুর কাজ যেভাবেই হোক এই আমলে যেন শুরু হয়।
মো. শাকিল
গাড়িচালক, ঝিনাইদহ সদর
পদ্মা সেতু নিয়ে এত কিছু হলো, এখন আমার মনে হয় পদ্মা সেতু না হওয়াই ভালো। এর কাজ বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
এমএস ইসলাম
ব্যবসায়ী, মিরপুর, ঢাকা
দাতা সংস্থা যদি পদ্মা সেতু ইস্যুতে সরে যায়, তাহলে কখনোই পদ্মা সেতু হবে না। যেখানে দেশে একটা কালভার্ট করতে বিদেশি অর্থায়ন লাগে, সেখানে পদ্মা সেতু কীভাবে হবে? সরকার যা বলছে সবই লোক দেখানো কথাবার্তা।
মো. হারুনুর রশীদ
চাকরিজীবী, তেজগাঁও, ঢাকা
আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে সম্ভব, মোবাইল থেকে ট্যাক্স নেওয়া এর একটি মাধ্যম হতে পারে।
মো. মাহবুব উদ্দিন সাজ
ব্যবসায়ী, মিরপুর, ঢাকা
পদ্মা সেতু এতদিন ধরে ঝুলে আছে। এটা নিয়ে এত তদন্ত হলো। আজকে আবুল হোসেন নির্দোষ দাবি করে পত্রিকায় বিবৃতি দিলেন। তিনি যদি সৎই হন, তাহলে কেন আন্তর্জাতিক আদালতে বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করেননি! কেন পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা করেননি! অথচ হলমার্ক, শেয়ারবাজারসহ এসব কেলেঙ্কারি না হলে নিজেদের টাকায় সেতু করা সম্ভব হতো। আরাফাত হোসাইন
চাকরিজীবী, চট্টগ্রাম
বিশ্বব্যাংক তো কোনো কারণ ছাড়াই বিষয়টি ঝুলে রাখেনি। অথচ আবার আবুল হোসেন বিবৃতি দিয়ে বলছেন, তিনি নির্দোষ। আসলে মূল ব্যাপারটা কী। আর সেতু যদি হয়ই সেখানে রেল থাকতেই হবে।
নিকেশ বৈদ্য
পত্রিকা ব্যবসায়ী, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ
পদ্মা সেতু হোক। আমরা চাই, যেভাবেই হোক সরকার যেন পদ্মা সেতু করে। সেতু হলে দেশের উন্নয়ন হবে।
মো. শওকত হোসেন লিয়াকত
শিক্ষার্থী, গৌরনদী, বরিশাল
পদ্মা সেতু আমাদের স্বপ্ন। দক্ষিণবঙ্গের মানুষের জন্য নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। নিজস্ব অর্থায়ন হলে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। সরকার যেন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে সত্যিকার করণীয় ঠিক করে।
মাসুম বিল্লাহ
শিক্ষার্থী, কুমিল্লা
পদ্মা সেতুর দুর্নীতির সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত তাদের বিচার হোক। এ সরকারের আমলেই যেন সেতুটি হয়।
মো. পারভেজ আলম
ব্যবসায়ী, নারায়ণগঞ্জ
দু'জন মন্ত্রীর জন্য পদ্মা সেতু আমরা হারালাম। সরকার আমাদের সঙ্গে তামাশাই করেছে। আদৌ পদ্মা সেতু হবে কি-না এ নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
মো. নজরুল ইসলাম সোহেল
শিক্ষার্থী, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার
পদ্মা সেতু সরকারের প্রতিশ্রুতি। বিশ্বব্যাংক এমনিতেই আমাদের ওপর অতিরিক্ত খবরদারি করে। এখন পদ্মা সেতু যাদের কারণে ঝুলে গেল তাদের বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ যেন প্রধানমন্ত্রী নেন।
মোহাম্মদ আলী মানিক
ব্যবসায়ী, নোয়াখালী
বিদেশের ওপর নির্ভরশীলতা আমাদের কমানো উচিত। দেশনির্ভর হওয়া উচিত। কোনো কিছু যদি দেশের সম্পদের মাধ্যমে সম্ভব হয়, দেশীয় অর্থায়নেই করা উচিত।
মো. ফিরোজ আলম
ব্যবসায়ী, পুরানা পল্টন, ঢাকা
