উদ্ভাসিত আলোয় শিরোপা ঢাকার
মিরপুরে যেন ফিরে এল বিশ্বকাপের এক দিন। স্টেডিয়ামের বাইরে লম্বা লাইন, আশপাশের সড়ক বন্ধ, অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়া যানজট, ২৫ হাজারের বেশি দর্শকে কানায় কানায় পূর্ণ বর্ণিল গ্যালারি। দর্শকের স্লোগান অবশ্য পাল্টে গেল, ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ বদলে কাল ‘ঢাকা, ঢাকা’। গ্যালারিতে বরিশালের সমর্থক যে কিছু ছিল না, তা নয়।
তবে ‘ঢাকা, ঢাকা’ গর্জনে হারিয়ে গেল বরিশাল সমর্থকদের কণ্ঠ। খুব বেশি উচ্চকিত হওয়ার সুযোগও অবশ্য পেল না বরিশালের সমর্থকেরা, ফাইনালটা জমল না একদমই। ঢাকার ক্রিকেটার সমর্থকেরা সেটা নিয়ে আক্ষেপ করবে কেন? ৮ উইকেটের সহজ জয়ে বিপিএলের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস।
নাজমুলকে মিডঅন দিয়ে উড়িয়ে আনামুল দলকে কাঙ্ক্ষিত সেই লক্ষ্যে পৌঁছে দিতেই মাঠে ছুটে গেল ঢাকার ক্রিকেটার-সাপোর্ট স্টাফের সবাই। সবার আগে ইলিয়াস সানি, বিদেশি ক্রিকেটারদের প্রাধান্যের টুর্নামেন্টে ১৭ উইকেট নিয়ে উইকেট শিকারে যিনি সবার আগে (যৌথভাবে মোহাম্মদ সামির সঙ্গে)। দলের জয়ের সময় উইকেটে থাকা আজহার মেহমুদকে অনেকক্ষণ জড়িয়ে ধরে রাখলেন খানিক আগেই ড্রেসিংরুমে ফেরা ইমরান নাজির। টুর্নামেন্টে ঢাকার সবচেয়ে ধারাবাহিক দুই পারফরমার হয়তো বললেন, ‘মিশন সফল!’
কাল অবশ্য বোলিংয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি আজহার। ব্যাটিংয়েও কিছু করতে হলো না, নাজির যে আগেই কার্যত ম্যাচ শেষ করে দিয়ে এসেছেন! ১৪০-১৪৫ রান তাড়া এমন উইকেটে কঠিন না হলেও পা হড়কানোর নজির টি-টোয়েন্টিতে আছে অনেক। কিন্তু একজন ৪৩ বলে ৭৫ করে ফেললে এই লক্ষ্য কঠিন কী!
সোহরাওয়ার্দী শুভকে তুলে মারতে গিয়ে নাজিমউদ্দিন কভারে ধরে পড়েন ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। বরিশাল যদি ম্যাচে ফেরার নূন্যতম আশা করেও থাকে, সেটা নির্মমভাবে হত্যা করেছেন নাজির ও আনামুল হক। নাজির যথারীতি খেলেছেন নিজের মতোই, অফ সাইডে খেলেছেন দৃষ্টিনন্দন কিছু শট। ২৮ বলে ফিফটি ছোঁয়া ইনিংসে ছিল সমান ছয়টি করে চার-ছয়। আনামুলের ব্যাট তুলনায় কিছুটা শান্ত, তবে বাজে বলকে সাজা দিতে ভুল করেননি। টুর্নামেন্টে চতুর্থ ফিফটিটা সর্বোচ্চ রানসংগ্রহকারীর তালিকায় দুইয়েও তুলে এনেছে নাজিরকে। ৭০ বলে দুজনের ১১০ রানের জুটিটা যখন ভাঙল, জয় তখন মাত্র ৫ রান দূরে! নাজমুলকে চার মেরে সেই জয় এনে দেওয়ার পর বিরক্তি ভরে মাটিতে ব্যাট ঠুকলেন আনামুল, হয়তো ছয় মেরে জয় এনে দেওয়ার পাশাপাশি ছুঁতে চেয়েছিলেন টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ফিফটি!
বরিশালের ইনিংসটা একা টেনেছেন অধিনায়ক ব্র্যাড হজ। ইনিংসের শুরুতে প্রতি ওভারের দ্বিতীয় বলটা একটু দেখেশুনে খেললে কিন্তু বরিশালের ব্যাটিংয়ে এই বিপর্যয় হয় না, প্রথম চার ব্যাটসম্যানই যে আউট হলেন ওভারের দ্বিতীয় বলে! শেহজাদের ঝড়ে ৪ ওভারেই ৪২ তুলে ফেলেছিল বরিশাল। শহীদ আফ্রিদি আক্রমণে এসেই থামালেন ঝড়, মিডঅফের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে সাঈদ আজমলের হাতে ধরা ২৮ রানেই। আজমল পরের ওভারে আক্রমণে এসেই দ্বিতীয় বলে ফেরালেন বরিশালের আরেক ভরসা ফিল মাস্টার্ডকে। আবুধাবিতে ম্যাচ খেলে এসে সেমিফাইনালে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি আফ্রিদি-আজমল। কিন্তু টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে কার্যকর দুই বোলার জ্বলে উঠলেন কাল। কপাল পুড়ল বরিশালের। আফ্রিদি পেয়েছেন আরও দুটি উইকেট, রানের চাকা আটকে রাখলেন আজমল। সঙ্গে রিভার্স সুইং-ইয়র্কারের ঝাঁপি মেলে ধরলেন রানা নাভেদ।
আদ্যন্ত ব্যাট করে তবুও বরিশালকে ১৪০ এনে দিয়েছিলেন হজ। কিন্তু ক্যাচ মিসের মহড়া আর নাজির-ঝড়ে লড়াই করার জন্যও যথেষ্ট হলো না ওই রান।
নাজমুলকে মিডঅন দিয়ে উড়িয়ে আনামুল দলকে কাঙ্ক্ষিত সেই লক্ষ্যে পৌঁছে দিতেই মাঠে ছুটে গেল ঢাকার ক্রিকেটার-সাপোর্ট স্টাফের সবাই। সবার আগে ইলিয়াস সানি, বিদেশি ক্রিকেটারদের প্রাধান্যের টুর্নামেন্টে ১৭ উইকেট নিয়ে উইকেট শিকারে যিনি সবার আগে (যৌথভাবে মোহাম্মদ সামির সঙ্গে)। দলের জয়ের সময় উইকেটে থাকা আজহার মেহমুদকে অনেকক্ষণ জড়িয়ে ধরে রাখলেন খানিক আগেই ড্রেসিংরুমে ফেরা ইমরান নাজির। টুর্নামেন্টে ঢাকার সবচেয়ে ধারাবাহিক দুই পারফরমার হয়তো বললেন, ‘মিশন সফল!’
কাল অবশ্য বোলিংয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি আজহার। ব্যাটিংয়েও কিছু করতে হলো না, নাজির যে আগেই কার্যত ম্যাচ শেষ করে দিয়ে এসেছেন! ১৪০-১৪৫ রান তাড়া এমন উইকেটে কঠিন না হলেও পা হড়কানোর নজির টি-টোয়েন্টিতে আছে অনেক। কিন্তু একজন ৪৩ বলে ৭৫ করে ফেললে এই লক্ষ্য কঠিন কী!
সোহরাওয়ার্দী শুভকে তুলে মারতে গিয়ে নাজিমউদ্দিন কভারে ধরে পড়েন ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। বরিশাল যদি ম্যাচে ফেরার নূন্যতম আশা করেও থাকে, সেটা নির্মমভাবে হত্যা করেছেন নাজির ও আনামুল হক। নাজির যথারীতি খেলেছেন নিজের মতোই, অফ সাইডে খেলেছেন দৃষ্টিনন্দন কিছু শট। ২৮ বলে ফিফটি ছোঁয়া ইনিংসে ছিল সমান ছয়টি করে চার-ছয়। আনামুলের ব্যাট তুলনায় কিছুটা শান্ত, তবে বাজে বলকে সাজা দিতে ভুল করেননি। টুর্নামেন্টে চতুর্থ ফিফটিটা সর্বোচ্চ রানসংগ্রহকারীর তালিকায় দুইয়েও তুলে এনেছে নাজিরকে। ৭০ বলে দুজনের ১১০ রানের জুটিটা যখন ভাঙল, জয় তখন মাত্র ৫ রান দূরে! নাজমুলকে চার মেরে সেই জয় এনে দেওয়ার পর বিরক্তি ভরে মাটিতে ব্যাট ঠুকলেন আনামুল, হয়তো ছয় মেরে জয় এনে দেওয়ার পাশাপাশি ছুঁতে চেয়েছিলেন টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ফিফটি!
বরিশালের ইনিংসটা একা টেনেছেন অধিনায়ক ব্র্যাড হজ। ইনিংসের শুরুতে প্রতি ওভারের দ্বিতীয় বলটা একটু দেখেশুনে খেললে কিন্তু বরিশালের ব্যাটিংয়ে এই বিপর্যয় হয় না, প্রথম চার ব্যাটসম্যানই যে আউট হলেন ওভারের দ্বিতীয় বলে! শেহজাদের ঝড়ে ৪ ওভারেই ৪২ তুলে ফেলেছিল বরিশাল। শহীদ আফ্রিদি আক্রমণে এসেই থামালেন ঝড়, মিডঅফের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে সাঈদ আজমলের হাতে ধরা ২৮ রানেই। আজমল পরের ওভারে আক্রমণে এসেই দ্বিতীয় বলে ফেরালেন বরিশালের আরেক ভরসা ফিল মাস্টার্ডকে। আবুধাবিতে ম্যাচ খেলে এসে সেমিফাইনালে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি আফ্রিদি-আজমল। কিন্তু টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে কার্যকর দুই বোলার জ্বলে উঠলেন কাল। কপাল পুড়ল বরিশালের। আফ্রিদি পেয়েছেন আরও দুটি উইকেট, রানের চাকা আটকে রাখলেন আজমল। সঙ্গে রিভার্স সুইং-ইয়র্কারের ঝাঁপি মেলে ধরলেন রানা নাভেদ।
আদ্যন্ত ব্যাট করে তবুও বরিশালকে ১৪০ এনে দিয়েছিলেন হজ। কিন্তু ক্যাচ মিসের মহড়া আর নাজির-ঝড়ে লড়াই করার জন্যও যথেষ্ট হলো না ওই রান।
No comments