পবিত্র কোরআনের আলো-নারী-পুরুষ উভয়কেই মর্যাদা ও সম্পদের উত্তরাধিকার দেওয়া হয়েছে
৩২. ওয়ালা তাতামান্নাও মা ফাদ্দ্বালাল্লা-হু বিহী বা'দ্বাকুম আ'লা বা'দ্বিন; লিররিজা-লি নাসীবুম্ মিম্মাক্ তাছাবূ; ওয়া লিনি্নছা-য়ি নাসীবুম্ মিম্মাক্তাছাব্না; ওয়াছআলুল্লাহা মিন ফাদ্বলিহি; ইন্নাল্লাহা কানা বিকুলি্ল শাইয়িন আ'লীমা।৩৩. ওয়া লিকুলি্লন জাআ'লনা মাওয়া-লিইয়া মিম্মা তারাকাল ওয়া-লিদানি ওয়ালআক্বরাবূন; ওয়াল্লাযীনা আ'ক্বাদাত্ আইমা-নুকুম ফাআ-তূহুম নাসীবাহুম; ইন্নাল্লা-হা কা-না আ'লা কুলি্ল শাইয়িন শাহীদা।
[সুরা : আন্ নিসা, আয়াত : ৩২-৩৩]
অনুবাদ : ৩২. তোমরা এমন কোনো মর্যাদার আকাঙ্ক্ষা করো না, যা তোমাদের কাউকে কাউকে অপর কারো কারো ওপর দান করা হয়েছে। যা কিছু পুরুষরা অর্জন করেছে তা তাদেরই হবে, আবার যা কিছু নারীরা অর্জন করেছে তা নারীদেরই অংশ। তোমরা আল্লাহর কাছ থেকে তাঁর নিয়ামত পাওয়ার জন্য প্রার্থনা জানাও; আল্লাহ তায়ালা সব বিষয় সম্পর্কে সম্যক অবগত।
৩৩. পিতামাতা ও আত্মীয়স্বজনের রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে আমি (নারী-পুরুষ) সবার জন্যই স্বত্বাধিকার রেখেছি। যাদের সঙ্গে তোমাদের কোনো চুক্তি বা অঙ্গীকার রয়েছে (সেই সম্পত্তির ব্যাপারে) তাদের অংশ পুরোপুরি আদায় করে দেবে, আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই প্রতিটি বিষয়ের ওপর সাক্ষী হয়ে আছেন।
ব্যাখ্যা : এই আয়াতগুলোর শানেনুজুল এ রকম : কোরআন মজিদে সাধারণত দেখা যায় যে পুরুষদের সম্বোধন করেই অনেক কথা বলা হয়, নারীদের তেমন একটা সম্বোধন করা হয় না। এ ব্যাপারে নারীরা রাসুল (সা.)-এর কাছে আরজ করেছিলেন। আল্লাহ তায়ালা, প্রত্যেক কাজেই পুরুষদের সম্বোধন করে থাকেন, নারীদের অনুরূপ সম্বোধন করেন না কেন? নারীরা অনুপস্থিত তৃতীয় পুরুষ হিসেবে বিবেচিত হয় কেন? অন্যদিকে ওয়ারিশি স্বত্বেও পুরুষরা নারীর চেয়ে দ্বিগুণ পেয়ে থাকে। এসব বৈষম্যের কারণ কী? এর উত্তরে এই আয়াতগুলো নাজিল হয়।
৩২ নম্বর আয়াতে প্রকৃত অর্থে নারীর সম-অধিকারের কথা স্বীকার করা হয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে যে দেখা যায় নারীর প্রতি বৈষম্য, এর যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে।
নারী ও পুরুষের মধ্যে কোনো বৈষম্য নেই, তবে ভিন্নতা তো অবশ্যই রয়েছে। দৈহিক, মানসিক, সামাজিক_সব ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে কিছু ভিন্নতা অবশ্যই রয়েছে। এ ক্ষেত্রে নারীদের উচিত হবে না পুরুষের মতো হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করা, আবার পুরুষদেরও উচিত হবে না নারীর মতো হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করা। নারী মা হবে, বাবা হতে পারবে না; আবার পুরুষ বাবা হবে, মা হতে পারবে না। আর মা-বাবা এক রকম নয়, ভিন্ন রকম, এটা তো স্বীকার করতে হবে। সুতরাং প্রত্যেকেরই উচিত হবে, যার যার জায়গায় থেকে আল্লাহর নিয়ামত ও অনুগ্রহলাভের জন্য
সচেষ্ট হওয়া।
