রমজান মাসেও নিয়ন্ত্রণহীন বাজার by রজতকান্তি বর্মণ
২ আগস্ট মঙ্গলবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। রোজার মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যাতে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে উদ্দেশ্যে সরকারের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয় ব্যবসায়ীদের। বাণিজ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বয়ং সরকারপ্রধান প্রধানমন্ত্রীও বৈঠক করেন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে।
বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের অনুরোধ যেমন করেছেন, শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থার কথাও বলেছেন। সরকারের আশ্বাস এবং প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরেই থেকে গেছে। কয়েক দফা বৈঠকের পরও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। রোজা শুরুর আগে থেকেই সব পণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতারা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারের বৈঠক নতুন নয়, এটি এখন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। জনগণের দুর্ভাগ্য হলো, প্রতিটি বৈঠক শেষেই দেখা যায় পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এবারও অবস্থার কোনো হেরফের হয়নি।
রমজানকে মূলধন করে প্রতিবারই ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন বেশি মুনাফার আশায়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। রমজানে অতিরিক্ত কয়েকটি পণ্য লাগে। যেমন_ ছোলা, মুড়ি, বেসন, চিনি, ডাল এবং সবজিও পরিমাণের চেয়ে বেশি কিনতে হয়। চিনি এবং ভোজ্যতেল কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও ছোলার দাম সবচেয়ে বেশি। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রি করছেন না। গত এক মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে অনেক। ছোলার দাম ৫০-৬০ থেকে বেড়ে ৭০-১০০ টাকা, পেঁয়াজ ২২-২৪ থেকে ৩৫-৪০, বুটের ডাল ৬৫-৭০ থেকে ৯০-১০০, মুড়ি ৫০-৭০ থেকে ৬০-৯০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া সবজি, মুরগি, গরু-খাসির মাংসের দামও বেড়ে গেছে গত এক মাসে। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, বাণিজ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যতবার বৈঠক করেছেন ব্যবসায়ীরা মন্ত্রীর কোনো কথায় কান দেননি। এবার রোজা শুরুর তিন মাস আগে থেকেই ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, বাণিজ্যমন্ত্রী এবং স্বয়ং সরকারপ্রধানকেও ব্যবসায়ীরা কোনো পাত্তা দেয়নি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের জেল-জরিমানার জের হিসেবে ব্যবসায়ীরা পণ্য বেচাকেনা বন্ধ রেখেছিল কিছুদিন। এমনকি বাজার থেকে চিনি উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। চিনি এবং ভোজ্যতেল কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। তবে এখনও নিয়মিত এর মনিটরিং দরকার। চিনির যেন আর কৃত্রিম সংকট না হয়, নজরদারি বাড়ানো দরকার।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ প্রশ্নে টিসিবিকে সক্রিয় ও কার্যকর করার কথা প্রতি বছরই বলা হয়। কিন্তু কোনো বছরই টিসিবিকে কার্যকর করতে পারছে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর পেছনে কোনো রহস্য আছে কি-না আমরা জানি না। কিন্তু আমরা জানি যে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে যিনি রয়েছেন তিনিও একজন ব্যবসায়ী। তবে বাণিজ্যমন্ত্রীর নেত্বত্বে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকাণ্ড যে লেজেগোবরে অবস্থায়, সেটি প্রতিবারই দেখা যায়। এবারও টিসিবির কার্যকর কোনো ভূমিকা দেখা যাবে না_ এটিই বোধ হয় বাস্তব। এ অবস্থায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখবে কী ভাবে সরকার? কিন্তু দ্রব্যমূল্য যে নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। ভোক্তারা যেন কোনোভাবে ভোগান্তি এবং ব্যবসায়ীদের মুনাফার শিকার না হন, সেদিকটার নিশ্চয়তা সরকারকেই দিতে হবে।
হ সার্কুলার রোড, গাইবান্ধা
rajotkanti@gmail.com
রমজানকে মূলধন করে প্রতিবারই ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন বেশি মুনাফার আশায়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। রমজানে অতিরিক্ত কয়েকটি পণ্য লাগে। যেমন_ ছোলা, মুড়ি, বেসন, চিনি, ডাল এবং সবজিও পরিমাণের চেয়ে বেশি কিনতে হয়। চিনি এবং ভোজ্যতেল কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও ছোলার দাম সবচেয়ে বেশি। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রি করছেন না। গত এক মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে অনেক। ছোলার দাম ৫০-৬০ থেকে বেড়ে ৭০-১০০ টাকা, পেঁয়াজ ২২-২৪ থেকে ৩৫-৪০, বুটের ডাল ৬৫-৭০ থেকে ৯০-১০০, মুড়ি ৫০-৭০ থেকে ৬০-৯০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া সবজি, মুরগি, গরু-খাসির মাংসের দামও বেড়ে গেছে গত এক মাসে। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, বাণিজ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যতবার বৈঠক করেছেন ব্যবসায়ীরা মন্ত্রীর কোনো কথায় কান দেননি। এবার রোজা শুরুর তিন মাস আগে থেকেই ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, বাণিজ্যমন্ত্রী এবং স্বয়ং সরকারপ্রধানকেও ব্যবসায়ীরা কোনো পাত্তা দেয়নি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের জেল-জরিমানার জের হিসেবে ব্যবসায়ীরা পণ্য বেচাকেনা বন্ধ রেখেছিল কিছুদিন। এমনকি বাজার থেকে চিনি উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। চিনি এবং ভোজ্যতেল কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। তবে এখনও নিয়মিত এর মনিটরিং দরকার। চিনির যেন আর কৃত্রিম সংকট না হয়, নজরদারি বাড়ানো দরকার।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ প্রশ্নে টিসিবিকে সক্রিয় ও কার্যকর করার কথা প্রতি বছরই বলা হয়। কিন্তু কোনো বছরই টিসিবিকে কার্যকর করতে পারছে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর পেছনে কোনো রহস্য আছে কি-না আমরা জানি না। কিন্তু আমরা জানি যে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে যিনি রয়েছেন তিনিও একজন ব্যবসায়ী। তবে বাণিজ্যমন্ত্রীর নেত্বত্বে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকাণ্ড যে লেজেগোবরে অবস্থায়, সেটি প্রতিবারই দেখা যায়। এবারও টিসিবির কার্যকর কোনো ভূমিকা দেখা যাবে না_ এটিই বোধ হয় বাস্তব। এ অবস্থায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখবে কী ভাবে সরকার? কিন্তু দ্রব্যমূল্য যে নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। ভোক্তারা যেন কোনোভাবে ভোগান্তি এবং ব্যবসায়ীদের মুনাফার শিকার না হন, সেদিকটার নিশ্চয়তা সরকারকেই দিতে হবে।
হ সার্কুলার রোড, গাইবান্ধা
rajotkanti@gmail.com
No comments