হুমায়ূনকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে লাখো মানুষ: হাতে ফুল, চোখে অশ্রু
অমর একুশের দিন ছাড়া এমন দৃশ্য আর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেখা যায় না। তিন দিকের পথে যানবাহনের প্রবেশ বন্ধ। ধর্মবর্ণ-নির্বিশেষে হাজার হাজার আবালবৃদ্ধবনিতা ফুল নিয়ে আসছেন ব্যথিত হূদয়ে। পূর্ব দিকের লাইন গিয়েছে দোয়েল চত্বরে, দক্ষিণ দিকে ঢাকা মেডিকেলের গেটে, উত্তরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসির কার্যালয় ছুঁই-ছুঁই।
সেই যে সকাল ১০টা নাগাদ মানুষের আসা শুরু হয়েছিল, ঢেউয়ের পর ঢেউয়ে যেমন প্রবহমান থাকে নদীর স্রোত, তেমনি মধ্যদুপুর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল সেই জনস্রোত। মাথার ওপর কখনো প্রখর রোদ, কখনো বয়ে গেল বৃষ্টি। পথে লাইন ধরে দাঁড়ানো মানুষ। স্মরণকালে এমন দৃশ্য আর দেখা যায়নি।
শহীদ মিনারের প্রাঙ্গণে উত্তর-পূর্ব পাশে গগন-শিরীষগাছের তলায় কালো মঞ্চে রাখা কফিন। বাংলা সাহিত্যের নন্দিত কৃতী পুরুষ হুমায়ূন আহমেদ চিরনিদ্রায় শায়িত। কফিনের ডালা বন্ধ। মাইকে বলাও হচ্ছিল, ‘মুখ দর্শনের ব্যবস্থা নেই। আপনারা কফিনের দিকে ঝুঁকবেন না। ফুল রেখে সামনে দিয়ে শুধু হেঁটে যান।’ তা সত্ত্বেও কঠিন হয়ে পড়েছিল ভিড় সামলানো। তবে নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন অসংখ্য। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কর্মীরাও ছিলেন। বেশ শৃঙ্খলার সঙ্গেই সকাল থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত লাখের কোটা পেরিয়ে যাওয়া নর-নারী শেষ দেখা দেখতে না পেলেও অন্তরের গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন তাঁদের প্রিয় লেখককে।
গতকাল সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মরদেহ আসার আগে থেকেই হুমায়ূনের অনুরাগীরা শহীদ মিনারে অপেক্ষায় ছিলেন। ১০টা ২০ মিনিটে মরদেহবাহী গাড়িটি শহীদ মিনারে আসে। সেখানে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কাজী ফখরুদ্দিন আহমেদ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। জনতার ঢল শুরু হয়ে এর পরপরই।
কে নেই সেই শোকার্ত জনসমারোহে! মন্ত্রী থেকে রাজনীতিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক, সংস্কৃতিকর্মী, সিনেমা, টিভি-তারকা, চারুশিল্পী, সংগীতজ্ঞ, ব্যবসায়ী, সরকারি পদস্থ কর্মকর্তা থেকে সাধারণ কর্মচারী, ইউনিফর্ম পরা স্কুলের ছাত্রছাত্রীর দল, সংগঠনের ব্যানার নিয়ে শিশু-কিশোর, নারী ও শ্রমজীবী সংগঠনের নেতা-কর্মী, বাউল, দোকানদার, গাড়ির চালক পর্যন্ত। এসেছিলেন শ্রমজীবী, পেশাজীবী, ছাত্র, সাংস্কৃতিক সংগঠন, সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
শহীদ মিনারের বেদির পর সামনের ইট বিছানো চত্বরটি ঘিরে রাখা হয়েছিল। সেখানে টিভি চ্যানেলগুলোর স্টল। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল শহীদ মিনার থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর্বটি সরাসরি সম্প্রচার করে। আবার শিরীষগাছের তলা থেকে সামনের ঘাসঢাকা অংশটিও সংরক্ষিত রাখা হয়েছিল গণমাধ্যমকর্মী, নিরাপত্তাকর্মী ও মরহুমের পরিবার-পরিজনের জন্য। ফলে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা সাধারণ মানুষ পূর্ব দিকের পথ দিয়ে শহীদ মিনার চত্বরে প্রবেশ করে কফিনের সামনে দিয়ে হেঁটে পশ্চিম দিকের পথ দিয়ে বের হয়ে গেছেন। এ কারণে কোনো বড় রকমের জটলা হয়নি। কফিনের পাশে সর্বক্ষণ ছিলেন হুমায়ূন আহমেদের ছেলে নুহাশ হুমায়ূন, মেয়ে শীলা আহমেদ, নোভা আহমেদ। এ ছাড়া ছিলেন ভাই মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তাঁর স্ত্রী ইয়াসমিন হক, আরেক ভাই আহসান হাবীব ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজন।
বেলা ঠিক ১১টায় আসেন হুুমায়ূন আহমেদের মা আয়েশা ফয়েজ। ছেলের কফিন দুই হাতে আঁকড়ে ধরে তাতে মাথা রেখে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। কিছুক্ষণ পর তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে পেছনে নির্মিত ছাউনিতে বসানো হয়। তাঁর অন্য ছেলেমেয়ে ও নাতি-নাতনিরা তাঁকে ঘিরে রেখে সান্ত্বনা দিতে থাকেন।
বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ আসেন মেহের আফরোজ শাওন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা তহুরা আলী। দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ করেই নামে একপশলা বৃষ্টি। কিন্তু তাতেও শ্রদ্ধা নিবেদনে কোনো ছেদ পড়েনি। হাজার হাজার নর-নারী সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন চলে বেলা দুইটা পর্যন্ত। হুুমায়ূন আহমেদকে কোথায় দাফন করা হবে, এ নিয়ে কৌতূহলী ছিলেন সবাই।
পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে হুমায়ূন আহমেদের মেজো ভাই লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল সমবেত নর-নরীর কাছে পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘হুুমায়ূন আহমেদ আমার ভাই। আজকে এখানে এসে বুঝতে পারছি, তিনি কেবল আমার একার ভাই নন, আমাদের পরিবারের সন্তান নন, আপনাদের সবার ভাই। সবার কত আপন মানুষ। তাঁকে আপনারা সবাই দেখতে পারেননি। সে জন্য আমরা দুঃখিত। আমরা আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আবেদন জানাই, তাঁর জন্য আপনারা দোয়া করবেন যেন বেহেশতে তাঁর আত্মা চিরশান্তি লাভ করে।’
এরপর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষে সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ‘হুুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের শুধু অন্যতম প্রধান জনপ্রিয় লেখকই ছিলেন না, তিনি সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছেন। তিনি জাতির ঐক্যের প্রতীকে পরিণত হয়েছেন। বাংলা ভাষা যত দিন থাকবে, তিনিও তত দিন মানুষের মনে অম্লান থাকবেন।’
জানাজা
জাতীয় ঈদগাহে বেলা আড়াইটায় হুমায়ূন আহমেদের জানাজা হয়। ইমাম ছিলেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মো. সালাউদ্দিন। জানাজার আগে হুমায়ূন আহমেদের ছেলে নুহাশ হুমায়ূন সবার কাছে বাবার জন্য দোয়া ও ক্ষমা চান। ঈদগাহের অর্ধেকের বেশি এলাকায় মানুষ কাতারে দাঁড়িয়ে জানাজায় অংশ নেন। মাঠের বাইরে রাস্তায়ও মানুষকে জানাজায় অংশ নিতে দেখা গেছে। নামাজের দোয়ার সময় অনেকে চোখের পানি মুছছিলেন। এমনই একজন গাড়িচালক আল-আমিন। তিনি বলেন, ‘স্যারকে কয়েকবার টেলিভিশনে দেখেছি। বইমেলা থেকে তাঁর লেখা বইও কিনে পড়েছি। আমার ছেলেমেয়েরাও তাঁর বই পড়ে। মৃত্যুর পর তাঁর জানাজা পড়তে এলাম।’ নামাজ শেষে হুমায়ূন আহমেদের কফিন বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।
শহীদ মিনারের প্রাঙ্গণে উত্তর-পূর্ব পাশে গগন-শিরীষগাছের তলায় কালো মঞ্চে রাখা কফিন। বাংলা সাহিত্যের নন্দিত কৃতী পুরুষ হুমায়ূন আহমেদ চিরনিদ্রায় শায়িত। কফিনের ডালা বন্ধ। মাইকে বলাও হচ্ছিল, ‘মুখ দর্শনের ব্যবস্থা নেই। আপনারা কফিনের দিকে ঝুঁকবেন না। ফুল রেখে সামনে দিয়ে শুধু হেঁটে যান।’ তা সত্ত্বেও কঠিন হয়ে পড়েছিল ভিড় সামলানো। তবে নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন অসংখ্য। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কর্মীরাও ছিলেন। বেশ শৃঙ্খলার সঙ্গেই সকাল থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত লাখের কোটা পেরিয়ে যাওয়া নর-নারী শেষ দেখা দেখতে না পেলেও অন্তরের গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন তাঁদের প্রিয় লেখককে।
গতকাল সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মরদেহ আসার আগে থেকেই হুমায়ূনের অনুরাগীরা শহীদ মিনারে অপেক্ষায় ছিলেন। ১০টা ২০ মিনিটে মরদেহবাহী গাড়িটি শহীদ মিনারে আসে। সেখানে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের পক্ষে তাঁর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কাজী ফখরুদ্দিন আহমেদ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। জনতার ঢল শুরু হয়ে এর পরপরই।
কে নেই সেই শোকার্ত জনসমারোহে! মন্ত্রী থেকে রাজনীতিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক, সংস্কৃতিকর্মী, সিনেমা, টিভি-তারকা, চারুশিল্পী, সংগীতজ্ঞ, ব্যবসায়ী, সরকারি পদস্থ কর্মকর্তা থেকে সাধারণ কর্মচারী, ইউনিফর্ম পরা স্কুলের ছাত্রছাত্রীর দল, সংগঠনের ব্যানার নিয়ে শিশু-কিশোর, নারী ও শ্রমজীবী সংগঠনের নেতা-কর্মী, বাউল, দোকানদার, গাড়ির চালক পর্যন্ত। এসেছিলেন শ্রমজীবী, পেশাজীবী, ছাত্র, সাংস্কৃতিক সংগঠন, সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
শহীদ মিনারের বেদির পর সামনের ইট বিছানো চত্বরটি ঘিরে রাখা হয়েছিল। সেখানে টিভি চ্যানেলগুলোর স্টল। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল শহীদ মিনার থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর্বটি সরাসরি সম্প্রচার করে। আবার শিরীষগাছের তলা থেকে সামনের ঘাসঢাকা অংশটিও সংরক্ষিত রাখা হয়েছিল গণমাধ্যমকর্মী, নিরাপত্তাকর্মী ও মরহুমের পরিবার-পরিজনের জন্য। ফলে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা সাধারণ মানুষ পূর্ব দিকের পথ দিয়ে শহীদ মিনার চত্বরে প্রবেশ করে কফিনের সামনে দিয়ে হেঁটে পশ্চিম দিকের পথ দিয়ে বের হয়ে গেছেন। এ কারণে কোনো বড় রকমের জটলা হয়নি। কফিনের পাশে সর্বক্ষণ ছিলেন হুমায়ূন আহমেদের ছেলে নুহাশ হুমায়ূন, মেয়ে শীলা আহমেদ, নোভা আহমেদ। এ ছাড়া ছিলেন ভাই মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তাঁর স্ত্রী ইয়াসমিন হক, আরেক ভাই আহসান হাবীব ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজন।
বেলা ঠিক ১১টায় আসেন হুুমায়ূন আহমেদের মা আয়েশা ফয়েজ। ছেলের কফিন দুই হাতে আঁকড়ে ধরে তাতে মাথা রেখে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। কিছুক্ষণ পর তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে পেছনে নির্মিত ছাউনিতে বসানো হয়। তাঁর অন্য ছেলেমেয়ে ও নাতি-নাতনিরা তাঁকে ঘিরে রেখে সান্ত্বনা দিতে থাকেন।
বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ আসেন মেহের আফরোজ শাওন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা তহুরা আলী। দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ করেই নামে একপশলা বৃষ্টি। কিন্তু তাতেও শ্রদ্ধা নিবেদনে কোনো ছেদ পড়েনি। হাজার হাজার নর-নারী সুশৃঙ্খলভাবে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন চলে বেলা দুইটা পর্যন্ত। হুুমায়ূন আহমেদকে কোথায় দাফন করা হবে, এ নিয়ে কৌতূহলী ছিলেন সবাই।
পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে হুমায়ূন আহমেদের মেজো ভাই লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল সমবেত নর-নরীর কাছে পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘হুুমায়ূন আহমেদ আমার ভাই। আজকে এখানে এসে বুঝতে পারছি, তিনি কেবল আমার একার ভাই নন, আমাদের পরিবারের সন্তান নন, আপনাদের সবার ভাই। সবার কত আপন মানুষ। তাঁকে আপনারা সবাই দেখতে পারেননি। সে জন্য আমরা দুঃখিত। আমরা আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আবেদন জানাই, তাঁর জন্য আপনারা দোয়া করবেন যেন বেহেশতে তাঁর আত্মা চিরশান্তি লাভ করে।’
এরপর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষে সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেন, ‘হুুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের শুধু অন্যতম প্রধান জনপ্রিয় লেখকই ছিলেন না, তিনি সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছেন। তিনি জাতির ঐক্যের প্রতীকে পরিণত হয়েছেন। বাংলা ভাষা যত দিন থাকবে, তিনিও তত দিন মানুষের মনে অম্লান থাকবেন।’
জানাজা
জাতীয় ঈদগাহে বেলা আড়াইটায় হুমায়ূন আহমেদের জানাজা হয়। ইমাম ছিলেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মো. সালাউদ্দিন। জানাজার আগে হুমায়ূন আহমেদের ছেলে নুহাশ হুমায়ূন সবার কাছে বাবার জন্য দোয়া ও ক্ষমা চান। ঈদগাহের অর্ধেকের বেশি এলাকায় মানুষ কাতারে দাঁড়িয়ে জানাজায় অংশ নেন। মাঠের বাইরে রাস্তায়ও মানুষকে জানাজায় অংশ নিতে দেখা গেছে। নামাজের দোয়ার সময় অনেকে চোখের পানি মুছছিলেন। এমনই একজন গাড়িচালক আল-আমিন। তিনি বলেন, ‘স্যারকে কয়েকবার টেলিভিশনে দেখেছি। বইমেলা থেকে তাঁর লেখা বইও কিনে পড়েছি। আমার ছেলেমেয়েরাও তাঁর বই পড়ে। মৃত্যুর পর তাঁর জানাজা পড়তে এলাম।’ নামাজ শেষে হুমায়ূন আহমেদের কফিন বারডেম হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়।
No comments