নুহাশপল্লীতেই চিরনিদ্রা হুমায়ূনের
গাজীপুরের নুহাশপল্লীতেই আজ মঙ্গলবার বাদ জোহর সমাহিত করা হবে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে। গতকাল সোমবার গভীর রাতে তাঁর পরিবারের সদস্যরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বারডেমের হিমঘর থেকে হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ নিয়ে নুহাশপল্লীর দিকে রওনা দিয়েছেন তাঁর স্বজনেরা।
নুহাশপল্লীতে চলছে দাফনের সব প্রস্তুতি।
গতকাল সোমবার সকাল থেকেই জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল ছিল তাদের প্রিয় লেখকের সমাধি কোথায় হবে এ বিষয়টি নিয়ে। সকালে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, ‘উনার (হুমায়ূন আহমেদ) শেষ ইচ্ছা ছিল নুহাশপল্লী। উনাকে আর কষ্ট দিয়েন না। নুহাশপল্লীতেই ব্যবস্থা করেন।’ তবে হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের অন্য সদস্যরা চেয়েছেন মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী বা বনানী কবরস্থানে তাঁর দাফন হোক।
পরিবারের মধ্যে মতপার্থক্য অবসানে গতকাল রাতভর স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা কয়েক দফা দুই পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠকের পর গতকাল রাত আড়াইটার দিকে সংসদ ভবন এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন থেকে বেরিয়ে হুমায়ূনের ভাই মুহম্মদ জাফর ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, নুহাশপল্লীতেই দাফনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জাফর ইকবাল বলেন, ‘তার (হুমায়ূন) সন্তানেরা মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করতে চাইলেও তারা এটাও চায়নি যে, তাদের বাবা বারডেমের হিমঘরে থাকুক। তারা যেকোনোভাবে তাঁকে মাটির নিচে ফিরিয়ে দিতে চায়। এ জন্য নুহাশপল্লীতে কবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। আর দেশের মানুষও যেন মনে না করতে পারে যে আমরা তাঁকে নিয়ে টানাহেঁচড়া করছি।’
জাফর ইকবাল আরও বলেন, ‘তাঁর প্রথম পক্ষের সন্তানেরা খুব করে চাচ্ছিল, তাঁকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করতে। তাহলে তারা সহজে যেতে পারত। দেশের মানুষও সহজে যেতে পারত। আমাদের মা-ও এটা চাচ্ছিলেন। আমরা দিনভর শাওনকে বোঝাতে চেষ্টা করেছি। বোঝাতে পারলে ভালো হতো, কিন্তু বোঝাতে পারিনি।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জাফর ইকবালের সঙ্গে ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কুদ্দুস, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর ও শাইখ সিরাজ।
নুহাশপল্লীতে নোভা, শীলা ও নুহাশ যাবেন বলে জানা গেছে।
নুহাশপল্লীতে দাফনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন হুমায়ূনের স্ত্রী শাওন। ধানমন্ডিতে লেখকের বাড়ি ‘দখিন হাওয়া’য় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ১২ তারিখ (জুলাই) সকাল পাঁচটায় অপারেশনে যাওয়ার আগে তিনি (হুমায়ূন) বলছিলেন, “আমি জানি আমি ভালো হয়ে যাব। তবে আমার যদি কিছু হয়, আমাকে নিয়ে ওরা অনেক টানাহেঁচড়া করবে, তুমি শক্ত থেকো, কুসুম। আমাকে নুহাশপল্লীতে নিয়ে যেয়ো”।’
এ বক্তব্যের কোনো দালিলিক প্রমাণ না থাকার কথা জানিয়ে শাওন বলেন, ‘কোনো স্ত্রী, কোনো আত্মীয়স্বজন অপারেশনের আগের দিন রাতে বলা কথা কি রেকর্ড করে রাখে?’
