হিরোশিমা দিবস এবং চেরনোবিল ও ফুকুশিমা by সুভাষ সাহা
আজ ৬ আগস্ট হিরোশিমা দিবস। ৬৬ বছর আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্তিমলগ্নে ১৯৪৫ সালের এদিনে মার্কিন বি-৫২ বোমারু বিমান থেকে জাপানের হিরোশিমা নগরীর ওপর আণবিক বোমা ফেলা হয়। এতে তাৎক্ষণিকভাবে নিহত হন নগরীর ৭০ হাজার মানুষ এবং ধুঁকে ধুঁকে মারা যান আরও প্রায় এক লাখ।
এর তিনদিন পর একই দেশের আর এক শহর নাগাসাকির ওপর বোমারু বিমান থেকে একই কায়দায় আণবিক বোমা ফেলা হয়েছিল। এখানেও মৃতের সারি মানবতাকে আজও উপহাস করে। সেদিন ধ্বংসাত্মক এই মারণাস্ত্র ব্যবহারের যুক্তি হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির প্রতিপক্ষ অক্ষশক্তির আক্রমণ ক্ষমতাকে নিঃশেষ করে দেওয়াকে উদ্দেশ্য হিসেবে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে জাপানসহ অক্ষশক্তি যখন একেবারে কাবু হয়ে গেছে তখন এই হামলাকে মার্কিন সামরিক শক্তির সদম্ভ উপস্থিতি প্রমাণের উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ওই দুটি হৃদয়বিদারক ও মানবতাবিরোধী ঘটনায় বিশ্ববাসী স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিল। আণবিক বোমার ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা দেখে বিশ্ববাসী নিদারুণ হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছিল। সেই থেকে হিরোশিমা-নাগাসাকিতে আণবিক আক্রমণ বিশ্বব্যাপী তীব্র ঘৃণা ও মানবিক সহমর্মিতা প্রকাশের উপলক্ষ হয়ে উঠেছে। যে জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রতিপক্ষ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল, সেই দেশ দুটির সাধারণ মানুষ এই বিধ্বংসী ঘটনায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারবিরোধী শান্তি আন্দোলনে একাট্টা হয়েছে। ১৯৫৩ সাল থেকেই পারমাণবিক অস্ত্রবিরোধী জনতার প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হাজার হাজার থেকে লাখ লাখ, মাইলের পর মাইল শান্তিকামী জনতার তরঙ্গায়িত চেইনে পরিণত হয়।
বিশ্বে শীতল যুদ্ধ পরিস্থিতি চলার সময় কিউবা মিসাইল ক্রাইসিসসহ কতবার তৎকালীন দুই পরাশক্তি মুখোমুখি সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে উপনীত হয়েছিল। কিন্তু জনমতের চাপে তা পারমাণবিবক অস্ত্রের ব্যবহারে রূপ নিতে পারেনি। পরমাণু অস্ত্রবিরোধী বিশ্বজনমতের কারণেই পরমাণু পরীক্ষা ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রথমে ১৯৬৩ সালে আংশিক পরমাণু পরীক্ষা নিষিদ্ধ করা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর সম্ভব হয়। এরপর একে একে এনপিটি, সল্ট-১, এবিএম, ১৯৭৪ সালে একই বিষয়ে প্রটোকল স্বাক্ষর, সল্ট-২, আইএনএফ, স্টার্ট-১, স্টার্ট-২, মস্কো চুক্তি, সিটিবিটি এবং ২০২১ সাল পর্যন্ত নিউক্লিয়ার ওয়্যারহেডসহ কমপক্ষে অর্ধেকে নামিয়ে আনা সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সর্বশেষ ২০১০ সালে সম্পাদিত নতুন চুক্তি স্টার্ট উল্লেখযোগ্য। এই চুক্তিগুলোর লক্ষ্য হলো_ বিশ্বে পরমাণু অস্ত্রের সম্ভাব্য ব্যবহারের ঝুঁকি হ্রাস করা। এসবই আন্তর্জাতিক জনমতের অব্যাহত চাপের কারণেই সম্ভব হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠন পরিচালিত আন্দোলনের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে, বিশ্ব থেকে পরমাণু অস্ত্র সম্পূর্ণ নির্মূল করা। তবে সংগঠনগুলো পরমাণু শক্তি ব্যবহার বিরোধিতাকে তাদের আন্দোলনের কেন্দ্রে নিয়ে আসে।
পরমাণু শক্তি কেন্দ্রে প্রথম ক্ষতিকর রেডিওঅ্যাকটিভ নিঃসরণ ও দুর্ঘটনার আগে বিদ্যুৎ শক্তি এবং শান্তিপূর্ণ উদ্দেশে জ্বালানি হিসেবে পরিশোধিত ইউরেনিয়াম ব্যবহারের বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিবাদী হয়নি। যখন তারা এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বুঝতে শেখে তখন থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে নিয়োজিত পরমাণু শক্তি কেন্দ্রগুলোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়তে থাকে। তবে চেরনোবিল বিপর্যয়ের পর বিশ্বব্যাপী বিদ্যুৎশক্তি হিসেবে পরমাণুশক্তি ব্যবহারের বিরুদ্ধে জনমত প্রবল হয়। এ বছর মার্চে সুনামিতে বিধ্বস্ত জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক প্লান্টে বিপর্যয়ের পর জনমত এর বিরুদ্ধে অনেকটাই চলে যায়। এ ঘটনার পর বিশ্বের দেশে দেশে পুনরায় পরমাণু শক্তির ব্যবহারবিরোধী আন্দোলন ফুঁসে ওঠে। গত জুনেই অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, পর্তুগাল, ইসরায়েল, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড ও নরওয়ে পরমাণু শক্তিবিরোধী অবস্থান জোরদার করে। আর জার্মানি ও সুইজারল্যান্ড পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত প্লান্টগুলো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।
অথচ, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বিরোধী জনবিক্ষোভ অব্যাহত থাকলেও সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন নতুন পরমাণু কেন্দ্র গড়তে মরিয়া। আমরাও রাশিয়ার সাহায্যে বিরাট অঙ্কের পরমাণু শক্তি কেন্দ্র গড়তে বদ্ধপরিকর। কিন্তু এর নিরাপত্তার বিষয়টি কি আমরা ভালোভাবে খতিয়ে দেখেছি?
