শুধু চুক্তি যথেষ্ট নয়, বাস্তবায়নই আসল-ভারত থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়
বিদ্যুতের স্বল্পতা শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারতেও রয়েছে। কয়েক দিন আগেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর রাজ্যে বিদ্যুতের সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত বিদ্যুৎ ক্রয়সংক্রান্ত চুক্তিটি বিশেষ কূটনৈতিক তাৎপর্য বহন করে।
দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে এই চুক্তি আরও একটি সোপান রচনা করল।
চুক্তি অনুযায়ী, ভারত থেকে বাংলাদেশ ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে। বাংলাদেশ দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে এর অতিরিক্ত আরও ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে পারবে। অর্থাৎ, ভারত থেকে বাংলাদেশ মোট ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবে। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দুই দেশেই গ্রিড নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে। এসবই বাংলাদেশের জন্য সুসংবাদ।
বিদ্যুতের দাম ধরা হয়েছে প্রতি ইউনিট দুই রুপি ৮০ পয়সা। বাংলাদেশের হিসাবে প্রায় চার টাকা। বর্তমানে বাংলাদেশে এক ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় হয় পাঁচ টাকা নয় পয়সা, বিক্রি করা হয় গড়ে প্রতি ইউনিট চার টাকায়। এখানে দুটি বিষয় বিবেচনায় রাখা দরকার। প্রথমত, ভারত নিশ্চয়ই তাদের লাভ রেখেই চার টাকায় বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দেবে। তাহলে বলতে হয়, ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় বাংলাদেশের থেকে কম। এখন আমাদের চেষ্টা করা উচিত, যেন বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভারতের দক্ষতাটুকু অর্জন করা যায়। তাহলে প্রতি ইউনিটে এক টাকা ভর্তুকির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ভারত যদি পারে, বাংলাদেশ কেন পারবে না। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে ‘সিস্টেম লস’ বা ব্যবস্থাগত লোকসান, যার একটি বড় অংশ চুরি-দুর্নীতি, তা কমিয়ে আনতে পারলে এ ব্যাপারে কিছু অগ্রসর হওয়া যাবে।
দ্বিতীয়ত, প্রতি ইউনিট চার টাকায় বিদ্যুৎ কিনলে বাংলাদেশ এ বাণিজ্যিক লেনদেনে লাভবান হবে। কারণ, এখানে তো ভর্তুকি দিতে হচ্ছে না। সুতরাং, এ ধরনের আঞ্চলিক উদ্যোগ আরও উৎসাহিত করা উচিত। বিদ্যুৎসচিব জানিয়েছেন, নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ নেওয়ার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। শুধু নেপাল নয়, ভুটানকেও বিদ্যুৎ আলোচনার আওতায় আনা দরকার। তাই পাশের তিনটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনার উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। আঞ্চলিক উদ্যোগের উদাহরণ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় রয়েছে। থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া, মিয়ানমার প্রভৃতি দেশ নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক লাভজনক শর্তে বাণিজ্য ও অন্যান্য সম্পর্ক-সূত্র গড়ে তুলছে। এ পরীক্ষিত ধারা থেকে বাংলাদেশের দূরে সরে থাকার কোনো কারণ নেই।
স্বাক্ষরিত চুক্তিকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে একই সঙ্গে বলতে চাই, চুক্তির চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো এর বাস্তবায়ন। এর আগে দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় ভারত থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ের প্রকল্পটি ২০১২ সালের গ্রীষ্মকালের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা হয়। কিন্তু গ্রিড নির্মাণ ও অন্যান্য কারণে বিদ্যুৎপ্রাপ্তির সম্ভাবনা এক বছর পিছিয়ে গেল। আমরা আশা করব, চুক্তি বাস্তবায়নের পরীক্ষায় উভয় দেশ উত্তীর্ণ হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, ভারত থেকে বাংলাদেশ ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে। বাংলাদেশ দরপত্রের মাধ্যমে ভারত থেকে এর অতিরিক্ত আরও ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে পারবে। অর্থাৎ, ভারত থেকে বাংলাদেশ মোট ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবে। নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দুই দেশেই গ্রিড নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে। এসবই বাংলাদেশের জন্য সুসংবাদ।
বিদ্যুতের দাম ধরা হয়েছে প্রতি ইউনিট দুই রুপি ৮০ পয়সা। বাংলাদেশের হিসাবে প্রায় চার টাকা। বর্তমানে বাংলাদেশে এক ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যয় হয় পাঁচ টাকা নয় পয়সা, বিক্রি করা হয় গড়ে প্রতি ইউনিট চার টাকায়। এখানে দুটি বিষয় বিবেচনায় রাখা দরকার। প্রথমত, ভারত নিশ্চয়ই তাদের লাভ রেখেই চার টাকায় বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দেবে। তাহলে বলতে হয়, ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় বাংলাদেশের থেকে কম। এখন আমাদের চেষ্টা করা উচিত, যেন বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভারতের দক্ষতাটুকু অর্জন করা যায়। তাহলে প্রতি ইউনিটে এক টাকা ভর্তুকির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ভারত যদি পারে, বাংলাদেশ কেন পারবে না। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে ‘সিস্টেম লস’ বা ব্যবস্থাগত লোকসান, যার একটি বড় অংশ চুরি-দুর্নীতি, তা কমিয়ে আনতে পারলে এ ব্যাপারে কিছু অগ্রসর হওয়া যাবে।
দ্বিতীয়ত, প্রতি ইউনিট চার টাকায় বিদ্যুৎ কিনলে বাংলাদেশ এ বাণিজ্যিক লেনদেনে লাভবান হবে। কারণ, এখানে তো ভর্তুকি দিতে হচ্ছে না। সুতরাং, এ ধরনের আঞ্চলিক উদ্যোগ আরও উৎসাহিত করা উচিত। বিদ্যুৎসচিব জানিয়েছেন, নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ নেওয়ার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। শুধু নেপাল নয়, ভুটানকেও বিদ্যুৎ আলোচনার আওতায় আনা দরকার। তাই পাশের তিনটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনার উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। আঞ্চলিক উদ্যোগের উদাহরণ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় রয়েছে। থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া, মিয়ানমার প্রভৃতি দেশ নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক লাভজনক শর্তে বাণিজ্য ও অন্যান্য সম্পর্ক-সূত্র গড়ে তুলছে। এ পরীক্ষিত ধারা থেকে বাংলাদেশের দূরে সরে থাকার কোনো কারণ নেই।
স্বাক্ষরিত চুক্তিকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে একই সঙ্গে বলতে চাই, চুক্তির চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো এর বাস্তবায়ন। এর আগে দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় ভারত থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ের প্রকল্পটি ২০১২ সালের গ্রীষ্মকালের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা হয়। কিন্তু গ্রিড নির্মাণ ও অন্যান্য কারণে বিদ্যুৎপ্রাপ্তির সম্ভাবনা এক বছর পিছিয়ে গেল। আমরা আশা করব, চুক্তি বাস্তবায়নের পরীক্ষায় উভয় দেশ উত্তীর্ণ হবে।
No comments