আত্রাই নদীতে ‘লৌহদ্বীপ’ by আসাদুল্লাহ সরকার
কয়লাসমৃদ্ধ দিনাজপুরে এবার সন্ধান মিলেছে ‘লৌহদ্বীপ’-এর। জেলার খানসামা উপজেলার আগ্রা গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রাই নদীর একাংশে এ দ্বীপের অবস্থান। নদীর মধ্যে ছোট ছোট দ্বীপের কালো ও কঠিন শিলা সংগ্রহ করে পরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ওগুলো আসলে লোহা।
প্রতিদিন এলাকার অসংখ্য কৌতূহলী মানুষ সেখানে ভিড় করছে।
এ সম্পর্কে খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ টি এম জিয়াউল হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এসেছে। ওই দ্বীপের শিলার নমুনা পরীক্ষার জন্য ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরে পাঠানো হবে।
গতকাল খানসামার ভাবকি ইউনিয়নের আগ্রা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আত্রাই নদীর মধ্যে পাঁচ-ছয়টি দ্বীপ জেগে উঠেছে। লৌহসদৃশ কালো ও অত্যন্ত কঠিন শিলার বেশ বড় আকারের ওই দ্বীপগুলোকে এলাকার মানুষ বলছেন ‘খইন্যা’ (খনি)।
এলাকার গুলিয়ারা গ্রামের কৃষক মো. রবিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নদীর মধ্যকার ওই দ্বীপগুলোর মাটি এত শক্ত যে সেখানে খালি পায়ে কেউ হাঁটতে পারে না। এলাকার মানুষের ধারণা, ওখানে খনি আছে।
অশীতিপর একামুদ্দিন বলেন, নদীর মাঝে উত্তর দিকে প্রায় ১৫ ফুট উঁচু শক্ত পাহাড়। ৪০-৫০ বছর আগে থেকে এটি দেখা যাচ্ছে। আর ছয় বছর আগে ওই দ্বীপটির দক্ষিণে আরও কয়েকটি দ্বীপ জেগে উঠেছে।
খায়রুল আলম (৬৫) বলেন, অনেক বছর ধরে ওই দ্বীপ দেখা গেলেও এ নিয়ে এলাকার মানুষের বিশেষ কোনো কৌতূহল ছিল না। ১৫-১৬ দিন আগে পর পর ছয়-সাত দিন ধরে একটি বিমান অনেক নিচ দিয়ে দ্বীপগুলোর ওপর দিয়ে আসা-যাওয়া করার পর মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
অবশ্য ইউএনও বলেছেন, ওগুলো ছিল বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান। দ্বীপের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
গত মঙ্গলবার বিকেলে নৌকা নিয়ে গিয়ে দ্বীপগুলো ঘুরে দেখা যায়, এর উপরিভাগের মাটি প্রচণ্ড শক্ত। শাবল দিয়ে এর উপরিভাগ কাটতে গেলে লোহার ওপর শাবলের আঘাতের মতো শব্দ সৃষ্টি যায়। ভেঙে উঠে আসা শিলাখণ্ড হাতে নিয়ে দেখা যায়, তাতে মরিচা পড়েছে। ঘ্রাণ নিয়ে লোহার গন্ধ পাওয়া যায়।
মুখে মুখে রটে যাওয়ায় ‘লৌহদ্বীপ’ দেখতে প্রতিদিন দূর থেকেও অনেক লোক আসছে। ঠাকুরগাঁও থেকে আসা হুমায়ুন, নওশের আলী, টিপু; বীরগঞ্জের সামসুল আলম, ভবেশ রায়; নীলফামারীর আতোয়ার রহমান প্রমুখ দ্বীপ দেখে টুকরো টুকরো শিলাখণ্ড নিয়ে গেছেন অন্যদের দেখানোর জন্য।
বিশেষজ্ঞ অভিমত: দ্বীপ থেকে সংগ্রহ করা কয়েকটি শিলাখণ্ড পরীক্ষার জন্য স্থানীয় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগে দেওয়া হয়। গতকাল বুধবার বিকেলে ওই বিভাগের অধ্যাপক মো. শাহাদাত হোসেন খান প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক পরীক্ষায় শিলাখণ্ডে যেসব উপাদান পাওয়া গেছে, তাতে নিশ্চিত যে ওগুলো লোহা। আত্রাই নদীর দ্বীপটি দেশে প্রথম আবিষ্কৃত লোহার খনি হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরূল ইমাম গত রাতে টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ওটি খনি কি না, তা না দেখে বলা যায় না। অনেক সময় ছোট আকারেও কিছু শিলা জমতে পারে। সাধারণভাবে দিনাজপুর অঞ্চলে বড় কোনো লোহার খনি থাকার কথা নয়। তবে বড় এলাকাজুড়ে যদি জমে থাকে, সেটা আলাদা কথা। বিষয়টি দেখতে ও পরীক্ষা করতে হবে।