আমাদের দেশে দাতাগোষ্ঠী তাদের স্বার্থেই টাকা লগি্ন করে। তারা নিজস্ব ঠিকাদার, কনসালটেন্ট নিয়োগ দিতে বাধ্য করে। সরকার যেহেতু তাদের থেকে ঋণ প্রত্যাহার করে নিয়েছে এখন সরকার নিজস্ব অর্থায়নে সেতু হওয়ার কথা বলছে, নিশ্চয়ই তাদের সে পরিমাণ অর্থ রয়েছে।
মো. মামুন
শিক্ষক, ফেনী শিশুনিকেতন
সরকারের অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্বব্যাংক, জাইকা ও এডিবির সহজশর্তের পদ্মা সেতুর ঋণ প্রস্তাব হাতছাড়া হলো। আবুলের কারণে আমরা পিছিয়ে পড়লাম। সরকার সেতু করার যে স্বপ্ন দেখাচ্ছে তা প্রতারণা মাত্র।
কৃষ্ণকুমার কর্মকার
ব্যবসায়ী, সখীপুর, টাঙ্গাইল
পদ্মা সেতুর ব্যাপারে সরকার আন্তরিক নয়। মন্ত্রীদের কথাবার্তাই তার প্রমাণ। তাদের বলিই হয়েছে সাধারণ জনগণ। এ সরকারের আমলে আসলে সেতু হবে না। সরকার এ দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাচ্ছে। তবে কোটি কোটি কালো টাকা যদি বাজেয়াপ্ত করতে পারে, তাহলে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু সম্ভব।
মো. আবুল হাশেম
ব্যবসায়ী, মুন্সীগঞ্জ
আবুল হোসেনকে যদি প্রধান আসামি করা হতো, তাহলে মনে হয় বিশ্বব্যাংক অর্থ দিত।
ডা. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস
চিকিৎসক, জকিগঞ্জ, সিলেট
এক বছর আগেই নিজস্ব অর্থায়নে সেতু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। বিশ্বব্যাংক শুধু শুধু টালবাহানা করেছে। এটা ষড়যন্ত্র। প্রত্যাহার করায় সরকারকে ধন্যবাদ।
ফারুক হোসেন
সাংবাদিক, বাগমারা, রাজশাহী
বিশ্বব্যাংকের সাহায্য ছাড়াই সরকার পদ্মা সেতু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ জন্য ধন্যবাদ। বিরোধীরা বলছে, সরকার পারবে না। আসলে তা ঠিক নয়। সরকার পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করতে পারবে বলেই জনগণ মনে করছে।
মো. কামরুল ইসলাম
শিক্ষক, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সরকার পদ্মা সেতু নিয়ে নাটক করেছে। সেতুতে আসলে দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতি হয়েছে বলেই সব দাতাগোষ্ঠী ঋণ দিতে নাকচ করে দিয়েছে। দুর্নীতি যারাই করুক তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
প্রবীর বিশ্বাস মনি
শিক্ষার্থী, বরিশাল
দেশীয় অর্থায়নে যদি পদ্মা সেতু হয় তাতে আমরা সাহায্য করতে প্রস্তুত আছি।
মো. আবুল বাশার
ব্যবসায়ী, সোনাইমুড়ী, নোয়াখালী
পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংক আমাদের সঙ্গে যে খেলা করেছে তার অবসান চাই। সরকার যেন তা বাস্তবায়ন করে । প্রয়োজনে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্ম সেতু নির্মাণ করবে।
মো. হাবিবুর রহমান প্রিন্স
চাকরিজীবী, রাজাপুর, ঝালকাঠি
যে কোনো প্রকারেই হোক, বিশ্বব্যাংকের টাকাতেই আমাদের পদ্মা সেতু হোক। নতুবা বিশ্ব আমাদের বিশ্বচোর হিসেবেই ভাববে অনন্তকাল।
সাখাওয়াত হোসেন
ব্যবসায়ী, মতিঝিল
পদ্মা সেতু সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার। জাতি অপেক্ষা করছে সরকার কীভাবে তার নির্বাচনী অঙ্গীকার পালন করবে। এখন দ্রুত তা বাস্তবায়ন করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব তত্ত্বাবধানে তদারকি করে কাজটি করলে দুর্নীতি হবে না, স্বচ্ছ হবে। জনগণকে পাশে পাবে। এর ফল আগামী নির্বাচনেও আমরা দেখতে পাব।
