হুমায়ূনের শঙ্কাই যে সত্য হবে কে জানত?
শঙ্কাটির কথা আগে ভাগেই জানিয়ে গিয়েছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। কিন্তু সে আশঙ্কা যে সত্য হবে কে জানত? এবং তাই হয়েছে। প্রয়াত লেখকের মরদেহ কোথায় সমাহিত করা হবে এ নিয়ে দেখা দিয়েছে বিরাট জটিলতা। হুমায়ূনের শেষ জীবনের সাথী স্ত্রী শাওন চাইছেন, নুহাশ পল্লীতে কবর হোক তাঁর।
অন্যদিকে প্রথম স্ত্রী, তিন সন্তান এবং দুই ভাইয়ের ইচ্ছাÑ কবর হবে ঢাকায়। এ অবস্থায় দফায় দফায় ফোনালাপ এবং বৈঠকেও কোন সমাধানে পৌঁছতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা।
জানা যায়, হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর থেকেই এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। ছোট ভাই জাফর ইকবাল নিউইয়র্কেই এ ব্যাপারে কথা বলেছেন শাওনের সঙ্গে। পরে রবিবার দেশে ফিরে ছোট ভাই আহসান হাবিবের মিরপুরের বাসায় কয়েক দফা বৈঠক করেন। সকলেই হুমায়ূনের মরদেহ ঢাকায় সমাহিত করার ইচ্ছের কথা জানান। তবে মেহের আফরোজ শাওন মঙ্গলবার দেশে ফিরলে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে রবিবার সাংবাদিকদের জানান তিনি। সে প্রতীক্ষায় ছিলেন অনেকেই। কিন্তু শবদেহের সঙ্গে সকালে ঢাকায় আসা ক্লান্ত শ্রান্ত শাওন বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, অপারেশনের দুই দিন আগেও প্রিয় স্থান নুহাশ পল্লীতে সমাহিত হবার ইচ্ছার কথা জানিয়ে গেছেন হুমায়ূন আহমেদ। সবার কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা মৃত আত্মাটাকে কষ্ট দেবেন না। ও আমাকে বলেছে, আমার মৃত্যুর পর মরদেহ নিয়ে অনেক টানাটানি হবে। তবে তুমি আমাকে নুহাশ পল্লীতেই কবর দিও। এ কারণে আমিও তাই চাই। কিন্তু তারও আগে ছোট ভাই আহসান হাবীব বিমানবন্দরে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের জানান, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান কিংবা বনানী কবরস্থানে হুমায়ূনের দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সোমবারই তাঁকে সমাহিত করা হবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি। ফলে মঙ্গলবার সকালে যে জট খুলে যাওয়ার কথা সেই জট খোলেনি সারা দিনেও। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব চলার সময় পাশের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে বৈঠকে বসে দুই পক্ষ। এক পক্ষে ছিলেন শাওন তাঁর মা ও বোন। শাওনকে সমর্থন করছিলেন পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী, তানিয়া আহমেদ, মিতা নূর, শামীম শাহেদসহ বেশ কয়েকজন অভিনেতা অভিনেত্রী। অন্য পক্ষে অবস্থান নেন হুমায়ূনের মা আয়েশা ফয়েজ, মেয়ে নোভা, শীলা, নুহাশ এবং দুই ভাই।
পুরো আলোচনায় মধ্যস্থতা করেন জাফর ইকবাল। একবার তাঁকে মায়ের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। এর পরই কথা বলেন শাওনের সঙ্গে। হুমায়ূনের প্রথম ঘরের ছেলে-মেয়েদের সঙ্গেও একান্তে কথা বলেন তিনি। কিন্তু কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ প্রসঙ্গে জনকণ্ঠকে শাওন বলেন, নুহাশ পল্লীর ম্যানেজারও জানেন হুমায়ূন ওখানেই সমাহিত হতে চেয়েছিলেন। নুহাশ পল্লীর নামাজ পড়ার জায়গাটি কবরের জন্য তিনি নিজে দেখিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু লেখক নুহাশ পল্লীকে গোরস্তান না বানানোর কথা বলেছিলেন এমন বক্তব্যের জবাবে শাওন বলেন, ওটা ছিল কথার কথা। একবার বলেছেন। আর প্রতিদিন বলেছেন, নুহাশ পল্লীর কথা। এ ব্যাপারে জনকণ্ঠকে ছোটমেয়ে শীলা বলেন, আমার বাবাকে কোন পার্সনাল প্রপার্টিতে রাখা হলে তিনি সকলের হবেন না। সবাই সেখানে তাঁকে দেখতে যেতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন না। এ জন্য আমরা তাঁকে বনানী বা মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করতে চাই। এ অবস্থায় চূড়ান্ত সমাধান কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আবেদন করছি শুধু। এর বেশি কিছু করার নেই আমাদের।
