আসামে জাতিগত দাঙ্গায় নিহত ১৮ ঘরহারা ৩৬ হাজার
ভারতের আসাম রাজ্যে জাতিগত দাঙ্গায় কমপক্ষে ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরো ১০ জন। রাজ্যের কোকরাজহার জেলায় গত শুক্রবার রাতে আদিবাসী বোদো জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে বসতি স্থাপনকারী মুসলিমদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে গতকাল সোমবার পর্যন্ত প্রায় ৩৬ হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।
রাজ্য পুলিশ কর্তৃপক্ষ গতকাল জানিয়েছে, কোকরাজহারের পাশের জেলা চিরাংয়েও দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে। গত রবিবার সেখান থেকে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সংঘাতপ্রবণ এলাকায় সেনাসহ আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ রয়েছে।
গত ৬ জুলাই কোকরাজহারে বোদো সম্প্রদায়ের ছাত্র সংগঠনের দুই কর্মী অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন। এতে জেলায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
আসাম পুলিশের মহাপরিদর্শক এস এন সিং বার্তা সংস্থা এএফপিকে গতকাল বলেন, শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া দাঙ্গায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ১২ জন। প্রায় ২৫ হাজার মানুষ সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় অস্থিরতা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। তবে বার্তা সংস্থা এপি পুলিশ কর্মকর্তা জে এন চৌধুরীর বরাত দিয়ে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ১৮ বলে জানিয়েছে। ঘরহারা মানুষের সংখ্যা ৩০ হাজার। কোকরাজহার পুলিশের উপকমিশনার ডোনাল্ড গিলফেলানের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতের হিন্দু পত্রিকা জানিয়েছে, দাঙ্গায় ১২ জন মারা গেছে। ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুষের সংখ্যা ৩৬ হাজার। আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে উভয় গোষ্ঠীর মানুষই রয়েছে। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় বোদো জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে বসতি স্থাপনকারী মুসলিমদের প্রায়ই বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মুসলিমদের অধিকাংশই বাঙালি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসামে যান তাঁরা। সূত্র : এএফপি, দ্য হিন্দু।
গত ৬ জুলাই কোকরাজহারে বোদো সম্প্রদায়ের ছাত্র সংগঠনের দুই কর্মী অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন। এতে জেলায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
আসাম পুলিশের মহাপরিদর্শক এস এন সিং বার্তা সংস্থা এএফপিকে গতকাল বলেন, শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া দাঙ্গায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ১২ জন। প্রায় ২৫ হাজার মানুষ সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় অস্থিরতা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। তবে বার্তা সংস্থা এপি পুলিশ কর্মকর্তা জে এন চৌধুরীর বরাত দিয়ে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ১৮ বলে জানিয়েছে। ঘরহারা মানুষের সংখ্যা ৩০ হাজার। কোকরাজহার পুলিশের উপকমিশনার ডোনাল্ড গিলফেলানের উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতের হিন্দু পত্রিকা জানিয়েছে, দাঙ্গায় ১২ জন মারা গেছে। ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মানুষের সংখ্যা ৩৬ হাজার। আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে উভয় গোষ্ঠীর মানুষই রয়েছে। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় বোদো জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে বসতি স্থাপনকারী মুসলিমদের প্রায়ই বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মুসলিমদের অধিকাংশই বাঙালি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসামে যান তাঁরা। সূত্র : এএফপি, দ্য হিন্দু।
No comments