আমির হোসেন
ব্যবসায়ী, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল
পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারের এত নাটকের কোনো প্রয়োজন ছিল না। ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাংকের কাছে কোনো কিছু পাবে না। সরকার ঘরের ভেতর চোর রেখে, একজনকে বাঁচানোর জন্য এটা করেছে। তাকে আগেই দোষী সাব্যস্ত করা উচিত ছিল। তাহলে এ রকম হতো না। এখন আবার নিজস্ব অর্থায়নে রেল ছাড়া সেতু করার কথা বলেছে। এটা করা ঠিক হবে না।
মো. মনিরুজ্জামান দাড়িয়া
ব্যবসায়ী, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ
বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমরা পদ্মা সেতু চাই। এ জন্য যদি সরকারকে কোনো আর্থিক সাহায্য করতে হয় আমরা রাজি আছি।
হায়দার
ব্যবসায়ী, সিরাজগঞ্জ
আমাদের প্রত্যেক নাগরিক থেকে ১০ টাকা করে দিলেও পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ার কথা। বাকি টাকা সরকার জোগান দেবে।
মো. তৌহিদুল আলম
ব্যবসায়ী, চট্টগ্রাম
সরকার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। বিশ্বব্যাংক গড়িমসি করেছে অকারণে। সরকার তাদের না বলতে বাধ্য হয়েছে।
খোকন আহমেদ
ব্যবসায়ী, বেলাব, নরসিংদী
পদ্মা সেতু সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার। এ অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে হবে।
মো. আতাউল গনি
ব্যবসায়ী, সুনামগঞ্জ
সরকার এ আমলে পদ্মা সেতু করতে পারবে না। বিরোধী দল দমনে সরকার যে টাকা খরচ করছে সে টাকা দিয়ে চাইলে আগেই পদ্মা সেতু করতে পারত। এখন নিজস্ব অর্থায়নের কথা বলে তারা আসলে মিথ্যাচার করছে। তারা সেতু করতে পারবে না।
শেখ আবদুল কাদের
সচেতন নাগরিক, ডেমরা, ঢাকা
পদ্মা সেতু সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি ছিল। সরকারের উচিত এখনি কাজ শুরু করা। বিশ্বব্যাংক যে টাকা দেবে না সেটা আমরা আগেই বুঝেছি। তারা অযৌক্তিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে টালবাহানা করেছে। সরকার শুরু করুক। আমার মনে হয় কাজ শেষ হতে তিন সরকারের আমল চলে যাবে।
সেলিম রেজা
শিক্ষার্থী, গোপালগঞ্জ
পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে করলে দেশের ওপর চাপ পড়বে। তবে সেতুটি হলে আমাদের অনেক উপকার হবে।
গৌতম চাকী
প্রবাসী, ফরিদপুর
আমাদের সেতু আমাদের অর্থেই হবে। আমরা অন্যদের কাছে হাত পাতব না। সবাই মিলেই এই সেতু করব।
মো. বশির আহমেদ
চাকরিজীবী, গুলিস্তান, ঢাকা
আমাদের নিজস্ব একটা ফান্ড করেই পদ্মা সেতু করা উচিত। অন্যান্য দেশ থেকে চড়া দামে ঋণ না নিয়ে দেরি করে হলেও নিজস্ব অর্থায়নেই সেতু করা উচিত। আর ভবিষ্যতে যে-ই দুর্নীতি করুক তার ফাঁসি হওয়া উচিত।
নাজিম উদ্দিন শোভা
শিক্ষক, টাঙ্গাইল
পদ্মা সেতু নির্মাণে সরকারি কর্মচারীরা দেবে তিনদিনের বেতন, বেসরকারি চাকরিজীবীরা দু'দিনের বেতন, এমপি-মন্ত্রীদের আয়ের একটা অংশসহ মোবাইলের প্রতি কলে ৫ পয়সা নিলেও নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব।
