ক্রিকেট কূটনীতি-মোহালিতে পাকিস্তান হেরেছে জয়ী হয়েছে শান্তি-সখ্য by জগ্লুল আহ্মেদ চৌধূরী
ভারতের উদ্যোগ প্রশংসনীয় এবং পাকিস্তানের মনোভাবও অনেকটা সে রকম। শত্রুতা ও বৈরিতা মোহালির কারণে তিরোহিত হয়ে যাবে না। তবে যত দূর সম্ভব স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে সেটাই অর্জন। এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অনেক বিষয়েই মতবিরোধ এবং শত্রুতা থাকলেও নানা বিষয়ে রয়েছে তাদের মিল ও অভিন্ন পটভূমি
চরম উত্তেজনাকর পরিবেশে উত্তর ভারতের 'মোহালিতে' বিশ্বকাপ ক্রিকেট-২০১১-এর সেমি-ফাইনালে পাকিস্তান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হেরে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই ভারতের ১২০ কোটি মানুষ এতে উল্লসিত হয়েছে_ অনেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবেই তাৎক্ষণিক বিজয় উৎসবে অবতীর্ণ হয়েছে। পক্ষান্তরে পাকিস্তানে বিরাজ করেছে হতাশা ও বিষাদের ছায়া। অনেকে স্বীয় দলের কয়েকজন খেলোয়াড়কে এ পরাজয়ের জন্য দায়ী করেছেন এবং মনে করেছেন, এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খেলাটি তাদের দেশও জিততে পারত। আবার অনেক নিরপেক্ষ দর্শক ও বিশ্লেষক এই জয়ে ভাগ্যকে ভারতের দিকে ভূমিকা রেখেছে বলে মতামত দিয়েছেন। তারা মনে করেন, এই ভাগ্যের কারণেই ভারত তথা বিশ্বের সবচেয়ে খ্যাতনামা ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার বড় রান করতে সমর্থ হন। ফলে ভারত জয়ী হয়। কেননা এ খেলায় বিজয়ী দল ২৯ রানের ব্যবধানে প্রতিপক্ষকে পরাজিত করে, যা কি-না বড় কোনো ব্যাপার নয়। আবার কেউ কেউ পাকিস্তানের কোনো কোনো খেলোয়াড়ের ক্যাচ মিস কিংবা ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে অন্য কিছু খুঁজে পাচ্ছেন। এর কারণ খেলাটি নিয়ে বাজিকর এবং অন্যদের স্বার্থের কমতি নেই। তাছাড়া পাকিস্তানের এ 'দুর্নীতির' বিষয়ে যথেষ্ট খ্যাতি আছে এবং সেটাও সত্য। এমনি একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলা নিয়ে সীমাহীন বিশ্লেষণ হতেই পারে। তবু বক্তব্য হলো, ভারত জয়ী হয়েছে এবং সেটাই বড় কথা এবং বাস্তবতা।
তবে এ জয়-পরাজয় ছাপিয়ে আরও বড় যে সত্যের আবির্ভাব ঘটেছে সেটা হলো দুই চিরন্তন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে এই ক্রিকেট ম্যাচকে কেন্দ্র করে বল্পুব্দত্ব ও সৎ প্রতিবেশীসুলভ মনোভাব। 'মোহালি' ক্রিকেট মাঠে খেলা দেখার জন্য উপস্থিত ছিলেন স্বাগতিক দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ডা. মনমোহন সিং এবং দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ সোনিয়া গান্ধী ও তার পুত্র রাহুল গান্ধী উভয়েই রাজনীতিবিদ এবং শাসক কংগ্রেস দলের প্রধান এবং সাধারণ সম্পাদক। তাছাড়া সোনিয়া শাসক বহুদলীয় ইউপিএ মোর্চারও চেয়ারপারসন। মা ও পুত্র ইচ্ছা করেই এ পর্যন্ত কোনো সরকারি পদ গ্রহণ করেননি। বরং এটা কারও জানতে বাকি নেই যে, সোনিয়া ও রাহুলই বর্তমান ভারত সরকারের চালিকাশক্তি এবং তাদের প্রভাব রাজনীতি এবং দেশ শাসনে এখন সবচেয়ে বেশি। মোহালিতে মা ও ছেলে অনেকটা সাধারণভাবেই বসেছিলেন। তেমন কোনো জাঁকজমক ব্যবস্থা ছাড়াই তারা আসন গ্রহণ করেছেন এবং টেলিভিশনে কোটি কোটি মানুষ সেটা দেখেছে। প্রধানমন্ত্রী মনমোহনও অনেকটা অনাড়ম্বরভাবেই উপবিষ্ট ছিলেন। এটাও লক্ষণীয়।
