সিরিয়া সংকট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলোর
দামেস্কে বুধবার জাতীয় নিরাপত্তা ব্যুরোর প্রধান কার্যালয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলার পর থেকেই সিরীয় পরিস্থিতির নাটকীয় পরিবর্তন ঘটতে শুরু করেছে। প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদের ঘনিষ্ঠ তিন শীর্ষস্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা ওই বোমা হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
দামেস্ক, আলেপ্পোসহ দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সর্বাত্মক লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছেন বিদ্রোহীরা।
বুধবারের ওই হামলা দীর্ঘ ১৬ মাস ধরে চলে আসা সরকারবিরোধী সশস্ত্র লড়াইকে যেমন তীব্র করেছে, তেমনি প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট আসাদকে প্রকৃত অর্থেই কোণঠাসা করতে পেরেছেন বিদ্রোহীরা।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, নিজ দেশে প্রেসিডেন্ট আসাদের ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ হারানোর বিষয়টি সিরিয়ার আঞ্চলিক মিত্র ইরান, হিজবুল্লাহ এবং অন্য ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আত্মঘাতী হামলায় প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রাণহানির ঘটনায় লেবাননের শিয়া সংগঠন হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ জনসমক্ষে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন, সিরিয়া হিজবুল্লাহকে অস্ত্র সরবরাহ এবং ইরানের অস্ত্র তাদের কাছে হস্তান্তর করেছিল।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রণকৌশল প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত সিরিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিহত হওয়ার ঘটনা ও প্রেসিডেন্ট আসাদের কোণঠাসা অবস্থা আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে সৌদি আরবকে বাড়তি সুবিধা এনে দেবে।
সিরিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সুন্নি মতাবলম্বী। কিন্তু দেশ শাসনের ভার কার্যত শিয়াদের কাছে। দেশটির ৩০ ভাগ শিয়া মতাবলম্বী সামাজিক ও অর্থনৈতিক মানদণ্ডেও সুন্নিদের চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছেন। শিয়াদের পৃষ্ঠপোষকতায় সংখ্যালঘু আলাবি গোত্রই মূলত সিরিয়ার শাসনক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রেসিডেন্ট আসাদ আলাবি গোত্রের প্রতিনিধি।
সিরিয়ার অভ্যন্তরের শিয়া-সুন্নির মধ্যকার বৈষম্য ও বিরোধই মূলত আঞ্চলিক রাজনীতির গতিপ্রকৃতিকে প্রভাবিত করছে। দেশটিতে বর্তমানে যে ঘোলাটে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয়, উপজাতীয় ও বিবদমান গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব-সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অমূলক নয়। সিরিয়ার অভ্যন্তরে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তা খুব সহজেই ইরাক ও লেবানন সীমান্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তুরস্ক, ইরাক, জর্ডান ও লেবানন সিরিয়ার শরণার্থীদের আশ্রয় দিলেও এ নিয়ে খুব একটা স্বস্তিতে নেই। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব দেশের সীমান্তে সিরিয়ার শরণার্থীদের চাপ ক্রমাগতভাবে বাড়ছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, সিরিয়ার সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলন সুন্নি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে রূপ নিতে পারে। এমনটি ঘটলে প্রতিবেশী দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার জন্য তা হুমকি হয়ে উঠতে পারে। রয়টার্স।
বুধবারের ওই হামলা দীর্ঘ ১৬ মাস ধরে চলে আসা সরকারবিরোধী সশস্ত্র লড়াইকে যেমন তীব্র করেছে, তেমনি প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট আসাদকে প্রকৃত অর্থেই কোণঠাসা করতে পেরেছেন বিদ্রোহীরা।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, নিজ দেশে প্রেসিডেন্ট আসাদের ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ হারানোর বিষয়টি সিরিয়ার আঞ্চলিক মিত্র ইরান, হিজবুল্লাহ এবং অন্য ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আত্মঘাতী হামলায় প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রাণহানির ঘটনায় লেবাননের শিয়া সংগঠন হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ জনসমক্ষে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন, সিরিয়া হিজবুল্লাহকে অস্ত্র সরবরাহ এবং ইরানের অস্ত্র তাদের কাছে হস্তান্তর করেছিল।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, রণকৌশল প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত সিরিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিহত হওয়ার ঘটনা ও প্রেসিডেন্ট আসাদের কোণঠাসা অবস্থা আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে সৌদি আরবকে বাড়তি সুবিধা এনে দেবে।
সিরিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সুন্নি মতাবলম্বী। কিন্তু দেশ শাসনের ভার কার্যত শিয়াদের কাছে। দেশটির ৩০ ভাগ শিয়া মতাবলম্বী সামাজিক ও অর্থনৈতিক মানদণ্ডেও সুন্নিদের চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছেন। শিয়াদের পৃষ্ঠপোষকতায় সংখ্যালঘু আলাবি গোত্রই মূলত সিরিয়ার শাসনক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রেসিডেন্ট আসাদ আলাবি গোত্রের প্রতিনিধি।
সিরিয়ার অভ্যন্তরের শিয়া-সুন্নির মধ্যকার বৈষম্য ও বিরোধই মূলত আঞ্চলিক রাজনীতির গতিপ্রকৃতিকে প্রভাবিত করছে। দেশটিতে বর্তমানে যে ঘোলাটে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয়, উপজাতীয় ও বিবদমান গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব-সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অমূলক নয়। সিরিয়ার অভ্যন্তরে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তা খুব সহজেই ইরাক ও লেবানন সীমান্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তুরস্ক, ইরাক, জর্ডান ও লেবানন সিরিয়ার শরণার্থীদের আশ্রয় দিলেও এ নিয়ে খুব একটা স্বস্তিতে নেই। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব দেশের সীমান্তে সিরিয়ার শরণার্থীদের চাপ ক্রমাগতভাবে বাড়ছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, সিরিয়ার সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলন সুন্নি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে রূপ নিতে পারে। এমনটি ঘটলে প্রতিবেশী দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার জন্য তা হুমকি হয়ে উঠতে পারে। রয়টার্স।
No comments