মো. ইউসুফ
প্রবাসী, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর
আমরা দরিদ্র দেশের মানুষ, নিজেদের অর্থায়নে করলে আমাদের ওপর চাপ পড়বে। অন্যদের থেকে ঋণ নিয়েই করা উচিত।
মো. আবদুল গফুর
ব্যবসায়ী, হবিগঞ্জ
নিজস্ব অর্থায়নে করলে জনগণের ওপর চাপ পড়বে। এখন মানুষের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি।
আবু সাঈদ মণ্ডল
রাজনৈতিক, সিরাজগঞ্জ
পদ্মা সেতু করার জন্য অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করা দরকার। আশা করি, প্রধানমন্ত্রী তা পারবেন।
মো. বাচ্চু মোল্লা
ঠিকাদার, গোপালগঞ্জ
বিশ্বব্যাংক কোনো রাজনৈতিক কারণেই অর্থায়নে ঝামেলা করেছে। এটা বিশাল ব্যয়বহুল বিষয়। তারপর দীর্ঘমেয়াদে হলেও নিজস্ব অর্থায়নে করা উচিত।
মাকসুদ
ব্যবসায়ী, ধানমণ্ডি, ঢাকা
যে সেতুর কোনো কাজই শুরু হয়নি, সেখানে দুর্নীতি হলো কীভাবে। বিশ্বব্যাংক কোথায় দুর্নীতি পেল?
নাজমুল মোর্শেদ শিমুল
শিক্ষার্থী, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল
পদ্মা সেতু বিষয়ে বিশ্বব্যাংকে 'না' বলে দেওয়া যৌক্তিক হয়েছে। তারা অযথা বিলম্ব করছিল। সেতুটি নির্মাণ সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার। আগামী নির্বাচনের আগেই কাজ শুরু করা দরকার। সরকার যদি চায় আমরা এ কাজে সহযোগিতা করব।
কুমারেশ চন্দ্র
বাস শ্রমিক, ঝিনাইদহ
স্বপ্নের পদ্মা সেতু হোক, জনগণ আশা করে। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে, অনেক বেকার সমস্যার সমাধান হবে। বিদেশের সঙ্গে ব্যবসার উন্নয়ন ঘটবে। যেসব দুর্নীতিবাজের জন্য পদ্মা সেতু বিলম্বিত হলো আশা করি, প্রধানমন্ত্রী শক্ত হাতে তাদের বিচার করবেন। শেখ হাসিনা যেখানে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু সেখানে হবেই।
কামরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর
মানবাধিকার কর্মী, রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ
পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক লম্ফঝম্ফ, নাটক ও সার্কাস দেখে অনেক কিছুই আমরা শিখেছি। এ নিয়ে আর কিছু দেখতে চাই না। নিজস্ব অর্থায়ন অর্থাৎ প্রবাসীদের কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স পাঠানোতে মুদ্রা রিজার্ভ প্রায় সাড়ে তেরো মিলিয়ন ডলার অলস পড়ে আছে। এ খাত থেকে অর্থায়ন করে পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে যদি হার মতো লভ্যাংশ প্রবাসীদের হিসাবে জমা করা হয়, তবে আগামীতে আরও দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে প্রবাসী রেমিট্যান্স পাঠিয়ে মাথাপিছু মধ্যম আয়ের নাগরিক হিসেবে সম্মানিত করবেন।
সুব্রত
ব্যবসায়ী, ভোলা
পদ্মা সেতু নিয়ে এত কিছু হলো। অথচ বিশ্বব্যাংক এখনও কোনো টাকাই দেয়নি। বিশ্বব্যাংককে ভুল বুঝানো হয়েছে। তারা দাতা সংস্থা, তারা বিনা সুদে টাকা দেয় না। অথচ তারা বিষয়টি ঝুলিয়ে আমাদের অপমান করেছে। পদ্মা সেতু হলে অনেক মানুষের উপকার হবে। সরকারের উচিত যেভাবেই হোক সেতু করা।
মো. সাইফুল ইসলাম
সাংবাদিক, টাঙ্গাইল
সরকারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল পদ্মা সেতু নির্মাণ করা। এখন সরকার বিশ্বব্যাংককে 'না' করে দেওয়ায় অন্য কোনো দিক থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। এ বিষয়ে সঠিক পরিকল্পনা করে যত দ্রুত সম্ভব পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা উচিত।
মো. রাব্বুল ইসলাম খান
চাকরিজীবী, কুষ্টিয়া
পদ্মা সেতু ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্নের সেতু। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকার ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে রক্ষার কারণে মানুষের সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হলো। ভবিষ্যতে আমাদের অর্থায়ন করতে দাতা দেশ বা সংস্থাগুলো আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
মাসুদ রানা
শিক্ষার্থী, বরিশাল
পদ্মা সেতু আমাদের ১৬ কোটি মানুষের প্রাণের দাবি। আর এ দাবি বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এখন সরকার দলীয় কিছু ব্যক্তির কারণে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন থেকে বঞ্চিত। এতে কেবল সরকার নয় ১৬ কোটি মানুষ বঞ্চিত হয়েছে। তাই আমাদের আশা, সরকার দুর্নীতির প্রশ্রয় না দিয়ে দুর্নীতির সঠিক বিচার করে দেশ ও জাতির কলঙ্কমোচন করবে। আর বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করবে।
মো. হাবিবুর রহমান
চাকরিজীবী, বরিশাল
আমরা ১৫ কোটি বাঙালি, আমাদের সবার দাবি পদ্মা সেতু নির্মাণ হোক। কিন্তু কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষের কারণে আমরা আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পারছি না। কারণ, আমাদের কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির কারণে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করছে না। তাই সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। আমাদের সবার দাবি, দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বিচার করে দাতা সংস্থার অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ হোক।
মো. মামুন হাওলাদার
চাকরিজীবী, ঢাকা
সরকার বিশ্বব্যাংককে তোষামোদ না করে নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করুক।
ডা. শোভন
চিকিৎসক, চট্টগ্রাম
নির্বাচনের আগে নেত্রীরা কোটি টাকার বিনিময়ে নমিনেশন দেন। এভাবে চলতে থাকলে দুর্নীতি বন্ধ হবে না। পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি তারই অনুষঙ্গ মাত্র। আগে এগুলো বন্ধ করতে হবে।
গোলাম কিবরিয়া
চাকরিজীবী, কুমিল্লা
সরকারের সিদ্ধান্ত সঠিক। তাদের ধন্যবাদ। আগেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল।
মো. ফকরুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, সেনবাগ, নোয়াখালী
ব্যক্তিবিশেষকে বাঁচাতে সরকারের পদক্ষেপ জাতিকে হতবাক করেছে। এত জল ঘোলা না করে আরও আগেই দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজে হাত দিলে জনগণ সাধুবাদ জানাত।
শামীম হাসান
শিক্ষার্থী, ফরিদপুর
সরকার যতই গল্প করুক এই সরকারের আমলে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হবে না। দুর্নীতিবাজরা দুর্নীতির দায়ে চিহ্নিত হয়েছে।