তবে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল আরেকজনের উপস্থিতি এবং ছিলেন প্রতিবেশী 'শত্রু' দেশ হিসেবে ভারতের অনেক জনগণের কাছে গণ্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। তিনি তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ ড. মনমোহন সিংয়ের আমন্ত্রণে মোহালিতে এসে দুই দেশের বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলাটি মাঠে বসে প্রত্যক্ষ করেন। তার এ উপস্থিতি ছিল অনেক আলোচনা এবং আগ্রহের কারণ, শুধু ভারত ও পাকিস্তানের নয়, আরও বহু দূরে_ এক অর্থে সারাবিশ্বে।
ভারত-পাকিস্তানের শত্রু ও অবল্পুব্দত্বসুলভ মনোভাব কারও অজানা নয়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত থেকে স্বাধীনতার পর দুটি দেশের মধ্যে বৈরিতাই বিদ্যমান রয়েছে এবং যেন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।
মূলত 'কাশ্মীর' নিয়ে তাদের সংঘাত হলেও অন্যান্য ইস্যু নিয়ে নয়াদিলি্ল-ইসলামাবাদ সম্পর্ক প্রায় সময়ই খারাপ পর্যায়ে বিরাজ করে। তা সত্ত্বেও মাঝে মধ্যে তাদের ভাষায় সেই সম্পর্ক 'স্বাভাবিক' অবস্থায় বিচরণ করে, যখন বৈরিতার মধ্যেও সংযোগ ও সহযোগিতা পরিলক্ষিত হয়। এটাও তাদের এবং অন্যদের বিবেচনায় পাক-ভারত স্বাভাবিক সম্পর্ক। কিন্তু এমনও হয়, যখন এই পর্যায়ে বিরাজ করে না এবং দুটি প্রতিবেশী প্রায় যুদ্ধাবস্থায় উপনীত হয়। উল্লেখ্য, তাদের মধ্যে একাধিক যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। যে কোনো ইস্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার চরম বহিঃপ্রকাশে পাক-ভারত যুদ্ধ অনেকটাই যেন প্রত্যাশিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবু আশার কথা হলো, আণবিক অস্ত্রে দুটি দেশই সজ্জিত হওয়ার কারণে এখন বিপজ্জনক পরিস্থিতি যুদ্ধের দিকে সহজে আর যায় না।
বর্তমানের পরিস্থিতিও তেমনি বলেই মনে করা হয়। ২০০৮ সালের নভেম্বরে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী বলে পরিচিত মুম্বাই শহরে শ্বাসরুদ্ধকর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে পাক-ভারত সম্পর্ক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত করছে। সেই হামলায় অনেকে নিহত ও আহত হয় এবং ভারত এ আক্রমণের জন্য পাকিস্তানকেই দায়ী করেছে। এ ঘটনা নিয়ে তাদের মধ্যে যুদ্ধের মতো অবস্থার সৃষ্টি হলেও পরবর্তী সময়ে সৌভাগ্যবশত সেই বিপদ স্তিমিত হয়ে আসে। তবে উত্তেজনা স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরেনি। এমনি সময়েই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোহালিতে এসে খেলা দেখলেন। অনেক পাকিস্তানিও ভারতে আসার সুযোগ পেয়েছে। মাঠে এবং অন্যদের মধ্যে পাকিস্তানের প্রতি বল্পুব্দত্ব ও সৌহার্দ্যই প্রতিফলিত হয়েছে। কোনো বৈরিতা প্রকাশ পায়নি। হয়তো মনোভাবই তাদের সম্পর্কোন্নয়নে সহায়তা করবে, যদিও দুটি দেশের সম্পর্ক জটিল। তাদের সম্পর্ক উন্নত হলে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক পরিবেশও আরও অনুকূল হবে।
