চারাসংকটে বোরো আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা
ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে বোরোর
অনেক বীজতলা নষ্ট হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, বগুড়া,
রংপুর ও লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় চারাসংকট সৃষ্টি হয়েছে।
এ কারণে কৃষকেরা বোরো আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের গভীর নলকূপ চালক সমিতির সভাপতি আবদুল করিম জানান, ইউনিয়নের ৪২টি গভীর নলকূপের আওতায় ১২৫ থেকে ২০০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়। কিন্তু এবার চারার অভাবে আবাদ হবে অর্ধেকেরও কম।
কৃষকেরা জানান, মাঘ মাসের ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যেই বোরো চাষ শুরু হয়। বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে রোপণ করতে হয়। কিন্তু বীজতলার চারার ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। আবার নতুন করে বীজতলা তৈরি করলেও বোরো আবাদে দেরি হয়ে যাবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত মৌসুমে এই সময়ের মধ্যে আবাদ হয়েছিল ২৩ হাজার হেক্টরের বেশি। কিন্তু এবার হয়েছে ১১ হাজার হেক্টর। এবার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫১ হাজার হেক্টর। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না।
নীলফামারী: জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এস এম সিরাজুল ইসলাম জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে কিছু বীজতলা নষ্ট হলেও খুব একটা সমস্যা হবে না। অনেকে নতুন করে আরও বীজতলা করছেন। ১৫ মার্চ পর্যন্ত বোরো ধান বপন করা যাবে, তাই এখনো বীজতলা করে চারার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। এ ছাড়া অনেকে তাঁদের বীজতলা ঢেকে রেখে রক্ষা করেছেন। যাঁদের চারার মাথা শুকিয়ে গেছে, সেগুলোতে সেচ ও ছত্রাকনাশক প্রয়োগেরও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
পীরগাছা (রংপুর): উপজেলার তাম্বুলপুর, কৈকুড়ী, কান্দি ও পীরগাছা সদর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় ছত্রাক রোগে বোরো বীজতলার চারা গাছ হলুদ হয়ে এবং শিকড় পচে চারা গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফতাব হোসেন জানান, তাপমাত্রা কমে গেলে এবং শীতের প্রকোপ বাড়লে বীজতলায় কোল্ড ইনজুরি ও ছত্রাক রোগের আক্রমণ দেখা দেয়। তাই শীতের হাত থেকে বোরো বীজতলা রক্ষায় করণীয় সম্পর্কে লিফলেট বিতরণসহ কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন সকালে বীজতলার চারা গাছে আটকে থাকা কুয়াশার পানি রশি দিয়ে টেনে ফেলে দিতে হবে। প্রয়োজনে রাতে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
শিবগঞ্জ (বগুড়া): এবার উপজেলায় প্রায় এক হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা করা হয়েছিল। ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে প্রায় ৬০০ হেক্টর জমির বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকে আবার নতুন করে বীজতলা ফেলেছেন। এ কারণে এই সময় চারাসংকটের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এজাজ কামাল বলেন, যাঁদের বীজতলা নষ্ট হয়েছে, তাঁরা আবার বীজতলা তৈরি করছেন। তবে যাঁরা আগাম বোরো চাষ করতে চাইছেন, তাঁরা চারাসংকটের কারণে কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন।
উলিপুর (কুড়িগ্রাম): চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৮ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য এক হাজার ৫২৯ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়। কিন্তু প্রায় ৩৩৯ হেক্টর বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, শৈত্যপ্রবাহ ও ঘনকুয়াশা থেকে চারা রক্ষায় কৃষকদের রাতের বেলা পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখা এবং যাঁদের পলিথিন ব্যবহারের সামর্থ্য নেই তাঁদের সকালবেলা কাঠি দিয়ে বীজতলা থেকে শিশির ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। অনেকে পরামর্শ মতো পরিচর্যা না করায় বীজতলা নষ্ট হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের গভীর নলকূপ চালক সমিতির সভাপতি আবদুল করিম জানান, ইউনিয়নের ৪২টি গভীর নলকূপের আওতায় ১২৫ থেকে ২০০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়। কিন্তু এবার চারার অভাবে আবাদ হবে অর্ধেকেরও কম।
কৃষকেরা জানান, মাঘ মাসের ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যেই বোরো চাষ শুরু হয়। বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে রোপণ করতে হয়। কিন্তু বীজতলার চারার ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। আবার নতুন করে বীজতলা তৈরি করলেও বোরো আবাদে দেরি হয়ে যাবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত মৌসুমে এই সময়ের মধ্যে আবাদ হয়েছিল ২৩ হাজার হেক্টরের বেশি। কিন্তু এবার হয়েছে ১১ হাজার হেক্টর। এবার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫১ হাজার হেক্টর। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না।
নীলফামারী: জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এস এম সিরাজুল ইসলাম জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে কিছু বীজতলা নষ্ট হলেও খুব একটা সমস্যা হবে না। অনেকে নতুন করে আরও বীজতলা করছেন। ১৫ মার্চ পর্যন্ত বোরো ধান বপন করা যাবে, তাই এখনো বীজতলা করে চারার সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। এ ছাড়া অনেকে তাঁদের বীজতলা ঢেকে রেখে রক্ষা করেছেন। যাঁদের চারার মাথা শুকিয়ে গেছে, সেগুলোতে সেচ ও ছত্রাকনাশক প্রয়োগেরও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
পীরগাছা (রংপুর): উপজেলার তাম্বুলপুর, কৈকুড়ী, কান্দি ও পীরগাছা সদর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় ছত্রাক রোগে বোরো বীজতলার চারা গাছ হলুদ হয়ে এবং শিকড় পচে চারা গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফতাব হোসেন জানান, তাপমাত্রা কমে গেলে এবং শীতের প্রকোপ বাড়লে বীজতলায় কোল্ড ইনজুরি ও ছত্রাক রোগের আক্রমণ দেখা দেয়। তাই শীতের হাত থেকে বোরো বীজতলা রক্ষায় করণীয় সম্পর্কে লিফলেট বিতরণসহ কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন সকালে বীজতলার চারা গাছে আটকে থাকা কুয়াশার পানি রশি দিয়ে টেনে ফেলে দিতে হবে। প্রয়োজনে রাতে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
শিবগঞ্জ (বগুড়া): এবার উপজেলায় প্রায় এক হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা করা হয়েছিল। ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে প্রায় ৬০০ হেক্টর জমির বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকে আবার নতুন করে বীজতলা ফেলেছেন। এ কারণে এই সময় চারাসংকটের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এজাজ কামাল বলেন, যাঁদের বীজতলা নষ্ট হয়েছে, তাঁরা আবার বীজতলা তৈরি করছেন। তবে যাঁরা আগাম বোরো চাষ করতে চাইছেন, তাঁরা চারাসংকটের কারণে কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন।
উলিপুর (কুড়িগ্রাম): চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৮ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য এক হাজার ৫২৯ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়। কিন্তু প্রায় ৩৩৯ হেক্টর বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, শৈত্যপ্রবাহ ও ঘনকুয়াশা থেকে চারা রক্ষায় কৃষকদের রাতের বেলা পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখা এবং যাঁদের পলিথিন ব্যবহারের সামর্থ্য নেই তাঁদের সকালবেলা কাঠি দিয়ে বীজতলা থেকে শিশির ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। অনেকে পরামর্শ মতো পরিচর্যা না করায় বীজতলা নষ্ট হয়েছে।
No comments