আণবিক বোমার ধ্বংসাত্মক ও বিপর্যয়কারী ক্ষমতার সাক্ষী জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি। পারমাণবিক প্লান্টে বিপর্যয় ঘটলে প্রাণ ও পরিবেশের কী অপরিমেয় ক্ষতি হতে পারে তা চেরনোবিল ও ফুকুশিমা পারমাণবিক প্লান্ট দুর্ঘটনা থেকে কিছুটা আঁচ করা যায়। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পারমাণবিক প্লান্ট দুর্ঘটনা কতটা প্রাণসংহারী ও বিপর্যয়কর হতে পারে তার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ভারতের ভূপাল গ্যাস প্লান্ট দুর্ঘটনা। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ও অনেকের ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলা এবং পরিবেশ বিপর্যয় থেকে ভারত, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো শিক্ষা নিয়েছে? উন্নত দেশগুলোতে যখন এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া চলছে তখন আমাদেরও নবায়নযোগ্য জ্বালানি তথা সৌরশক্তি ও বায়ুশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর নয় এমন বিদ্যুৎ উৎপাদনে অধিক মনোযোগী হওয়া উচিত। এজন্য নাগরিকদেরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন রয়েছে।
হিরোশিমা দিবসে আজ আমরা পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করাই শুধু নয়, বিদ্যুৎ উৎপাদনেও পরমাণু শক্তির ব্যবহারের বেলায় নিরাপত্তার বিষয়টি খাটো করে না দেখার মাধ্যমে সেদিনের মৃতদের প্রতি প্রকৃত সম্মান জানাতে পারি। এভাবেই আমরা আমাদের ও বিশ্ববাসীর ভবিষ্যৎকে নিরাপদ করার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারি।
সুভাষ সাহা :সাংবাদিক
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ওই দুটি হৃদয়বিদারক ও মানবতাবিরোধী ঘটনায় বিশ্ববাসী স্তম্ভিত হয়ে পড়েছিল। আণবিক বোমার ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা দেখে বিশ্ববাসী নিদারুণ হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছিল। সেই থেকে হিরোশিমা-নাগাসাকিতে আণবিক আক্রমণ বিশ্বব্যাপী তীব্র ঘৃণা ও মানবিক সহমর্মিতা প্রকাশের উপলক্ষ হয়ে উঠেছে। যে জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রতিপক্ষ ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল, সেই দেশ দুটির সাধারণ মানুষ এই বিধ্বংসী ঘটনায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারবিরোধী শান্তি আন্দোলনে একাট্টা হয়েছে। ১৯৫৩ সাল থেকেই পারমাণবিক অস্ত্রবিরোধী জনতার প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হাজার হাজার থেকে লাখ লাখ, মাইলের পর মাইল শান্তিকামী জনতার তরঙ্গায়িত চেইনে পরিণত হয়।
বিশ্বে শীতল যুদ্ধ পরিস্থিতি চলার সময় কিউবা মিসাইল ক্রাইসিসসহ কতবার তৎকালীন দুই পরাশক্তি মুখোমুখি সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে উপনীত হয়েছিল। কিন্তু জনমতের চাপে তা পারমাণবিবক অস্ত্রের ব্যবহারে রূপ নিতে পারেনি। পরমাণু অস্ত্রবিরোধী বিশ্বজনমতের কারণেই পরমাণু পরীক্ষা ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রথমে ১৯৬৩ সালে আংশিক পরমাণু পরীক্ষা নিষিদ্ধ করা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর সম্ভব হয়। এরপর একে একে এনপিটি, সল্ট-১, এবিএম, ১৯৭৪ সালে একই বিষয়ে প্রটোকল স্বাক্ষর, সল্ট-২, আইএনএফ, স্টার্ট-১, স্টার্ট-২, মস্কো চুক্তি, সিটিবিটি এবং ২০২১ সাল পর্যন্ত নিউক্লিয়ার ওয়্যারহেডসহ কমপক্ষে অর্ধেকে নামিয়ে আনা সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সর্বশেষ ২০১০ সালে সম্পাদিত নতুন চুক্তি স্টার্ট উল্লেখযোগ্য। এই চুক্তিগুলোর লক্ষ্য হলো_ বিশ্বে পরমাণু অস্ত্রের সম্ভাব্য ব্যবহারের ঝুঁকি হ্রাস করা। এসবই আন্তর্জাতিক জনমতের অব্যাহত চাপের কারণেই সম্ভব হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠন পরিচালিত আন্দোলনের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে, বিশ্ব থেকে পরমাণু অস্ত্র সম্পূর্ণ নির্মূল করা। তবে সংগঠনগুলো পরমাণু শক্তি ব্যবহার বিরোধিতাকে তাদের আন্দোলনের কেন্দ্রে নিয়ে আসে।