'মোহালি' দুটি দেশকে একটি সুবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে সৌহার্দ্য সৃষ্টির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। ভারতের উদ্যোগ প্রশংসনীয় এবং পাকিস্তানের মনোভাবও অনেকটা সে রকম। শত্রুতা ও বৈরিতা মোহালির কারণে তিরোহিত হয়ে যাবে না। তবে যত দূর সম্ভব স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে সেটাই অর্জন। এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অনেক বিষয়েই মতবিরোধ এবং শত্রুতা থাকলেও নানা বিষয়ে রয়েছে তাদের মিল ও অভিন্ন পটভূমি। সমস্যার মধ্যেও তাদের ঐতিহ্য যেন যত দূর সম্ভব বিঘি্নত না হয়_ সেটাই কাম্য। মোহালিতে পাকিস্তান হেরেছে; কিন্তু শান্তি ও বল্পুব্দত্বের অনেক বৃহত্তর বাণী বেশি করে ধ্বনিত হয়েছে। সেটাই তাৎপর্যপূর্ণ।
জগ্লুল আহ্মেদ চৌধূরী : সাংবাদিক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক
তবে এ জয়-পরাজয় ছাপিয়ে আরও বড় যে সত্যের আবির্ভাব ঘটেছে সেটা হলো দুই চিরন্তন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে এই ক্রিকেট ম্যাচকে কেন্দ্র করে বল্পুব্দত্ব ও সৎ প্রতিবেশীসুলভ মনোভাব। 'মোহালি' ক্রিকেট মাঠে খেলা দেখার জন্য উপস্থিত ছিলেন স্বাগতিক দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ডা. মনমোহন সিং এবং দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ সোনিয়া গান্ধী ও তার পুত্র রাহুল গান্ধী উভয়েই রাজনীতিবিদ এবং শাসক কংগ্রেস দলের প্রধান এবং সাধারণ সম্পাদক। তাছাড়া সোনিয়া শাসক বহুদলীয় ইউপিএ মোর্চারও চেয়ারপারসন। মা ও পুত্র ইচ্ছা করেই এ পর্যন্ত কোনো সরকারি পদ গ্রহণ করেননি। বরং এটা কারও জানতে বাকি নেই যে, সোনিয়া ও রাহুলই বর্তমান ভারত সরকারের চালিকাশক্তি এবং তাদের প্রভাব রাজনীতি এবং দেশ শাসনে এখন সবচেয়ে বেশি। মোহালিতে মা ও ছেলে অনেকটা সাধারণভাবেই বসেছিলেন। তেমন কোনো জাঁকজমক ব্যবস্থা ছাড়াই তারা আসন গ্রহণ করেছেন এবং টেলিভিশনে কোটি কোটি মানুষ সেটা দেখেছে। প্রধানমন্ত্রী মনমোহনও অনেকটা অনাড়ম্বরভাবেই উপবিষ্ট ছিলেন। এটাও লক্ষণীয়।
তবে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল আরেকজনের উপস্থিতি এবং ছিলেন প্রতিবেশী 'শত্রু' দেশ হিসেবে ভারতের অনেক জনগণের কাছে গণ্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। তিনি তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ ড. মনমোহন সিংয়ের আমন্ত্রণে মোহালিতে এসে দুই দেশের বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলাটি মাঠে বসে প্রত্যক্ষ করেন। তার এ উপস্থিতি ছিল অনেক আলোচনা এবং আগ্রহের কারণ, শুধু ভারত ও পাকিস্তানের নয়, আরও বহু দূরে_ এক অর্থে সারাবিশ্বে।
ভারত-পাকিস্তানের শত্রু ও অবল্পুব্দত্বসুলভ মনোভাব কারও অজানা নয়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত থেকে স্বাধীনতার পর দুটি দেশের মধ্যে বৈরিতাই বিদ্যমান রয়েছে এবং যেন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।
