তিস্তাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আজ দিল্লীতে সচিব পর্যায়ে বৈঠক শুরু
তিস্তা চুক্তি, যৌথ নদীর পানি বণ্টন, টিপাইমুখ প্রকল্প, ঋণ সহায়তা, ছিটমহল বিনিময়, সীমান্ত হত্যা বন্ধসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনার জন্য আজ মঙ্গলবার নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠক (ফরেন অফিস কনসালটেশন) শুরু হচ্ছে।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহনের ঐতিহাসিক ঢাকা সফরের পর এই প্রথম দু’দেশের পররাষ্ট্র সচিবরা দিল্লিতে এ বৈঠকে বসছেন। গত বছরের ৬ জুন ঢাকায় সর্বশেষ ঢাকা-দিল্লী পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকটি হয়েছিল। রীতি অনুযায়ী এক বছর পর এবার দিল্লীতে বৈঠকটির আয়োজন করা হচ্ছে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। ওদিকে ভারতের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব রঞ্জন মাথাই সে দেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
ঢাকা ছাড়ার আগে এ বৈঠক প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস সাংবাদিকদের বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক অমীমাংসিতসহ সার্বিক ইস্যু, দুই দেশের দুই শীর্ষ নেতার দ্বিপক্ষীয় সফরের সিদ্ধান্তগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যত সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলো খুঁজে বের করা-এ তিন আঙ্গিক নিয়েই আলোচনা হবে। এ ছাড়া এক বিলিয়ন ডলারের ভারতীয় ঋণের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি ও বাস্তবায়ন আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।
অপরদিকে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বৈঠকের গুরুত্ব তুলে ধরে বলা হয়েছে, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর দুই ঐতিহাসিক সফরের সময়ে হওয়া চুক্তি, সমঝোতা স্মারক ও যৌথ ইশতেহারের অগ্রগতি পর্যালোচনাসহ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় অমীমাংসিত ইস্যু নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। এতে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি, বিনিয়োগ, পরমাণু শক্তি, পানিসম্পদ, যোগাযোগ, উন্নয়ন-সহায়তা সর্বোপরি দুই দেশের মধ্যকার মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যরে বন্ধন তৈরিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দুই দেশের আঞ্চলিক, উপআঞ্চলিক ও বৈশ্বিক তাৎপর্যপূর্ণ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের জন্য যেসব বিষয় সবচেয়ে জরুরী ও বিতর্কিত হয়ে দাঁড়িয়েছে সেসব সমস্যার দ্রুত সমাধানের লক্ষ্য নিয়েই এজেন্ডাগুলো তৈরি করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর আপত্তিতে ঝুলে যাওয়া তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতের অবস্থান, যৌথ নদ-নদীর পানি বণ্টন, টিপাইমুখ প্রকল্পের যৌথ সমীক্ষা, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, ছিটমহল বিনিময় ও এ বিষয়ে ভারতের লোকসভার অনুমোদন কবে হতে পারে, পাশাপাশি লোকসভায় সীমান্ত চুক্তি ও প্রটোকল অনুমোদন, এক বিলিয়ন ডলারের ভারতীয় ঋণে নেয়া বিভিন্ন প্রকল্প এবং ভারতের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত ও অবাধ প্রবেশাধিকারের বিষয়গুলোকে আলোচ্যসূচীতে রাখা হয়েছে।
ঢাকা ছাড়ার আগে এ বৈঠক প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস সাংবাদিকদের বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক অমীমাংসিতসহ সার্বিক ইস্যু, দুই দেশের দুই শীর্ষ নেতার দ্বিপক্ষীয় সফরের সিদ্ধান্তগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যত সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলো খুঁজে বের করা-এ তিন আঙ্গিক নিয়েই আলোচনা হবে। এ ছাড়া এক বিলিয়ন ডলারের ভারতীয় ঋণের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি ও বাস্তবায়ন আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।
অপরদিকে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বৈঠকের গুরুত্ব তুলে ধরে বলা হয়েছে, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর দুই ঐতিহাসিক সফরের সময়ে হওয়া চুক্তি, সমঝোতা স্মারক ও যৌথ ইশতেহারের অগ্রগতি পর্যালোচনাসহ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় অমীমাংসিত ইস্যু নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। এতে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি, বিনিয়োগ, পরমাণু শক্তি, পানিসম্পদ, যোগাযোগ, উন্নয়ন-সহায়তা সর্বোপরি দুই দেশের মধ্যকার মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যরে বন্ধন তৈরিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দুই দেশের আঞ্চলিক, উপআঞ্চলিক ও বৈশ্বিক তাৎপর্যপূর্ণ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের জন্য যেসব বিষয় সবচেয়ে জরুরী ও বিতর্কিত হয়ে দাঁড়িয়েছে সেসব সমস্যার দ্রুত সমাধানের লক্ষ্য নিয়েই এজেন্ডাগুলো তৈরি করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর আপত্তিতে ঝুলে যাওয়া তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতের অবস্থান, যৌথ নদ-নদীর পানি বণ্টন, টিপাইমুখ প্রকল্পের যৌথ সমীক্ষা, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, ছিটমহল বিনিময় ও এ বিষয়ে ভারতের লোকসভার অনুমোদন কবে হতে পারে, পাশাপাশি লোকসভায় সীমান্ত চুক্তি ও প্রটোকল অনুমোদন, এক বিলিয়ন ডলারের ভারতীয় ঋণে নেয়া বিভিন্ন প্রকল্প এবং ভারতের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত ও অবাধ প্রবেশাধিকারের বিষয়গুলোকে আলোচ্যসূচীতে রাখা হয়েছে।
No comments