৩৩ নম্বর আয়াতে নারী-পুরুষের উত্তরাধিকার বা ওয়ারিশি হিস্যা লাভের কথা বলা হয়েছে। ইসলাম নারী-পুরুষ উভয়কেই ওয়ারিশি হিস্যা প্রদানের ব্যবস্থা করেছে। এখানে কমবেশি দেখা যায়; কিন্তু প্রকৃত অর্থে নারীকে কম ও পুরুষকে বেশি দেওয়া হয়নি। দুজনের অবস্থা ও অবস্থান ভিন্ন হওয়ার কারণে সম্পদপ্রাপ্তির ক্ষেত্রেও ভিন্নতা দেখা যায়। এটা বৈষম্য নয়।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
অনুবাদ : ৩২. তোমরা এমন কোনো মর্যাদার আকাঙ্ক্ষা করো না, যা তোমাদের কাউকে কাউকে অপর কারো কারো ওপর দান করা হয়েছে। যা কিছু পুরুষরা অর্জন করেছে তা তাদেরই হবে, আবার যা কিছু নারীরা অর্জন করেছে তা নারীদেরই অংশ। তোমরা আল্লাহর কাছ থেকে তাঁর নিয়ামত পাওয়ার জন্য প্রার্থনা জানাও; আল্লাহ তায়ালা সব বিষয় সম্পর্কে সম্যক অবগত।
৩৩. পিতামাতা ও আত্মীয়স্বজনের রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে আমি (নারী-পুরুষ) সবার জন্যই স্বত্বাধিকার রেখেছি। যাদের সঙ্গে তোমাদের কোনো চুক্তি বা অঙ্গীকার রয়েছে (সেই সম্পত্তির ব্যাপারে) তাদের অংশ পুরোপুরি আদায় করে দেবে, আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই প্রতিটি বিষয়ের ওপর সাক্ষী হয়ে আছেন।
ব্যাখ্যা : এই আয়াতগুলোর শানেনুজুল এ রকম : কোরআন মজিদে সাধারণত দেখা যায় যে পুরুষদের সম্বোধন করেই অনেক কথা বলা হয়, নারীদের তেমন একটা সম্বোধন করা হয় না। এ ব্যাপারে নারীরা রাসুল (সা.)-এর কাছে আরজ করেছিলেন। আল্লাহ তায়ালা, প্রত্যেক কাজেই পুরুষদের সম্বোধন করে থাকেন, নারীদের অনুরূপ সম্বোধন করেন না কেন? নারীরা অনুপস্থিত তৃতীয় পুরুষ হিসেবে বিবেচিত হয় কেন? অন্যদিকে ওয়ারিশি স্বত্বেও পুরুষরা নারীর চেয়ে দ্বিগুণ পেয়ে থাকে। এসব বৈষম্যের কারণ কী? এর উত্তরে এই আয়াতগুলো নাজিল হয়।
৩২ নম্বর আয়াতে প্রকৃত অর্থে নারীর সম-অধিকারের কথা স্বীকার করা হয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে যে দেখা যায় নারীর প্রতি বৈষম্য, এর যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে।
নারী ও পুরুষের মধ্যে কোনো বৈষম্য নেই, তবে ভিন্নতা তো অবশ্যই রয়েছে। দৈহিক, মানসিক, সামাজিক_সব ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে কিছু ভিন্নতা অবশ্যই রয়েছে। এ ক্ষেত্রে নারীদের উচিত হবে না পুরুষের মতো হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করা, আবার পুরুষদেরও উচিত হবে না নারীর মতো হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করা। নারী মা হবে, বাবা হতে পারবে না; আবার পুরুষ বাবা হবে, মা হতে পারবে না। আর মা-বাবা এক রকম নয়, ভিন্ন রকম, এটা তো স্বীকার করতে হবে। সুতরাং প্রত্যেকেরই উচিত হবে, যার যার জায়গায় থেকে আল্লাহর নিয়ামত ও অনুগ্রহলাভের জন্য
সচেষ্ট হওয়া।
৩৩ নম্বর আয়াতে নারী-পুরুষের উত্তরাধিকার বা ওয়ারিশি হিস্যা লাভের কথা বলা হয়েছে। ইসলাম নারী-পুরুষ উভয়কেই ওয়ারিশি হিস্যা প্রদানের ব্যবস্থা করেছে। এখানে কমবেশি দেখা যায়; কিন্তু প্রকৃত অর্থে নারীকে কম ও পুরুষকে বেশি দেওয়া হয়নি। দুজনের অবস্থা ও অবস্থান ভিন্ন হওয়ার কারণে সম্পদপ্রাপ্তির ক্ষেত্রেও ভিন্নতা দেখা যায়। এটা বৈষম্য নয়।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments