হাজার রোজাদারের ইফতার by সেলিম জাহিদ
একসঙ্গে হাজার মানুষ চেয়ার-টেবিলে বসে খাওয়াদাওয়া করে বিয়েবাড়িতে, কমিউনিটি সেন্টারে। এটা নতুন কিছু নয়। কিন্তু একসঙ্গে হাজার মুসল্লির মেঝেতে বসে ইফতার করার দৃশ্য বেশ বিরল। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এই দৃশ্য এখন প্রতি সন্ধ্যার।
প্রতিবছর পবিত্র রমজানে বায়তুল মোকাররম মসজিদে মুসল্লিদের জন্য ইফতারের আয়োজন করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। আর এই আয়োজনে ধনী-গরিব, আতরাফ-আশরাফ, মিসকিন, পথিক—সবাই এক কাতারে বসে ইফতার করেন।
প্রতিবারের মতো এবারও ইফতারের এই আয়োজন করা হয়েছে বায়তুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব শাহানে (চত্বরে)। আসরের নামাজের পর থেকে রোজাদাররা সেখানে আসতে শুরু করেন। এখানে ইফতারে অংশ নেন ক্লান্ত পথিক, অবসন্ন দিনমজুর, এ-দ্বার ও-দ্বারে ঘুরে পরিশ্রান্ত ভিক্ষুকসহ নিম্নবিত্তের মানুষ। গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম এলাকায় বাজার করতে এসে বাসায় ফেরার সময় পাননি, এমন রোজাদাররাও ইফতারের এই বৃহৎ জমায়েতে শরিক হন। আবার স্থানীয় অনেক ব্যবসায়ীও বৃহৎ এই জমায়েতে ইফতার করতে পছন্দ করেন। পুরানা পল্টন এলাকার ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসায়ী জুলফিকার আলী বলেন, ‘এত রোজাদারের সঙ্গে একত্রে ইফতার করে আলাদা তৃপ্তি অনুভব করি। তাই এলাকায় থাকলে বায়তুল মোকাররম মসজিদে ইফতার করার চেষ্টা করি।’
এখানে ইফতার করতে জমায়েত হওয়া মুসল্লিদের উদ্দেশে বয়ান করার জন্য মসজিদের পূর্ব চত্বরে একটি অস্থায়ী মঞ্চ বানানো হয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ওই মঞ্চে মসজিদের একজন ইমাম প্রায় এক ঘণ্টা ধর্মীয় নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে হাজারো রোজাদারকে নিয়ে মোনাজাত হয়; এরপর সবাই শরিক হন ইফতারে। ইফতারের এই আয়োজন তদারক করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ ও মার্কেট বিভাগ।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ ও মার্কেট বিভাগের উপপরিচালক মুহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, এবার বায়তুল মোকাররম মসজিদের ইফতারে অংশ নেওয়া রোজাদারের সংখ্যা বেড়েছে। রোজার প্রথম দিনেই প্রায় ৯০০ মুসল্লি ইফতারে অংশ নেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজারের মতো। গত বছর রোজার শুরুর দিকে ৫০০ থেকে ৬০০ মুসল্লি এই ইফতারে শরিক হতেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এখানে মহিলা রোজাদারদের জন্যও ইফতারের পৃথক ব্যবস্থা আছে। মসজিদের পূর্ব-দক্ষিণ প্রান্তে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭০ জন রোজাদার এই আয়োজনে ইফতারে শরিক হন। মসজিদের মহিলা খাদেমরা তাঁদের ইফতার সরবরাহ করেন। গতকাল ৭০ জন ইফতার করেন বলে জানান ফাউন্ডেশনের একজন কর্মকর্তা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্র জানায়, মুসল্লিদের ইফতারের জন্য এ বছর সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সাত লাখ ১৪ হাজার টাকা। দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ইফতারি সরবরাহের কাজ দেয় ফাউন্ডেশন। এবার ছয় লাখ ১৩ হাজার টাকা দর দিয়ে ইফতারি সরবরাহের কাজ পায় বাসমতি নামের একটি খাবারের রেস্তোরাঁ।
মুসল্লিদের দেওয়া ইফতার সামগ্রির মধ্যে আছে রুহ আফজার শরবত, খেজুর, জিলাপি, ভাজা ছোলা, মুড়ি, পিয়াজু ও কলা। ইফতারের আগে রোজাদাররা সারিবদ্ধ হয়ে বসেন। বায়তুল মোকাররম মসজিদের ২১ জন খাদেম ও কিছু স্বেচ্ছাসেবী মুসল্লি ইফতারি সরবরাহে সহযোগিতা করেন। এক হাজার পানির গ্লাসে রোজাদারদের শরবত সরবরাহ করা হয়। ইফতারি দেওয়া হয় ৫০০ প্লেটে। প্লেটের বাইরে ৮০টি বড় ডিশে ইফতারি সরবরাহ করা হয়। একেকটি ডিশে সাত থেকে ১০ জন ইফতারি করতে পারেন।
বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় ভিক্ষা করেন মো. আবদুল্লাহ মিয়া। প্রায়ই মসজিদে ইফতারি করেন তিনি। আবদুল্লাহ মিয়া বলেন, ‘হারা দিন রোজা রাইখা ইফতারিও ভিক্ষা করবার মন চায় না। এইখানে শান্তিমতো ইফতারি করবার পারি।’
প্রতিবারের মতো এবারও ইফতারের এই আয়োজন করা হয়েছে বায়তুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব শাহানে (চত্বরে)। আসরের নামাজের পর থেকে রোজাদাররা সেখানে আসতে শুরু করেন। এখানে ইফতারে অংশ নেন ক্লান্ত পথিক, অবসন্ন দিনমজুর, এ-দ্বার ও-দ্বারে ঘুরে পরিশ্রান্ত ভিক্ষুকসহ নিম্নবিত্তের মানুষ। গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররম এলাকায় বাজার করতে এসে বাসায় ফেরার সময় পাননি, এমন রোজাদাররাও ইফতারের এই বৃহৎ জমায়েতে শরিক হন। আবার স্থানীয় অনেক ব্যবসায়ীও বৃহৎ এই জমায়েতে ইফতার করতে পছন্দ করেন। পুরানা পল্টন এলাকার ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসায়ী জুলফিকার আলী বলেন, ‘এত রোজাদারের সঙ্গে একত্রে ইফতার করে আলাদা তৃপ্তি অনুভব করি। তাই এলাকায় থাকলে বায়তুল মোকাররম মসজিদে ইফতার করার চেষ্টা করি।’
এখানে ইফতার করতে জমায়েত হওয়া মুসল্লিদের উদ্দেশে বয়ান করার জন্য মসজিদের পূর্ব চত্বরে একটি অস্থায়ী মঞ্চ বানানো হয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ওই মঞ্চে মসজিদের একজন ইমাম প্রায় এক ঘণ্টা ধর্মীয় নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে হাজারো রোজাদারকে নিয়ে মোনাজাত হয়; এরপর সবাই শরিক হন ইফতারে। ইফতারের এই আয়োজন তদারক করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ ও মার্কেট বিভাগ।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ ও মার্কেট বিভাগের উপপরিচালক মুহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, এবার বায়তুল মোকাররম মসজিদের ইফতারে অংশ নেওয়া রোজাদারের সংখ্যা বেড়েছে। রোজার প্রথম দিনেই প্রায় ৯০০ মুসল্লি ইফতারে অংশ নেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজারের মতো। গত বছর রোজার শুরুর দিকে ৫০০ থেকে ৬০০ মুসল্লি এই ইফতারে শরিক হতেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এখানে মহিলা রোজাদারদের জন্যও ইফতারের পৃথক ব্যবস্থা আছে। মসজিদের পূর্ব-দক্ষিণ প্রান্তে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭০ জন রোজাদার এই আয়োজনে ইফতারে শরিক হন। মসজিদের মহিলা খাদেমরা তাঁদের ইফতার সরবরাহ করেন। গতকাল ৭০ জন ইফতার করেন বলে জানান ফাউন্ডেশনের একজন কর্মকর্তা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্র জানায়, মুসল্লিদের ইফতারের জন্য এ বছর সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সাত লাখ ১৪ হাজার টাকা। দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ইফতারি সরবরাহের কাজ দেয় ফাউন্ডেশন। এবার ছয় লাখ ১৩ হাজার টাকা দর দিয়ে ইফতারি সরবরাহের কাজ পায় বাসমতি নামের একটি খাবারের রেস্তোরাঁ।
মুসল্লিদের দেওয়া ইফতার সামগ্রির মধ্যে আছে রুহ আফজার শরবত, খেজুর, জিলাপি, ভাজা ছোলা, মুড়ি, পিয়াজু ও কলা। ইফতারের আগে রোজাদাররা সারিবদ্ধ হয়ে বসেন। বায়তুল মোকাররম মসজিদের ২১ জন খাদেম ও কিছু স্বেচ্ছাসেবী মুসল্লি ইফতারি সরবরাহে সহযোগিতা করেন। এক হাজার পানির গ্লাসে রোজাদারদের শরবত সরবরাহ করা হয়। ইফতারি দেওয়া হয় ৫০০ প্লেটে। প্লেটের বাইরে ৮০টি বড় ডিশে ইফতারি সরবরাহ করা হয়। একেকটি ডিশে সাত থেকে ১০ জন ইফতারি করতে পারেন।
বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় ভিক্ষা করেন মো. আবদুল্লাহ মিয়া। প্রায়ই মসজিদে ইফতারি করেন তিনি। আবদুল্লাহ মিয়া বলেন, ‘হারা দিন রোজা রাইখা ইফতারিও ভিক্ষা করবার মন চায় না। এইখানে শান্তিমতো ইফতারি করবার পারি।’
No comments