মূলত 'কাশ্মীর' নিয়ে তাদের সংঘাত হলেও অন্যান্য ইস্যু নিয়ে নয়াদিলি্ল-ইসলামাবাদ সম্পর্ক প্রায় সময়ই খারাপ পর্যায়ে বিরাজ করে। তা সত্ত্বেও মাঝে মধ্যে তাদের ভাষায় সেই সম্পর্ক 'স্বাভাবিক' অবস্থায় বিচরণ করে, যখন বৈরিতার মধ্যেও সংযোগ ও সহযোগিতা পরিলক্ষিত হয়। এটাও তাদের এবং অন্যদের বিবেচনায় পাক-ভারত স্বাভাবিক সম্পর্ক। কিন্তু এমনও হয়, যখন এই পর্যায়ে বিরাজ করে না এবং দুটি প্রতিবেশী প্রায় যুদ্ধাবস্থায় উপনীত হয়। উল্লেখ্য, তাদের মধ্যে একাধিক যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। যে কোনো ইস্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার চরম বহিঃপ্রকাশে পাক-ভারত যুদ্ধ অনেকটাই যেন প্রত্যাশিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবু আশার কথা হলো, আণবিক অস্ত্রে দুটি দেশই সজ্জিত হওয়ার কারণে এখন বিপজ্জনক পরিস্থিতি যুদ্ধের দিকে সহজে আর যায় না।
বর্তমানের পরিস্থিতিও তেমনি বলেই মনে করা হয়। ২০০৮ সালের নভেম্বরে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী বলে পরিচিত মুম্বাই শহরে শ্বাসরুদ্ধকর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে পাক-ভারত সম্পর্ক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত করছে। সেই হামলায় অনেকে নিহত ও আহত হয় এবং ভারত এ আক্রমণের জন্য পাকিস্তানকেই দায়ী করেছে। এ ঘটনা নিয়ে তাদের মধ্যে যুদ্ধের মতো অবস্থার সৃষ্টি হলেও পরবর্তী সময়ে সৌভাগ্যবশত সেই বিপদ স্তিমিত হয়ে আসে। তবে উত্তেজনা স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরেনি। এমনি সময়েই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোহালিতে এসে খেলা দেখলেন। অনেক পাকিস্তানিও ভারতে আসার সুযোগ পেয়েছে। মাঠে এবং অন্যদের মধ্যে পাকিস্তানের প্রতি বল্পুব্দত্ব ও সৌহার্দ্যই প্রতিফলিত হয়েছে। কোনো বৈরিতা প্রকাশ পায়নি। হয়তো মনোভাবই তাদের সম্পর্কোন্নয়নে সহায়তা করবে, যদিও দুটি দেশের সম্পর্ক জটিল। তাদের সম্পর্ক উন্নত হলে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক পরিবেশও আরও অনুকূল হবে।
'মোহালি' দুটি দেশকে একটি সুবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে সৌহার্দ্য সৃষ্টির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। ভারতের উদ্যোগ প্রশংসনীয় এবং পাকিস্তানের মনোভাবও অনেকটা সে রকম। শত্রুতা ও বৈরিতা মোহালির কারণে তিরোহিত হয়ে যাবে না। তবে যত দূর সম্ভব স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলে সেটাই অর্জন। এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অনেক বিষয়েই মতবিরোধ এবং শত্রুতা থাকলেও নানা বিষয়ে রয়েছে তাদের মিল ও অভিন্ন পটভূমি। সমস্যার মধ্যেও তাদের ঐতিহ্য যেন যত দূর সম্ভব বিঘি্নত না হয়_ সেটাই কাম্য। মোহালিতে পাকিস্তান হেরেছে; কিন্তু শান্তি ও বল্পুব্দত্বের অনেক বৃহত্তর বাণী বেশি করে ধ্বনিত হয়েছে। সেটাই তাৎপর্যপূর্ণ।
জগ্লুল আহ্মেদ চৌধূরী : সাংবাদিক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক
No comments