এ সম্পর্কে খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ টি এম জিয়াউল হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এসেছে। ওই দ্বীপের শিলার নমুনা পরীক্ষার জন্য ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরে পাঠানো হবে।
গতকাল খানসামার ভাবকি ইউনিয়নের আগ্রা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আত্রাই নদীর মধ্যে পাঁচ-ছয়টি দ্বীপ জেগে উঠেছে। লৌহসদৃশ কালো ও অত্যন্ত কঠিন শিলার বেশ বড় আকারের ওই দ্বীপগুলোকে এলাকার মানুষ বলছেন ‘খইন্যা’ (খনি)।
এলাকার গুলিয়ারা গ্রামের কৃষক মো. রবিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নদীর মধ্যকার ওই দ্বীপগুলোর মাটি এত শক্ত যে সেখানে খালি পায়ে কেউ হাঁটতে পারে না। এলাকার মানুষের ধারণা, ওখানে খনি আছে।
অশীতিপর একামুদ্দিন বলেন, নদীর মাঝে উত্তর দিকে প্রায় ১৫ ফুট উঁচু শক্ত পাহাড়। ৪০-৫০ বছর আগে থেকে এটি দেখা যাচ্ছে। আর ছয় বছর আগে ওই দ্বীপটির দক্ষিণে আরও কয়েকটি দ্বীপ জেগে উঠেছে।
খায়রুল আলম (৬৫) বলেন, অনেক বছর ধরে ওই দ্বীপ দেখা গেলেও এ নিয়ে এলাকার মানুষের বিশেষ কোনো কৌতূহল ছিল না। ১৫-১৬ দিন আগে পর পর ছয়-সাত দিন ধরে একটি বিমান অনেক নিচ দিয়ে দ্বীপগুলোর ওপর দিয়ে আসা-যাওয়া করার পর মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
অবশ্য ইউএনও বলেছেন, ওগুলো ছিল বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান। দ্বীপের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
গত মঙ্গলবার বিকেলে নৌকা নিয়ে গিয়ে দ্বীপগুলো ঘুরে দেখা যায়, এর উপরিভাগের মাটি প্রচণ্ড শক্ত। শাবল দিয়ে এর উপরিভাগ কাটতে গেলে লোহার ওপর শাবলের আঘাতের মতো শব্দ সৃষ্টি যায়। ভেঙে উঠে আসা শিলাখণ্ড হাতে নিয়ে দেখা যায়, তাতে মরিচা পড়েছে। ঘ্রাণ নিয়ে লোহার গন্ধ পাওয়া যায়।
মুখে মুখে রটে যাওয়ায় ‘লৌহদ্বীপ’ দেখতে প্রতিদিন দূর থেকেও অনেক লোক আসছে। ঠাকুরগাঁও থেকে আসা হুমায়ুন, নওশের আলী, টিপু; বীরগঞ্জের সামসুল আলম, ভবেশ রায়; নীলফামারীর আতোয়ার রহমান প্রমুখ দ্বীপ দেখে টুকরো টুকরো শিলাখণ্ড নিয়ে গেছেন অন্যদের দেখানোর জন্য।
বিশেষজ্ঞ অভিমত: দ্বীপ থেকে সংগ্রহ করা কয়েকটি শিলাখণ্ড পরীক্ষার জন্য স্থানীয় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগে দেওয়া হয়। গতকাল বুধবার বিকেলে ওই বিভাগের অধ্যাপক মো. শাহাদাত হোসেন খান প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক পরীক্ষায় শিলাখণ্ডে যেসব উপাদান পাওয়া গেছে, তাতে নিশ্চিত যে ওগুলো লোহা। আত্রাই নদীর দ্বীপটি দেশে প্রথম আবিষ্কৃত লোহার খনি হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরূল ইমাম গত রাতে টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ওটি খনি কি না, তা না দেখে বলা যায় না। অনেক সময় ছোট আকারেও কিছু শিলা জমতে পারে। সাধারণভাবে দিনাজপুর অঞ্চলে বড় কোনো লোহার খনি থাকার কথা নয়। তবে বড় এলাকাজুড়ে যদি জমে থাকে, সেটা আলাদা কথা। বিষয়টি দেখতে ও পরীক্ষা করতে হবে।
No comments