সংস্কারের দুই সপ্তাহেই বিটুমিন উঠে সড়কে গর্ত by সাইফুর রহমান
বরিশাল নগরের হাসপাতাল রোড ও বরিশাল মেডিকেল কলেজের সামনের বান্দ রোড সংস্কার করা হয়েছে দুই সপ্তাহও হয়নি। এরই মধ্যে সড়ক দুটির বিটুমিন উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার ও সঠিকভাবে বেজ (বালু, খোয়া) স্থাপন না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (বিএমডিএফ) প্রতিনিধিরা ১৫ জুলাই তাঁদের অর্থায়নে সংস্কার হওয়া এই সড়ক দুটি পরিদর্শন করেন। তাঁরা সড়কের নিম্নমানের কাজ দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ঠিকাদারেরা অতিরিক্ত লাভের আশায় নিম্নমানের ইট ব্যবহার ও ভালোভাবে কমপ্যাকশন (রোলার দিয়ে বালু খোয়া স্থাপন) না করায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রতিনিধিদলটি বিল বন্ধ না করে সড়ক দুটি আবার সংস্কার করে দিতে বলেছে।
সড়ক সংস্কার তদারকির দায়িত্বে থাকা বরিশাল সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, বিএমডিএফ প্রতিনিধিরা সড়ক দুটির উন্নয়নকাজ পরিদর্শন করে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও বিল বন্ধের ব্যাপারে কিছু বলেনি।
গতকাল সোমবার সড়ক দুটিতে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের বেশ কটি স্থান দেবে গেছে এবং বিটুমিন উঠে গিয়ে হয়েছে গর্ত। মেডিকেল কলেজের সামনের সড়কের প্রায় ১০০ মিটার স্থানের বিটুমিন উঠে ভেতরের বালু-মাটি বেরিয়ে এসেছে এবং সড়ক ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। হাসপাতাল রোডের জেলখানা মোড় ও সোনালি সিনেমা হলের সামনের বিটুমিনও উঠে গেছে, সৃষ্টি হয়েছে গর্ত।
এ সময় হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা এনামুল হক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ফাঁকিবাজি ছাড়া আর কিছুই করেন না ঠিকাদারেরা।’ বান্দ রোড এলাকার শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সড়ক নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই সড়কের বিশাল অংশ দেবে গিয়ে মাটি বেরিয়ে এসেছে। এভাবে সড়ক নির্মাণ করে লাভ কী?’
বরিশাল সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, বিএমডিএফের অর্থায়নে তিন কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে বান্দ রোড বরিশাল মেডিকেল কলেজের সামনের সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। আর হাসপাতাল রোডের জন্য বরাদ্দ করা হয় তিন কোটি ৭১ লাখ টাকা।
নিম্নমাণের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদার শহীদুল আলম বলেন, হাসপাতাল রোডের বেশ কটি স্থানে সিটি করপোরেশনের পানির লাইনে সমস্যা আছে। এ কারণে সেখান থেকে পানি বের হয়ে দু-একটি স্থানে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সড়কের নির্মাণকাজে কোনো ত্রুটি নেই।
বান্দ রোড মেডিকেল কলেজের সামনের সড়ক নির্মাণকারী ঠিকাদার মোশাররফ আলী খানের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোতালেব হাওলাদার বলেন, ‘বর্ষার কারণে নয়, অনেক স্থানে সাবগ্রেড (খোয়া ও বালুর মিশ্রণ) দুর্বল থাকায় মাটি ফুলে উঠেছে। এ কারণে সড়কে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তা ছাড়া সড়কে ধারণক্ষমতার চেয়ে অধিক ভারী ট্রাক চলার কারণেও দ্রুত সড়ক নষ্ট হয়ে যায়। তবে ওই কাজ আবার করে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’
সড়ক সংস্কার তদারকির দায়িত্বে থাকা বরিশাল সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, বিএমডিএফ প্রতিনিধিরা সড়ক দুটির উন্নয়নকাজ পরিদর্শন করে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও বিল বন্ধের ব্যাপারে কিছু বলেনি।
গতকাল সোমবার সড়ক দুটিতে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের বেশ কটি স্থান দেবে গেছে এবং বিটুমিন উঠে গিয়ে হয়েছে গর্ত। মেডিকেল কলেজের সামনের সড়কের প্রায় ১০০ মিটার স্থানের বিটুমিন উঠে ভেতরের বালু-মাটি বেরিয়ে এসেছে এবং সড়ক ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। হাসপাতাল রোডের জেলখানা মোড় ও সোনালি সিনেমা হলের সামনের বিটুমিনও উঠে গেছে, সৃষ্টি হয়েছে গর্ত।
এ সময় হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা এনামুল হক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ফাঁকিবাজি ছাড়া আর কিছুই করেন না ঠিকাদারেরা।’ বান্দ রোড এলাকার শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সড়ক নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই সড়কের বিশাল অংশ দেবে গিয়ে মাটি বেরিয়ে এসেছে। এভাবে সড়ক নির্মাণ করে লাভ কী?’
বরিশাল সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, বিএমডিএফের অর্থায়নে তিন কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে বান্দ রোড বরিশাল মেডিকেল কলেজের সামনের সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। আর হাসপাতাল রোডের জন্য বরাদ্দ করা হয় তিন কোটি ৭১ লাখ টাকা।
নিম্নমাণের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদার শহীদুল আলম বলেন, হাসপাতাল রোডের বেশ কটি স্থানে সিটি করপোরেশনের পানির লাইনে সমস্যা আছে। এ কারণে সেখান থেকে পানি বের হয়ে দু-একটি স্থানে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সড়কের নির্মাণকাজে কোনো ত্রুটি নেই।
বান্দ রোড মেডিকেল কলেজের সামনের সড়ক নির্মাণকারী ঠিকাদার মোশাররফ আলী খানের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোতালেব হাওলাদার বলেন, ‘বর্ষার কারণে নয়, অনেক স্থানে সাবগ্রেড (খোয়া ও বালুর মিশ্রণ) দুর্বল থাকায় মাটি ফুলে উঠেছে। এ কারণে সড়কে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তা ছাড়া সড়কে ধারণক্ষমতার চেয়ে অধিক ভারী ট্রাক চলার কারণেও দ্রুত সড়ক নষ্ট হয়ে যায়। তবে ওই কাজ আবার করে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’
No comments