চিলমারীতে ভাঙনে সরকারি কার্যালয় ও সড়ক বিলীন
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা এলাকায়
ব্রহ্মপুত্র নদে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে এলাকার তিনটি
গ্রামের ৭০টি বসতভিটা, ৪০০ একর আবাদি জমি, একটি সরকারি কার্যালয় ও ২০০ ফুট
সড়ক নদগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এ ছাড়া নদের ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের সরদারপাড়া জিরো পয়েন্টে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে রমনা নৌঘাট এলাকায় দেখা যায়, ভাঙনকবলিত লোকজন বসতঘরের মালামাল ও গাছপালা সরিয়ে নিচ্ছেন। পৌষ মাসে এভাবে ভাঙন শুরু হওয়ায় তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। রমনা এলাকার পানের দোকানদার রেজাউল করিম জানান, গত তিন দিনে এ এলাকায় বিআইডব্লিউটিএর কার্যালয়, মুঠোফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের টাওয়ার, ঘাটশ্রমিক কার্যালয়সহ ২০টি দোকান ও ২০০ ফুট সড়ক নদগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, বাতাসের কারণে পানির স্রোত বৃদ্ধি পেয়ে ভাঙন তীব্র হয়েছে।
সোনারীপাড়া এলাকার মোমেনা ও আনোয়ারা বেগম জানান, গত এক সপ্তাহে সোনারীপাড়া গ্রামের প্রায় ৩০টি বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। টোনগ্রাম এলাকার জহির ব্যাপারী ও বাদশা মিয়া জানান, গত এক সপ্তাহে তাঁদেরসহ টোনগ্রামের ৩০টি বসতভিটা নদগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
গুড়াতিপাড়া এলাকার সোবাহান ও কলিম উদ্দিন জানান, এক সপ্তাহে তাঁদের গ্রামের ১০টি বসতভিটা ও ২০০ একর আবাদি জমি বিলীন হয়ে গেছে। তাঁরা আরও জানান, বর্ষা মৌসুমে নদ ভাঙলে সরকারি কর্মকর্তারা দেখতে আসেন। কিন্তু এবার শীত মৌসুমে নদভাঙন শুরু হওয়ার পর কেউ আসেননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ব্রক্ষ্মপুত্র নদের ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন সরদারপাড়া এলাকায় নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম বলেন, পৌষ মাসে তিনি কখনো এভাবে ব্রক্ষ্মপুত্র নদে ভাঙন দেখেননি। শিগগিরই রমনা, টোনগ্রাম, সোনারীপাড়া ও গুরাতিপাড়া এলাকার ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এখনই ব্যবস্থা না নিলে আরও অনেক এলাকা বিলীন হয়ে যাবে।
পাউবোর কুড়িগ্রাম কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তাহের জানান, ভাঙনকবলিত এলাকা রক্ষার জন্য একটি প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন আছে। অনুমোদন পেলে শুষ্ক মৌসুমেই কাজ শুরু করা যাবে।
সরেজমিনে রমনা নৌঘাট এলাকায় দেখা যায়, ভাঙনকবলিত লোকজন বসতঘরের মালামাল ও গাছপালা সরিয়ে নিচ্ছেন। পৌষ মাসে এভাবে ভাঙন শুরু হওয়ায় তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। রমনা এলাকার পানের দোকানদার রেজাউল করিম জানান, গত তিন দিনে এ এলাকায় বিআইডব্লিউটিএর কার্যালয়, মুঠোফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের টাওয়ার, ঘাটশ্রমিক কার্যালয়সহ ২০টি দোকান ও ২০০ ফুট সড়ক নদগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, বাতাসের কারণে পানির স্রোত বৃদ্ধি পেয়ে ভাঙন তীব্র হয়েছে।
সোনারীপাড়া এলাকার মোমেনা ও আনোয়ারা বেগম জানান, গত এক সপ্তাহে সোনারীপাড়া গ্রামের প্রায় ৩০টি বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। টোনগ্রাম এলাকার জহির ব্যাপারী ও বাদশা মিয়া জানান, গত এক সপ্তাহে তাঁদেরসহ টোনগ্রামের ৩০টি বসতভিটা নদগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
গুড়াতিপাড়া এলাকার সোবাহান ও কলিম উদ্দিন জানান, এক সপ্তাহে তাঁদের গ্রামের ১০টি বসতভিটা ও ২০০ একর আবাদি জমি বিলীন হয়ে গেছে। তাঁরা আরও জানান, বর্ষা মৌসুমে নদ ভাঙলে সরকারি কর্মকর্তারা দেখতে আসেন। কিন্তু এবার শীত মৌসুমে নদভাঙন শুরু হওয়ার পর কেউ আসেননি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ব্রক্ষ্মপুত্র নদের ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন সরদারপাড়া এলাকায় নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম বলেন, পৌষ মাসে তিনি কখনো এভাবে ব্রক্ষ্মপুত্র নদে ভাঙন দেখেননি। শিগগিরই রমনা, টোনগ্রাম, সোনারীপাড়া ও গুরাতিপাড়া এলাকার ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এখনই ব্যবস্থা না নিলে আরও অনেক এলাকা বিলীন হয়ে যাবে।
পাউবোর কুড়িগ্রাম কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তাহের জানান, ভাঙনকবলিত এলাকা রক্ষার জন্য একটি প্রকল্প পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন আছে। অনুমোদন পেলে শুষ্ক মৌসুমেই কাজ শুরু করা যাবে।
No comments