অর্থের বিনিময়ে সংযোগ ম্যাজিস্ট্রেট সেজে বিচ্ছিন্ন
তিতাস গ্যাস বিপণন বিভাগের সাভার আঞ্চলিক কার্যালয়ের কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রতারণার আরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু গ্রাহকদের বারবার অভিযোগ সত্ত্বেও এ ব্যাপারে তদন্তের অজুহাতে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন গ্রাহকেরা।
গ্রাহকদের অভিযোগ, এক থেকে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে ওই কার্যালয়ের দুর্নীতিবাজেরা বাসাবাড়িতে অবৈধ গ্যাস-সংযোগ ও অনুমোদনহীন চুলা ব্যবহারের সুযোগ করে দেন। কিছুদিন পরই আবার তাঁদের কেউ কেউ ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন এবং জেল-জরিমানার পাশাপাশি সংযোগ স্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন করার ভয় দেখান। কিন্তু টাকা দিলেই আবার সংযোগ দিয়ে দেন।
চক্রবর্ত্তীরটেক এলাকার গ্রাহক আবদুল কুদ্দুস অভিযোগ করেন, তিনি অনুমোদন নিয়ে ছয়টি চুলা ব্যবহার করছিলেন। পরে কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে আরও ছয়টি চুলা ব্যবহার করতে থাকেন। গত বছরের নভেম্বরে সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন ও সুপারভাইজার মেজবাউদ্দিন ভূঁইয়া বাসায় আসেন। নাসির উদ্দিন নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে অনুমোদনহীন ছয়টি চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে সংযোগ বৈধকরণের আশ্বাস দিয়ে ও জরিমানার কথা বলে ৭৪ হাজার টাকা নেন। দীর্ঘদিনেও আশ্বাসের ফল না মেলায় ৮ জুলাই তিনি তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
একই এলাকার নজরুল ইসলাম বলেন, বিল বকেয়া থাকায় নাসির উদ্দিন ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে মাস দেড়েক আগে তাঁর বাসার গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। পরে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে পুনঃসংযোগ দেন। কবীরপুরের আল-আমিন বলেন, তাঁর বাসায় ১৬টি চুলার বৈধ সংযোগ দেওয়ার আশ্বাসে নাসির উদ্দিন তিন লাখ টাকা দাবি করেন। কয়েক মাস আগে চাহিদামতো টাকা দেওয়ার পর সংযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু দেড় মাস পর উপসহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এক লাখ টাকার বিনিময়ে আবার সংযোগ দেন।
একই রকম অভিযোগ করেন আরও অনেক গ্রাহক। কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন স্পষ্টভাবে কিছু প্রকাশ না করে বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ইন্ধনে এ ধরনের অনিয়ম চলছে। কিন্তু সব দায়ভার এসে পড়ছে আমাদের ওপর।’
এদিকে অপর অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও দেখা করা কিংবা কথা বলা সম্ভব হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিতাসের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, সংগঠন নেতাদের প্রভাবে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। সাভার অঞ্চলের বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপক খন্দকার আবদুস সবুর বলেন, অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগেও এ রকম প্রতারণার বিরুদ্ধে গ্রাহকেরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
চক্রবর্ত্তীরটেক এলাকার গ্রাহক আবদুল কুদ্দুস অভিযোগ করেন, তিনি অনুমোদন নিয়ে ছয়টি চুলা ব্যবহার করছিলেন। পরে কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে আরও ছয়টি চুলা ব্যবহার করতে থাকেন। গত বছরের নভেম্বরে সহকারী হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন ও সুপারভাইজার মেজবাউদ্দিন ভূঁইয়া বাসায় আসেন। নাসির উদ্দিন নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে অনুমোদনহীন ছয়টি চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে সংযোগ বৈধকরণের আশ্বাস দিয়ে ও জরিমানার কথা বলে ৭৪ হাজার টাকা নেন। দীর্ঘদিনেও আশ্বাসের ফল না মেলায় ৮ জুলাই তিনি তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
একই এলাকার নজরুল ইসলাম বলেন, বিল বকেয়া থাকায় নাসির উদ্দিন ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে মাস দেড়েক আগে তাঁর বাসার গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। পরে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে পুনঃসংযোগ দেন। কবীরপুরের আল-আমিন বলেন, তাঁর বাসায় ১৬টি চুলার বৈধ সংযোগ দেওয়ার আশ্বাসে নাসির উদ্দিন তিন লাখ টাকা দাবি করেন। কয়েক মাস আগে চাহিদামতো টাকা দেওয়ার পর সংযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু দেড় মাস পর উপসহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এক লাখ টাকার বিনিময়ে আবার সংযোগ দেন।
একই রকম অভিযোগ করেন আরও অনেক গ্রাহক। কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন স্পষ্টভাবে কিছু প্রকাশ না করে বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ইন্ধনে এ ধরনের অনিয়ম চলছে। কিন্তু সব দায়ভার এসে পড়ছে আমাদের ওপর।’
এদিকে অপর অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও দেখা করা কিংবা কথা বলা সম্ভব হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিতাসের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বলেন, সংগঠন নেতাদের প্রভাবে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। সাভার অঞ্চলের বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপক খন্দকার আবদুস সবুর বলেন, অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগেও এ রকম প্রতারণার বিরুদ্ধে গ্রাহকেরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
No comments