এদিকে আলোচনার এক পর্যায়ে ব্যারিস্টার রফিক-উল- ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরামর্শ চাওয়া হলে তিনি আলোচকদের জানান, স্বামীর ডেডবডির ব্যাপারে সকল সিদ্ধান্ত স্ত্রী নিতে পারে। সে হিসেবে শেষতক নুহাশ পল্লীতেই হুমায়ূনের দাফন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে রাত নয়টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চলছিল আলোচনা।
জানা যায়, হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর থেকেই এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। ছোট ভাই জাফর ইকবাল নিউইয়র্কেই এ ব্যাপারে কথা বলেছেন শাওনের সঙ্গে। পরে রবিবার দেশে ফিরে ছোট ভাই আহসান হাবিবের মিরপুরের বাসায় কয়েক দফা বৈঠক করেন। সকলেই হুমায়ূনের মরদেহ ঢাকায় সমাহিত করার ইচ্ছের কথা জানান। তবে মেহের আফরোজ শাওন মঙ্গলবার দেশে ফিরলে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে রবিবার সাংবাদিকদের জানান তিনি। সে প্রতীক্ষায় ছিলেন অনেকেই। কিন্তু শবদেহের সঙ্গে সকালে ঢাকায় আসা ক্লান্ত শ্রান্ত শাওন বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, অপারেশনের দুই দিন আগেও প্রিয় স্থান নুহাশ পল্লীতে সমাহিত হবার ইচ্ছার কথা জানিয়ে গেছেন হুমায়ূন আহমেদ। সবার কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা মৃত আত্মাটাকে কষ্ট দেবেন না। ও আমাকে বলেছে, আমার মৃত্যুর পর মরদেহ নিয়ে অনেক টানাটানি হবে। তবে তুমি আমাকে নুহাশ পল্লীতেই কবর দিও। এ কারণে আমিও তাই চাই। কিন্তু তারও আগে ছোট ভাই আহসান হাবীব বিমানবন্দরে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের জানান, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান কিংবা বনানী কবরস্থানে হুমায়ূনের দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সোমবারই তাঁকে সমাহিত করা হবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি। ফলে মঙ্গলবার সকালে যে জট খুলে যাওয়ার কথা সেই জট খোলেনি সারা দিনেও। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব চলার সময় পাশের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে বৈঠকে বসে দুই পক্ষ। এক পক্ষে ছিলেন শাওন তাঁর মা ও বোন। শাওনকে সমর্থন করছিলেন পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী, তানিয়া আহমেদ, মিতা নূর, শামীম শাহেদসহ বেশ কয়েকজন অভিনেতা অভিনেত্রী। অন্য পক্ষে অবস্থান নেন হুমায়ূনের মা আয়েশা ফয়েজ, মেয়ে নোভা, শীলা, নুহাশ এবং দুই ভাই।
পুরো আলোচনায় মধ্যস্থতা করেন জাফর ইকবাল। একবার তাঁকে মায়ের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। এর পরই কথা বলেন শাওনের সঙ্গে। হুমায়ূনের প্রথম ঘরের ছেলে-মেয়েদের সঙ্গেও একান্তে কথা বলেন তিনি। কিন্তু কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ প্রসঙ্গে জনকণ্ঠকে শাওন বলেন, নুহাশ পল্লীর ম্যানেজারও জানেন হুমায়ূন ওখানেই সমাহিত হতে চেয়েছিলেন। নুহাশ পল্লীর নামাজ পড়ার জায়গাটি কবরের জন্য তিনি নিজে দেখিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু লেখক নুহাশ পল্লীকে গোরস্তান না বানানোর কথা বলেছিলেন এমন বক্তব্যের জবাবে শাওন বলেন, ওটা ছিল কথার কথা। একবার বলেছেন। আর প্রতিদিন বলেছেন, নুহাশ পল্লীর কথা। এ ব্যাপারে জনকণ্ঠকে ছোটমেয়ে শীলা বলেন, আমার বাবাকে কোন পার্সনাল প্রপার্টিতে রাখা হলে তিনি সকলের হবেন না। সবাই সেখানে তাঁকে দেখতে যেতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন না। এ জন্য আমরা তাঁকে বনানী বা মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করতে চাই। এ অবস্থায় চূড়ান্ত সমাধান কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আবেদন করছি শুধু। এর বেশি কিছু করার নেই আমাদের।
এদিকে আলোচনার এক পর্যায়ে ব্যারিস্টার রফিক-উল- ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরামর্শ চাওয়া হলে তিনি আলোচকদের জানান, স্বামীর ডেডবডির ব্যাপারে সকল সিদ্ধান্ত স্ত্রী নিতে পারে। সে হিসেবে শেষতক নুহাশ পল্লীতেই হুমায়ূনের দাফন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে রাত নয়টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চলছিল আলোচনা।
No comments