আহমেদ আশিক তালহা
শিক্ষার্থী, সুনামগঞ্জ
বিশ্ববাসীর কাছে এ কথা প্রমাণ করার সুযোগ এসেছে যে, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর বড় কাজ আমরা করতে পারি।
আবদুল্লাহ আল আপন
চাকরিজীবী, রাজবাড়ী
পদ্মা সেতুর কাজ যেভাবেই হোক এই আমলে যেন শুরু হয়।
মো. শাকিল
গাড়িচালক, ঝিনাইদহ সদর
পদ্মা সেতু নিয়ে এত কিছু হলো, এখন আমার মনে হয় পদ্মা সেতু না হওয়াই ভালো। এর কাজ বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
এমএস ইসলাম
ব্যবসায়ী, মিরপুর, ঢাকা
দাতা সংস্থা যদি পদ্মা সেতু ইস্যুতে সরে যায়, তাহলে কখনোই পদ্মা সেতু হবে না। যেখানে দেশে একটা কালভার্ট করতে বিদেশি অর্থায়ন লাগে, সেখানে পদ্মা সেতু কীভাবে হবে? সরকার যা বলছে সবই লোক দেখানো কথাবার্তা।
মো. হারুনুর রশীদ
চাকরিজীবী, তেজগাঁও, ঢাকা
আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে সম্ভব, মোবাইল থেকে ট্যাক্স নেওয়া এর একটি মাধ্যম হতে পারে।
মো. মাহবুব উদ্দিন সাজ
ব্যবসায়ী, মিরপুর, ঢাকা
পদ্মা সেতু এতদিন ধরে ঝুলে আছে। এটা নিয়ে এত তদন্ত হলো। আজকে আবুল হোসেন নির্দোষ দাবি করে পত্রিকায় বিবৃতি দিলেন। তিনি যদি সৎই হন, তাহলে কেন আন্তর্জাতিক আদালতে বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলা করেননি! কেন পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা করেননি! অথচ হলমার্ক, শেয়ারবাজারসহ এসব কেলেঙ্কারি না হলে নিজেদের টাকায় সেতু করা সম্ভব হতো। আরাফাত হোসাইন
চাকরিজীবী, চট্টগ্রাম
বিশ্বব্যাংক তো কোনো কারণ ছাড়াই বিষয়টি ঝুলে রাখেনি। অথচ আবার আবুল হোসেন বিবৃতি দিয়ে বলছেন, তিনি নির্দোষ। আসলে মূল ব্যাপারটা কী। আর সেতু যদি হয়ই সেখানে রেল থাকতেই হবে।
নিকেশ বৈদ্য
পত্রিকা ব্যবসায়ী, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ
পদ্মা সেতু হোক। আমরা চাই, যেভাবেই হোক সরকার যেন পদ্মা সেতু করে। সেতু হলে দেশের উন্নয়ন হবে।
মো. শওকত হোসেন লিয়াকত
শিক্ষার্থী, গৌরনদী, বরিশাল
পদ্মা সেতু আমাদের স্বপ্ন। দক্ষিণবঙ্গের মানুষের জন্য নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। নিজস্ব অর্থায়ন হলে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে। সরকার যেন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে সত্যিকার করণীয় ঠিক করে।
মাসুম বিল্লাহ
শিক্ষার্থী, কুমিল্লা
পদ্মা সেতুর দুর্নীতির সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত তাদের বিচার হোক। এ সরকারের আমলেই যেন সেতুটি হয়।
মো. পারভেজ আলম
ব্যবসায়ী, নারায়ণগঞ্জ
দু'জন মন্ত্রীর জন্য পদ্মা সেতু আমরা হারালাম। সরকার আমাদের সঙ্গে তামাশাই করেছে। আদৌ পদ্মা সেতু হবে কি-না এ নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
মো. নজরুল ইসলাম সোহেল
শিক্ষার্থী, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার
পদ্মা সেতু সরকারের প্রতিশ্রুতি। বিশ্বব্যাংক এমনিতেই আমাদের ওপর অতিরিক্ত খবরদারি করে। এখন পদ্মা সেতু যাদের কারণে ঝুলে গেল তাদের বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ যেন প্রধানমন্ত্রী নেন।
মোহাম্মদ আলী মানিক