হুমায়ূন আহমেদের প্রথম পক্ষের পরিবারের সদস্যদের প্রতি ইঙ্গিত করে শাওন ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘জীবিত অবস্থায় যারা হুমায়ূন আহমেদের পাশে দাঁড়ায়নি, পারিবারিক মিটিং করেনি, তাদের অধিকার নেই এখন মিটিং করার।’
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২০ মিনিটে নিউইয়র্কের বেলভিউ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু হয়। তিনি ক্যানসারে ভুগছিলেন।
গতকাল সোমবার সকাল থেকেই জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল ছিল তাদের প্রিয় লেখকের সমাধি কোথায় হবে এ বিষয়টি নিয়ে। সকালে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেন, ‘উনার (হুমায়ূন আহমেদ) শেষ ইচ্ছা ছিল নুহাশপল্লী। উনাকে আর কষ্ট দিয়েন না। নুহাশপল্লীতেই ব্যবস্থা করেন।’ তবে হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের অন্য সদস্যরা চেয়েছেন মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী বা বনানী কবরস্থানে তাঁর দাফন হোক।
পরিবারের মধ্যে মতপার্থক্য অবসানে গতকাল রাতভর স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা কয়েক দফা দুই পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠকের পর গতকাল রাত আড়াইটার দিকে সংসদ ভবন এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন থেকে বেরিয়ে হুমায়ূনের ভাই মুহম্মদ জাফর ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, নুহাশপল্লীতেই দাফনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জাফর ইকবাল বলেন, ‘তার (হুমায়ূন) সন্তানেরা মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করতে চাইলেও তারা এটাও চায়নি যে, তাদের বাবা বারডেমের হিমঘরে থাকুক। তারা যেকোনোভাবে তাঁকে মাটির নিচে ফিরিয়ে দিতে চায়। এ জন্য নুহাশপল্লীতে কবর দেওয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। আর দেশের মানুষও যেন মনে না করতে পারে যে আমরা তাঁকে নিয়ে টানাহেঁচড়া করছি।’
জাফর ইকবাল আরও বলেন, ‘তাঁর প্রথম পক্ষের সন্তানেরা খুব করে চাচ্ছিল, তাঁকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করতে। তাহলে তারা সহজে যেতে পারত। দেশের মানুষও সহজে যেতে পারত। আমাদের মা-ও এটা চাচ্ছিলেন। আমরা দিনভর শাওনকে বোঝাতে চেষ্টা করেছি। বোঝাতে পারলে ভালো হতো, কিন্তু বোঝাতে পারিনি।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জাফর ইকবালের সঙ্গে ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কুদ্দুস, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর ও শাইখ সিরাজ।
নুহাশপল্লীতে নোভা, শীলা ও নুহাশ যাবেন বলে জানা গেছে।
নুহাশপল্লীতে দাফনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন হুমায়ূনের স্ত্রী শাওন। ধানমন্ডিতে লেখকের বাড়ি ‘দখিন হাওয়া’য় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ১২ তারিখ (জুলাই) সকাল পাঁচটায় অপারেশনে যাওয়ার আগে তিনি (হুমায়ূন) বলছিলেন, “আমি জানি আমি ভালো হয়ে যাব। তবে আমার যদি কিছু হয়, আমাকে নিয়ে ওরা অনেক টানাহেঁচড়া করবে, তুমি শক্ত থেকো, কুসুম। আমাকে নুহাশপল্লীতে নিয়ে যেয়ো”।’
এ বক্তব্যের কোনো দালিলিক প্রমাণ না থাকার কথা জানিয়ে শাওন বলেন, ‘কোনো স্ত্রী, কোনো আত্মীয়স্বজন অপারেশনের আগের দিন রাতে বলা কথা কি রেকর্ড করে রাখে?’
হুমায়ূন আহমেদের প্রথম পক্ষের পরিবারের সদস্যদের প্রতি ইঙ্গিত করে শাওন ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘জীবিত অবস্থায় যারা হুমায়ূন আহমেদের পাশে দাঁড়ায়নি, পারিবারিক মিটিং করেনি, তাদের অধিকার নেই এখন মিটিং করার।’
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২০ মিনিটে নিউইয়র্কের বেলভিউ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু হয়। তিনি ক্যানসারে ভুগছিলেন।
No comments