পরমাণু শক্তি কেন্দ্রে প্রথম ক্ষতিকর রেডিওঅ্যাকটিভ নিঃসরণ ও দুর্ঘটনার আগে বিদ্যুৎ শক্তি এবং শান্তিপূর্ণ উদ্দেশে জ্বালানি হিসেবে পরিশোধিত ইউরেনিয়াম ব্যবহারের বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিবাদী হয়নি। যখন তারা এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বুঝতে শেখে তখন থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে নিয়োজিত পরমাণু শক্তি কেন্দ্রগুলোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়তে থাকে। তবে চেরনোবিল বিপর্যয়ের পর বিশ্বব্যাপী বিদ্যুৎশক্তি হিসেবে পরমাণুশক্তি ব্যবহারের বিরুদ্ধে জনমত প্রবল হয়। এ বছর মার্চে সুনামিতে বিধ্বস্ত জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক প্লান্টে বিপর্যয়ের পর জনমত এর বিরুদ্ধে অনেকটাই চলে যায়। এ ঘটনার পর বিশ্বের দেশে দেশে পুনরায় পরমাণু শক্তির ব্যবহারবিরোধী আন্দোলন ফুঁসে ওঠে। গত জুনেই অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, পর্তুগাল, ইসরায়েল, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড ও নরওয়ে পরমাণু শক্তিবিরোধী অবস্থান জোরদার করে। আর জার্মানি ও সুইজারল্যান্ড পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত প্লান্টগুলো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।
অথচ, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র বিরোধী জনবিক্ষোভ অব্যাহত থাকলেও সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন নতুন পরমাণু কেন্দ্র গড়তে মরিয়া। আমরাও রাশিয়ার সাহায্যে বিরাট অঙ্কের পরমাণু শক্তি কেন্দ্র গড়তে বদ্ধপরিকর। কিন্তু এর নিরাপত্তার বিষয়টি কি আমরা ভালোভাবে খতিয়ে দেখেছি?
আণবিক বোমার ধ্বংসাত্মক ও বিপর্যয়কারী ক্ষমতার সাক্ষী জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি। পারমাণবিক প্লান্টে বিপর্যয় ঘটলে প্রাণ ও পরিবেশের কী অপরিমেয় ক্ষতি হতে পারে তা চেরনোবিল ও ফুকুশিমা পারমাণবিক প্লান্ট দুর্ঘটনা থেকে কিছুটা আঁচ করা যায়। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পারমাণবিক প্লান্ট দুর্ঘটনা কতটা প্রাণসংহারী ও বিপর্যয়কর হতে পারে তার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ভারতের ভূপাল গ্যাস প্লান্ট দুর্ঘটনা। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ও অনেকের ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলা এবং পরিবেশ বিপর্যয় থেকে ভারত, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো শিক্ষা নিয়েছে? উন্নত দেশগুলোতে যখন এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া চলছে তখন আমাদেরও নবায়নযোগ্য জ্বালানি তথা সৌরশক্তি ও বায়ুশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর নয় এমন বিদ্যুৎ উৎপাদনে অধিক মনোযোগী হওয়া উচিত। এজন্য নাগরিকদেরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন রয়েছে।
হিরোশিমা দিবসে আজ আমরা পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করাই শুধু নয়, বিদ্যুৎ উৎপাদনেও পরমাণু শক্তির ব্যবহারের বেলায় নিরাপত্তার বিষয়টি খাটো করে না দেখার মাধ্যমে সেদিনের মৃতদের প্রতি প্রকৃত সম্মান জানাতে পারি। এভাবেই আমরা আমাদের ও বিশ্ববাসীর ভবিষ্যৎকে নিরাপদ করার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারি।
সুভাষ সাহা :সাংবাদিক
No comments