ব্যবসায়ী, নোয়াখালী
বিদেশের ওপর নির্ভরশীলতা আমাদের কমানো উচিত। দেশনির্ভর হওয়া উচিত। কোনো কিছু যদি দেশের সম্পদের মাধ্যমে সম্ভব হয়, দেশীয় অর্থায়নেই করা উচিত।
মো. ফিরোজ আলম
ব্যবসায়ী, পুরানা পল্টন, ঢাকা
আমাদের দেশে দাতাগোষ্ঠী তাদের স্বার্থেই টাকা লগি্ন করে। তারা নিজস্ব ঠিকাদার, কনসালটেন্ট নিয়োগ দিতে বাধ্য করে। সরকার যেহেতু তাদের থেকে ঋণ প্রত্যাহার করে নিয়েছে এখন সরকার নিজস্ব অর্থায়নে সেতু হওয়ার কথা বলছে, নিশ্চয়ই তাদের সে পরিমাণ অর্থ রয়েছে।
মো. মামুন
শিক্ষক, ফেনী শিশুনিকেতন
সরকারের অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্বব্যাংক, জাইকা ও এডিবির সহজশর্তের পদ্মা সেতুর ঋণ প্রস্তাব হাতছাড়া হলো। আবুলের কারণে আমরা পিছিয়ে পড়লাম। সরকার সেতু করার যে স্বপ্ন দেখাচ্ছে তা প্রতারণা মাত্র।
কৃষ্ণকুমার কর্মকার
ব্যবসায়ী, সখীপুর, টাঙ্গাইল
পদ্মা সেতুর ব্যাপারে সরকার আন্তরিক নয়। মন্ত্রীদের কথাবার্তাই তার প্রমাণ। তাদের বলিই হয়েছে সাধারণ জনগণ। এ সরকারের আমলে আসলে সেতু হবে না। সরকার এ দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাচ্ছে। তবে কোটি কোটি কালো টাকা যদি বাজেয়াপ্ত করতে পারে, তাহলে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু সম্ভব।
মো. আবুল হাশেম
ব্যবসায়ী, মুন্সীগঞ্জ
আবুল হোসেনকে যদি প্রধান আসামি করা হতো, তাহলে মনে হয় বিশ্বব্যাংক অর্থ দিত।
ডা. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস
চিকিৎসক, জকিগঞ্জ, সিলেট
এক বছর আগেই নিজস্ব অর্থায়নে সেতু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। বিশ্বব্যাংক শুধু শুধু টালবাহানা করেছে। এটা ষড়যন্ত্র। প্রত্যাহার করায় সরকারকে ধন্যবাদ।
ফারুক হোসেন
সাংবাদিক, বাগমারা, রাজশাহী
বিশ্বব্যাংকের সাহায্য ছাড়াই সরকার পদ্মা সেতু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ জন্য ধন্যবাদ। বিরোধীরা বলছে, সরকার পারবে না। আসলে তা ঠিক নয়। সরকার পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করতে পারবে বলেই জনগণ মনে করছে।
মো. কামরুল ইসলাম
শিক্ষক, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সরকার পদ্মা সেতু নিয়ে নাটক করেছে। সেতুতে আসলে দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতি হয়েছে বলেই সব দাতাগোষ্ঠী ঋণ দিতে নাকচ করে দিয়েছে। দুর্নীতি যারাই করুক তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
প্রবীর বিশ্বাস মনি
শিক্ষার্থী, বরিশাল
দেশীয় অর্থায়নে যদি পদ্মা সেতু হয় তাতে আমরা সাহায্য করতে প্রস্তুত আছি।
মো. আবুল বাশার
ব্যবসায়ী, সোনাইমুড়ী, নোয়াখালী
পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংক আমাদের সঙ্গে যে খেলা করেছে তার অবসান চাই। সরকার যেন তা বাস্তবায়ন করে । প্রয়োজনে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্ম সেতু নির্মাণ করবে।
মো. হাবিবুর রহমান প্রিন্স
চাকরিজীবী, রাজাপুর, ঝালকাঠি
যে কোনো প্রকারেই হোক, বিশ্বব্যাংকের টাকাতেই আমাদের পদ্মা সেতু হোক। নতুবা বিশ্ব আমাদের বিশ্বচোর হিসেবেই ভাববে অনন্তকাল।
No comments