দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন-অচল মহাসড়ক
আধুনিক যুগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য গতিশীলতা। রেলপথ ও সড়কে মোটরচালিত যান আবির্ভাবের ফলে সমাজব্যবস্থা আমূল বদলে গিয়েছিল। এখন আমাদের সরকার ডিজিটাল দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। অথচ সুষ্ঠু ও গতিশীল যোগাযোগের কোনো উদ্যোগই দেখা যাচ্ছে না। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে ফি বছর বরাদ্দ বাড়লেও সড়ক বা রেলপথে এর প্রতিফলন নেই।
রেলপথ বরাবরই অবহেলিত। মহাসড়কগুলো যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর সর্বশেষ উদাহরণ গত বুধবার থেকে পরিবহনমালিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন। কী বলবেন মাননীয় যোগাযোগমন্ত্রী? কী বলবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর? এই মহাসড়ক বন্ধ থাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী যে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে, তাদের কী জবাব দেবেন তাঁরা? লাখ লাখ মানুষকে বিচ্ছিন্ন রেখে কীভাবে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়বেন?
প্রতিদিন যে মহাসড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে, তার এমন বেহাল দশা তো রাতারাতি সৃষ্টি হয়নি। সড়ক ভেঙেচুরে খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়া, খানাখন্দগুলো বড় ও গভীর হয়ে গর্তে পরিণত হওয়া বা সড়কের কোনো অংশ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়া এক দিনে হয়নি, দীর্ঘ সময় ধরে হয়েছে। কয়েক মাস ধরে যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে যাতায়াত করেছে। সময়মতো মেরামত করা হলে এ দুরবস্থা সৃষ্টি হতো না। অথচ প্রতিকারের কোনো বাস্তব প্রচেষ্টাই নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
দিনের পর দিন সংস্কারহীনভাবে কোনো সড়ক ব্যবহূত হতে থাকলে যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে, যানবাহনের যন্ত্রাংশের ক্ষতি হয়, যাতায়াতের সময় বাড়ে, সামগ্রিকভাবে জনজীবন ও অর্থনীতিতে পড়ে বিরূপ প্রভাব। সড়ক সংস্কারের ক্ষেত্রে মেরামত বা নির্মাণকাজের গুণগত মান নিশ্চিত করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
এ চিত্র কেবল ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের নয়, দেশের বহু মহাসড়কই এখন যানবাহন চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শীর্ষ থেকে নিম্নস্তর পর্যন্ত চলছে অনিয়ম, দুর্নীতি আর দায়িত্বে অবহেলা। এর জন্য যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। জবাবদিহি না থাকলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটতে থাকবে। জনগণের সেবা করার বদলে কেউ তাঁর সরকারি পদ ও মর্যাদা ব্যবহার করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত থাকলে তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
যোগাযোগের চাকা অচল হওয়ার মানে আরও নানা ক্ষেত্রে অচলাবস্থার বিস্তার ঘটা। সড়ক যোগাযোগের এই দুর্দশা এবং এর জন্য জনগণের ভোগান্তি কি সরকার বা যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা দেখতে পান না? তাঁরা কি আকাশপথে চলাচল করেন?
মহাসমারোহে চলছে ভারতকে ট্রানজিট দেওয়ারসহ পাতালরেল, উড়ালরেল ইত্যাদি নির্মাণের উদ্যোগ। কিন্তু বিদ্যমান সড়কগুলোরই যে নাজুক অবস্থা, সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। এভাবে চলতে পারে না। নাজুক যোগাযোগব্যবস্থা শুধু জনজীবনেই দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে না, জাতীয় অর্থনীতিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে, উন্নয়নের চাকা দিচ্ছে থামিয়ে। অবিলম্বে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক। দেশের অন্যান্য সড়ক-মহাসড়কেরও প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হোক। মানুষ নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারুক, সেটাই প্রত্যাশিত।
প্রতিদিন যে মহাসড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে, তার এমন বেহাল দশা তো রাতারাতি সৃষ্টি হয়নি। সড়ক ভেঙেচুরে খানাখন্দ সৃষ্টি হওয়া, খানাখন্দগুলো বড় ও গভীর হয়ে গর্তে পরিণত হওয়া বা সড়কের কোনো অংশ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়া এক দিনে হয়নি, দীর্ঘ সময় ধরে হয়েছে। কয়েক মাস ধরে যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে যাতায়াত করেছে। সময়মতো মেরামত করা হলে এ দুরবস্থা সৃষ্টি হতো না। অথচ প্রতিকারের কোনো বাস্তব প্রচেষ্টাই নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
দিনের পর দিন সংস্কারহীনভাবে কোনো সড়ক ব্যবহূত হতে থাকলে যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে, যানবাহনের যন্ত্রাংশের ক্ষতি হয়, যাতায়াতের সময় বাড়ে, সামগ্রিকভাবে জনজীবন ও অর্থনীতিতে পড়ে বিরূপ প্রভাব। সড়ক সংস্কারের ক্ষেত্রে মেরামত বা নির্মাণকাজের গুণগত মান নিশ্চিত করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
এ চিত্র কেবল ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের নয়, দেশের বহু মহাসড়কই এখন যানবাহন চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শীর্ষ থেকে নিম্নস্তর পর্যন্ত চলছে অনিয়ম, দুর্নীতি আর দায়িত্বে অবহেলা। এর জন্য যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। জবাবদিহি না থাকলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটতে থাকবে। জনগণের সেবা করার বদলে কেউ তাঁর সরকারি পদ ও মর্যাদা ব্যবহার করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত থাকলে তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
যোগাযোগের চাকা অচল হওয়ার মানে আরও নানা ক্ষেত্রে অচলাবস্থার বিস্তার ঘটা। সড়ক যোগাযোগের এই দুর্দশা এবং এর জন্য জনগণের ভোগান্তি কি সরকার বা যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা দেখতে পান না? তাঁরা কি আকাশপথে চলাচল করেন?
মহাসমারোহে চলছে ভারতকে ট্রানজিট দেওয়ারসহ পাতালরেল, উড়ালরেল ইত্যাদি নির্মাণের উদ্যোগ। কিন্তু বিদ্যমান সড়কগুলোরই যে নাজুক অবস্থা, সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। এভাবে চলতে পারে না। নাজুক যোগাযোগব্যবস্থা শুধু জনজীবনেই দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে না, জাতীয় অর্থনীতিকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে, উন্নয়নের চাকা দিচ্ছে থামিয়ে। অবিলম্বে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক। দেশের অন্যান্য সড়ক-মহাসড়কেরও প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হোক। মানুষ নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারুক, সেটাই প্রত্যাশিত।
No comments