বাংলাদেশের সুহূদ এই বাঙালিকে অভিনন্দন-ভারতের রাষ্ট্রপতি পদে প্রণব
জাতীয় কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা প্রণব মুখার্জি ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় বাঙালি হিসেবে আমরা আনন্দিত। দেশটির ৬৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম একজন বাঙালি এই পদে আসীন হলেন। এর আগে ১৯৯৮ সালে সিপিএমের নেতা জ্যোতি বসুর ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগটি হাতছাড়া হয়ে যায়, তাঁরই দলের ‘ঐতিহাসিক ভুলে’র কারণে।
এবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রথমে প্রণব মুখার্জির বিরোধিতা করলেও শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি পদে তাঁর প্রতিই সমর্থন জানান। ব্যাপক সমর্থন নিয়েই প্রণব মুখার্জি দেশটির ১৩তম রাষ্ট্রপতি পদে বরিত হয়েছেন।
প্রণব মুখার্জি কেবল কংগ্রেসের একজন প্রবীণ ও পরীক্ষিত নেতাই নন, ভারতীয় রাজনীতিতে একজন ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব। প্রশাসন ও দল পরিচালনায় তাঁর রয়েছে অসামান্য অবদান। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, অর্থসহ যেসব গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়েছে, তিনি সফলতার সঙ্গে তা পালন করেছেন। সংসদের ভেতরে ও বাইরে যেকোনো রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলায় তাঁকে অগ্রণী ভূমিকায় দেখা গেছে। ক্ষমতাসীন দলের পাশাপাশি বিরোধী দলেরও আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন এই বাঙালি রাজনীতিক।
বাংলাদেশের সঙ্গে প্রণব মুখার্জির আত্মিক সম্পর্কের সূচনা ঘটে ১৯৭১ সালে, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর সহায়ক ভূমিকার মধ্য দিয়ে। সে সময় তিনি ছিলেন ইন্দিরা মন্ত্রিসভার সদস্য। পরবর্তীকালে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কোন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বিশেষ করে, ভারতের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য প্রবেশে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করতেও তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য।
ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম প্রাণপুরুষ প্রণব মুখার্জি রাষ্ট্রপতি হওয়ায় আমরা এ কারণে আনন্দিত যে তিনি নিজেকে বাংলাদেশের সুহূদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নিকট অতীতে যখনই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন দেখা দিয়েছে, তার হস্তক্ষেপে তা দূর করা সম্ভব হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হয়ে সরকারের প্রশাসনিক কাজ ও পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নে তাঁর ভূমিকা সীমিত হলেও প্রত্যাশা থাকবে, দ্বিপক্ষীয় সমস্যার সমাধানে তাঁর শুভেচ্ছা ও সংবেদনশীলতা আগের মতোই অটুট থাকবে।
আমরা ভারতের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে উষ্ণ অভিনন্দন জানাই এবং তাঁর সাফল্য কামনা করি।
প্রণব মুখার্জি কেবল কংগ্রেসের একজন প্রবীণ ও পরীক্ষিত নেতাই নন, ভারতীয় রাজনীতিতে একজন ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব। প্রশাসন ও দল পরিচালনায় তাঁর রয়েছে অসামান্য অবদান। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, অর্থসহ যেসব গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়েছে, তিনি সফলতার সঙ্গে তা পালন করেছেন। সংসদের ভেতরে ও বাইরে যেকোনো রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলায় তাঁকে অগ্রণী ভূমিকায় দেখা গেছে। ক্ষমতাসীন দলের পাশাপাশি বিরোধী দলেরও আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন এই বাঙালি রাজনীতিক।
বাংলাদেশের সঙ্গে প্রণব মুখার্জির আত্মিক সম্পর্কের সূচনা ঘটে ১৯৭১ সালে, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর সহায়ক ভূমিকার মধ্য দিয়ে। সে সময় তিনি ছিলেন ইন্দিরা মন্ত্রিসভার সদস্য। পরবর্তীকালে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কোন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বিশেষ করে, ভারতের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য প্রবেশে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করতেও তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য।
ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম প্রাণপুরুষ প্রণব মুখার্জি রাষ্ট্রপতি হওয়ায় আমরা এ কারণে আনন্দিত যে তিনি নিজেকে বাংলাদেশের সুহূদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। নিকট অতীতে যখনই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন দেখা দিয়েছে, তার হস্তক্ষেপে তা দূর করা সম্ভব হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হয়ে সরকারের প্রশাসনিক কাজ ও পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নে তাঁর ভূমিকা সীমিত হলেও প্রত্যাশা থাকবে, দ্বিপক্ষীয় সমস্যার সমাধানে তাঁর শুভেচ্ছা ও সংবেদনশীলতা আগের মতোই অটুট থাকবে।
আমরা ভারতের প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে উষ্ণ অভিনন্দন জানাই এবং তাঁর সাফল্য কামনা করি।
No comments