বিরোধপূর্ণ দ্বীপগুলো রক্ষায় সেনা মোতায়েন করছে চীন
দক্ষিণ চীন সাগরের বিরোধপূর্ণ দ্বীপগুলো রক্ষায় সেনা মোতায়েন করছে চীন। এ জন্য ওই অঞ্চলে একটি সেনাঘাঁটি স্থাপন অনুমোদন করেছে চীন সরকার। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ পদক্ষেপ চীনের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর চলতি উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অনুমোদন পাওয়া ওই সেনাঘাঁটি হবে প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের উডিল্যান্ড দ্বীপে অবস্থিত সানশা শহরভিত্তিক। দক্ষিণ চীন সাগরে যে দুটি দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা চীন ও ভিয়েতনাম উভয়ই দাবি করে থাকে প্যারাসেল তার মধ্যে একটি। ওই এলাকা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে গত জুন মাসে শহরটি গঠন করে চীন। নতুন এই শহরটির আইনসভার জন্য গত রোববার ৪৫ জন আইনপ্রণেতার নামও ঘোষণা করা হয়েছে।
বিরোধপূর্ণ ওই দ্বীপগুলোর মালিকানা নিয়ে চীন ও তার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই এসব পদক্ষেপ নেওয়া হলো। ১৯৭৪ সালে ভিয়েতনামের সঙ্গে এক যুদ্ধের পর চীন প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তাইওয়ানও ওই দ্বীপগুলোর মালিকানা দাবি করে থাকে।
বিরোধপূর্ণ ভূখণ্ড স্পার্টলি দীপপুঞ্জ এবং স্কারবরাহ শোয়ালসহ পুরো দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলের জন্য চীনের প্রশাসনিক ভিত গড়ে তোলার লক্ষ্যে গত জুন মাসে সানশা শহরটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে গত রোববার বলা হয়, সানশা শহরে ‘একটি সৈন্য সরবরাহকারী কমান্ড গঠনে’ পিপল্স লিবারেশন আর্মিকে (পিএলএ) কর্তৃত্ব দিয়েছে চীনের কেন্দ্রীয় সেনা কমিশন (সিএমসি)।
এক সংক্ষিপ্ত ঘোষণায় বলা হয়েছে, এই শহরের জাতীয় প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে সেনা দলগুলোর ওপর সৈন্য সংগ্রহ, তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত সেনাদল এবং সামরিক অভিযান পরিচালনার দায়িত্ব ন্যস্ত থাকবে। তবে এ বিষয়ে আর কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি সেখানে কী সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হবে বা কবে নাগাদ মোতায়েন করা হতে পারে, সে বিষয়েও কিছু জানানো হয়নি।
দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপগুলো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে চীনের বিরোধ চলে আসছে। নতুন এই পদক্ষেপ ওই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। চীনের প্রশাসনিক শহর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত, চলতি বছরের শেষে পর্যটক জাহাজ পরিচালনা এবং তেল অনুসন্ধানের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে প্রতিবাদ জানিয়েছে ভিয়েতনাম। এ ছাড়া স্কারবরাহ শোয়াল দ্বীপ নিয়ে বিরোধের জের ধরে চীন ও ফিলিপাইনের মধ্যে ব্যাপক কূটনৈতিক উত্তেজনা রয়েছে। উভয় পক্ষই প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই দ্বীপের মালিকানা নিজেদের বলে দাবি করে।
প্যারাসেল এবং স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জের বিষয়ে চীন সানশা শহরকে প্রশাসনিক কেন্দ্র ঘোষণা দেওয়ার পর গত রোববার ভিয়েতনামে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বিবিসি ও এএফপি।
বিরোধপূর্ণ ওই দ্বীপগুলোর মালিকানা নিয়ে চীন ও তার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই এসব পদক্ষেপ নেওয়া হলো। ১৯৭৪ সালে ভিয়েতনামের সঙ্গে এক যুদ্ধের পর চীন প্যারাসেল দ্বীপপুঞ্জের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তাইওয়ানও ওই দ্বীপগুলোর মালিকানা দাবি করে থাকে।
বিরোধপূর্ণ ভূখণ্ড স্পার্টলি দীপপুঞ্জ এবং স্কারবরাহ শোয়ালসহ পুরো দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলের জন্য চীনের প্রশাসনিক ভিত গড়ে তোলার লক্ষ্যে গত জুন মাসে সানশা শহরটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে গত রোববার বলা হয়, সানশা শহরে ‘একটি সৈন্য সরবরাহকারী কমান্ড গঠনে’ পিপল্স লিবারেশন আর্মিকে (পিএলএ) কর্তৃত্ব দিয়েছে চীনের কেন্দ্রীয় সেনা কমিশন (সিএমসি)।
এক সংক্ষিপ্ত ঘোষণায় বলা হয়েছে, এই শহরের জাতীয় প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে সেনা দলগুলোর ওপর সৈন্য সংগ্রহ, তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত সেনাদল এবং সামরিক অভিযান পরিচালনার দায়িত্ব ন্যস্ত থাকবে। তবে এ বিষয়ে আর কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এমনকি সেখানে কী সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হবে বা কবে নাগাদ মোতায়েন করা হতে পারে, সে বিষয়েও কিছু জানানো হয়নি।
দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপগুলো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে চীনের বিরোধ চলে আসছে। নতুন এই পদক্ষেপ ওই অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। চীনের প্রশাসনিক শহর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত, চলতি বছরের শেষে পর্যটক জাহাজ পরিচালনা এবং তেল অনুসন্ধানের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে প্রতিবাদ জানিয়েছে ভিয়েতনাম। এ ছাড়া স্কারবরাহ শোয়াল দ্বীপ নিয়ে বিরোধের জের ধরে চীন ও ফিলিপাইনের মধ্যে ব্যাপক কূটনৈতিক উত্তেজনা রয়েছে। উভয় পক্ষই প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই দ্বীপের মালিকানা নিজেদের বলে দাবি করে।
প্যারাসেল এবং স্পার্টলি দ্বীপপুঞ্জের বিষয়ে চীন সানশা শহরকে প্রশাসনিক কেন্দ্র ঘোষণা দেওয়ার পর গত রোববার ভিয়েতনামে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বিবিসি ও এএফপি।
No comments