প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কোন অর্জন নেই দেলোয়ার

স্টাফ রিপোর্টার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের কোন অর্জন হবে না। দেশের কল্যাণের জন্য নয়, মহাজোট সরকারের মুরবি্বদের খুশি করতে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করছেন বলে মনত্মব্য করেন প্রধান বিরোধী দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরে বাংলাদেশের কোন কল্যাণ হবে না। কারণ প্রধানমন্ত্রী তিসত্মা নদী ও পদ্মা নদীর পানি বণ্টরের ব্যাপারে কোন কথা না বলে ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশের বাজার সয়লাব করার চুক্তি করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি আরও বলেন, মুরবি্বদের খুশি করে তাদের কথা মতো সরকার পরিচালনা করলে দেশের স্বার্থ রৰা হবে না। দেশের কল্যাণের জন্য কাজ করতে হবে। অন্যথায় দেশবাসী আর ঘরে বসে থাকবে না। দেশের স্বার্থ রৰার জন্য রাজপথে আন্দোলন করতে বাধ্য হবে। দেশের বিরম্নদ্ধে যে কোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।
মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয কার্যালয়ের সামনে 'ওয়ান ইলেভেন' এর প্রতিবাদে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন। ভারতের সঙ্গে বন্দী বিনিময় চুক্তির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ভারত থেকে বিদু্যত আনতে সমঝোতা বিষয়ের সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশে বিদু্যত উৎপাদনের ব্যবস্থা না করে ভারত থেকে বিদু্যত আনার চুক্তি করে প্রতিবেশী দেশকেই আর্থিকভাবে লাভবান করা হচ্ছে।
প্রতিবাদ সমাবেশের পর বিৰোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি কাকরাইল, বিজয়নগর, পল্টন মোড় হয়ে জাতীয় প্রেসকাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলের আগে সমাবেশ পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদীন ফারম্নক এমপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এমপি, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরম্নল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব আমান উলস্নাহ আমান, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এমপি, শিৰা বিষয়ক সম্পাদক খায়রম্নল কবির খোকন, মহিলা দলের নেত্রী শিরিন সুলতানা, হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
উলেস্নখ্য, গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দুই দেশের অপরাধ দমন বিষয়ক ও বিদু্যত খাতে সহযোগিতা এবং দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় বিষয়ক দু'টি সমঝোতা স্মারক স্বাৰরিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ রকম চুক্তি ছাড়াই তো ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তাদের কাছে হসত্মানত্মর করা হয়েছে। এ সব চুক্তি করে দেশকে প্রতিবেশী দেশের বাজার বাংলাদেশের বাজারে পরিণত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের দলীয় চেয়ারপার্সন আগেই বলেছেন বন্দী বিনিময় চুক্তি করবেন না। তিসত্মা নদী ও গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোন আলোচনা না করায় ৰোভ প্রকাশ করে দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশের কোন অর্জন নেই। দেশের মানুষ কোন সুফল দেখছেন না। অথচ শেখ হাসিনার সফর সফল না হওয়ার আগেই আওয়ামী লীগ তাকে সংবর্ধনা দেয়ার সিদ্ধানত্ম নিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সকল কর্মকা- এই সরকার সমর্থন করেছে। এজন্য এই সরকার ওয়ান ইলেভেন উপলৰে কালো দিবস পালন করছে না। নিজেদের ইচ্ছেমতো সরকার পরিচালনা করছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীর নামের মামলা প্রত্যাহার না করে বরং অনেকের নামে নতুন মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচন ছিল পাতানো। মুরবি্বদের কথামতো নির্বাচন হয়েছে। জনগণ ভোট দিতে পারেনি। দেশের বিরম্নদ্ধে এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা হবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রৰা করতে মানুষ আর ঘরে বসে থাকতে পারছে না। দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে প্রয়োজনে আন্দোলন করা হবে।

No comments

Powered by Blogger.